
সুপ্রভাত সিডনি রিপোর্ট : স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের আমলে সাংবাদিক নির্যাতন কোনো নতুন আবিষ্কার নয়। বিশ্বের সকল স্বৈরাচারের একই রূপ। তারা বাক স্বাধীনতাকে ভয় পায় । জনগণের কণ্ঠকে ভয় পায়। জনগনের জোরালো বক্তব্যে সরকারের কাপড় নষ্ঠ হয়।সাংবাদিক জগতের নক্ষত্র মাহমুদুর রহমানকে রক্তাক্ত করে দেশ ছাড়া করলেন এ শুয়োরের পাল।
বাংলাদেশের প্রবীণ সাংবাদিক আবুল আসাদ সাহেবকে একদল কুকুর টেনে হিচঁড়ে অপদস্ত করে অফিস তালা লাগিয়ে দিয়েছিলো। তাতেই শেষ নয়, ৮২ বছর বয়স্ক একজন প্রবীণ সাংবাদিককে সামান্য ছুতা খুঁজে বের করে কারাগারে প্রেরণ করে -তখন প্রথম আলো সহ অনেক উচ্ছিষ্ঠভুগিরা আনন্দের ঢেকুর তুলেছিল। কোনো প্রতিবাদ করেনি। বাংলাদেশের কোনো সাংবাদিক এর প্রতিবাদ করেনি। এরাই নাকি জাতির বিবেক। আসলে এরাই হলুদ সংবাদিক এবং সুবিধাভোগী। সাংবাদিক নামের কলঙ্ক ও হলুদ সাংবাদিক ছাড়া সকলে প্রতিবাদ করছে এ নির্যাতনের।
বাংলার ইতিহাসে নিকৃষ্ট সরকার এখন মিডিয়াকে ডোমেস্টিক পোষা বিড়ালের মতো ব্যবহার করছে। সামান্য ভুল করলে রক্ষা নেই। অর্থাৎ যাদেরকে গত এক যুগের বেশি কোটি কোটি টাকা দিয়ে পেলে পুষে রেখেছে ,তারা কেউ বাংলার মাটিতে কথা বলতে পারবেনা। গোয়ালের গরুর মতো আচরণ না করলে প্রবীণ সাংবাদিক আবুল আসাদের অবস্থায় পড়তে হবে।
সম্প্রতি প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ও নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে ভুয়া মামলায় গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানাচ্ছি।কুষ্টিয়ায় সাংবাদিক হাসিবুর রহমান রুবেলকে অপহরণের পর হত্যাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিকদের ওপর লাগাতার হামলা নির্যাতন, হয়রানীর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বাক স্বাধীনতা বিরোধী, জনগণের কণ্ঠ রোধে তথাকথিত ডিজিট্যাল আইন বাতিল করে সকল মিডিয়া কর্মীদেরকে নিঃশর্ত মুক্তি দেয়া হোক।