হঠাৎ দূরের মোড়ে বিকট চিত্কার দিয়ে দু’হাত আকাশের দিকে তুলে পাগলটা বলে উঠলো কি তোর বিচার! বসে আছিস বিচারপতির আসনে দে ফিরিয়ে দে আমার- বেঁচে থাকার অধিকার। এক দল দুষ্টু ছেলেরা ইট ছুঁড়ে করছে পাগলকে ক্ষত বিক্ষত। পাশ দিয়ে বাঁদুড় ঝোলা যাত্রী নিয়ে বাস বেরিয়ে গেলো কারো কোন ভ্রূক্ষেপ নেই। ট্রাফিক ষ্ট্যাণ্ডে দাঁত বের করে হাঁসছেট্রাফিক পুলিশ-
হঠাৎ দূরের মোড়ে বিকট চিত্কার দিয়ে
দু’হাত আকাশের দিকে তুলে পাগলটা বলে উঠলো
কি তোর বিচার! বসে আছিস বিচারপতির আসনে
দে ফিরিয়ে দে আমার- বেঁচে থাকার অধিকার।
এক দল দুষ্টু ছেলেরা ইট ছুঁড়ে করছে পাগলকে
ক্ষত বিক্ষত।
পাশ দিয়ে বাঁদুড় ঝোলা যাত্রী নিয়ে বাস বেরিয়ে গেলো
কারো কোন ভ্রূক্ষেপ নেই।
ট্রাফিক ষ্ট্যাণ্ডে দাঁত বের করে হাঁসছেট্রাফিক পুলিশ-
যেন মজার খেলা দেখছে।
পথে পথে ঘোরা বেওয়ারিশ নেংটি কুত্তারাও
লেগেছে পাগলের পেছনে।
অনর্গল ঘেউ ঘেউ করেই চলেছে।
ফায়ার ব্রিগেডের লাল গাড়িটা উর্ধশ্বাসে ছুটে গেলো
পাগলের গাঁ ঘেষে। কোথাও যেন আগুন লেগেছে।
এবার পাগলটা খুশীতে হাত তালি দিয়ে অট্ট হাসি হেসে
মুষ্টিবদ্ধ দু’হাত আকাশের দিকে তুললো-
বিচার চাইলাম তোর কাছে। আগুনে জ্বালিয়ে
দিলি সব শেষ করে!
একদিন আমারও জীবন এমন করে জ্বালিয়ে
পাগল বানিয়ে পথে এনে দাঁড় করেছিলি-
সব কিছু খুঁইয়ে পথে পথে ঘুরছি পাগল বেশে।
Leave a Comment
Your email address will not be published. Required fields are marked with *