সুপ্রভাত সিডনি রিপোর্ট : স্বৈরাচারী মাফিয়া সরকার বিএনপির রাজনীতির কাছে পরাজিত হয়ে এখন হিটলারের পৈচাশিক রাস্তা বেছে নিয়েছে। বিএনপির সাম্প্রতিক আন্দোলনে ভীত হয়ে নেতা কর্মীদেরকে বাকশালী পুলিশ দিয়ে হয়রানি করছে। গোটা দেশের আনাচে কানাচে জুলুমের বন্যা বসিয়ে দিয়েছে। নেতা কর্মীদেরকে ধরে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন, জোর করে অর্থ আদায় ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরকে নির্যাতন করছে বলে জানা গেছে। শারীরিক নির্যাতন ও জুলুমের একমাত্র কারণ হচ্ছে বড় অংকের টাকা আদায় করা।
গত ২৬ জুলাই বুধবার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর এবং বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সহ-সভাপতি মীর আশরাফ আলী আজম এবং তার ছেলে ব্যারিস্টার মীর মুহতাসিম আলীকে লালবাগের নিজ বাসভবন থেকে ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারের সময় তাদের বাসভবনে ব্যাপক ভাংচুর করে এবং মীর আশরাফ আলী আজমের স্ত্রী কুলসুম আলীকে এবং তার পুত্রবধূ নূরজাহান আহমেদকে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। গ্রেফতারের পর মীর আশরাফ আলী আজম কে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে সংকটাপন্ন অবস্থায় নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ব্যারিস্টার মীর মুহতাসিম আলীর স্ত্রী নূরজাহান_আহমেদ একজন ব্রিটিশ নাগরিক। তাই তার গ্রেফতারের বিষয় জানতে চাইলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন চালায় ডিবি পুলিশ।
দুনিয়ার একটি নিকৃষ্ট বাহিনী হচ্ছে আমাদের দেশের পুলিশ বিভাগ। যেখানে রাজনীতির কারনে বিনা ওয়ারেন্টে যখন তখন যে কাউকে গ্রেপ্তার করা যায় , হয়রানি করা যায়, ভুয়া মামলায় ফাঁসিয়ে জেল খাটানো যায়। এ পুলিশলীগ নতুন আইন জারি করেছে -বাবার রাজনীতির কারনে নিরীহ ছেলেকে গ্রেপ্তার করে, বিনিময়ে ৯০ লক্ষ টাকা দাবি করে। ঘরের আসবাব ভাঙচুর কোন আইনে আছে ? একমাত্র ব্যক্তিগত ক্রোধ না হলে এমন আবালের মতো কাজ কে করে ? আমাদের অতি উৎসাহী ডিবি পুলিশের এ ধরনের ঘৃণ্য আচরণে জনগণ আজ শঙ্কিত মর্মাহত।