সুপ্রভাত সিডনি রিপোর্ট : বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতি, গুম,খুন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ব্যাপক প্রসারে বৈদেশিক কূটনীতিকরা অত্যান্ত বিচলিত। আয়ামীলীগের লাগাতার তান্ডব এখন বিশ্ব জুড়ে ধিক্কার উঠেছে। জঙ্গী লালন ও বিভিন্ন সময় বাংলাদেশের যত্র-তত্র আগুন লাগিয়ে সন্ত্রাসের রাজ্য কায়েম করেছে আওয়ামী দুর্নীবাজরা। দেশের আবাল -বৃদ্ধ বনিতা সারাক্ষন ভীত সন্ত্রস্ত থাকে, না জানি কখন কি ঘটে ?
ঢাকায় নিযুক্ত সব বিদেশি দূতাবাস ও সেখানে কর্মরত সকলের নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩) সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
ম্যাথিউ মিলার বলেন, অবশ্যই আমাদের কূটনৈতিকদের সুরক্ষা আমাদের কাছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। কূটনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ক ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী, প্রতিটি দেশকে অবশ্যই সমস্ত কূটনৈতিক মিশনের সুরক্ষা নিশ্চিতের জন্য বাধ্যবাধকতা বজায় রাখতে হবে।
তিনি আরো বলেন, মিশন কর্মীদের ওপর যে কোনো আক্রমণ রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে তার সম্পর্ককে মূল্য দেয়। আমরা আশা করি, সরকার আমাদেরসহ বাংলাদেশে থাকা সকল বিদেশি মিশন ও কর্মীদের নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের এবং দূতাবাসে কর্মরতদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। এমনকি শুধু তার নিরাপত্তা উদ্বেগই নয়, দূতাবাসের কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ জানিয়েছেন তিনি। তার এই উদ্বেগ বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমরা বর্তমান সরকারের অধীনে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের ওপর বেশ কয়েকটি হামলা হতে দেখেছি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কি এই উদ্বেগগুলোকে গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছেন?
মিলার আরও বলেন, আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন দল এবং রাজনৈতিক বিরোধী দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে বিধিনিষেধ আরোপের পদক্ষেপ নিয়েছি। যারা বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন ‘কেলেঙ্কারি’র জন্য দায়ী বা জড়িত বলে আমরা বিশ্বাস করি।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের থেকে জানানো হয়,”যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞার পরিধি আরও বিস্তৃত করছে। অর্থাৎ মিডিয়াসহ অপপ্রচারে জড়িতরাও এর আওতায় আসবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের ঘোষণা অনুসারে বাংলাদেশে অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্থ করার কাজে দায়ী কিংবা জড়িত থাকার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, সরকার এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর ভীসা নীতি কার্যকর করার পদক্ষেপ আমরা শুরু করেছি।বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া দুর্বল ও বাধাগ্রস্থ করার কাজে দায়ী কিংবা জড়িত যেকোনও বাংলাদেশির ক্ষেত্রে এই ভিসা নীতি কার্যকর হবে।
বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচনের স্বার্থে গত মে মাসে নতুন ভিসা নীতির কথা ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন সেসময় টুইট করে এই ঘোষণা দেন। এই নীতির আওতায় যে কোন বাংলাদেশি ব্যক্তি যদি দেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের প্রক্রিয়া ব্যাহত করার জন্য
দায়ী হন বা এরকম চেষ্টা করেছেন বলে প্রতীয়মান হয় – তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাকে ভিসা দেওয়ার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারবে।
মার্কিন বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এসব কর্মকাণ্ডের মধ্যে আছে – ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভীতি প্রদর্শন, শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ করার অধিকার প্রয়োগ করা থেকে মানুষকে বঞ্চিত করার জন্য সহিংসতাকে কাজে লাগানো, এবং এমন কোন পদক্ষেপ – যার উদ্দেশ্য রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজ বা সংবাদমাধ্যমকে তাদের মত প্রচার থেকে বিরত রাখা।
যুক্তরাষ্ট্রের আইনে ভিসা রেকর্ড গোপনীয়। যারা ভিসা নিষেধাজ্ঞার মধ্যে আসবেন তাদের নাম ও ফোন নম্বর আমরা প্রকাশ করবো না। তবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেছে তারা কার কার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেবে। এর আওতায় রয়েছে আইন প্রয়োগকারী এজেন্সিগুলো, ক্ষমতাসীন ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা, বিচার বিভাগ, বর্তমান ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তারা।
এতদিন ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, কানাডা বা আমেরিকার ভিতর বাংলাদেশের দুর্নীতি নিয়ে কড়াকড়ি ছিল। অতি সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পার্লামেন্টে লাগাতার আলোচনা হয়েছে বাংলাদেশের নিলজ্জ ,বেহায়া বিনাভোটের প্রধান মন্ত্রী হাসিনাকে নিয়ে। অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক দেখতে চায় বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুর। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার।
শেখ পরিবার গোটা দেশটাকে লুটে পুটে খেয়েছে। দেশের প্রতিটি সেক্টর দুর্নীতিগ্রস্থ। আওমীলীগের মন্ত্রী, আমলারা দেশের অর্থনীতি গুড়া গুড়া করে রাস্তায় মিশিয়ে দিয়েছে। ঋনের বোঝায় দেশ আজ ধরাশয়ী। আওয়ামীলীগের আমলা,মন্ত্রীরা শতভাগ দুর্নীতিতে দেশকে আজ আবার তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে। হাসিনার লুটপাটের একাংশ গ্রাফ হিসেবে তুলে ধরা হলো।