প্রতিদিন অনেক কাজ করবো ব’লে ভাবি।
এই যেমন ধরুন, অন্তত একটা কবিতা লেখা,
দু’চার লাইন নোট রাখা, খবরের কাগজটা
ভালো ক’রে পড়া, ব্যবহৃত হ’য়ে যাওয়া শিশি
কৌটো প্যাকিং বাজে জিনিসের ঝুড়িতে
ফেলা, বইপত্রগুলো ভালো ক’রে গুছিয়ে
রাখা, জামাকাপড় ইত্যাদি ঠিকঠাক
পরিচ্ছন্ন রাখা, খাতাপত্র থেকে খসড়া
পুরনো কিছু লেখা এডিট করা,
টাইপ করা, কোনো কোনো সম্পাদকের
কাছে ছাপানোর জন্য পাঠানো, খাম লেখা,
স্ট্যাম্প চেটানো আরো কত কী——-,
নিজেকেই বকিঝকি, বুঝলে বদর
মিঞা, তোমার দ্বারা আর কিস্স্যু
হবে না, তুমি একদম গ্যা–ছো।
কাছেভিতে কেউ শুনে ফেললো কিনা এইসব
আফসোস একান্ত বিলাপ, পলকে
সতর্ক হই, বলা যায় না
কখন্ কোথায় আছে গোয়েন্দা কারা।
রাতদিন এই সময়ের সাথে তাল
মেলাতে পারিনা, পিছলে পিছলে যায়
উড়ে উড়ে যায় পার্কের প্রজাপতির মতো
দিনের বাণিজ্য-তরী হয়না সাতনরি
সওদাগরি নাও, পলকে পলকে উধাও
অধরা কোন্ অলৌকিক অকূল সাগরে।
নিজের এই অক্ষমতায় রোজ দুঃখিত হই,
হতাশাগ্রস্ত হই, আবার একপ্রস্থ
ফর্দ বানাই মনে মনে আশু কর্তব্যের,
ফের সাধ্যমতো পা়ঞ্জা লড়ি, চক খড়ি চক
হিকরি ডিকরি ডক, থোড় বড়ি খাড়া
খাড়া বড়ি থোড়, খড়কুটো হ’য়ে যায় সব
স্রোতের তোড়ে হেলায় অবলীলায়
পাসটাইম পিছলে পিছলে যায়
পিছলে যায় পকড়।