সড়ক পথ সামসুল ইসলাম টুকু: কমনওয়েলথ অব অষ্ট্রেলিয়া হলো ওসেনিয়া মহাদেশের একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। মহাদেশটির আয়তন ৭৬ লাখ ১৭ হাজার ৯৩০ বর্গ কিঃমিঃ এবং উপকূলীয় সীমারেখা হচ্ছে প্রায় ১৫ হাজার কিঃমিঃ। এমন একটি বিশাল দেশে দীর্ঘ সড়ক পথ আছে। ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য সমুদ্র পথের উন্নয়নের পাশাপাশি সমুদ্র পথে আমদানি রপ্তানীকৃত পণ্য পরিবহনের
সড়ক পথ
সামসুল ইসলাম টুকু: কমনওয়েলথ অব অষ্ট্রেলিয়া হলো ওসেনিয়া মহাদেশের একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। মহাদেশটির আয়তন ৭৬ লাখ ১৭ হাজার ৯৩০ বর্গ কিঃমিঃ এবং উপকূলীয় সীমারেখা হচ্ছে প্রায় ১৫ হাজার কিঃমিঃ। এমন একটি বিশাল দেশে দীর্ঘ সড়ক পথ আছে। ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য সমুদ্র পথের উন্নয়নের পাশাপাশি সমুদ্র পথে আমদানি রপ্তানীকৃত পণ্য পরিবহনের জন্য সড়ক পথের উন্নয়ন করতে হয়েছে অষ্ট্রেলিয়া সরকারকে। অস্ট্রেলিয়ার অভ্যন্তরীণ ব্যবসা বাণিজ্য মূলত সড়ক পথের উপর নির্ভরশীল। অস্ট্রেলিয়ার মহা সড়কগুলির একটি সুন্দর নেটওয়ার্ক আছে যা দেশের মুল ভূখণ্ড সহ রাজ্যগুলির রাজধানীকে যুক্ত করে। অস্ট্রেলিয়ার মহাসড়ক বা সড়ক ফেডারেল ও রাজ্য সরকার দ্বারা পরিচালিত।
১৯১৭ সালের মার্চ মাসের হিসেব অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়ার সড়ক ও মহাসড়কের মোট দৈর্ঘ্য ৯ লাখ ৭৩ হাজার ৫৭৩ কিঃমিঃ । এরমধ্যে পাকা রাস্তা ৩লাখ ৫৩ হাজার ৩৩১ কিঃমিঃ এবং কাঁচা রাস্তা ৫লাখ ৫৯ হাজার ৬০৯ কিঃমিঃ ।বিশ্ব র্যাঙ্কিং এ সড়কের ক্ষেত্রে নবম স্থানে রয়েছে । দেশের ১০টি উল্লেখযোগ্য মহা সড়ক রয়েছে । সেগুলো হচ্ছে ১। নর্দার্ন অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ডারউইন থেকে সাউদার্ন অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী এডিলেড পর্যন্ত ৩হাজার ৫৬৫ কিঃমিঃ। এটি অস্ট্রেলিয়ার দীর্ঘতম মহাসড়ক । ২। ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী পার্থ থেকে সাউদার্ন অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী এডিলেড পর্যন্ত ৩হাজার ১৭২ কিঃমিঃ দীর্ঘ এই মহাসড়কটি দ্বিতীয় বৃহত্তম মহাসড়ক । ৩। উত্তর পূর্ব অষ্ট্রেলিয়া বা কুইন্সল্যান্ডের রাজ্যের সর্ব উত্তরে কেয়ারর্ন্স শহর থেকে নর্দার্ন অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ডারউইন পর্যন্ত ২হাজার ৮৪৫ কিঃমিঃ দীর্ঘ এই মহাসড়কটি অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম মহাসড়ক। এরপরে রয়েছে.৪। ওয়েষ্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার উত্তরে ব্রুম শহর থেকে ওয়েষ্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী পার্থ পর্যন্ত ২হাজার ৪৪ কিঃমিঃ মহাসড়ক । ৫। ডাউইন থেকে ব্রুম শহর পরযন্ত ১হাজার ৮৬৯ কিঃমিঃ দীর্ঘ মহাসড়ক । ৬। অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের রাজধানী ব্রীসবেন থেকে ওই রাজ্যের কেয়ার্ন্স শহর পর্যন্ত ১হাজার ৭২২ কিঃমিঃ দীর্ঘ মহাসড়ক ।৭। নিউ সাউথ ওয়েলসের রাজধানী সিডনী থেকে ব্রীসবেন পর্যন্ত ৯২৯ কিঃমিঃ দীর্ঘ মহাসড়ক । ৮ । এডিলেড থেকে ভিক্টোরিয়া রাজ্যের রাজধানী মেলবোর্ন পর্যন্ত ৮৮৯ কিঃমিঃ দীর্ঘ মহাসড়ক । ৯। ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার শহর ডার্বি থেকে ওই রাজ্যের উইন্ডহাম পর্যন্ত ৬৪৪ কিঃমিঃ দীর্ঘ গিবস মহাসড়ক । ১০ । ডেভন পোর্ট থেকে তাসমানিয়া পর্যন্ত ২৭৭ কিঃমিঃ সবচেয়ে ছোট মহাসড়ক । এছাড়াও অসংখ্য ছোট বড় রাস্তা আছে যেগুলো রাজ্যগুলোতে জাল বিস্তার করে রেখেছে । এসব সড়কের মহাসড়কের বিভিন্ন নাম আছে । যেমন -স্টুয়ার্ট রোড, হিউম রোড , প্রিন্সেস রোড, কানিংহাম রোড, ডিউকস রোড, প্যাসিফিক রোড, ব্রুম রোড, গিবস রোড, ভ্যালি রোড, গ্রেট সাউদার্ন রোড, গ্রেট ওয়েষ্টার্ন রোড, ফরেষ্ট রোড, অহির রোড, ফ্লিন্ডার রোড, বার্টন রোড, বাস রোড, ডানকান রোড, ইত্যাদি । অষ্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে পুরানো রাস্তা হচ্ছে সিডনী থেকে প্যারামাট্টা রোড ।
১৭৮৮ সালে ইংরেজরা অস্ট্রেলিয়ার সিডনী দখল করে এটাকে তাদের কলোনী ঘোষণা করার পর থেকে রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু করে এবং ১৮২০ সালে প্রধান ৩টি মহাসড়কের নেট ওয়ার্ক প্রতিষ্ঠিত হয় । ১৯২৬ সালে রাজ্য সরকার গুলোকে রাস্তা নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয় । ফলে রাস্তা উন্নয়ন কাজ বৃদ্ধি পায় । অথচ শোনা যায় ১৯৩০ সাল পর্যন্ত ঊঁটের মাধ্যমে মালামাল পরিবাহিত হতো। অস্ট্রেলিয়ার ৪ উপকূল বরাবর বিচ্ছিন্ন কিছু কাঁচা পাকা রাস্তা আছে কিন্তু সেগুলোর তেমন উন্নয়ন হয়নি এবং চালুও হয়নি । যেহেতু অস্ট্রেলিয়ায় ৩শতাধিক বিমান বন্দর আছে সেহেতু বিমান বন্দরের সাথে অবশ্যই সড়ক যোগাযোগ আছে । অস্ট্রেলিয়ার জনসংখ্যা ২কোটি ৬০লাখ এবং গাড়ীর সংখ্যা ২ কোটির অধিক । সেই হিসেবে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যাদের বয়স তাদের একাধিক গাড়ি আছে । যখন সিডনী ভ্রমণে আসি তখন সপিং মল গুলোতে গাড়ির বহর দেখে গিন্নিকে বলেছি এটা গাড়ির দেশ। এত গাড়ি থাকলেও পার্কিং এর ব্যবস্থাও আছে । আবাসিক এলাকাগুলোতে গাড়ি রাখার জন্য টিন সেড আছে আবার টিন সেড না থাকলেও বাড়ির সামনে রাস্তার দুপাশে গাড়ি রাখা যায় । কারণ রাস্তা গুলো খুবই প্রশস্ত । সুতরাং দুপাশে গাড়ি পার্কিং করা থাকলেও অন্য গাড়ি চলাচলে অসুবিধা হয়না । খুব জনবহুল এলাকায় যেমন বিমান বন্দর , পর্যটন কেন্দ্র প্রভৃতি স্থানে পার্কিং এর ব্যবস্থা থাকলেও সেখানে গাড়ি পার্কিং এর জন্য ভাড়া দিতে হয় নির্দিষ্ট হারে । অস্ট্রেলিয়ার প্রতিটি রাস্তাই পিচ ঢালা, মজবুত এবং মসৃণ । কোথাও এবড়ো থেবড়ো দেখা যায়না । যাত্রীদের ঝাকুনি সইতে হয়না । রেল ভ্রমণের মত আরামদায়ক না হলেও সে দেশের মানুষ সড়ক পথে যেতেই বেশী পছন্দ করে । এর অন্যতম কারণ হচ্ছে প্রায় প্রত্যেকের গাড়ি আছে এবং ইচ্ছেমত যেখানে সেখানে যেতে পারে ।
অস্ট্রেলিয়ার সড়কপথ রীতিমত উন্নত । কারণ সড়ক কর্তৃপক্ষ ঠিকাদারদের মাধ্যমে কাজ করিয়ে নিলেও কাজ ষোল আনা বুঝিয়ে নেয় । দুর্নীতির সুযোগ থাকলেও খুবই কম ।আর বাংলাদেশে সড়ক নির্মাণ কর্তৃপক্ষ থেকে রাস্তার পাহারাদার পর্যন্ত ঘুষে আকন্ঠ নিমজ্জিত । এজন্য রাস্তাগুলোর বেহাল দশা , প্রতি বছর সংস্কার করতে হয় । তাদের জবাবদিহিতা নেই । ফলে যাত্রী সাধারণ ও জনগণ প্রতি মুহূর্তে সরকারের ত্রুটির কথা বলতে বাধ্য হয় । কিন্তু প্রতিকারহীন ।অন্যদিকে অষ্ট্রেলিয়া সড়ক কর্তৃপক্ষের জবাবদিহিতা কেমন তার একটা গল্প বলি । জনৈক ভদ্রলোক মটর সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন । হঠাৎ তিনি দুর্ঘটনার শিকার হন এবং আহত হন।তিনি দেখেন দুর্ঘটনা স্থলে রাস্তার পিচ খোয়া উঠে খাদ হয়ে আছে এবং সে কারণেই দুর্ঘটন ঘটেছে । তিনি পরদিন স্থানীয় কাউন্সিলে ক্ষতিপূরণের মামলা দায়ের করেন । বিষয়টি তদন্ত হয় এবং সঠিক বলে প্রমাণ হওয়ায় ক্ষতিপূরণ পান এবং রাস্তার ওই অংশটি মেরামত করা হয় । একজন নাগরিকের প্রতি কতটা দায়বদ্ধ হলে এমন বিচার পাওয়া যায় । যা বাংলাদেশে একেবারেই অসম্ভব ।
আমি অষ্ট্রেলিয়া ভ্রমণে গিয়ে সিডনীর মিন্টো সাব আর্বে ছিলাম । আমার ছেলে সেখানকার একজন প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত। সে সপ্তাহে দুদিন ছুটিতে আমাদের তার গাড়িতে করে সিডনীর আশেপাশে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে বেড়াতে নিয়ে যেতো । তাই সেখানকার রাস্তাগুলো সম্পর্কে কিছু বলতে পারবো । আর সম্ভবত সেটাই হবে অস্ট্রেলিয়ার বড় বড় শহরগুলোর রাস্তার চিত্র । সিডনী বিশ্বের অন্যতম ব্যয়বহুল শহর হিসেবে চিহ্নিত হলেও বসবাস যোগ্য শহরের তালিকায় শীর্ষ দশের মধ্যে এর অবস্থান । সিডনীর উন্নত বাজার ব্যবস্থা, শক্তিশালী অর্থনীতি, উৎপাদন ব্যবস্থা, পর্যটন শিল্প , উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিদেশী ব্যাংক, বহুজাতিক কোম্পানির অবস্থান রয়েছে । তাই খুব স্বাভাবিকভাবে ধরে নেওয়া যেতে পারে সিডনীর সড়ক ব্যবস্থা উন্নত ও মজবুত । এখানে আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে ।যেমন হারবার ব্রীজ ,নিরাপদ পোতাশ্রয় , অপেরা হাউস , ১৯০৬ সালে স্থাপিত বিমান বন্দর ,সিডনী সমুদ্র সৈকত , আন্তর্জাতিক মানের ক্রীড়াঙ্গন , ন্যাশনাল পার্ক , ১৮২৬ সালে প্রতিষ্ঠিত নিউ সাউথ ওয়েলস লাইব্রেরি , ১৮৫০ সালে প্রতিষ্ঠিত সিডনী বিশ্ব বিদ্যালয় , মিউজিয়াম , বিশাল বড় চার্চ সহ অনেক কিছু । শহরটির পূর্ব উপকূলে জ্যাকসন সমুদ্র বন্দর , পশ্চিমে ব্লু মাউন্টেন , উত্তরে হক্সবেরি শহর দক্ষিণে ন্যাশনাল পার্ক , দক্ষিণ পশ্চিমে ম্যাকার্থার শহর। এরমধ্যে রয়েছে ৬৫৮টি উপশহর , ৩৩টি স্থানীয় সরকার ।
সিডনীর সড়ক মহাসড়ক সবই অত্যন্ত মজবুতভাবে পিচ কার্পেটিং করা । কোথাও কোনোভাঙ্গা চোরা বা খাদ সৃষ্টি হলে তাৎক্ষণিকভাবে মেরামত করা হয় । রাস্তা মেরামতের কাজটি প্রতিনিয়ত চলতে থাকে । তা মহাসড়কের হোক অথবা মহল্লার সড়কের হোক । বাংলাদেশের মত বছরের পর বছর পড়ে থাকেনা । রাস্তায় কোন ময়লা আবর্জনা থাকেনা । জনসাধারনও খুব সচেতন । নির্দিষ্ট ডাস্টবিনেই ফেলে । বৃষ্টির পানি জমেনা রাস্তায় । মাটির নিচ দিয়ে করা ড্রেন দিয়ে বেরিয়ে যায়। সেখানে দৃশ্যমান কোনো ড্রেন নাই । পয়ঃ প্রণালীর ব্যবস্থা এত সুন্দর করে করা আছে যা চোখে পড়েনা । বর্জ্যগুলি বহুদূরে লোকালয়ের বাইরে ফেলা হয় । যেন জনস্বাস্থ্যের কোনো ক্ষতি না হয় । এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ খুব সচেতন । যে কোনো প্রকল্পই হাতে নেয় প্রথমেই জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষার বিষয়টি ভাবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে । প্রতিটি বাড়ির সামনে বিভিন্ন সাইজের ঢাকনাযুক্ত ডাস্টবিন রক্ষিত থাকে এবং প্রতিদিন একটি বড় আবর্জনাবাহী ট্রাক আসে এবং স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের সাহায্যে ডাস্টবিন গুলিকে উঠিয়ে আবর্জনা মুক্ত করে । প্রয়োজনবোধে জীবাণু নাশক ছিটানো হয়। অস্ট্রেলিয়ার সড়কপথের যেমন সৌন্দর্য আছে তেমনি আছে রাস্তায় গাড়ি চলাচলের সৌন্দর্য। এখানে ট্র্যাফিক আইল্যান্ডে পুলিশ দেখা যায়না । কিন্তু ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা চালু থাকে ২৪ ঘন্টা । যা প্রতিটি চালক মেনে চলে সমভাবে । আগে যাবার তাড়া থাকলেও রাস্তায় ওভারটেক করতে পারে । সেটা নির্দিষ্ট গতি সীমার মধ্যে । কিন্তু সিগন্যালে এসে নিয়ম অনুযায়ী রাস্তা পার হতে হয় । কিন্তু বাংলাদেশে সিগন্যালের কোনো তোয়াক্কাই করেনা চালকেরা । এজন্য দুর্ঘটনা ঘটে প্রতিদিন । প্রাণহানি হয় এটা তাদের মনেই আসেনা । তাই বলে অস্ট্রেলিয়ায় দুর্ঘটনা ঘটেনা এমনটা ঠিক নয় । কিন্তু নিতান্তই কম । কারণ তারা ট্র্যাফিক সিগন্যাল মেনে চলাকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ও কর্তব্য বলে মনে করে । যাকে আগে যেতে দিতে হবে তাকে আগেই যাবার সুযোগ করে দেয় । পিছে এসে আগে যাবার প্রবণতা আমার চোখে পড়েনি । তারা কোনো গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছাড়া হর্ন বাজায়না ।আর নিষিদ্ধ এলাকায় মোটেও না ।কিন্তু সেখানকার মটর সাইকেল গুলোর কানফাটা হর্নের আওয়াজ ভীষণ বিরক্তিকর ও প্রথা বিরুদ্ধ। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি দেওয়া উচিত । সেখানে যত্র তত্র গাড়ি পার্কিং করার সুযোগ নেই নির্দিষ্ট পার্কিং স্থান ছাড়া । এখানে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করলে, গতিসীমা লঙ্ঘন করলে , চলন্ত গাড়িতে চালকের আসনে বসে মোবাইলে কথা বললে জরিমানা দিতে হয় । ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ খুব কম । কারণ রাস্তার বিভিন্ন স্থানে সি সি ক্যামেরা বসানো আছে । প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করা হয় । নিয়ম লঙ্ঘঙ্কারীকে তার অনিয়মের ছবিসহ জরিমানা প্রদানের আদেশ বাড়িতে পৌছে দেওয়া হয়। সেই জরিমানার পরিমাণটা কমপক্ষে৩০০/৪০০ ডলার বা তার দুদিনের বেতনের সমান । সেক্ষেত্রে এমপি , মন্ত্রী , সচিব যেই হোননা কেন । শুঢু তাইনয় এব্যাপারে কোনো আপিল গ্রহণযোগ্য নয় ।ফলে সব ধরনের চালকই অত্যন্ত সতর্ক । পথচারীদের এপার ওপার হবার জন্য যেমন যেব্রা ক্রসিং আছে তেমনি ক্রসিং রাস্তার পাশে পোষ্টে রক্ষিত সুইচ পথচারী টিপলেই দুপাশের গাড়ি থেমে যায় । যতক্ষণ পথচারীদের পারাপার সম্পন্ন না হয় ততক্ষণ গাড়ি চালানো বন্ধ রাখতে হয় । সেখানে রাস্তার শৃঙ্খলা সত্যই দেখার মত ।
Leave a Comment
Your email address will not be published. Required fields are marked with *