সামসুল ইসলাম টুকু : অষ্ট্রেলিয়ার সমুদ্রপথ ও সড়ক পথ যেমন সুবিস্তৃত ও উন্নত তেমনি রেলপথও। অষ্ট্রেলিয়ার পরিবহন ব্যবস্থার পাশাপাশি যাতায়াতের জন্য এক গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা রাখে রেলপথ। দেখা যাক অষ্ট্রেলিয়ার রেলপথগুলি কেমন। অষ্ট্রেলিয়ান রেল নেটওয়ার্ক মোট ৩৬ হাজার ৬৪ কিঃমিঃ বা ২২ হাজার ৪০৯ মাইল। এরমধ্যে ৫ফুট ৩ ইঞ্চি প্রসস্থ বিশিষ্ট ব্রড গেজ ১৪ হাজার ৮১৪ কিঃমিঃ বা ৯ হাজার ২০৫ মাইল। ৪ ফুট সাড়ে ৮ ইঞ্চি প্রসস্থ বিশিষ্ট ষ্ট্যান্ডান্ডার্ড গেজ ১৫ হাজার ৬২৫ কিঃমিঃ বা ৯ হাজার ৭০৯ মাইল। ৩ ফুট ৬ ইঞ্চি প্রসস্থ বিশিষ্ট ন্যারো গেজ ৪ হাজার ২২৫ কিঃমিঃ বা ২ হাজার ৬২৫ মাইল এবং মাত্র ২ ফুট প্রসস্থ বিশিষ্ট সরু গেজ ১ হাজার ৪০০ কিঃমিঃ বা ৮৭০ মাইল। উল্লেখ্য ব্যাস্ততম অধিকাংশ রেলরূটগুলি অষ্ট্রেলিয়ার পুর্ব ও দক্ষিন অঞ্চলে অবস্থিত। কারন অষ্ট্রেলিয়ার পশ্চিম অঞ্চল জুড়ে রয়েছে বিশাল মরুভূমি। এখানে জনবসতি নেই বললেই চলে। মরুভুমির মাঝে রয়েছে অসংখ্য জলাধার। কিন্তু সেগুলোর পানির রঙ নীল ও খাবার অনুপযুক্ত সেইসাথে রয়েছে বৈরী আবহাওয়া।
অষ্ট্রেলিয়ায় ৪ ধরনের রেলগেজ থাকায় মালামাল স্থানান্তরে কিছু সমস্যা তো আছেই। যদিও ক্রেনের ব্যবহার আচে কিন্তু ক্রেনের জন্য অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতেই হয়। বৃটিশ উপনিবেশ স্থাপনের কিছু কাল পরে সেখানে রেল যোগাযোগের প্রয়োজন দেখা দেয়। ফলে বৃটিশ সরকার ও বিভিন্ন কোম্পানীর সহযোগিতায় রেল যোগাযোগ চালু হয়। কিন্তু সেটা হয় উপনিবেশিক মনোভাব থেকেই। অর্থাৎ তাদের একান্ত সাময়িক প্রয়োজনে এবং অষ্ট্রেলিয়ার সম্পদ আহরনের জন্য। ফলে যেখানে যেমন সেখানে তেমন রেলগেজ গড়ে উঠে। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বৃটিশ সরকার যখন দেখে তাদের অষ্ট্রেলিয়া ছেড়ে যেতে হচ্ছেনা তখন তারা সেখানে অভিন্ন গেজ নির্মানের প্রয়োজন অনুভব করে এবং পরামর্শ প্রদান করে। কিন্তু তখন রেল ব্যবস্থা অনেকদূর এগিয়ে গেছে। তারপরেও পরিবর্তন ও সংস্কারের কাজ এগিয়ে চলেছে। তদুপরি ৪ ধরনের রেলগেজ আজও বহাল আছে .১৮৫০ সালে এখানে ঘোড়াঁ দিয়ে টানা রেলপথ তৈরী হয়েছিল। ১৮৫৬ সাল থেকে বাস্প চালিত ইঞ্জিন ব্যবহার শুরু হয়। এভাবেই বৃটিশ কলোনী অষ্ট্রেলিয়ার রেল নেটওয়ার্কের বিকাশ ঘটেছিল।অষ্ট্রেলিয়ার পিট কয়লা , আঁকরিক , কুশর ও চিনি পরিবহনের জন্য এই সরু রেলপথ চালু করেছিল সেই সময়ের কিছু বেসরকারি কোম্পানি বা সংস্থা তাদের নিজেদের অর্থে। যা এখন ও অষ্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন স্থানে চালু আছে। যেমন অষ্ট্রেলিয়ান কৃষি কোম্পানী তাদের উৎপাদিত কুশর ও চিনি পরিবহনের জন্য সরু গেজ চালু করে। জানা যায় সরু গেজ হলে কিহবে এগুলি ঘন্টাউ ৮৫ কিঃমি; গতিতে চলতে পারে। তবে এগুলি শুধু মলামাল পরিবহন করে , যাত্রী নয়। প্রতি বছর এই ট্রেন ৩০ মিলিয়ন টন কুশর পরিবহন করতে পারে। ১৮৫৬ সালে অষ্ট্রেলিয়ায় প্রথম রেল লাইন চালু হয় এবং সর্নশেষ ২০০৪ সালে ডারউইন থেকে এডিলেডে পর্যন্ত রেলপথ নির্মানের কাজ সম্পন্ন হয়। অর্থাৎ প্রায় ১৫০ বছরে অষ্ট্রেলিয়া জুড়ে ৩৪ টি ছোট বড় রেলরুট নির্মিত হয়েছে। প্রয়োজনে এগুলোর গেজ পরিবর্তন ,ডুয়েল গেজ নির্মান , সংস্কার , এমনকি কোনো লাইন বন্ধ করা হয় এবং ক্রমশ গোটা রেল ব্যবস্থাকে আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন করার চেষ্টা চলছে। বর্তমানে অষ্ট্রেলিয়া ফেডারেল সরকার এবং রাজ্য সরকার গুলোর ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হয়।
(পর্যটকদের জন্য রেল ভ্রমন )
অষ্ট্রেলিয়ায় দুটি বৃহৎ রেলরুট রয়েছে যা মুলত মালামাল পরিবহন ও পর্যটকদের ভ্রমনের জন্য। একটি হচ্ছে দক্ষিন অষ্ট্রেলিয়ার রাজধানী এডিলেড থেকে উত্তর অষ্ট্রেলিয়ার ডারউইন পর্যন্ত ৩ হাজার ২৯ কিঃমিঃ। এলিস স্প্রিং ও ক্যাথেরিন হয়ে এই রেলপথটি পুরোপুরি মরুভুমির উপর দিয়ে যেতে হয়।এই রেলপথকে বলা হয় ঘান রেলপথ। জনবসতি নেই বললেই চলে , সেইসাথ রয়েছে বৈরি আবহাওয়া। পথে এলিসস্প্রিংনামে যে শহরটি আছে সেখানে অষ্ট্রেলিয়ার বিসাল ল্যান্ড স্কেপ রয়েছে , যা অপরুপ ভুমিদৃশ্য। হাজার হাজার পর্যটক ওই ল্যান্ডস্কেপ ও মরুভুমির দৃশ্য দেখার জন্যই বহু কষ্ট করে ওই ট্রেনে ভ্রমন করে। এই রেলপথ অতিক্রম করতে ৫৫ ঘন্টা সময় লাগে। অপর রুটটি হচ্ছে এডিলেড থেকে কালগুরি হয়ে পশ্চিম অষ্ট্রেলিয়ার রাজধানী পার্থ পর্যন্ত। অবশ্য এই রেলরুটের সাথে ব্রকেন হিল ও সিডনী যুক্ত করলে এই রুটের দুরত্ব হয় ৪ হাজার ৩৫২ কিঃমিঃ। সময় লাগে কমপক্ষে ৬৬ ঘন্টা। এই রেলপথটি ইন্ডিয়ান প্যাসিফিক নামে পরিচিত। এই নামকরনের পেছনের ইতিহাস হলো , যেহেতু এই ট্রেনটি যাত্রা শুরু করে সিডনীর প্রশান্ত মহাসাগরের পাড় থেকে শেষ হয় পার্থের ভারতীয় মহাসাগরের পাড়ে। এই রেলপথের একদিকে সমুদ্র এবং অন্যদিকে মরুভূমি এবং বৈচিত্রময় আবহাওয়া এবং পার্থ পৌছানোর পুর্বে রয়েছে নুলবার সমভুমি। প্রতি সপ্তাহে একটি করে ট্রেন ছাড়ে। এ দুটি ট্রেনে ভ্রমন করতে হলে প্রচুর পরিমানে পানীয় জল সাথে নিতে হয়। কারন মরুভূমি এলাকায় রয়েছে তীব্র পানির সঙ্কট। উল্লেখিত এ দুটি রুটের ট্রেন ভাড়া ৩ হাজার ডলার থেকে ৫ হাজার ডলার পর্যন্ত। অথচ এই দুটি রুটে বিমান ভ্রমনে ভাড়া লাগে ৩০০ ডলার থেকে ৫০০ ডলার মাত্র। সময় লাগে মাত্র ৪ ঘন্টা।
এছাড়াও কুইন্সল্যান্দের রাজধানী ব্রিসবেন থেকে কুইন্সল্যান্ডের একটি শহর রকহ্যাম্পটন সিটি পর্যন্ত ৬৪১ কিঃমিঃ রেলপথের জন্য রয়েছে টিল্ট ট্রেন। যেতে সময় লাগে সাড়ে ৭ ঘন্টা। ভাড়া ৩ হাজার ৩০০ ডলার। সমুদ্র উপকুল দিয়ে ট্রেনটি চলে , দেখা যায় বহু দর্শনীয় স্থান। যাত্রীদের জন্য রয়েছে বিজিনেস ক্লাশ , ইকোনোমিক ক্লাশ এবং সেইসাথে উপাদেয় খাদ্যের পরিবেশনা।
ব্রীসবেন থেকে কুইন্সল্যান্ডের উত্তরপুর্বে আরেকটি শহর লংরিচ পর্যন্ত ১ হাজার ১৮০ কিঃমিঃ দূরে। যেতে হয় প্যাসিফিক হাইওয়ে ট্রেনে। ভাড়া প্রায় ৪ হাজার ডলার। লংরিচকে বলা হয় ইতিহাসের বাড়ী। এখানে নতুন পুরনো আদিবাসীদের ঐতিহ্য দেখা যায়। অষ্ট্রেলিয়ার এয়ারলাইন্সের প্রথম যাত্রা শুরু হয় এখান থেকেই। এখানে দেখা যায় কুইন্সল্যান্ডের উন্নত কৃষি ব্যাবস্থা।
ব্রীসবেন থেকে দক্ষিনে সমুদ্র উপকুল বরাবর ৯১৬ কি;মিঃ দূরে নর্থ সাউথ ওয়েলসের রাজধানী বিখ্যাত সিডনী শহর। সেখানে দেখা যায় অষ্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে পুরনো ও নতুন ঐতিহাসিক সাংস্কৃতিক ও দর্শনীয় স্থান। দেখে সত্যই নয়ন সার্থক হয়।
এরপর যেসব রেলরুট আছে সেগুলো বেশ গুরুত্বপুর্ন জনবসতি এলাকার মধ্যে অর্থাৎ দক্ষিন পুর্ব অশষ্ট্রেলিয়ায়। এগুলো হচ্ছে সিডনী থেকে ফেডারেল রাজধানী ক্যানবেরা ২৮৬ কিঃমিঃ , ক্যানবেরা থেকে ভিক্টোরিয়া রাজ্যের রাজধানী মেলবোর্ন ৬৬৩ কিঃমিঃ এবং মেলবোর্ন থেকে দক্ষিন অষ্ট্রেলিয়ার রাজধানী এডিলেড পর্যন্ত ৭২৬ কি;মিঃ এবং এডিলেড থেকে সিডনী পর্যন্ত ১ হাজার ৩৭৩ কিঃমিঃদূর। এ রেলরুটগুলিতে যাত্রী দেখা যায়। এই চক্রকে সংযুক্ত করার মত কোনো দ্রুতগামী ট্রেন নাই। তাছাড়া এ রুট থেকে সরকারের প্রয়োজনীয় রাজস্ব আদায় করা সম্ভব নয়। অন্যথায় ভর্তুকি দিয়ে চালাতে হবে। ফলে দূর যাত্রা বা এক রাজ্যের রাজধানী থেকে অন্য রাজ্যের রাজধানী যেতে বিমানই ব্যাবহার করা হয়। কারন দ্রুত যাত্রা ও ভাড়া অনেক কম এবং আরামদায়ক। এছাড়া বাকী ছোট খাটো রেলরুটটগলো ছোট ছোট শহর গুলোকে সংযুক্ত করে। অষ্ট্রেলিয়ার বড় রেল জংশন হিসেবে এডিলেড ,মেলবোর্ন ,সিডনী ও ব্রীসবেনকে চিহ্নিত করে।
(অষ্ট্রেলিয়ার ট্রেনের যাত্রী সেবা )
অষ্ট্রেলিয়ার ব্যস্ততম ট্রেনপথের যাত্রী পরিসেবা সত্যই অতুলনীয়। প্রতিটি রেলষ্টেশন সবসময় ঝকঝকে তকতকে থাকে।রেলকর্তৃপক্ষ যেমন সতর্ক থাকে তেমনি যাত্রীরাও খুব সচেতন। বাংলাদেশের মত যেখানে সেখানে আবর্জনা ফেলেনা। টয়লেটগুলি বেসিনগুলি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন দেখা যায়। যাত্রীবাহী ট্রেনগুলি অধিকাংশই বিদ্যুৎ চালিত। ২০ মিনিট পর পর ট্রেন আসতেই থাকে। তবে সব ট্রেনের গন্তব্য এক নয়। সুতরাং সেটা জেনেই ট্রেনে উঠতে হবে। ট্রেনগুলি মোটামুটি সময়মত চলে।যদি কোনো অনাকাঙ্খিত কারনে ট্রেন দেরী থাকে তা তাৎক্ষনিকভাবে সকল রেলষ্টেশনে বার্তা পৌছে দেওয়া হয়। যা মাইকের ঘোষনার পাশাপাশি প্লাটফর্মে রক্ষিত বোর্ডগুলিতে প্রদর্শিত হয়। তাছাড়া কোন ট্রেন কোন লাইনে আসে ও ছেড়ে যায় তাও ওই বোর্ডে প্রদর্শিত হয় যেন কনো যাত্রীকে হয়রানীর শিকার না হতে হয়। প্রতিটি ষ্টেশনের দুইপাশে সিঁড়ি , ঢাল সিঁড়ি বা র্যাম্প এবংলিফট রয়েছে। অসুস্থ, বৃদ্ধ ,শিশু ও প্রতিবন্ধিদের জন্য সুব্যাবস্থা রয়েছে। যেন তাদের প্লাটফর্ম বদল করতে অসুবিধা না হয়। শুধু তাইনয় সে দেশের প্লাটফর্ম গুলো এমন উচ্চতায় নির্মান করা যা ট্রেনের মেঝের সমান্তরালে থাকে যেন তাদের কনো অসুবিধাই না হয়। এমনকি শিশুদের সাইকেল এবং বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধিদের হুইল চেয়ার সহ উঠে যেতে পারে নিমেষেই। এ এক অভুতপুর্ব ব্যবস্থা। আর আমাদের দেশের ট্রেনে উঠতে গেলে ট্রেনের হ্যান্ডেল ধরে প্রচন্ড ঝুঁকি নিয়ে ১ থেকে ৩ হাত পর্যন্ত নিচ থেকে পাদানি দিয়ে উঠতে হয়। যাত্রীবাহী ট্রেনগুলি সবই দোতালা। উচ্চতায় আমাদের দেশের ট্রেনের সমান। এমন সুন্দর কৌশলে নির্মিত। নিচের তলায় উঠেন দুর্বল মানুষেরা এবং দোতালায় উঠেন শক্ত সামর্থ্য মানুষেরা। কেন এমন অব্যবস্থা আমাদের দেশের। কোনো সুদুরপ্রসারি পরিকল্পনা নেই। অথচ বড় বড় আমলা রয়েছে। তারা সরকারী টাকায় যখন তখন বিদেশ ভ্রমনে যায়। ভাল জিনিষই দেখে যায়। তাদের বিবেক কি একবারও বলেনা দেশ ও জনগনের স্বার্থে ভলো কিছু করি। পোড়া কপাল এ দেশের। এর চেয়ে বেদনাদায়ক আর কি হতে পারে। এদেশে ট্রেনের টিকেট না কাটলে ভ্রমন করতে পারবেননা। ধরা পড়লে মোটা অংকের জরিমানা দিতে হয়। ষ্টেশন থেকে বাহির হবার গেটে এলেই সয়ংক্রিয় রড আপনাকে বাধা দেবে। এখানে আপনি অনলাইনে টিকেট কাটতে পারবেন। এছাড়া ওপাল কার্ড কিনে তা ব্যবহার করতে পারবেন তবে এজন্য আপনার ক্রেডিট কার্ডে প্রয়োজনীয় পরিমান অর্থ (ডলার ) থাকতে হবে। তখন ওপাল কার্ডটি ষ্টেশনে প্রবেশ পথে ও বের হবার পথে গেটের নির্দিষ্ট স্থানে স্পর্শ করালেই আপনার পথ করে দেবে। এমন ব্যবস্থা করা বাংলাদেশে খুবই কঠিন ও জটিল কাজ ? মোটেও না। শুধু কর্তৃপক্ষ সৎ হলেই হবে।আর দুর্নীতি করার মানষিকতা থাকলে কোনোটাই করা সম্ভব হবেনা। সবচেয়ে অবাক করা কান্ড হচ্ছে , যদি কখনো কোনো রুটে অনাকাংখিতভাবে ট্রেন চলতে পারছেনা বা লাইন সংস্কারের কাজ চলছে তখন রেল কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষনিকভাবে ট্রেনের নির্দিষ্ট সময়েই বাস প্রস্তুত রাখে। বাসগুলি বন্ধ থাকা রেলষ্টেশনে অপেক্ষমান যাত্রীদের সংগ্রহ করে প্রার্থিত রেল ষ্টেশনে পৌছে দেবে। এজন্য বাসে অতিরিক্ত পয়সা লাগবেনা। এর চেয়ে বড় সেবা আর কি হতে পারে। এজন্য অষ্ট্রেলিয়া রেলকর্তৃপক্ষকে অশেষ ধন্যবাদ। বাংলাদেশের আমলারা কি এসব থেকে শিক্ষা নিতে পারেনা?
লেখক –সাংবাদিক