728 x 90

আল্লাহর শত নাম

সামসুল ইসলাম টুকু: বিসমল্লাহিরমানুররহিম——-হে সর্বশক্তিমান আল্লাহ মাত্র কয়েবছর আগে তোমার প্রতি বিশ্বাসী লক্ষ লক্ষ মানুষ শত কণ্ঠে বলেছে তোমার গজব হিসেবে মহামারী রুপে করোনা নেমে এসেছে এই পৃথিবীতে। বলেছে পৃথিবীর মানুষ যারপর নাই ভ্রষ্টাচারে লিপ্ত তাই তাদের হুঁশিয়ার করে দেওয়ার জন্যই এই গজব নেমে এসেছে । কোরআনের বহু জায়গায় তোমার বরাত দিয়ে লেখা আছে ইতোপুর্বে


সামসুল ইসলাম টুকু: বিসমল্লাহিরমানুররহিম——-হে সর্বশক্তিমান আল্লাহ মাত্র কয়েবছর আগে তোমার প্রতি বিশ্বাসী লক্ষ লক্ষ মানুষ শত কণ্ঠে বলেছে তোমার গজব হিসেবে মহামারী রুপে করোনা নেমে এসেছে এই পৃথিবীতে। বলেছে পৃথিবীর মানুষ যারপর নাই ভ্রষ্টাচারে লিপ্ত তাই তাদের হুঁশিয়ার করে দেওয়ার জন্যই এই গজব নেমে এসেছে । কোরআনের বহু জায়গায় তোমার বরাত দিয়ে লেখা আছে ইতোপুর্বে বহু কওমকে তাদের অধঃপতনের জন্য তাদের ধ্বংশ করে দিয়েছো । তোমার সৃষ্ট আশরাফুল মাখলুকাত এই ভয়াবহ গজবের পরেও পাপাচার থেকে মুক্ত হয়েছে আল্লাহ ? তুমিই ভাল জানো , যা মানুষ জানেনা ।সৃষ্টি থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি মুহূর্ত তুমি অবগত । তুমি তো আলিম ,বাতিন , সাহিদ বা সবজান্তা । অর্থাৎ আদম ও হাওয়ার সৃষ্টির পর থেকে যা কিছু ঘটেছে এবং আগামীতে যা কিছু ঘটবে তা তুমি জানো । তুমি নিশ্চয় জানো তোমার কাছ থেকে ধিক্কৃত শয়তান আজাজিল এর প্রভাবে মানুষ বিভ্রান্ত হয় , রিপুর তাড়নায় ভুল করে , তোমার দেওয়া বিবেক বুদ্ধির আশ্রয় নেয়না , বিপথে চলে । হে আল্লাহ তুমিতো দৃঢ়ভাবে আজাজিলকে বলেছিলে তোমার শয়তানিতে মানুষ ভুল করবেনা । কিন্তু তোমার অবাধ্য স্বর্গচ্যুত এবং তোমার দেওয়া ক্ষমতাবলে আজাজিল মানুষকে বিভ্রান্ত করছে এবং মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে । বর্তমান সময়েতো বিভ্রান্তির সীমা ছাড়িয়ে গেছে । শয়তানী শক্তির কাছে পরাজিত হচ্ছে । সমগ্র পৃথিবীর জাতি ,গোষ্ঠী মুসলমান , হিন্দু , খৃষ্টান , বৌদ্ধ , ইহুদি সহ পুরো মানবকুল আজ শয়তানী চক্রে আকণ্ঠ নিমজ্জিত । আল্লাহ এমন কেন হলো ? তোমার দৃঢ় অঙ্গিকারকে মানুষ কুল প্রতিষ্ঠিত করতে ব্যর্থ হলো কেন ? তাই কি তুমি এত নিষ্ঠুর , নির্দয় , কাহহার , মুজিল বা পাষাণ হয়ে গেছো । করোনার গজবে আজ মানুষ্ মৃত ব্যক্তির সৎকার করতে পারছেনা বরং তাদের বন্দি জীবন যাপন করতে হচ্ছে । এরচেয়ে বেদনাদায়ক ও বড় শাস্তি আর কি হতে পারে ।
মৌলভী সাহেবদের কাছ থেকে শুনেছি , আল্লাহ তুমি যখন প্রথম মানব আদমকে সৃষ্টি করলে তখন তোমার উপাসনাকারী ফেরেস্তারা বলেছিল ইয়া আল্লাহ তুমি মানব সৃষ্টি করলে কেন । এরা তো ঝগড়া বিবাদ করবে । এর উত্তরে তুমি বলেছিলে আমি যা জানি তা তোমরা জানোনা । একে তোমরা সিজদা করো ।তোমার আদেশ সকল ফেরেশতা মেনে নিলেও ফেরেশতা শিরোমনি আজাজিল মানেনি । তাই তুমি তাকে শয়তান চিহ্নিত করে বেহেস্ত থেকে বের করে দিয়েছিলে ।কিন্তু তার অন্তিম প্রার্থনার প্রেক্ষিতে তাকে মানুষের রগে রগে প্রবেশ করার ক্ষমতা দিয়েছিলে । আর সেই ক্ষমতাবলে তোমার সৃষ্ট প্রথম মানব ও মানবী আদম ও হাওয়া কে বিভ্রান্ত করে তোমার নিষিদ্ধ গন্ধম ফল খেতে উৎসাহিত করলো । আদম ও হাওয়া শয়তানের কথায় প্রভাবিত হয়ে গন্ধম ফল খেয়ে নিল ।তখন তুমি তাদেরও উলঙ্গ করে একেবারে মর্তে ফেলে দিলে । সেই যে ভুল দিয়ে মনুষ্য জীবন শুরু হলো তা থেকে আজও মুক্ত হতেোপারেনি সমগ্র মানবকুল । হে খোদা তোমার সৃষ্ট মানুষ এমন কেন হলো ?এত অন্যায় , ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হলো কেন? তাহলে মানুষ সম্পর্কে ফেরেশতা মতামতই সঠিক ছিল ? আর শয়তান আজাজিলের চক্করে পড়ে মানুষ এত দুর্নীতি ও পাপাচারে ডুবে গেছে ? তোমার শ্রেষ্ঠ জীবরা আজাজিলের কাছে পরাজিত হচ্ছে ? যদি তা নাহয় তবে মানুষ শুধরাবে কবে , কখন সত্যে পথে চলবে , তোমার সৃষ্টির উদ্দেশ্য পুরন করবে । এদিকে নবী পয়গম্বরদের ভবিষ্যৎ বাণী অনুযায়ী কেয়ামত তো খুবই সন্নিকটে ।
শেষ পর্যন্ত মানুষের গতি প্রকৃতি কি হবে ?তারা কি তোমার দেওয়া সত্যের পথ আদৌ গ্রহণ করবে ?না শয়তানের কাছে পরাজিত হয়ে থেকে যাবে ?আল্লাহ তুমি এই পৃথিবীতে ১ লাখ ২৪ হাজার নবী পয়গম্বর পাঠিয়েছ মানুষকে সৎ পথে আনার জন্য । তারা তোমার সত্য প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে চরম বিরোধিতার মুখোমুখি হয়েছে , এমনকি হত্যার শিকার হয়েছে । স্বল্প সময়ের জন্য সত্য প্রতিষ্ঠা হলেও স্থায়ী হয়নি। সেক্ষেত্রে আমার প্রশ্ন হচ্ছে তোমার প্রদর্শিত পথের কাজ করতে গিয়ে ওই সকল সত্য পুরুষেরা বাধার সম্মুখীন হলো কেন?সত্য প্রতিষ্ঠার কাজ এত কঠিন করলে কেন?আর যদি কঠিনই করলে তবে তা স্থায়ী করলেনা কেন? কোরআনের কথা অনুযায়ী নবী মুহাম্মদের (দঃ) পর আর কোনো পয়গম্বর আসবেনা । তাহলে শয়তানই কি শেষ পর্যন্ত রাজত্ব করবে আর মনুষ্য জাতি পরাজিত হয়ে থেকে যাবে ? মানুষের এই অধঃপতন কি শয়তানের কারণে না তোমার ইশারায় ?কারণ মৌলভী সাহাবেরা বলেন তোমার ইশারা ছাড়া গাছের পাতাও নড়েনা ।
পৃথিবীর সাধারণ মানুষতো করোনাকে তোমার গজব বলেই মেনে নিয়েছিল । সেই গজবে লক্ষ মানুষ মারা গিয়েছে , মৃত স্বজনের সৎকার পর্যন্ত করতে পারেনি , অনেকে ঘরবন্দি জীবন যাপন করেছে । মানুষ ভেবেছিল অহংকারী দম্ভকাকারীরা পাপমুক্ত হয়ে ভালো হয়ে যাবে । কিন্তু তা হয়নি । বরং সেসময় করোনা নিয়ে ব্যবসা করেছে । হে খোদা এর শেষ কোথায় ?এরা কি কখনো সত্যের পথে , মানবতার পথে , সাম্যের পথে আসবেনা ?
হে খোদা তুমি কিছু মানুষকে ফরসা সুন্দর করেছো আর কিছু মানুষকে কালো কুৎসিত করেছো । এজন্য পৃথিবীতে বর্ণ বৈষম্য, উঁচু নিচু ভেদাভেদ বিরাজমান । এক শ্রেণি শাসন করছে দোর্দণ্ড প্রতাপে , কালোদের নির্বিচারে নিপীড়ন করছে , হত্যা করছে । বিপরীতে কালোরা ছোট জাত বলে নির্যাতিত হচ্ছে , প্রতিকার করতে পারছেনা , অসহায় বোধ করছে । সবই তো তোমার সৃষ্টি । বর্ণ বৈষম্যের পাশাপাশি শ্রেণি বৈষম্য । ধনীরা শোষণ করছে নির্মমভাবে, বিলাসিতার জীবন যাপন করছে । অন্যদিকে দরিদ্ররা শোষিত ও নিপীড়িত হচ্ছে , বিচার পাচ্ছেনা । এ বৈষম্যের শেষ আছে কি আল্লাহ ?এরা অসহায়ের মত এই বলে সান্ত্বনা খুঁজে ,যে আল্লাহই তাদের ছোট করে তৈরি করেছে ঘৃণিত শোষিত ও নিপীড়িত হওয়ার জন্য। এছাড়া খোদা তুমি কাউকে লম্বা , কাউকে বেঁটে করে সৃষ্টি করেছো কাউকে আবার বিকলাঙ্গ করেছো । সমাজে অবহেলিত করার জন্যই কি? এ এক কঠিন রহস্য তোমার । এর কোনো উত্তর খুঁজে পাইনা । ধরেই নিলাম তুমি অহংকারী, দাম্ভিক ও অপচয়কারীদের উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্য করোনা গজব দিয়েছো । কিন্তু এই গজবে অত্যন্ত সাদামাঠা , ভালো মানুষ ,নিরীহ মানুষ বেশী করে মারা গেছে , আর ভ্রষ্টাচারে লিপ্তরা কম মারা গেছে । কিন্তু কেন? তারপরেও নিরীহ ভালো মানুষেরা বলেছে আল্লাহ যা করে তা ভালোর জন্যই করে । যদি এর বিপরীত ঘটনা ঘটতো তবুও তারা বলতো আল্লাহ যা করে তা ভালোর জন্যই করে । কোনটা আসলে ঠিক তা বুঝতে পারিনা।এ রহস্য আজও উঘাটিত হয়নি ।
হে আল্লাহ তুমি তো মালিকুল মূলক , ইচ্ছে করলে কাউকে আমির বানাতে পারো আবার মুহূর্তের মধ্যে ফকির বানাতে পারো । এটা কোরআনের বানী । অপরাধীদের ক্ষেত্রে এই বিচারটা তুমি তাৎক্ষণিকভাবে করতে পারো । এমন দৃষ্টান্ত থাকলে অপরাধীরা অপরাধ করতে পারতোনা । ভ্রষ্টাচার এমনিতেই পৃথিবী থেকে বিদায় নিত । শান্তির পৃথিবী হতো। ভ্রষ্টাচার, ভেদাভেদ , বৈষম্য , অন্যায় , দুর্নীতি শোষণ হিংসা ভুলে এই পৃথিবীকেই স্বর্গ গড়তে পারতো ।বিপদে আপদে পরস্পরকে বুকে টেনে নিতো । কিন্তু তাতো দেখতে পাইনা । শুনেছি রোজ হাসরের দিন খুবই সন্নিকটে । বুজুর্গরা বলেন সেই আলামত দেখা যাচ্ছে বেশ প্রকটভাবে । তাহলে আগামীতে কি আর সত্যের আলো শান্তির পথ আর দেখা যাবেনা । হে খোদা তুমিতো আজিজ , কাদির , মুতাকাব্বির বা মহাশক্তিশালী । তুমিতো পৃথিবীতে শান্তি আনতে পারো ,মানুষের মনকে পরিবর্তন করতে পারো , শয়তান আজাজিলকে বন্দী করতে পারো , মানুষকে সত্যের পথে প্রত্যাবর্তন করাতে পারো । এজন্য তোমার ইচ্ছেটাই যথেষ্ট ।তুমি, হাক আওয়াল , আখির , বাতিন বা মহাবিচারক তুমি যদি চাও মানুষ তোমার ইবাদত করুক তাহলে তাদের শরীরে রিপু সৃষ্টি করলে কেন ? সব অশান্তির কারণ তো ওই রিপু । বিষাক্ত করে তুলেছে পৃথিবীকে ।ঘুর্নীঝড় ,বন্যা , ভূমিকম্প এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগে সাধারণ গরীব মানুষগুলোই মরে আর দুর্নীতিবাজ ধনীরা তাদের পাকা ঘরে নিরাপদে আরাম আয়েশ করে । তারা একবারও গরিবদের দুরবস্থার কথা ভাবেনা । খোদা এগুলো কি তোমার গজব না নেহাতই প্রাকৃতিক দুর্যোগ ? এর সঠিক উত্তর কি আল্লাহ ।এসব আমার অকপট প্রশ্ন , নিজেকে বোঝাতে পারিনা তাই ।
হে রহমানুর রহিম তুমিতো নামাজীদের প্রতি দয়ালু । একজন নামাজীও নাকি তোমার রহমত থেকে বঞ্চিত হবেনা । একবিংশ শতাব্দীতে পৃথিবীর অন্ততপক্ষে ১০০ কোটি মুসলমান নামাজ পড়ে । তারা নামাজের মাধ্যমে তোমার ইবাদত করে ,তোমার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে , তোমার রহমত চায় , পৃথিবীতে যত অন্যায় অবিচার ,অত্যাচার বেলিল্লাপনা ,সবকিছুর বিনাস করে শান্তির পৃথিবী প্রতিষ্ঠার জন্য তোমার হস্তক্ষেপ কামনা করে । কিন্তু সেই প্রার্থনা যেন তোমার গোচরে আসেনা অথবা এই কাজটি তোমার নয় তা মানুষ বোঝেনা ।তোমার নিরবতা তাদের দগ্ধ করে ।যখন দেখে কাফেররা নামাজীদের উপর প্রভুত্ব করছে । ইসরাইলের সেনারা তথা ইহুদিরা ফিলিস্তিনি মুসলমানদের প্রতিদিন নির্বিচারে পাখির মত গুলি করে হত্যা করছে , আমেরিকা ইরাক ও লিবিয়াকে ধ্বংস করে দিয়েছে নির্মমভাবে । বিপরীতে সৌদি আরব এর প্রতিবাদতো দুরের কথা বরং তাদের দেশে স্থায়ী মার্কিন সামরিক ঘাটি থেকে বোমা বর্ষণ করার সুযোগ করে দিয়েছে । ইরানকে বিপর্যস্ত করার জন্য শিয়া সুন্নি মতভেদকে উসকে দিয়ে আমেরিকা প্রতিনিয়ত ষড়যন্ত্র করছে , কাশ্মীরে মুসলমানদের স্বায়ত্ত শাসন কেড়ে নিয়ে তাদের বন্দী করে বেছে বেছে হত্যা করছে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার । উল্লিখিত ১০০ কোটি মুসলমান প্রতিদিন নামাজ শেষে এসব চিহ্নিত বেনামাজি কাফেরদের অত্যাচারীদের পতনের জন্য তোমার কাছে কায়মনে প্রার্থনা করছে । কিন্তু তোমার সাড়া পাচ্ছেনা । তুমিতো কাউই, আজিজ , বা সর্বশক্তিমান, তুমি তো মুসকিত বা নিরপেক্ষ , সালাম বা শান্তিদাতা , আলিম বা অসীম জ্ঞানী ,ফাত্তাহ বা বিচারক ,সামি বা সব দেখো ,বাসির বা সব শোনো । কিন্তু এই অত্যাচারিত মুসলমানদের জন্য কি করেছো বুঝতে পারিনা । এমন ৯৯টি নামে ও গুনে তোমাকে বিচার করে মুসলমানেরা । এসব গুণের একটিকেও যদি তুমি প্রয়োগ কর তাহলে এও ধরিত্রিতে শান্তি ফিরে আসতে পারে । তা কেন করছোনা দয়াময় ।এই ১০০ কোটি নামাজি কি তোমার সঠিক ইবাদত করেন , তোমার দরবারে সঠিক আবেদন করতে পারছেনা , অথবা তাদের আবেদন গ্রহণযোগ্য নয় । কোনটি ভাববে তোমার বান্দারা ।
ছোট বেলায় আরবি শেখার জন্য মায়ের কাছে কায়েদা ও আমসিফারা পড়েছিলাম । আমসিফারার শেষ পাতায় তোমার ৯৯ টি নাম পড়েছি । তখন নামগুলো শুধু মুখস্থ করেছি । এগুলোর অর্থ জানতে পারিনি। পরবর্তীতে এ নামগুলোর বাংলা ও ইংরেজি অর্থ পড়েছি । তখন থেকে আমার মনে জিজ্ঞাসা এই নামগুলো কি কোরআনের অংশ ? বা জিব্রাইলের মাধ্যমে তুমি নবীজীর কাছে প্রেরণ করেছো । কারণ এ নামগুলোর উদ্ভব কিভাবে হয়েছে তা কোন ধর্ম বইয়ে পড়িনি ।যাইহোক এ নামগুলোর মধ্যে বেশ কিছু নাম পরস্পর বিরোধী গুন সম্পন্ন । যেমন মুহি অর্থ জীবনদাতা এবং মুমিত অর্থ মৃত্যুদানকারী ,মুকাদ্দিম মানে অগ্রগামী এবং মুয়াক্ষির মানে পশ্চাতগামী ,আফুয়া মানে ক্ষমাকারী এবং ধার মানে কষ্টদাতা , রউফ মানে কৃপাশীল এবং কাহহার মানে কঠোর , বার মানে কল্যানদাতা এবং খাবিধ মানে দমনকারী ,ওদুদ মানে প্রিয় বন্ধু এবং মুজিল মানে হীনকারী ,আওয়াল মানে প্রথম এবং আখির মানে শেষ , মুমিন মানে বিশ্বাসী বা নিরাপত্তাদানকারী এবংখাবিধ মানে দমনকারী ,কাউই মানে শক্ত এবং লতিফ মানে ভদ্র । এমন বিপরীত মুখি নাম আরও আছে । হয়তো বিপরীত গুণগুলো আল্লাহর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ।
যাইহোক পৃথিবীর অসহায় মানুষগুলোর শেষ ভরসার স্থল তুমি । তারা আকুল কণ্ঠে তোমার কাছেই প্রার্থনা করে প্রতিনিয়ত জঞ্জালমুক্ত পৃথিবীর জন্য । তাদের এই প্রার্থনা তুমি কি মনজুর কর আল্লাহ । এই প্রার্থনা তো মানুষ প্রকাশ্যেই করে , আকাশে বাতাসে ধ্বনিত হয় । কিন্তু তোমার গোচরীভূত হয় কিনা জানিনা । কোরআনে বলা হয়েছে পৃথিবীতে ৪ টি ঐশী গ্রন্থ বা আসমানি কিতাব নাজিল হয়েছে । যা তুমি ৪ জন নবীর মাধ্যমে প্রেরণ করেছো ।এর মধ্যে ‘তাওরাত’ মুশা নবীর মাধ্যমে, ‘জব্বুর ‘দাউদ নবীর মাধ্যমে , ‘ইঞ্জিল’ঈশা নবীর মাধ্যমে এবং “কোরআন’ হজর মুহাম্মদ এর মাধ্যমে । হে খোদা তোমার কাছে আমার প্রশ্ন , তুমিতো ওয়াহিদ বা এক বা একক তাহলে তোমার বান্দাদের জন্য ৪টি ঐশী গ্রন্থের দরকার হলো কেন? নিশ্চয়ই তোমার মতামত সর্বদাই একই থাকার কথা , তোমার প্রদর্শিত পথ একটি, ভিন্ন ভিন্ন হতে পারেনা । মৌলভী সাহেবরা বলেন কোরানের পূর্বে প্রেরিত ঐশী গ্রন্থ গুলো পুর্নাংগ ছিলনা
এবং তৎকালীন সময়ের সমাজপতিরা তাদের স্বার্থে কাটা ছেঁড়া করেছে । তাই শেষ নবীর উপর পবিত্র কোরআন নাজিল করেছো । সেটা পুর্নাংগ্ রূপে এবং এর কোনো পরিবর্তন করা কারো পক্ষে সম্ভব নয় । কারণ তার রক্ষাকারী তুমি নিজে যা কোরআনে বর্ণিত আছে । প্রেক্ষিতে আমার প্রশ্ন ,পুর্বের ঐশী গ্রন্থ গুলোর কাটাছেঁড়ার করার ক্ষমতা কোথায় পেলো ?সেগুলো পূর্ণাঙ্গ ছিলনা বলে যে অভিযোগ করা হয় তার ভিত্তি কি ? তাছাড়া তুমি গ্রন্থ নাজিল করবে আর সেটা পূর্ণাঙ্গ হবেনা তোমার উপর এমন অপুর্নতার অভিযোগ কি কখনো বিশ্বাসযোগ্য বা গ্রহণযোগ্য হতে পারে ? কোরআনের অনুসারীরা এত বিভক্ত কেন? বিভক্তবাদীরা সবাই দাবি করে তাদের মতামতটাই ঠিক অন্যরা ভুল। এর প্রতিকা্রই বা কি?অন্য ঐশী গ্রন্থের ধর্মাবলম্বীদের কথা বাদ দিলাম কিন্তু কোরআনে বিশ্বাসী মুসলমানেরা এত বিভক্ত হলো কেন? এসব প্রশ্নের উত্তর কখনো পাবো কি আল্লাহ ?

Read More

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked with *

সর্বশেষ পোস্ট

Advertising