সুপ্রভাত সিডনি রিপোর্ট: ঢাকার যাত্রাবাড়ির বিবির বাজারে আজ সূচিত হলো একটি নতুন অধ্যায়। ফ্যাসিস্ট শাসকদের দ্বারা দীর্ঘদিন দখলকৃত একটি আওয়ামী লীগের অফিস পুনরুদ্ধার করে সেখানে নতুনভাবে যাত্রা শুরু করল বিবির বাজার পাঠাগার। এটি শুধু একটি পাঠাগার নয়, বরং একটি জাতির আলোকিত ভবিষ্যৎ নির্মাণের দৃঢ় অঙ্গীকার।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী ও সিডনির একমাত্র বাংলা পত্রিকা ‘সুপ্রভাত সিডনি’-এর প্রধান সম্পাদক আব্দুল্লাহ ইউছুফ শামীম। তিনি পাঠাগারের উদ্বোধন করে বলেন ‘পাঠাগার জাতি গঠনের মূল ভিত্তি। একটি সুস্থ, সচেতন ও শিক্ষিত সমাজ গঠনের জন্য এমন উদ্যোগ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বিবির বাজার পাঠাগার জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলে পতিত ফ্যাসিস্ট শাসকদের অফিস বুঝে নিয়ে এধরনের পাঠাগার, মসজিদ ও সমাজের উন্নয়নমূলক কাজে লাগাতে হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সুপ্রভাত সিডনি-এর সিনিয়র রিপোর্টার মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা। তিনি তার বক্তব্যে পাঠাগারের পুনর্জাগরণকে গণতান্ত্রিক চেতনার উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে বর্ণনা করেন এবং বলেন, ‘এই পাঠাগারটি নতুন প্রজন্মের কাছে ইতিহাস, সংস্কৃতি, এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের বার্তা পৌঁছে দেবে।
উপস্থিত ছিলেন আমেরিকা প্রবাসী ইয়াদুল ইসলাম, সুপ্রভাত সিডনির ডিজাইনার মিজানুর রহমান, গেন্ডারিয়ার সোহেল মাহমুদ, কুমিল্লা থেকে আগত জিয়া, এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ, এবং তরুণ সমাজের প্রতিনিধিরা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা পাঠাগারের গুরুত্বের উপর আলোকপাত করে বলেন, ‘একটি পাঠাগার শুধু বই পড়ার স্থান নয়; এটি চেতনার কেন্দ্রস্থল। এই পাঠাগার থেকে সৃষ্ট হবে ভবিষ্যতের জ্ঞানী, সৃজনশীল এবং দায়িত্বশীল নাগরিক।’
বিবির বাজার পাঠাগার শুধু বইয়ের সংগ্রহশালা নয়; এটি হবে বিভিন্ন কর্মশালা, সেমিনার এবং পাঠচক্রের একটি প্রাণকেন্দ্র। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে জ্ঞানচর্চার আগ্রহ সৃষ্টির পাশাপাশি এটি একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখবে। ফ্যাসিস্ট শাসকদের দখল থেকে পুনরুদ্ধার করা এই অফিসে গড়ে উঠা পাঠাগার আমাদের গণতান্ত্রিক চেতনাকে পুনরুজ্জীবিত করে। এটি জ্ঞানের আলো ছড়াতে এবং জাতি গঠনের অগ্রযাত্রায় নতুন মাত্রা যোগ করবে। প্রধান অতিথি ইউসুফ শামিম মুফতি জাকারিয়া আমিরের হাতে বই তুলে দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পাঠাগারের উদ্বোধন করেন।
বিবির বাজার পাঠাগারের এই উদ্যোগকে ‘সুপ্রভাত সিডনি’ কভারেজের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সামনে তুলে ধরতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পাঠাগারটি একটি স্বপ্ন, একটি জাতি গঠনের হাতিয়ার। জ্ঞানের শক্তি দিয়ে আমরা একটি সমৃদ্ধ, উন্নত ও আলোকিত বাংলাদেশ গড়ে তুলব।