কামাল হোসেন : পুরুষ কিসে আটকায়? নারীর রূপ, খ্যাতি, ঐশ্বর্য, প্রতিপত্তি, আভিজাত্য, স্মার্টনেস, নাকি অন্য কিছুতে? বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত রাজকুমারী দুবাইয়ের মেহরা। তার সৌন্দর্য, অর্থ, খ্যাতি, বিলাসী জীবন, সমাজসেবা, ইত্যাদি তাকে সারাবিশ্বের পুরুষদের আকাঙ্ক্ষার নারীতে পরিণত করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার মিলিয়ন মিলিয়ন ভক্তকুল। কয়েক বছর আগে সবচেয়ে জাঁকজমক বিয়েও হয়েছিলো তার, আরেক রাজকুমারের সাথে। কিন্তু শোনা যায়, বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই তার স্বামী অন্য নারীতে আসক্ত হয়ে পড়ে। অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর দিকে ফিরে তাকানোর সময় তার ছিলো না।
গত শতাব্দীর সবচেয়ে আলোচিত বিয়ে ছিলো প্রিন্সেস ডায়নার। রূপ, গুন এবং আভিজাত্য তাকে আজও তাবৎ দুনিয়ার পুরুষকুলের হৃদয়ের মধ্যমনি করে রেখেছে। কিন্তু তার স্বামী চার্লসের কাছে তার কোনই আবেদন ছিলো না। তার হৃদয়ে ঠাঁই পেয়েছিলো চল্লিশোর্ধ ডিভোর্সী নারী ক্যামিলা।
সৌন্দর্য, শিক্ষা, পারিবারিক ঐতিহ্য, এবং ক্ষমতা, সব মিলিয়ে বেনজির ভুট্টো উপমহাদেশের এক আইকনই বটে। বিয়েও করেছিলেন তার থেকে অনেক নীচু জাত এবং কমশিক্ষিত আসিফ জারদারিকে। অথচ জারদারি প্রধানমন্ত্রী ভবনে জায়গা এবং মি. টেন পার্সেন্ট হয়েও খুশি থাকতে পারলো না। বেনজিরকে হত্যার সাথে সেও নাকি জড়িত ছিলো।
আমাদের প্রিয়নবীর জীবনে একাধিক নারী এসেছিলেন। কিন্তু পঁচিশ বছরের যুবক মুহাম্মদ (সা.) চল্লিশ বছরের খাদিজার (রাঃ) মত কাউকে ভালোবাসেন নি। তাঁর জীবদ্দশায় অন্য কোন রমণীর কথা চিন্তাও করেন নি। এমনকি তাঁর মৃত্যুর পর সেই ভালোবাসা এবং টানের কথা অকপটে যুবতী এবং রূপবতী স্ত্রী বিবি আয়েশার (সাঃ) কাছে বারবার ব্যক্ত করেছেন। একই সত্য বিবি ফাতিমা (রাঃ) এর জীবনে। তাঁর জীবিতকালে হযরত আলী (রাঃ) অন্য কাউকে বিয়ে করেন নি, যদিও পরবর্তীতে তিনি ছয়বার বিয়ে করেছিলেন।
সুতরাং হে রমনীকুল, পুরুষকে আটকানোর আসল উপায় হলো, তার উপর প্রভাব বিস্তার করা। তার সাথে দুর্ব্যবহার ও ঝগড়া না করে, বরং ভালোবাসার টানে তাকে বশীভূত করে আঁচলে গেঁথে রাখা। তখন দেখবেন, মায়ার বাঁধন খুলে দূরে সরে যাওয়া কোন প্রকৃত পুরুষের পক্ষে অসম্ভব।