হাফজ মাওলানা ডা. মো. এনাম হোসাইন : প্রতিবছর রমযান মাসের আগমন হয়। আমরা পৃথিবীব্যাপী মুসলিম উম্মাহ বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে সিয়াম সাধনা করি, কিন্তু রমযান তথা সিয়াম পালনের মৌলিক শিক্ষা ও উদ্দেশ্য তাকওয়া বা আল্লাহর ভয় অর্জনে আমরা কতটা নিবেদিত হয়ে সফল হতে সচেষ্ট, তা আমাদের সিয়াম পরবর্তী নিজের, পরিবারের এবং সমাজের বাস্তব চিত্র অনুধাবন ও পর্যবেক্ষণ করলে প্রতীয়মান হয়, অধিকাংশ মুসলমানের মাঝে সিয়ামের শিক্ষা অনুপুস্থিত। পৃথিবীর জীবন অল্প সময়ের আমরা সবাই বিনা বাক্যব্যয়ে স্বীকার করতে বাধ্য। কারণ আল্লাহর ঘোষণা :
প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে এবং তোমাদের সকলকে (তোমাদের কর্মের) পুরোপুরি প্রতিদান কিয়ামতের দিনই দেওয়া হবে। অতঃপর যাকেই জাহান্নাম থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হবে ও জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দেওয়া হবে, সে-ই প্রকৃত অর্থে সফলকাম হবে। আর (জান্নাতের বিপরীতে) পার্থিব জীবন তো প্রতারণার উপকরণ ছাড়া কিছুই নয়। (সূরা ইমরান, আয়াত:১৮৫)
জীবমাত্রই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে; আমি তোমাদেরকে মন্দ ও ভাল দিয়ে বিশেষভাবে পরীক্ষা করে থাকি এবং আমারই নিকট তোমরা প্রত্যানীত হবে। (সূরা আম্বিয়া,আয়াত:৩৫)
(দুনিয়ায়) তাদের যে মৃত্যু প্রথমে এসেছিল, তা ছাড়া সেখানে (অর্থাৎ জান্নাতে) তাদেরকে কোন মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে না এবং আল্লাহ তাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি হতে রক্ষা করবেন। (সূরা দুখান,আয়াত : ৫৬)
আল্লাহর এই ঘোষণা যেমন চিরন্তন প্রমাণিত মহাসত্য, যা আমরা প্রত্যেকেই প্রত্যক্ষ করি, তেমনি মৃত্যু পরবর্তী অনন্ত জীবনে মানুষের ঈমানের ভিত্তিতে ভালো মন্দের বিচারের পরে ভালো কাজের বিনিময়ে পুরস্কার জান্নাত এবং খারাপ কাজের শাস্তি জাহান্নামে ঘোষণা চিরন্তন মহাসত্য।
এই যে পরকালীন জীবন ও বিচারের মুখোমুখি হওয়ার বিষয়টি যদি আমরা আন্তরিকভাবে বিশ্বাস ও স্বীকার করি তাহলে রমজানে তাকওয়া বা আল্লাহ ভীতি অনুশীলনের প্রভাব আমাদের জীবনকে সামগ্রিক ভাবে গোনাহ মুক্ত তাকওয়া প্রতিচ্ছায়ার মতোই তাড়িত করবে। ফলে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাস্ট্রে তাকওয়ার অপ্রতিরোধ্য প্রভাবে যাবতীয় পাপাচার, অবিচার ও অশান্তি নির্মূল এবং বিলুপ্ত হবে।
আমরা যদি খুঁটিহীন বিশাল আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখি কি সুনিপুণ ভাবে আল্লাহর আদেশ মেনে তা পরিচালিত হচ্ছে। আকাশ পথে ভ্রমণের সময় বিমানের জানালা দিয়ে যখন অসীম বিস্তীর্ণ শূণ্যজগতের দিকে অবলোকন করবেন মেঘমালার স্থানান্তরিত হবার দুরন্ত পরিক্রমা, একটু মনোযোগ দিন এবং ভাবুন ; কোন প্রতাপশালী প্রশাসকের প্রচণ্ড ভয়ে প্রকম্পিত হয়ে দুর্নিবার গতিতে তাড়িত হয়ে সুশৃঙ্খলরুপে বিরামহীন এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে মেঘমালা ঘুরে বেড়াচ্ছে, প্রয়োজনে বৃষ্টি বর্ষণে আদিষ্ট হয়ে মুষলধারে বৃষ্টি বর্ষণ করছে।
আল্লাহ তায়ালা বলেন,
যিনি পৃথিবীকে তোমাদের জন্যে বিছানা ও আকাশকে ছাদ করেছেন এবং আকাশ হতে পানি বর্ষণ করে তা দিয়ে তোমাদের জীবিকার জন্যে ফলমূল উৎপাদন করেন। সুতরাং তোমরা জেনে-শুনে কাউকেও আল্লাহ্ র সমকক্ষ দাঁড় কর না। (সূরা বাকারা,আয়াত :২২)
কত মহান তিনি যিনি নভোমণ্ডলে সৃষ্টি করেছেন রাশিচক্র এবং এতে স্থাপন করেছেন প্রদীপ ও জ্যোতির্ময় চন্দ্র। (সূরা ফুরকান, আয়াত:৬১)
তিনিই ইলাহ্ নভোমণ্ডলে, তিনিই ইলাহ্ ভূতলে এবং তিনি প্রজ্ঞাময়, সর্বজ্ঞ। (সূরা যুখরুফ:৮৪)
আল্লাহ্ দিবস ও রাত্রির পরিবর্তন ঘটান, এতে শিক্ষা রয়েছে অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্নদের জন্যে। (সূরা নূর,আয়াত:৪৪)
অথবা তাদের কর্ম গভীর সমুদ্র তলের অন্ধকার সদৃশ, যাকে আচ্ছন্ন করে তরঙ্গের ওপর তরঙ্গ, যার ঊর্ধ্বে মেঘপুঞ্জ, অন্ধকারপুঞ্জ স্তরের ওপর স্তর, এমনকি সে হাত বের করলে তা আদৌ দেখতে পাবে না। আল্লাহ যাকে জ্যোতি দান করেন না তার জন্যে কোন জ্যোতিই নেই। (সূরা নূর,আয়াত:৪০)
পৃথিবীর সমস্ত বৃক্ষ যদি কলম হয় আর সমুদ্র হয় কালি এবং এটার সঙ্গে আরও সাত সমুদ্র যুক্ত হয়, তবুও আল্লাহ্ র বাণী নিঃশেষ হবে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। (সূরা লোকমান, আয়াত:২৭)
নভোমণ্ডল এবং ভূমণ্ডলে যাবতীয় সৃষ্টিরাজি আল্লাহর আদেশ পালনে নিজ নিজ অবস্থায় সক্রিয়, কিন্তু মানুষকে আল্লাহ তায়ালা ইচ্ছে শক্তি ও স্বাধীনতা দান করেছেন, কারণ আল্লাহ তায়ালা মানুষের পরীক্ষা নিবেন, ভালো- মন্দের বিচারের মুখোমুখি করবেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন,
আমি তোমাদেরকে কিছু ভয়, ক্ষুধা ও ধন-সম্পদ, জীবন ও ফল-ফসলের ক্ষয়ক্ষতি দিয়ে অবশ্যই পরীক্ষা করব। তুমি শুভ সংবাদ দাও ধৈর্যশীলগণকে। (সূরা বাকারা,১৫৫)
তোমাদেরকে নিশ্চয়ই তোমাদের ধনৈশ্বর্য ও জীবন সম্বন্ধে পরীক্ষা করা হবে। তোমাদের পূর্বে যাদেরকে কিতাব দেওয়া হয়েছিল তাদের আর মুশরিকদের নিকট হতে তোমরা অনেক কষ্টদায়ক কথা শুনবে। যদি তোমরা ধৈর্যধারণ কর এবং তাক্ওয়া অবলম্বন কর তবে নিশ্চয়ই তা হবে দৃঢ়সংকল্পের কাজ। (সূরা ইমরান, আয়াত:১৮৬)
স্মরণ কর, যখন আমি ফির‘আওনী সম্প্রদায় হতে তোমাদেরকে নিষ্কৃতি দিয়েছিলাম, যারা তোমাদের পুত্রগণকে জবেহ করে ও তোমাদের নারীগণকে জীবিত রেখে তোমাদেরকে মর্মান্তিক যন্ত্রণা দিত; আর এতে তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে এক মহাপরীক্ষা ছিল। ( সূরা বাকারা, আয়াত:৪৯)
আমি এভাবে তাদের একদলকে অন্যদল দিয়ে পরীক্ষা করেছি যেন তারা বলে, ‘আমাদের মধ্যে কি এদের প্রতিই আল্লাহ্ অনুগ্রহ করলেন ?’ আল্লাহ্ কি কৃতজ্ঞ লোকদের সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত নন? (আনয়াম:৫৩)
তিনিই তোমাদেরকে পৃথিবীতে প্রতিনিধি করেছেন এবং একে অন্যের উপর মর্যাদা সমুন্নত করেছেন, যাতে তোমাদের কে এ বিষয়ে পরীক্ষা করেন, যা তোমাদেরকে দিয়েছেন। আপনার প্রতিপালক দ্রুত শাস্তি দাতা এবং তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, দয়ালু। (সূরা আনয়াম,আয়াত:১৬৫)
আর তিনিই আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী ছয় দিনে সৃষ্টি করেন, তখন তাঁর আরশ ছিল পানির ওপর, তোমাদের মধ্যে কে কর্মে শ্রেষ্ঠ তা পরীক্ষা করার জন্যে। তুমি যদি বল, ‘মৃত্যুর পর তোমরা অবশ্যই উত্থিত হবে,’ কাফিররা নিশ্চয়ই বলবে, ‘এটা তো সুস্পষ্ট জাদু।’ (সূরা হুদ,আয়াত:০৭)
আমি এদের বিভিন্ন প্রকার লোককে পরীক্ষা করার জন্যে পার্থিবজীবনের সৌন্দর্য স্বরূপ ভোগ-বিলাসের যে উপকরণ দিয়েছি, আপনি সেই সব বস্তুর প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করবেন না। আপনার পালনকর্তার দেয়া রিযিক উৎকৃষ্ট ও অধিক স্থায়ী। (ত্ব-হা, আয়াত: ১৩১)
এ কারণে যে, শয়তান যা মিশ্রণ করে, তিনি তা পরীক্ষাস্বরূপ করে দেন, তাদের জন্যে, যাদের অন্তরে রোগ আছে এবং যারা পাষাণ হৃদয়। গোনাহগাররা দূরবর্তী বিরোধিতায় লিপ্ত আছে। (সূরা হাজ্জ,আয়াত:৫৩)
তোমার পূর্বে আমি যে সকল রাসূল প্রেরণ করেছি তারা সকলেই তো আহার করত ও হাটে বাজারে চলাফেরা করত। হে মানুষ ! আমি তোমাদের মধ্যে এক-কে অপরের জন্যে পরীক্ষাস্বরূপ করেছি। তোমরা ধৈর্য ধারণ করবে কি ? তোমার প্রতিপালক সমস্ত কিছু দেখেন। (সূরা ফুরকা:২০)
মানুষরা কি (এটা) মনে করে নিয়েছে, তাদের (শুধু) এটুকু বলার কারণেই ছেড়ে দেয়া হবে যে, আমরা ঈমান এনেছি এবং তাদের (কোনো রকম) পরীক্ষা করা হবে না। (আল-আনকাবুত:২)
তোমার প্রতিপালক মৌমাছিকে এর অন্তরে ইঙ্গিত দিয়ে নির্দেশ দিয়েছেন, ‘গৃহ নির্মাণ কর পাহাড়ে, বৃক্ষে ও মানুষ যে গৃহ নির্মাণ করে তাতে। (আন নাহ্ল-৬৮)
যে ব্যক্তি তার গৃহের ভিত্তি আল্লাহ্ভীতি ও আল্লাহ্ র সন্তুষ্টির ওপর স্থাপন করে সে উত্তম, না ঐ ব্যক্তি উত্তম যে তার গৃহের ভিত্তি স্থাপন করে এক খাদের ধসোন্মুখ কিনারায়, ফলে যা এটাকেসহ জাহান্নামের অগ্নিতে পতিত হয় ? আল্লাহ্ জালিম সম্প্রদায়কে পথ প্রদর্শন করেন না। (আত তাওবাহ্-১০৯)
আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান আল্লাহর কাছেই রয়েছে এবং কিয়ামতের ব্যাপার তো চোখের পলকের ন্যায়, বরং তা অপেক্ষাও সত্বর। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান। (সূরা নাহল,আয়াত:৭৭)
তিনিই তোমাদের জন্যে কর্ণ, চোখ ও অন্তঃকরণ সৃষ্টি করেছেন; তোমরা অল্পই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে থাক। (আল মু’মিনূন-৭৮)
চোখের অপব্যবহার ও অন্তরে যা গোপন আছে সে সম্বন্ধে তিনি অবহিত। ( সূরা মুমিন :১৯)
আমি তো বহু জিন ও মানবকে জাহান্নামের জন্যে সৃষ্টি করেছি ; তাদের হৃদয় আছে কিন্তু তা দিয়ে তারা উপলব্ধি করে না, তাদের চোখ আছে তা দিয়ে দেখে না আর তাদের কান আছে তা দিয়ে শোনে না; এরা পশুর ন্যায়, বরং এরা অধিক পথভ্রষ্ট। এরাই গাফিল। (আল আ’রাফ-১৭৯)
তুমি কখনও মনে কর না যে, জালিমরা যা করে সে বিষয়ে আল্লাহ্ গাফিল, তবে তিনি এদেরকে সেই দিন পর্যন্ত অবকাশ দেন যেদিন তাদের চোখ হবে স্থির। (ইব্রাহীম-৪২)
আমাদের দুনিয়ায় পথচলা সহজ যদি আমরা আল্লাহর আদেশ মেনে শোকর গুজারকারী বান্দায় পরিণত হয়ে জীবন পরিচালনায় অভ্যস্ত হতে পারি। আমরা দেখলাম সৃষ্টি জগতের যাবতীয় সৃষ্টি স্ব স্ব অবস্থানে মহান আল্লাহর আদেশ পালনে মহা ব্যস্ত, কেউ এর ব্যতিক্রম নেই। কিন্তু একমাত্র মানুষকে আল্লাহ তায়ালা স্বাধীন ইচ্ছেশক্তি ও বুদ্ধিমত্তা দিয়ে জীবন বিধান কুরআন মাজীদ দান করে জীবন পরিচালনায় ব্যক্তি স্বাধীনতা দিয়েছেন। এই স্বাধীনতা পেয়ে যারাই আল্লাহর আদেশ অমান্য করে জীবন পরিচালনা করে তারাই অপরাধী হিসেবে সাব্যস্ত হয়ে জাহান্নামের অনন্ত শাস্তি ভোগ করবে, অপরপক্ষে যাঁরা আল্লাহর আদেশ মেনে কুরআনের আলোকে জীবন পরিচালনা করেন তাঁরা মহাপুরস্কার জান্নাতের অনাবিল প্রশান্তি ও পরম সুখের আনন্দময় অফুরন্ত জীবন লাভ করেন।
এসবই অর্জন হয় তাকওয়া বা আল্লাহর যথাযথ ভয় অনুশীলনের মাধ্যমে। যাঁরা আল্লাহ কে ভয় করেন, তাঁরা আল্লাহর নিকট অধিক সম্মানিত।
তাই তাকওয়ার অনুশীলন শুরু করতে হবে ব্যক্তি ও পরিবার থেকে। নিজেকে তাকওয়ার উপর পূর্ণ প্রতিষ্ঠিত করতে নিয়মিত পরিবারে কুরআন অধ্যায়ন ও অনুধাবনের জন্য সচেষ্ট হই কুরআন নাযিলের মাস মাহে রমযানে। আমি যেমন তাকওয়া অনুশীলন করি তেমনি পরিবারের অন্য সদস্যদের তাকওয়া অনুশীলনে অনুপ্রেরণিত করি। আল্লাহ তায়ালা বলেন,
হে ঈমানদার লোকেরা, তোমরা নিজেদের ও নিজেদের পরিবার পরিজনদের (জাহান্নামের সেই কঠিন) আগুন থেকে বাঁচাও, তার জ্বালানি হবে মানুষ আর পাথর, (সে) জাহান্নামের (প্রহরা যাদের) ওপর (অৰ্পিত), সেসব ফেরেশতা সবাই হচ্ছে নির্মম ও কঠোর, তারা (দণ্ডাদেশ জারি করার ব্যাপারে) আল্লাহর কোনা আদেশ অমান্য করবে না, তারা তাই করবে যা তাদের করার জন্যে আদেশ করা হবে। (আত-তাহরীম:৬)
তাকওয়া অনুশীলন ও অবলম্বনকারীকে আল্লাহ তায়ালা শয়তানের প্ররোচনা থেকে রক্ষা করেন, আল্লাহ তায়ালা বলেন,
যারা তাক্ওয়ার অধিকারী হয় তাদেরকে শয়তান যখন কুমন্ত্রণা দেয় তখন তারা আল্লাহ্কে স্মরণ করে আর তৎক্ষণাৎ তাদের চোখ খুলে যায়। (আল আ’রাফ-২০১)
সম্মানিত সুধী,
এই যে পরকালীন জীবন ও বিচারের মুখোমুখি হওয়ার বিষয়টি যদি আমরা আন্তরিকভাবে বিশ্বাস ও স্বীকার করি তাহলে রমজানে তাকওয়া বা আল্লাহ ভীতি অনুশীলনের প্রভাব আমাদের জীবনকে সামগ্রিক ভাবে গোনাহ মুক্ত তাকওয়া প্রতিচ্ছায়ার মতোই তাড়িত করবে। ফলে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে তাকওয়ার অপ্রতিরোধ্য প্রভাবে যাবতীয় পাপাচার, অবিচার ও অশান্তি নির্মূল এবং বিলুপ্ত হবে। ইং শা আল্লা