ড.ফারুক আমিন : গত ৯ মার্চ ২০২০ রবিবার দুপুর ২টায় সিডনির পাঞ্চবোল এলাকায় অস্ট্রেলিয়ান সরকারের হোম এফেয়ার্স, ইমিগ্রেশন এন্ড মাল্টিকালচারাল এফেয়ার্স সংক্রান্ত মন্ত্রী টনি বার্কের সংসদীয় আসন কার্যালয়ের সামনে রিফিউজি একশন কোয়ালিশন (আরএসি) সংগঠনের উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সমাবেশে বাংলাদেশ ও শ্রীলংকাসহ বিভিন্ন দেশের বিপুল সংখ্যক শরণার্থী উপস্থিত ছিলেন। সকল শরণার্থীর জন্য পার্মানেন্ট ভিসার দাবিতে এবং ক্ষমতাসীন লেবার পার্টি কর্তৃক গৃহীত শরণার্থী-বিরোধী এবং ডিপোর্টেশন আইনের প্রতিবাদে এ সমাবেশে বক্তারা বক্তব্য রাখেন।
অতিথি বক্তারা বলেন, কয়েক বছর আগে লেবার পার্টির নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এন্থনী আলবানিজি বলেছিলেন, কাউকে পরিত্যাগ করা হবে না। বর্তমান ইমিগ্রেশন মিনিস্টার টনি বার্কের জন্য শত শত শরণার্থী নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলো। কিন্তু তারা ক্ষমতায় গিয়ে শরণার্থীদের প্রতি সম্পূর্ণ বিরূপ মনোভাব প্রদর্শন করে বরং লিবারেল পার্টির কট্টরপন্থী নেতা পিটার ডাটনের সাথে রিফিউজি-বিরোধী কর্মকাণ্ডের প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হয়েছেন।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে অফশোর এবং অনশোর ডিটেনশন সেন্টারগুলোতে তেরো, চৌদ্দ বছরেরও বেশি সময় যাবত অমানবিক জীবন যাবন করা আশ্রয়প্রার্থীদের মানবেতর ও অনিশ্চিত জীবনের কথা তুলে ধরেন। তারা তাদের বক্তব্যে রিফিউজিদের জন্য পার্মানেন্ট ভিসা এবং রিফিউজি-বিরোধী অমানবিক আইন বাতিলের দাবি তুলে ধরেন। এ সমাবেশে বক্তাদের মাঝে ছিলেন রিফিউজি একশন কোয়ালিশনের নেতা জেমস সাপল, ক্যান্টারবুরি-ব্যাংকসটাউন টিচারস অ্যাসোসিয়েশনের নেতা মার্ক গুডক্যাম্প, ট্রান্সজেন্ডার সংগঠনের প্রতিনিধি ডেমিয়েন নুয়েন প্রমুখ।