আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে অবিলম্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বাতিল হোক

 

আলমগীর ইসলাম: গতবছর জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণ স্বৈরশাসনের কবল থেকে মুক্তি পেয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানের মূল লক্ষ্য ছিল জালেমের বিরুদ্ধে মজলুম হিসেবে দাঁড়িয়ে যাওয়া, আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে জুলাই অভ্যুত্থানকে স্মরণ ও ধারণ করে আগামীর বাংলাদেশকে পুনর্গঠন করা। স্বৈরশাসকের পতনের মাধ্যমে জাতি দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সেই গণতান্ত্রিক জাগরণের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়। সকল শ্রেণিপেশার প্রতিনিধিত্বে সম্মিলিত ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে গণতন্ত্র, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা পুনরুদ্ধারের জন্য টেকসই সংস্কারের গণদাবী ছিল প্রত্যাশিত। নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসনের অধীনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের যে দাবি বিগত এক দশক ধরে দেশজুড়ে প্রতিধ্বনিত হয়ে আসছিল, তা বাস্তবায়ন করা।

সেই প্রেক্ষিতে, জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। উক্ত অন্তর্বর্তী সরকারের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ থাকলেও তাদের পদক্ষেপগুলো ছিল স্পষ্ট এবং অত্যাবশ্যক।  তন্মধ্যে অন্যতম প্রধান কাজ সরকার ও রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনায় জনসাধারণের আস্থা পুনরুদ্ধার এবং একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, বিশ্বাসযোগ্য এবং অংশগ্রহণমূলক জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপহার দেওয়া। একটি নির্বাচিত সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিবে এবং জুলাই অভ্যুত্থানের নিরিখে রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কার ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশ এগিয়ে যাবে।

ড. ইউনূস জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষে কাজ শুরু করেন। ড. ইউনূসের কাছে প্রত্যাশা ছিল সংস্কারের মাধ্যমে সুশাসনের পথ তৈরি করবেন। তিনি স্থিতিশীল এবং অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্র নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে কিছু অবকাঠামোগত বিষয়ে মৌলিক সংস্কার আবশ্যক বলে মত দেন। যার অংশ হিসেবে তিনি বেশ কয়েকটি সংস্কার কমিশনের সমন্বয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন (National Consensus Commission) গঠন  করেন। তার একটি সাংবিধানিক সংস্কার কমিশন, যাতে আমেরিকা প্রবাসী রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. আলী রিয়াজকে চেয়ারম্যান নিযুক্ত করেন।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ছয় মাসের মধ্যে দেশের শতভাগ মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিনিধিত্ব, সব পেশাজীবী এবং জনতার অংশগ্রহণ ও মতামতের ভিত্তিতে একটি পূর্ণ সংস্কার প্রতিবেদন তৈরি করবে। কিন্তু আফসোসের বিষয় হয়ে দাঁড়ায় তখন, যখন কমিশন জনগণের প্রত্যাশিত একটি অর্থবহ, ভিত্তিগত সংস্কারের পরিবর্তে একটি অগভীর, বিচ্ছিন্ন তথাকথিত সাংবিধানিক সংস্কার খসড়া প্রস্তাব উপস্থাপন করে। যাকে অনেকেই “কপি-পেস্ট” নথি হিসেবে আখ্যায়িত করছে। তাতে সুদূরপ্রসারী চিন্তাশীলতার অনুপস্থিতি, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অনন্য সামাজিক-রাজনৈতিক বাস্তবতার সাথে প্রাসঙ্গিকতারও অভাব পরিলক্ষিত হয়। ঐকমত্য কমিশন গণ–অভ্যুত্থানের ও দেশের শতভাগ  মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে পারেনি। কমিশনের সংস্কার প্রস্তাবে যদি জন আকাঙ্ক্ষা উঠে আসতো, তাহলে গণ–অভ্যুত্থান ফলপ্রসূ হতো। জুলাই গণ–অভ্যুত্থান শুধু কোনো রাজনৈতিক দলের চেষ্টায় হয়নি, এখানে সব পেশাজীবী এবং জনতার অংশগ্রহণ ছিল, যাদের কোনো প্রতিনিধি ঐকমত্য কমিশনে নেই। ফলে তাতে জনমত ও পরামর্শ নেই, রাজনৈতিক দলগুলোর অর্থপূর্ণ সম্পৃক্ততা নেই, জনগণের আকাঙ্ক্ষার কোন প্রতিফলন নেই। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠনের উদ্দেশ্য ছিল সংস্কারের মাধ্যমে সুশাসনের পথ তৈরি করা। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিলের (এনসিসি) প্রস্তাব থেকে সরে এসেছে। পরিবর্তে ‘সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটি’র প্রস্তাব করা হয়েছে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বাংলাদেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যে গঠিত হয়েছিল—সমতা, অংশগ্রহণ এবং জাতীয় অভিন্ন লক্ষের ভিত্তিতে। কিন্তু বাস্তবে এটি একটি বিভাজন, হতাশা এবং রাজনৈতিক নাটকের প্রতীকে পরিণত হয়েছে। এ যেন নতুন এক স্বৈরশাসক তৈরির পথেই হাঁটতে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুসকে কমিশনের প্রধান হিসেবে নিয়োগ এবং এমন কিছু ব্যক্তিকে কমিশনে অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে—যাদের অনেকেই প্রবাসী এবং ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানের সঙ্গে যাদের কোনো সম্পর্ক বা অবদান নেই। এই সিদ্ধান্তটি সাধারণ মানুষকে আরও বিচ্ছিন্ন করে, যাদের এই কমিশনের প্রকৃত প্রতিনিধি হওয়া উচিত ছিল।  পরিস্থিতি আরও খারাপ হয় যখন সাংবিধানিক সংস্কার কমিশনে ড. আলী রিয়াজকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।  তার অদূরদর্শিত “ঐকমত্য”র নামে বিভাজনকে উসকে দিয়েছে, এই কমিশন যেন “বিভাজন করো ও শাসন করো” নীতিতে কাজ করছে।

আর স্পষ্টভাবে বললে: যতদিন ড. আলী রিয়াজ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি থাকবেন, ততদিন বাংলাদেশের মানুষ ও রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হবে না—সেটা কিয়ামতের দিন পর্যন্তও নয়। তাঁর নেতৃত্ব আত্ম-অহংকারের প্রতীক, ঐক্য নয় বরং বিভাজনের প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে।

আরও বেশি উদ্বেগজনক হলো ড. রিয়াজের ব্যক্তিগত ধরণ ও আচরণ। এমনভাবে নিজেকে উপস্থাপন করা যেন দেশের সব রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা তার ছাত্র। এই মনোভাব সম্মিলিত মত গঠনের নয় বরং জনগণকে বিচ্ছিন্ন ও নগণ্য করার নকশা। এটি অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্রের চেতনা নয়। এটি সংস্কারের ছদ্মবেশে আচ্ছন্ন একাডেমিক কর্তৃত্ববাদ।

এটি চরম বিদ্রুপ কমিশন, যা ৫ আগস্টের ঐতিহাসিক চেতনার উত্তরাধিকার দাবি করে সেই চেতনার বিরুদ্ধেই কাজ করছে। এমন একটি কমিশন যা জনগণের থেকে বিচ্ছিন্ন এবং তাদের দাবিকে অগ্রাহ্য করে, তারা কীভাবে জাতির প্রতিনিধিত্ব করতে পারে?

সবচেয়ে বিপজ্জনক হলো এই কমিশনের কর্মকৌশলে স্বচ্ছতার অভাব। সংবিধান সংস্কারের মত গুরুতর দায়িত্ব নিয়ে কমিশন যে পন্থায় এগোচ্ছে তা উপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া এবং সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ বর্জিত। প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো—বিশেষ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এরইমধ্যে তাতে কঠোর আপত্তি জানিয়েছে। তারা বলেছে যে, বিশেষজ্ঞদের পক্ষ থেকে দেওয়া বহু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব ইচ্ছাকৃতভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে।  কমিশন জটিল সাংবিধানিক প্রশ্নগুলিকে হ্যাঁ/না চেকবক্সে নামিয়ে এনেছে, একটি প্রক্রিয়ায় এত দ্বিমুখীতা এবং সীমাবদ্ধতা রয়েছে যে এটি সমস্ত সূক্ষ্মতা কেড়ে নিয়েছে। চিন্তাশীল অংশগ্রহণকে নিরুৎসাহিত করেছে এবং ভিন্নমত পোষণকারীদের কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করে দিয়েছে।

জনসাধারণের প্রত্যাশার অবনতি হয়েছে কমিশনের মূল দায়িত্বে প্রবাসী ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তির কারণে, যাদের অনেকেরই দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংগ্রামের সাথে কোন ধারণা ও সম্পৃক্ততা নেই। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ঐতিহাসিক ৫ আগস্টের  অভ্যুত্থানের সাথে কোন সম্পর্ক না থাকা। পূর্ববর্তী শাসনব্যবস্থার পতনের জন্য যারা লড়াই করেছিলেন এবং আত্মত্যাগ করেছেন, তাদের দূরে রাখা হয়েছে। যারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সাহায্য করেছিলেন তারা আগামীর বাংলাদেশ গঠন থেকে বাদ পড়ে গেছে । এটি এমন সিদ্ধান্ত, যা কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে এবং উদ্দেশ্য সম্পর্কে গুরুতর সন্দেহ তৈরি করেছে।

ফলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ক্রমশঃ বর্জনের প্রতীক হয়ে উঠে। বিরোধী কণ্ঠস্বরকে একত্রিত করার এবং জাতীয় ঐক্যকে উৎসাহিত করার পরিবর্তে, এটি দ্বাররক্ষী হিসেবে কাজ করছে – ঐক্যমত্যের নামে “বিভক্ত করো এবং শাসন করো” পুরানো চক্রের পুনরাবৃত্তি করছে।

কমিশনের নিজস্ব নীতিগত দ্বন্দ্বের চেয়ে কমিশনের অসঙ্গতি স্পষ্ট। একদিকে, তারা ৭০-ক ধারা অপসারণের প্রস্তাব করেছিল, যা বর্তমানে এমপিদের তাদের দল থেকে স্বাধীনভাবে ভোট দিতে বাধা দেয়। এটি সংসদীয় স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের একটি পদক্ষেপ হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল। অন্যদিকে, কমিশন একটি আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) ভোটদান ব্যবস্থা চালু করারও সুপারিশ করেছিল। যেখানে ভোটাররা পৃথক প্রার্থীদের নয় বরং দলের জন্য ভোট দেবেন। এতে আসলে দলীয় নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি করবে এবং ভোটারদের প্রতি জবাবদিহিতা হ্রাস করবে। ভোটার তার পছন্দের প্রার্থী নির্বাচন করতে পারবেনা, সে জানবে না সে কাকে ভোট দিচ্ছে, তার প্রতিনিধি কে অথবা তার সমস্যার কথা সে কাকে বলবে। জনগণ এবং জনপ্রতিনিধির দ্বন্দ্বটি এখানে স্পষ্ট। একটি সংস্কার এমপিদের স্বকীয় করার দাবি করে; অন্যটি তাদের আরও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার প্রক্রিয়া।

এই দ্বন্দ্বগু একটি গভীর সত্য প্রকাশ করে; কমিশন জনস্বার্থ ভিত্তিক নয় বা জাতীয় দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা পরিচালিত নয়। এটি আমদানি করা একটি ধারণা এবং একাডেমিক তত্ত্বের মধ্যে ভেসে বেড়াচ্ছে, যার কোনওটিই বাংলাদেশীয় সামাজিক ও রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে নয়। ফলাফল হল বিভ্রান্তি, মোহভঙ্গ এবং জনগণের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ধারণা যে এই প্রক্রিয়া রাজনৈতিক নাটক ছাড়া আর কিছুই নয়।

তাই এখন আমাদের স্পষ্ট জিজ্ঞাসা: জাতীয় ঐক্যমত কমিশন কি সত্যিই জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করছে, নাকি কোন রাজনৈতিক স্ক্রিপ্টকে বৈধতা দিচ্ছে?

বাংলাদেশের জনগণ আরও ভালো কিছুর প্রত্যাশা করছে, তারা এমন সংস্কার প্রত্যাশা করছে, যা অংশগ্রহণমূলক এবং জনসাধারণের চাহিদা মূল্যায়ন করবে। গোপন চুক্তি নয়, বৌদ্ধিক অভিজাততা নয়, কপি পেস্ট সমাধান নয়।

আসুন আমরা সম্পূর্ণরূপে স্পষ্ট হয়ে উঠি, প্রকৃত জাতীয় ঐক্য সেটা নয়, যা আপনি কমিশনের শিরোনামে ঘোষণা করেছেন। এটি নম্রতা, আন্তরিকতা এবং বিশ্বাসের মাধ্যমে অর্জিত হয়।

পরিশেষে বলতে চাই, এই নামকাওয়াস্তের তথাকথিত কমিশন ভেঙে ফেলা এবং আগামীর অংশগ্রহণমূলক ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার বাংলাদেশ পুনর্গঠন সময়ের দাবি। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বিলুপ্ত করার সময় এসেছে। এটিকে একটি নতুন, অংশগ্রহণমূলক সংস্থা হিসেবে জনগণের প্রত্যাশা ও আস্থার প্রতীক করে গড়ে তুলতে হবে। যাতে দেশের সকল স্তরের প্রকৃত প্রতিনিধি থাকবেন, সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, তৃণমূল পর্যায়ের সংগঠক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, জাতীয় বাস্তবতায় নিহিত শিক্ষাবিদ এবং বিভিন্ন সামাজিক শ্রেণীর কণ্ঠস্বর থাকবেন। তবেই প্রকৃত ঐক্যমত তৈরি হবে।

যতক্ষণ না তা ঘটছে, ততক্ষণ এই কমিশনের অধীনে যেকোনো সংলাপ অবিলম্বে স্থগিত করতে হবে। বর্তমান পথে চলতে থাকলে তা কেবলই বিভাজন, বিচ্ছিন্নতা এবং গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের দিকে পরিচালিত করবে। এটাও বলা উচিত, ড. আলী রিয়াজ বিএনপি, এনসিপি, জামায়াতে ইসলামী বা বাংলাদেশের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেন না। তার কর্মকাণ্ড এবং আদর্শিক প্রবণতা ইঙ্গিত দেয় যে তিনি জনগণের স্বার্থে কাজ করছেন না বরং বাইরের প্রভাব এবং আমাদের জাতীয় চাহিদা থেকে বিচ্ছিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সামঞ্জস্য রেখে কাজ করছেন।আমরা যদি সত্যিকার অর্থে ঐক্যবদ্ধ, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ চাই, তাহলে আমাদের সাহস করে বলতে হবে; যথেষ্ট হয়েছে।

 

আলমগীর ইসলাম, সিডনি, অস্ট্রেলিয়া- কম্যুনিটি লিডার  | পরিচালক – এনআরবি ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড প্রাইমারি বিজনেস অস্ট্রেলিয়া।

কম্যুনিটি উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং প্রতিবন্ধীতা বিষয়ক প্রচারণায় আগ্রহী।

বাংলাদেশ প্রবাসী সচেতন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক -সিডনিতে বসবাসরত ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *