
সুপ্রভাত সিডনি: দূতাবাস ও কনস্যুলেটের সেবার মান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সিডনিতে কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের একটি সর্বদলীয় (বা নির্দলীয়) সভা অনুষ্ঠিত হয়। গত ১৮ নভেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার ইঙ্গেলবার্নের থাই বার্ন রেস্তোরাঁয় আয়োজিত এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মাননীয় প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা প্রফেসর আনিসুজ্জামান চৌধুরী।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে কমিউনিটি নেতা ও ক্যাম্পবেলটাউন সিটি কাউন্সিলের জনপ্রিয় কাউন্সিলর ইব্রাহিম খলিল মাসুদকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়, যাতে তিনি দূতাবাস ও কনস্যুলেট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টির একটি গ্রহণযোগ্য সমাধানে পৌঁছাতে পারেন। প্রয়োজনে কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনার মাধ্যমে সমস্যাগুলো পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সিডনি কনসুলেটে গিয়ে কমিউনিটি সভার সিদ্ধান্ত ও উদ্বেগের কথা তুলে ধরে।
সাবেক ডেপুটি মেয়র ইব্রাহিম খলিল মাসুদ পরবর্তীতে বাংলাদেশ সফরকালে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোঃ তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। এ প্রক্রিয়ায় একসময় সিডনি কনসুলেটে কর্মরত নাজিরুল ইসলাম সাহেব ইব্রাহিম খলিল মাসুদের বক্তব্য অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং আশ্বাস দেন যে, সিডনি কনসুলেটে সবারই মানসম্মত সেবা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। তিনি সিডনি কনসুলেটে তাঁর পূর্ব অভিজ্ঞতার কথাও তুলে ধরেন এবং বলেন, “যদি সিডনিতে কোনো বাংলাদেশি না থাকত, তবে কনসুলেট থাকার প্রয়োজনই হতো না। কনসুলেট ও দূতাবাসের মূল উদ্দেশ্যই হলো মানুষের সেবা—এ বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সবাইকে উপলব্ধি করতে হবে।”
তিনি আরও আশ্বাস দেন যে, সিডনি কনসুলেটের সেবার মান উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সব ধরনের কার্যকর পদক্ষেপ তাঁর সংস্থা গ্রহণ করবে।
উল্লেখ্য, কনসুলেট ও দূতাবাসের সেবা নিয়ে অভিযোগের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। অভিজ্ঞ মহলের মতে, দূতাবাসের নিম্নমানের সেবা দেশের ভাবমূর্তি ও আন্তর্জাতিক সুনামকে ক্রমেই ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
এরপরও যদি দূতাবাস ও কনস্যুলেটের সেবার মানের কোনো উন্নয়ন না হয়, তবে কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন।