
ইমাম ড হোসেন : যারা ঈমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে, তাদেরকে সুসংবাদ দিন যে, তাদের জন্য এমন সব বাগান (প্রস্তুত) রয়েছে, যার নিচে নহর প্রবাহিত থাকবে। যখনই তাদেরকে তা থেকে রিযক হিসেবে কোনও ফল দেওয়া হবে, তারা বলবে, এটা তো সেটাই, যা আমাদেরকে আগেও দেওয়া হয়েছিল। তাদেরকে এমন রিযকই দেওয়া হবে, যা দেখতে একই রকমের হবে। তাদের জন্য সেখানে থাকবে পুতঃপবিত্র স্ত্রী এবং তারা তাতে অনন্তকাল থাকবে। (সূরা বাকারা,আয়াত :২৫)
তোমরা কি মানুষকে সৎকর্মের নির্দেশ দাও এবং নিজেরা নিজেদেরকে ভূলে যাও, অথচ তোমরা কিতাব পাঠ কর? তবুও কি তোমরা চিন্তা কর না? (সূরা বাকারা,আয়াত :৪৪)
স্মরণ কর, যখন আমি বললাম, ‘এ জনপদে প্রবেশ কর, যেথা ইচ্ছা স্বচ্ছন্দে আহার কর, নতশিরে প্রবেশ কর দ্বার দিয়ে এবং বল : ‘ক্ষমা চাই’। ‘আমি তোমাদের অপরাধ ক্ষমা করব এবং সৎকর্মপরায়ণ লোকদের প্রতি আমার দান বৃদ্ধি করব।’ (সূরা বাকারা,আয়াত : ৫৮)
(সার কথা,) মুসলিম হোক বা ইয়াহুদী, খ্রিস্টান হোক বা সাবী, যে-কেউ আল্লাহ ও আখিরাত দিবসের প্রতি ঈমান আনবে এবং সৎকর্ম করবে, তারা আল্লাহর নিকট নিজ প্রতিদানের উপযুক্ত হবে এবং তাদের কোনও ভয় থাকবে না আর তারা কোনও দুঃখেও ভুগবে না। (সূরা বাকারা,আয়াত : ৬২)
যেসব লোক ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তারা জান্নাতবাসী। তারা সর্বদা সেখানে থাকবে।(সূরা বাকারা,আয়াত : ৮২)
তোমরা নামায প্রতিষ্ঠা কর এবং যাকাত দাও। তোমরা নিজের জন্যে পূর্বে যে সৎকর্ম প্রেরণ করবে, তা আল্লাহর কাছে পাবে। নিশ্চয়ই তোমরা যে-কোনও কাজ কর আল্লাহ তা দেখছেন।(সূরা বাকারা,আয়াত : ১১০)
কেন নয়? (নিয়ম তো এই যে,) যে ব্যক্তিই নিজ চেহারা আল্লাহর সামনে নত করবে এবং সে সৎকর্মশীলও হবে, সে নিজ প্রতিপালকের কাছে তার প্রতিদান পাবে। আর এরূপ লোকদের কোনও ভয় থাকবে না এবং তারা দুঃখিতও হবে না। (সূরা বাকারা,আয়াত : ১১২)
যে ব্যক্তি নিজেকে নির্বোধ সাব্যস্ত করেছে, সে ছাড়া আর কে ইবরাহীমের পথ পরিহার করে? বাস্তবতা তো এই যে, আমি দুনিয়ায় তাকে (নিজের জন্য) বেছে নিয়েছি, আর আখিরাতে সে সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত হবে। (সূরা বাকারা,আয়াত : ১৩০)
প্রত্যেকের একটি দিক আছে, যেদিকে সে মুখ করে। অতএব তোমরা সৎকর্মে প্রতিযোগিতা কর। তোমরা যেখানেই থাক না কেন আল্লাহ্ তোমাদের সকলকে একত্র করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান।(সূরা বাকারা,আয়াত : ১৪৮)
সৎকর্ম শুধু এই নয় যে, পূর্ব কিংবা পশ্চিমদিকে মুখ করবে, বরং বড় সৎকাজ হল এই যে, ঈমান আনবে আল্লাহর উপর কিয়ামত দিবসের উপর, ফেরেশতাদের উপর এবং সমস্ত নবী-রসূলগণের উপর, আর সম্পদ ব্যয় করবে তাঁরই মহব্বতে আত্নীয়-স্বজন, এতীম-মিসকীন, মুসাফির-ভিক্ষুক ও মুক্তিকামী ক্রীতদাসদের জন্যে। আর যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দান করে এবং যারা কৃত প্রতিজ্ঞা সম্পাদনকারী এবং অভাবে, রোগে-শোকে ও যুদ্ধের সময় ধৈর্য্য ধারণকারী তারাই হল সত্যাশ্রয়ী, আর তারাই পরহেযগার। (সূরা বাকারা,আয়াত : ১৭৭)
তোমরা আল্লাহ্ র পথে ব্যয় কর আর নিজেদের হাতে নিজে-দেরকে ধ্বংসের মধ্যে নিক্ষেপ কর না। তোমরা সৎকাজ কর, আল্লাহ্ সৎকর্মপরায়ণ লোককে ভালবাসেন। (সূরা বাকারা,আয়াত : ১৯৫)
নিশ্চয়ই যারা ঈমান আনে, সৎকাজ করে, সালাত কায়েম করে ও যাকাত দেয়, তাদের পুরস্কার তাদের প্রতিপালকের নিকট আছে। তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না। (সূরা বাকারা,আয়াত : ২৭৭)
তোমাদের মধ্যে এমন একদল হোক যারা কল্যাণের দিকে আহ্বান করবে আর সৎকর্মের নির্দেশ দিবে ও অসৎকর্মে নিষেধ করবে; এরাই সফলকাম।( সূরা ইমরান, আয়াত:১০৪)
যারা সচ্ছল ও অসচ্ছল অবস্থায় (আল্লাহর জন্য অর্থ) ব্যয় করে এবং যারা নিজের ক্রোধ হজম করতে ও মানুষকে ক্ষমা করতে অভ্যস্ত। আল্লাহ এরূপ পুণ্যবানদেরকে ভালোবাসেন।( সূরা ইমরান, আয়াত:১৩৪)
এরপর আল্লাহ্ তাদেরকে পার্থিব পুরস্কার ও উত্তম পারলৌকিক পুরস্কার দান করেন। আল্লাহ্ সৎকর্মপরায়ণদেরকে ভালবাসেন।(সূরা ইমরান, আয়াত:১৩৪)
যারা যখম হওয়ার পরও আল্লাহ ও রাসূলের ডাকে সাড়া দিয়েছে, এরূপ সৎকর্মশীল ও মুত্তাকীদের জন্য আছে মহা প্রতিদান। (সূরা ইমরান, আয়াত:১৭২)
কিন্তু যারা ভয় করে নিজেদের পালনকর্তাকে তাদের জন্যে রয়েছে জান্নাত যার তলদেশে প্রবাহিত রয়েছে প্রস্রবণ। তাতে আল্লাহর পক্ষ থেকে সদা আপ্যায়ন চলতে থাকবে। আর যা আল্লাহর নিকট রয়েছে, তা সৎকর্মশীলদের জন্যে একান্তই উত্তম। (সূরা ইমরান, আয়াত:১৯৮)
তাওবা কবুল তাদের প্রাপ্য নয়, যারা অসৎকর্ম করতে থাকে, পরিশেষে তাদের কারও যখন মৃত্যুক্ষণ এসে পড়ে, তখন বলে, এখন আমি তাওবা করলাম। এবং তাদের জন্যও নয়, যারা কাফের অবস্থায়ই মারা যায়। এরূপ লোকদের জন্য তো আমি যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি। (সূরা নিসা,আয়াত: ১৮)
আল্লাহ (কারও প্রতি) অণু-পরিমাণও জুলুম করেন না। আর যদি কোন সৎকর্ম হয়, তাকে কয়েক গুণ বৃদ্ধি করেন এবং নিজের পক্ষ হতে মহা পুরস্কার দান করেন।(সূরা নিসা,আয়াত: ৪০)
যারা ঈমান আনে ও ভাল কাজ করে তাদেরকে দাখিল করব জান্নাতে যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত; সেখানে তারা চিরস্থায়ী হবে, সেখানে তাদের জন্যে পবিত্র স্ত্রী থাকবে এবং তাদেরকে চিরস্নিগ্ধ ছায়ায় দাখিল করব।(সূরা নিসা,আয়াত: ৫৭)
যারা আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্য করবে, তারা সেই সকল লোকের সঙ্গে থাকবে, যাদের প্রতি আল্লাহ অনুগ্রহ করেছেন, অর্থাৎ নবীগণ, সিদ্দীকগণ, শহীদগণ ও সালিহগণের সঙ্গে। কতই না উত্তম সঙ্গী তারা!(সূরা নিসা,আয়াত: ৬৯)
লোকদের অধিকাংশ গোপন সলা-পরামর্শে কোন কল্যাণ থাকে না। তবে যদি কেউ গোপনে সাদ্কা ও দান –খয়রাতের উপদেশ দেয় অথবা কোন সৎকাজের জন্য বা জনগণের পারস্পরিক বিষয়ের সংশোধন ও সংস্কার সাধনের উদ্দেশ্যে কাউকে কিছু বলে, তাহলে অবশ্য এটি ভালো কথা। আর আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য যে কেউ এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে তাকে অবশ্যই আমি মহাপুরস্কার দান করবো। (সূরা নিসা,আয়াত: ১১৪)
অপরদিকে যারা (শয়তানের প্রতিশ্রুতি উপেক্ষা করে) আল্লাহ তায়ালার ওপর ঈমান আনবে এবং ভালো কাজ করবে, তাদের আমি অচিরেই এমন এক জান্নাতে প্রবেশ করাবো, যার তলদেশ দিয়ে ঝর্ণাধারা বইতে থাকবে, তারা সেখানে অনন্তকাল ধরে অবস্থান করবে; আল্লাহর ওয়াদা সত্য; আর আল্লাহর চাইতে বেশী সত্য কথা কে বলতে পারে? (সূরা নিসা,আয়াত: ১২২)
(পক্ষান্তরে) যে ব্যক্তি কোনো ভালো কাজ করবে- পুরুষ কিংবা নারী, সে যদি ঈমানদার অবস্থায়ই তা (সম্পাদন) করে, তাহলে (সে এবং তার মতো) সব লোক অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে, (পুরস্কার দেয়ার সময়) তাদের ওপর বিন্দুমাত্রও অবিচার করা হবে না।
তার চাইতে উত্তম জীবন বিধান আর কার হতে পারে, যে আল্লাহ তায়ালার জন্যে মাথানত করে দেয়, মুলত সে-ই হচ্ছে নিষ্ঠাবান ব্যক্তি, (তদুপরি) সে ইবরাহীমের আদর্শের অনুসরণ করে; আর আল্লাহ তায়ালা ইবরাহীমকে স্বীয় বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছেন।(সূরা নিসা,আয়াত: ১২৪-২৫)
কোন স্ত্রী যদি তার স্বামীর দুর্ব্যবহার কিংবা উপেক্ষার আশংকা করে তবে তারা আপোস-নিষ্পত্তি করতে চাইলে তাদের কোন গুনাহ নেই এবং আপোস-নিষ্পত্তিই শ্রেয়। মানুষ লোভহেতু স্বভাবত কৃপণ; আর যদি তোমরা সৎকর্মপরায়ণ হও ও মুত্তাকী হও, তবে তোমরা যা কর নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তার খবর রাখেন। (সূরা নিসা,আয়াত: ১২৮)
তোমরা যদি কোনও সৎকাজ প্রকাশ্যে কর বা গোপনে কর কিংবা কোনও মন্দ আচরণ ক্ষমা কর, তবে (তা উত্তম। কেননা) আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, (যদিও তিনি শাস্তিদানে) সর্বশক্তিমান। (সূরা নিসা,আয়াত: ১৪৯)
যারা ঈমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে, আল্লাহ তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, (আখিরাতে) তাদের জন্য রয়েছে মাগফিরাত ও মহা প্রতিদান।(সূরা মায়িদা, আয়াত:০৯)
আমি তোমার প্রতি সত্যসহ কিতাব অবতীর্ণ করেছি এটার পূর্বে অবতীর্ণ কিতাবের প্রত্যায়নকারী ও সংরক্ষকরূপে। সুতরাং আল্লাহ্ যা অবতীর্ণ করেছেন সে অনুসারে তুমি তাদের বিচার নিষ্পত্তি কর আর যে সত্য তোমার নিকট এসেছে তা ত্যাগ করে তাদের খেয়াল-খুশির অনুসরণ কর না। তোমাদের প্রত্যেকের জন্যে শরী‘আত ও স্পষ্ট পথ নির্ধারণ করেছি। ইচ্ছা করলে আল্লাহ্ তোমাদেরকে এক জাতি করতে পারতেন, কিন্তু তিনি তোমাদেরকে যা দিয়েছেন তা দিয়ে তোমাদেরকে পরীক্ষা করতে চান। সুতরাং সৎকর্মে তোমরা প্রতিযোগিতা কর। আল্লাহ্ র দিকেই তোমাদের সকলের প্রত্যাবর্তন। এরপর তোমরা যে বিষয়ে মতভেদ করছিলে, সে সম্বন্ধে তিনি তোমাদেরকে অবহিত করবেন। (সূরা মায়িদা, আয়াত:৪৮)
আমাদের কি ওযর থাকতে পারে যে, আমরা আল্লাহর প্রতি এবং যে সত্য আমাদের কাছে এসেছে, তৎপ্রতি বিশ্বাস স্থাপন করব না এবং এ আশা করবো না যে, আমদের প্রতিপালক আমাদেরকে সৎ লোকদের সাথে প্রবিষ্ট করবেন?
আর তাদের এই কথার জন্যে আল্লাহ্ তাদের পুরস্কার নির্দিষ্ট করেছেন জান্নাত-যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত; তারা সেখানে স্থায়ী হবে। এটা সৎকর্মপরায়ণদের পুরস্কার।(সূরা মায়িদা, আয়াত:৮৪-৮৫)
যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তারা পূর্বে যা খাদ্য গ্রহণ করেছে তার জন্যে তাদের কোন গুনাহ্ নেই; যদি তারা সাবধান হয় আর ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, সাবধান হয় ও বিশ্বাস করে, পুনরায় সাবধান হয় ও সৎকর্ম করে এবং আল্লাহ্ সৎকর্মপরায়ণদেরকে ভালবাসেন।(সূরা মায়িদা, আয়াত:৯৩)
আমি কাউকেও তার সাধ্যাতীত ভার অর্পণ করি না। যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তারাই জান্নাতবাসী, সেখানে তারা স্থায়ী হবে। (সূরা আ’রাফ,আয়াত:৪২)
(আল্লাহর) যমীনে (একবার) তাঁর শান্তি স্থাপনের পর (তাতে) তোমরা বিপর্যয় সৃষ্টি করো না, তোমরা ভয় ও আশা নিয়ে একমাত্র আল্লাহ তায়ালাকেই ডাকো, অবশ্যই আল্লাহর রহমত নেক লোকদের অতি নিকটে রয়েছে। (সূরা আ’রাফ, আয়াত:৫৬)
(সে সময়ের কথাও স্মরণ করো,) যখন তাদের বলা হয়েছিলো, তোমরা এই জনপদে গিয়ে বসবাস করো এবং সেখান থেকে যা কিছু চাও তোমরা আহার করো এবং বলো (হে মালিক), আমরা তোমার কাছে ক্ষমা চাই, আর (যখনি সেই) জনপদের দ্বারপথ দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করবে, (তখন) সাজদাবনত অবস্থায় প্রবেশ করবে, আমি তোমাদের গুনাহসমূহ মাফ করে দেবো, আমি অচিরেই উত্তম লোকদের অতিরিক্ত দান করবো।(সূরা আরাফ,আয়াত :১৬১)
যারা কিতাবকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করে ও সালাত কায়েম করে, আমি তো এইরূপ সৎকর্মপরায়ণদের শ্রমফল নষ্ট করি না। (সূরা আরাফ:১৭০)
আমার অভিভাবক তো আল্লাহ্, যিনি কিতাব অবতীর্ণ করেছেন আর তিনিই সৎকর্মপরায়ণদের অভিভাবকত্ব করে থাকেন। (সূরা আরাফ:১৯৬)
মুনাফিক পুরুষ ও মুনাফিক নারী, এরা (স্বভাব চরিত্রে) একে অপরের মতোই । তারা (উভয়েই মানুষদের) অসৎ কাজের আদেশ দেয় ও সৎকাজ থেকে বিরত রাখে এবং (আল্লাহ্ তায়ালার পথে খরচ করা থেকে) উভয়েই নিজেদের হাত বন্ধ করে রাখে; তারা (যেমনি এ দুনিয়ায়) আল্লাহ তায়ালাকে ভুলে গেছে, আল্লাহ তায়ালাও (তেমনি আখেরাতে) তাদের ভুলে যাবেন; নিসন্দেহে মোনাফেকরা সবাই পাপিষ্ঠ। (সূরা তাওবাহ্:৬৭)
ওদের মধ্যে এমন কিছু লোকও আছে যারা আল্লাহর সাথে ওয়াদা করেছিলো, যদি আল্লাহ তায়ালা নিজ অনুগ্রহে আমাদের সম্পদ দান করেন তাহলে আমরা অবশ্যই (তার একাংশ আল্লাহর পথে) দান করবো এবং অবশ্যই আমরা নেক লোকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবো। (তাওবাহ্ :৭৫)
যারা দুর্বল, যারা পীড়িত এবং যারা অর্থসাহায্যে অসমর্থ, তাদের কোন অপরাধ নেই, যদি আল্লাহ্ ও রাসূলের প্রতি তাদের অবিমিশ্র অনুরাগ থাকে। যারা সৎকর্মপরায়ণ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের কোন কারণ নেই ; আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সূরা তাওবাহ্, আয়াত: ৯১)
আর অপর কতক লোকে নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেছে, তারা এক সৎকর্মের সঙ্গে অপর অসৎকর্ম মিশ্রিত করেছে; আল্লাহ্ হয়ত তাদেরকে ক্ষমা করবেন; নিশ্চয়ই আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।(সূরা তাওবাহ্, আয়াত:১০২)
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাই কে কুরআন অধ্যয়ন করে কুরআনের আলোকে জীবন পরিচালনা এবং রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আদর্শ পরিপূর্ণ অনুসরণ করে দুনিয়া ও আখিরাতে সফলকাম হওয়ার তাওফিক দান করুন।