হাতছানি দেয় ছেলেবেলা নকশিকাঁথার মাঠ নদী দিঘি শাপলা পুকুর নাও বাঁধানো ঘাট। পুতুল বিয়ে বউচি খেলা রং মাখানো দিন রাখাল ছেলের মিষ্টি সুরের মায়ায় ভরা বীণ! আষাঢ় মাসে ভেলায় চড়ে দূর গাঁয়েতে যাওয়া আজো আমি স্বপ্নঘোরে খাই যে দখিন হাওয়া। বন্ধুবান্ধব মিলে মিশে চড়ুইভাতির সুখ আর তো আমি পাবো না রে কেঁদে ভাসাই বুক! চৈতিদিনে
হাতছানি দেয় ছেলেবেলা নকশিকাঁথার মাঠ
নদী দিঘি শাপলা পুকুর নাও বাঁধানো ঘাট।
পুতুল বিয়ে বউচি খেলা রং মাখানো দিন
রাখাল ছেলের মিষ্টি সুরের মায়ায় ভরা বীণ!
আষাঢ় মাসে ভেলায় চড়ে দূর গাঁয়েতে যাওয়া
আজো আমি স্বপ্নঘোরে খাই যে দখিন হাওয়া।
বন্ধুবান্ধব মিলে মিশে চড়ুইভাতির সুখ
আর তো আমি পাবো না রে কেঁদে ভাসাই বুক!
চৈতিদিনে তালের পাখার শীতল করা বাতাস
আজো আমায় হাতছানি দেয় জোছনা তারা আকাশ।
সবকিছু আজ এলোমেলো স্মৃতির পাতা ঝরে
ভাবতে গেলে পিছন কথা পরান কেমন করে!
মনে পড়ে নানুর কথা পিতা মাতা ভাইবোন
একটা সময় কতো না আমরা ছিলাম খুব আপন।
স্কুলবেলা পড়ার সাথী কে কোথায় কে জানে
ইতিউতি করে খুঁজি যে মরি এখানে ওখানে।
শিক্ষক মশায় করিম চাচা হয়ত গিয়েছে মারা
তাদের জন্যে বুকের মাঝে দেয় যে অতীত নাড়া।
হাতছানি দেয় পাখির কুহু ছায়া ঢাকা সেই পথ
যে পথে কতো হেঁটেছি আমি, রেখেছি মতামত!
বুকটা করে ভারি আমার সেসব কথা ভেবে
মধুময় শৈশব হারিয়ে গেছে সুখের প্রদীপ নেভে।
Leave a Comment
Your email address will not be published. Required fields are marked with *