728 x 90

জীবন্ত কিংবদন্তির নায়ক প্রফেসর ড.ইউনুস

-আব্দুল্লাহ ইউসুফ শামীম, প্রধান সম্পাদক, সুপ্রভাত সিডনি:  যে জাতি সম্মানি ব্যক্তিকে সম্মান দিতে জানে না, সে জাতির মধ্যে সম্মানিত মানুষের আগমন ঘটে না। আমাদের সৌভাগ্য, আমাদের তরুণ প্রজন্ম সম্মানিত ব্যক্তিকে চিহ্নিত করতে এবং সম্মান দিতে ভুল করে নাই। তারা যোগ্য সম্মানি ব্যক্তিকে যোগ্য সম্মানজনক স্থানে আসন দিতে সক্ষম হয়েছে। ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতে আমাদের তরুণ প্রজন্মের মধ্য

-আব্দুল্লাহ ইউসুফ শামীম, প্রধান সম্পাদক, সুপ্রভাত সিডনি:  যে জাতি সম্মানি ব্যক্তিকে সম্মান দিতে জানে না, সে জাতির মধ্যে সম্মানিত মানুষের আগমন ঘটে না। আমাদের সৌভাগ্য, আমাদের তরুণ প্রজন্ম সম্মানিত ব্যক্তিকে চিহ্নিত করতে এবং সম্মান দিতে ভুল করে নাই। তারা যোগ্য সম্মানি ব্যক্তিকে যোগ্য সম্মানজনক স্থানে আসন দিতে সক্ষম হয়েছে। ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতে আমাদের তরুণ প্রজন্মের মধ্য থেকে আরো সম্মানিত ব্যক্তির আগমন ঘটবে এবং যাদের জ্ঞানের আলোয় বিশ্বময় আলোকিত হবে।

বর্তমান বিশ্ব প্রজন্মের আইকন হলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নবনিযুক্ত প্রধান  উপদেষ্টা গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা, নোবেল জয়ী আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব প্রফেসর ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস। তার নামে সরকারি অর্থে বানানো কর্নার বা সেন্টারের মত নয়, সারা পৃথিবীর ১০৭টি ইউনিভার্সিটিতে ‘ইউনূস সেন্টার’ আছে। ইউনিভার্সিটিগুলো নিজেদের উদ্যোগে এই সেন্টার প্রতিষ্ঠিত করেছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে তার মাইক্রো-ফাইনান্স। যেটা তাকে এবং তার গ্রামীণ ব্যাংককে নোবেল শান্তি পুরস্কার এনে দিয়েছিলো।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২৮ জুন, ১৯৪০ সালে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার বাথুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। উনার পিতার নাম হাজী দুলা মিয়া সওদাগর যিনি পেশায় একজন জহুরি ছিলেন এবং মাতার নাম সুফিয়া খাতুন। দুই ভাই ও নয় বোনের মধ্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছিলেন তৃতীয়। মুহাম্মদ ইউনূসের ভাই মুহাম্মদ ইব্রাহিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবং ছোট ভাই মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর একজন জনপ্রিয় টিভি ব্যক্তিত্ব। মুহাম্মদ ইউনূসের সহধর্মিনীর নাম ড. আফরোজী ইউনুস। দুই কন্যার জনক মুহাম্মদ ইউনূস এর এক মেয়ের নাম মনিকা ইউনূস এবং অন্য জনের নাম দীনা আফরোজ ইউনূস।

স্নাতকের পর কর্মজীবনের শুরুতেই মুহাম্মদ ইউনূস ব্যুরো অব ইকোনমিক্স -এ গবেষণা সহকারী হিসাবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ১৯৬২ সালে চট্টগ্রাম কলেজের অর্থনীতির প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি ফুলব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং পূর্ণ বৃত্তি নিয়ে ভেন্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৯৬৯ সালে অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন।

১৯৬৯ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রের মিডল টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করেন। পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে দেশে ফিরে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন এবং বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি অধ্যাপক পদে উন্নীত হন এবং ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত এই পদে কর্মরত ছিলেন। ১৯৭৬ সালে মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন। অর্থনৈতিক ভাবে দরিদ্র বাংলাদেশী নাগরিকদের ব্যাংকিং সুবিধায় আনার আনার জন্য এবং ঋণ প্রদান করার জন্য এই ব্যাংকটির অবদান রয়েছে অনেক। দরিদ্র নাগরিকদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এই ব্যাংকিং মডেল টি বিশ্ব দরবারে অনেক প্রশংসা অর্জন করে এবং বিশ্বের অনেক উন্নত ও শিল্পোন্নত দেশসমূহ গ্রামীণের এই মডেল ব্যবহার করতে উদ্বুদ্ধ হয়। তার এই অবদানের জন্য মুহাম্মদ ইউনূস এবং তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক যৌথভাবে ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূস হচ্ছেন পৃথিবীর ওয়ান অব দ্যা হায়েস্ট পেইড স্পিকার। স্পিচ দেয়ার জন্য ওনাকে টাকা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ওনার বক্তব্য শোনার জন্য খরচ করতে হয় ৭৫ হাজার থেকে ১ লাখ ডলারের মতো। কখনো আরো বেশি।

 

বিশ্বের নামীদামী প্রতিষ্ঠানগুলো তাকে নিয়ে যান তার বক্তব্য শুনতে। তাকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনার জন্যও ডাকা হয়। ২০২৪ সালে ফ্রান্সে অনুষ্ঠিতব্য প্যারিস অলিম্পিকের আয়োজক কমিটির ৩ জনের একজন হচ্ছে মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে আরেকজন প্রেসিডেন্ট ম্যাঁখ্রো

ড মুহাম্মদ ইউনূসকে যত জানবেন, ড মুহাম্মদ ইউনূসকে যত জানা যায় ততই বোঝা  যায়  দেশ এবং জাতি হিসেবে  তাকে নিয়ে  আমরা  কতটা আনন্দিত  হতে পারি।

অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশি নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদ। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের একজন শিক্ষক। তিনি ক্ষুদ্রঋণ ধারণার প্রবর্তক। অধ্যাপক ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা। মুহাম্মদ ইউনূস এবং তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক যৌথভাবে ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে নোবেল পুরস্কার লাভ করে। তিনি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এই পুরস্কার লাভ করেন। ড. ইউনূস বিশ্ব খাদ্য পুরস্কারসহ আরো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেছেন।গ্রামীণ ব্যাংক তার প্রতিষ্ঠিত হলেও গ্রামীণ ব্যাংকে তার এক টাকার মালিকানাও নাই, শেয়ারও নাই। কখনোই ছিলো না। বিষয়টা আপনার-আমার কাছে আশ্চর্যজনক মনে হতে পারে। কিন্তু এটাই সত্যি। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মাইক্রো-ফাইনান্সের ধারণার মূল ভিত্তিই হচ্ছে এটা। এই ব্যবসার কেউ মালিক হতে পারবে না। সম্পূর্ণ নন-প্রফিট তথা অলাভজনক। এটাকে বলে সামাজিক ব্যবসা। নির্দিষ্ট কোনো মালিক নাই। জনগণই এর মালিক।

ড. ইউনূস পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৪৮টি সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন। শান্তিতে নোবেলজয়ী গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডাল গ্রহণ করেছেন। দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে এই সম্মাননা দেয়া হয় ড. ইউনূসকে, যিনি এই পদক পাওয়া প্রথম বাংলাদেশি।

 

 

২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে ৫ মে জাতিসংঘ ভবনে  বিশ্বের সর্বোচ্চ সম্পদশালী দুই শতাধিক ব্যক্তির সম্মেলনে নোবেলজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আজীবন সম্মাননা পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। জাতিসংঘে বিশ্বের সম্পদশালী ব্যক্তিদের এ সমাবেশের আয়োজন করে বিশ্ববিখ্যাত ফোর্বস ম্যাগাজিন। একজন সামাজিক উদ্যোক্তা হিসেবে ড. ইউনূসকে এ ‘আজীবন সম্মাননা পুরস্কার’ দেয়া হয়।

এছাড়া তিনি যেসব অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন-প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ড (১৯৭৮), রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার (১৯৮৪),কেন্দ্রীয় ব্যাংক অ্যাওয়ার্ড (১৯৮৫), স্বাধীনতা পুরস্কার (১৯৮৭),আগা খান অ্যাওয়ার্ড (১৯৮৯), কেয়ার পুরস্কার (১৯৯৩),নোবেল পুরস্কার (শান্তি) (২০০৬).মানবহিতৈষণা পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (১৯৯৩),মুহাম্মদ সাহেবুদ্দিন বিজ্ঞান (সামাজিক অর্থনীতি) পুরস্কার,শ্রীলঙ্কা (১৯৯৩),রিয়াল এডমিরাল এম এ খান স্মৃতি পদক,বাংলাদেশ (১৯৯৩), বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার,যুক্তরাষ্ট্র (১৯৯৪),পিফার শান্তি পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (১৯৯৪),ডঃ মুহাম্মাদ ইব্রাহিম স্মৃতি স্বর্ণ পদক, বাংলাদেশ (১৯৯৪),

ম্যাক্স সছমিধেইনি ফাউন্ডেশন ফ্রিডম পুরস্কার,সুইজারল্যান্ড (১৯৯৫),ঢাকা মেট্রোপলিটন রোটারারি ক্লাব ফাউন্ডেশন পুরস্কার, বাংলাদেশ (১৯৯৫),আন্তর্জাতিক সাইমন বলিভার পুরস্কার (১৯৯৬),ভ্যানডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয় বিশিষ্ট আলামনাই পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (১৯৯৬),আন্তর্জাতিক একটিভিটিস্ট পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (১৯৯৭),প্লানেটরি কনশিয়াশনেস বিজনেস ইনোভেশন পুরস্কার, জার্মানি (১৯৯৭),হেল্প ফর সেলফ হেল্প পুরস্কার,নরওয়ে (১৯৯৭),শান্তি মানব পুরস্কার (ম্যান ফর পিস এওয়ার্ড) ইতালি (১৯৯৭),বিশ্ব ফোরাম পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (১৯৯৭),ওয়ান ওয়ার্ল্ড ব্রডকাস্টিং ট্রাস্ট মিডিয়া পুরস্কার, যুক্তরাজ্য (১৯৯৮),দ্যা প্রিন্স অফ আউস্তুরিয়া এ্যাওয়ার্ড ফর কনকর্ড, স্পেন (১৯৯৮),সিডনি শান্তি পুরস্কার, অস্ট্রেলিয়া (১৯৯৮),অযাকি (গাকুডো) পুরস্কার, জাপান (১৯৯৮),ইন্দিরা গান্ধী পুরস্কার, ইন্ডিয়া (১৯৯৮),জাস্টটি অফ দ্যা ইয়ার পুরস্কার,ফ্রান্স (১৯৯৮) ( Les Justes D’or ), রোটারারি এ্যাওয়ার্ড ফর ওয়ার্ল্ড আন্ডারস্ট্যান্ডিং, যুক্তরাষ্ট্র (১৯৯৯),গোল্ডেন পেগাসাস এ্যাওয়ার্ড, ইটালি (১৯৯৯)

 

রোমা এ্যাওয়ার্ড ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যানিটারিয়ান, ইটালি (১৯৯৯),রাথিন্দ্রা পুরস্কার, ইন্ডিয়া (১৯৯৮),অমেগা এ্যাওয়ার্ড অফ এক্সিলেন্সি ফরব লাইফ টাইম এচিভমেন্ট, সুইজারল্যান্ড (২০০০),এ্যাওয়ার্ড অফ দ্যা মেডেল অফ দ্যা প্রেসিডেন্সি,ইটালি (২০০০),কিং হুসেইন হিউম্যানিটারিয়ান লিডারশীপ এ্যাওয়ার্ড, জর্ডান (২০০০),আই ডি ই বি গোল্ড মেডেল এ্যাওয়ার্ড, বাংলাদেশ (২০০০),আরতুসি পুরস্কার, ইটালি (২০০১),গ্র্যান্ড প্রাইজ অফ দ্যা ফুকুওকা এশিয়ান কালচার পুরস্কার, জাপান (২০০১),হো চি মীণ পুরস্কার, ভিয়েতনাম (২০০১),আন্তর্জাতিক সহযোগিতা পুরস্কার ‘কাজা ডি গ্রানাডা’, স্পেন (২০০১),নাভারা ইন্টারন্যাশনাল এইড এ্যাওয়ার্ড, স্পেন (২০০১),মহাত্মা গান্ধী পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০২),বিশ্ব টেকনোলজি নেটওয়ার্ক পুরস্কার, যুক্তরাজ্য (২০০৩),ভলভো পরিবেশ পুরস্কার, সুইডেন (২০০৩),জাতীয় মেধা পুরস্কার, কলম্বিয়া (২০০৩),দ্যা মেডেল অফ দ্যা পেইন্টার অসওয়াল্ড গুয়ায়াসামিন পুরস্কার, ফ্রান্স (২০০৩),তেলিছিনকো পুরস্কার স্পেন (২০০৪),সিটি অফ অরভিতো পুরস্কার, ইটালি (২০০৪),

দ্যা ইকোনমিস্ট ইনোভেশন পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৪),ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিল এ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৪),লিডারশীপ ইন সোশ্যাল অন্টাপ্রিনেয়ার এ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৪),প্রিমিও গ্যালিলীয় ২০০০ স্পেশাল প্রাইজ ফর পিস ২০০৪, ইটালি (২০০৪),নিক্কেই এশিয়া পুরস্কার, জাপান (২০০৪),গোল্ডেন ক্রস অফ দ্যা সিভিল অর্ডার অফ দ্যা সোশ্যাল সলিডারিটি স্পেন (২০০৫),ফ্রিডম এ্যাওয়ার্ড যুক্তরাষ্ট্র (২০০৫),বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটি গোল্ড মেডেল বাংলাদেশ (২০০৫),প্রাইজ ২ পন্টে, ইটালি (২০০৫),ফাউন্ডেশন অফ জাস্টিস, স্পেন (২০০৫),হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি নেউসতাদ এ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৬),গ্লোব সিটিজেন অফ দ্যা ইয়ার এ্যাওয়ার্ড,যুক্তরাষ্ট্র (২০০৬),ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট স্বাধীনতা পুরস্কার, নেদারল্যান্ড (২০০৬),ইতু বিশ্ব তথ্য সংগঠন পুরস্কার, সুইজারল্যান্ড (২০০৬),সিউল শান্তি পুরস্কার, কোরিয়া (২০০৬),

 

কনভিভেঞ্চিয়া (উত্তম সহকারিতা) সেউতা পুরস্কার স্পেন (২০০৬),দুর্যোগ উপশম পুরস্কার, ইন্ডিয়া (২০০৬),সেরা বাঙালী ইন্ডিয়া (২০০৬),গ্লোবাল ট্রেইলব্লেজার পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭),এ বি আই সি সি এ্যাওয়ার্ড ফর লিডারশীপ ইন গ্লোবাল ট্রেড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭),সামাজিক উদ্যোক্তা পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭),বিশ্ব উদ্যোগী নেতৃত্ব পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭),রেড ক্রস স্বর্ণ পদক, স্পেন (২০০৭),রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্ম শত বার্ষিকী স্মারক, ইন্ডিয়া (২০০৭),ই এফ আর বাণিজ্য সপ্তাহ পুরস্কার,নেদারল্যান্ড (২০০৭),নিকলস চ্যান্সেলর পদক, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭),ভিশন এ্যাওয়ার্ড, জার্মানি (২০০৭),বাফি গ্লোবাল এচিভমেন্ট এ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭),রুবিন মিউজিয়াম মানডালা এ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭),সাকাল বর্ষ ব্যক্তিত্ব পুরস্কার, ইন্ডিয়া (২০০৭),১ম আহপাডা গ্লোবাল পুরস্কার, ফিলিপাইন (২০০৭),মেডেল অফ ওনার, ব্রাজিল (২০০৭),জাতিসংঘ সাউথ- সাউথ সহযোগিতা পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭),প্রোজেক্ট উদ্যোগী পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৮),আন্তর্জাতিক নারী স্বাস্থ্য মিশন পুরস্কার, নিউইয়র্ক (২০০৮),কিতাকইয়ুশু পরিবেশ পুরস্কার জাপান (২০০৮),চ্যান্সেলর পদক, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৮),প্রেসিডেন্স পদক, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৮),মানব নিরাপত্তা পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৮),বাৎসরিক উন্নয়ন পুরস্কার, অস্টিয়া (২০০৮),মানবসেবা পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৮),শিশু বন্ধু পুরস্কার স্পেন (২০০৮),

এ জি আই আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান পুরস্কার জার্মানি (২০০৮),করিনি আন্তর্জাতিক গ্রন্থ পুরস্কার জার্মানি (২০০৮),টু উয়িংস প্রাইজ,জার্মানি (২০০৮),

বিশ্ব মানবতাবাদী পুরস্কার, ক্যালিফোর্নিয়া (২০০৮),ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিল এ্যাওয়ার্ড  ক্যালিফোর্নিয়া (২০০৮) , এস্টরিল গ্লোবাল ইস্যু’স ডিসটিনগুইশড বুক প্রাইজ, পর্তুগাল (২০০৯),এইসেনহওয়ের মেডেল ফর লিডারশীপ অ্যান্ড সার্ভিস, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৯),গোল্ডেন বিয়াটেক এ্যাওয়ার্ড স্লোভাকিয়া (২০০৯),গোল্ড মেডেল অফ ওনার এ্যাওয়ার্ড যুক্তরাষ্ট্র (২০০৯),প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অফ ফ্রিডম যুক্তরাষ্ট্র (২০০৯),

 

 

পি আই সি এম ই টি এ্যাওয়ার্ড পোর্টল্যান্ড (২০০৯),বৈরুত লিডারশীপ এ্যাওয়ার্ড (২০০৯),সোলারওয়ার্ল্ড আইন্সটাইন এ্যাওয়ার্ড (২০১০)।

গত  ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, শুক্রবার দুপুরে সিডনির একটি পাঁচতারা হোটেলের ভেন্যুতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী বাংলাদেশের প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ও সামাজিক উদ্যোক্তা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সাথে বাংলাদেশী কমিউনিটির একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ  করেন। এই প্রতিনিধিদলে বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত অস্ট্রেলিয়ান রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, সমাজকর্মী সহ অস্ট্রেলিয়া থেকে প্রকাশিত একমাত্র বাংলা পত্রিকা সুপ্রভাত সিডনির উপদেষ্টা, প্রধান সম্পাদক ও সম্পাদকসহ নানা পেশার মানুষরা অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। এই সাক্ষাতের সময় ড. ইউনুস তার কাজ, লক্ষ্য এবং চিন্তা সম্পর্কে সবার সাথে আন্তরিক পরিবেশে মতবিনিময় করেন।

বাংলাদেশী প্রতিনিধিদের সামনে ড. ইউনুস বলেন, বর্তমান পৃথিবী যেই অর্থনৈতিক মতাদর্শে পরিচালিত হচ্ছে তাতে স্বার্থপরের মতো ব্যক্তির নিজের উন্নয়নই একমাত্র লক্ষ্য হিসেবে বিবেচিত হয়। এর পরিবর্তন ঘটিয়ে তিনি এমন এক অর্থনৈতিক কাঠামোর কথা পৃথিবীবাসীকে জানাতে চান যেখানে সামষ্টিক উন্নয়নের লক্ষ্যে অর্থনৈতিক কাজকর্ম পরিচালনা হবে। এমন একটি অর্থনীতির ফলে সম্পদের বিষম-বন্টন দূর হবে এবং একই সাথে বর্তমান ধংসোম্মুখ গ্রহকেও বাঁচানো সম্ভব হবে।

সামাজিক ও সামষ্টিক উন্নয়নের এই লক্ষ্যকে বাস্তবায়ন করার জন্য তিনি বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সরকার ও মানুষকে তিনটি শুণ্য লক্ষমাত্রা অর্জনে উৎসাহিত করতে চান। তাঁর মতে, শূন্য কার্বন নিঃসরণ, শূন্য সম্পদের পুঞ্জিভূতকরণ এবং শূন্য বেকারত্বের মাধ্যমে এই পরিবর্তিত অর্থনৈতিক কাঠামোর দিকে বিশ্ব অনেকদূর এগিয়ে যেতে পারে।

 

ড. ইউনুস বাংলাদেশী প্রতিনিধিদেরকে এই সাক্ষাতের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। এসময় তিনি প্রতিনিধিদলের সদস্যদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। প্রতিনিধিদলে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রভাত সিডনির উপদেষ্টা -চার্লস স্টার্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিবলী সোহাইল, সুপ্রভাত সিডনির প্রধান সম্পাদক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ ইউসুফ শামীম,  সুপ্রভাত সিডনির সম্পাদক ড. ফারুক আমিন, ক্যাম্পবেলটাউন সিটি কাউন্সিলের ডেপুটি মেয়র ইব্রাহিম খলিল মাসুদ , প্রফেসর মাহফুজ আশরাফ, প্রমিথিউস সিদ্দিকী,রাশেদ খান, অস্ট্রেলিয়ান ক্যাথোলিক ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ও গবেষক ড ফারজানা মাহবুব ,রাহাত শান্তনু প্রমুখ।

গত ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ  ইউনূস গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে  শপথ গ্রহণ করেন এবং তার নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করে। অস্ট্রেলিয়াবাসীর পক্ষ থেকে রইল অনেক শুভ কামনা ও অভিনন্দন।

Read More

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked with *

1 Comment

  • Md Yunus Ali Mondal
    August 24, 2024, 9:34 am

    I am proud see those achievements. Thanks to everyone related with this noble program. May Allah swt bless us all. Ameen
    Yunus

    REPLY

সর্বশেষ পোস্ট

Advertising