সুপ্রভাত সিডনিতে ড. শফিকুর রহমানের যোগদান

সুপ্রভাত সিডনি  রিপোর্ট:অস্ট্রেলিয়া থেকে প্রকাশিত একমাত্র বাংলা পত্রিকা, ২০০৯ সাল থেকে একটিও সংখ্যা বন্ধ না করে নিয়মিতভাবে প্রকাশিত হচ্ছে। কোভিডের কঠিন সময়েও প্রতিটি সংখ্যা অত্যন্ত যত্নসহকারে প্রকাশিত হয়েছে। কপি-পেস্টে বিশ্বাসী নয় এমন একটি সংবাদপত্র বিশ্বের মধ্যে বিরল। সুপ্রভাত সিডনি এই বিরল কাজটি অত্যন্ত পরিশ্রমের সাথে করে যাচ্ছে।
সুপ্রভাত সিডনির কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে আমাদের পরিবারে যোগ দিয়েছেন একজন অভিজ্ঞ সাংবাদিক – ড. শফিকুর রহমান। আমরা তাঁর আগমনে অত্যন্ত আনন্দিত এবং বিশ্বাস করি, আগামীর অনাগত দিনগুলোতে সুপ্রভাত সিডনি তার নেতৃত্বে আরও সফল ও সার্থক হবে ড.শফিকুর রহমানের যোগদান সুপ্রভাত সিডনির নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।
ড. শফিকুর রহমান তরুণ বয়স থেকেই সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত। ১৯৯১ সালে ঢাকায় “স্পন্দন” নামক একটি মাসিক সাহিত্য পত্রিকা শুরু করেন এবং তার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৪ সালের শুরুতে, তিনি ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের অধীনে “ভয়েস অব আমেরিকা (ভিওএ)” বাংলা বিভাগের স্থানীয় শ্রোতা সমন্বয়ক হিসেবে নিযুক্ত হন এবং দুই বছর ধরে সাফল্যের সঙ্গে এই দায়িত্ব পালন করেন।
এই সময়েই ভিওএ বাংলা বিভাগের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সদস্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার সুযোগ পান, যেমন গিয়াস কামাল চৌধুরী, ইকবাল বাহার চৌধুরী, রোকেয়া হায়দার, সরকার কবির উদ্দিন, মাসুমা খাতুন, দিলারা হাশেম ও জিয়াউর রহমান। তার কর্মদক্ষতা ও সফলতায় মুগ্ধ হয়ে ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস তাকে নানা পুরস্কারে ভূষিত করে।
সাবেক ফার্স্ট লেডি হিলারী ক্লিনটনের বাংলাদেশ সফরকালে, ভিওএ শ্রোতাদের পক্ষ থেকে তিনি বিল ক্লিনটন, হিলারী ক্লিনটন ও চেলসিয়া ক্লিনটনকে স্মৃতিচিহ্ন স্বরূপ উপহার প্রদান করেন। এছাড়া, শ্রোতাদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন এবং তাদের মতামত সংগ্রহের জন্য তিনি বাংলাদেশর বিভিন্ন অঞ্চলে সফর করেন এবং ভিওএ ওয়াশিংটন অফিসের আমন্ত্রণে কেন্দ্রীয় কার্যালয় পরিদর্শন করেন।

তিনি প্রায় দেড় যুগ ধরে স্কিল্ড মাইগ্রেশন পদ্ধতির আওতায় অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বসবাস করছেন এবং প্রবাসী টিভি অস্ট্রেলিয়ার সিইও হিসেবে কাজ করছেন। তিনি দুই বছর বাংলাদেশে বৈশাখী টিভির “শিক্ষা সংলাপ” অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ছিলেন। তার শিক্ষাগত যোগ্যতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে এমবিএ, অস্ট্রেলিয়ার ম্যাকুয়ারী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি, এবং মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি মালয়শিয়া পারলিস থেকে পোস্ট-ডক্টরাল ফেলোশিপ রয়েছে।
তিনি বিশ্ববিখ্যাত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে “ফান্ডামেন্টালস অব কেস টিচিং” কোর্স সম্পন্ন করেছেন এবং ওয়াশিংটন ডিসির ইউএস ফরেন সার্ভিস ইনস্টিটিউটে অর্থনীতি বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। বর্তমানে তিনি ইন্টারন্যাশনাল ওপেন ইউনিভার্সিটির একজন প্রফেসর এবং সিনেট সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *