728 x 90

অস্ট্রেলিয়া বিএনপির বিজয় দিবস উদযাপন

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও এক বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সিডনির লাকেম্বায় অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মোসলেহ উদ্দিন হাওলাদার আরিফ এবং অত্যন্ত সাবলিবভাবে পরিচালনা করেন বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার সিনিয়র নেতা কুদরতউল্লাহ লিটন। সম্প্রতি বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতের উপর আওয়ামী চরম পন্থীদের ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদ করে অচিরে

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও এক বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সিডনির লাকেম্বায় অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মোসলেহ উদ্দিন হাওলাদার আরিফ এবং অত্যন্ত সাবলিবভাবে পরিচালনা করেন বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার সিনিয়র নেতা কুদরতউল্লাহ লিটন। সম্প্রতি বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতের উপর আওয়ামী চরম পন্থীদের ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদ করে অচিরে আওয়ামী সরকারকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর দাবি জানানো হয়।

জাতীয় ও দলীয় সংগীতের মাধ্যমে পতাকা উত্তোলনের ভিতর অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও অস্ট্রেলিয়া থেকে প্রকাশিত একমাত্র বাংলা পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ ইউসুফ শামীম।

ভার্চুয়ালে বাংলাদেশ থেকে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিষ্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ।

বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন সাউথ এশিয়ান পলিসি ইনিশিয়েটিভের সাধারণ সম্পাদক, গবেষক, লেখক ও মানব অধিকার কর্মী অধ্যাপক শিবলী আব্দুল্লাহ, জিয়া ফোরামের নেতা সোহেল মাহমুদ ইকবাল(ইন্জিনিয়ার), বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার নেতা কামরুল হাসান আজাদ, সাংস্কৃতিক উদযাপন কমিটির আহ্ববায়ক ও বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার নেতা আব্দুস সামাদ শিবলু, বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার নেতা কামরুল ইসলাম শামীম (ইন্জিনিয়ার), বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার নেতা খাইরুল কবির পিন্টু, এস এম খালেদ, এম ডি কামরুজ্জামান, বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার নেতা মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন আহম্মেদ, বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার নেতা মোহাম্মদ জাকির হোসেন রাজু, বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার নেতা গোলাম রাব্বী শুভ্র, বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার নেতা মো. আনোয়ারুজ্জামান, জাসাস সদস্য সচিব মাহবুবুর রহমান, সূধন জোসেফ ক্রস, আব্দুল করিম, বাচ্চু, অসীত গোমেজ, যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক নূর মোহাম্মদ মাসুম, কামরুজ্জামান আজাদ, খোরশেদ আলম, মোঃ রাশেদুল ইসলাম, মো. হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে সংযুক্ত হন বারবার নির্বাচিত সুপ্রিম কোর্ট বা অ্যাসোসিয়েশনের নেতা এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল কেন্দ্রীয় সংসদের অন্যতম যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন তার বক্তৃতায় অস্ট্রেলিয়া শাখা বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল্লাহ ইউসুফ শামিমের অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সাথে তুলে ধরেন। পাশাপাশি একটি সাবলীল সুন্দর সমকালীন অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য বিএনপি অস্ট্রেলিয়া নেতা মোসলে উদ্দিন হাওলাদার কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

অস্ট্রেলিয়া বিএনপি নেতা কুদরত উল্লাহ লিটনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিষ্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, অবৈধ আওয়ামী সরকার পুলিশ বাহিনী দিয়ে ১০ ডিসেম্বর বিএনপির পল্টন দলীয় কার্যালয়ে হামলা করে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের আটক করে মিথ্যা মামলা দিয়েছে।তিনি অবিলম্বে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ সকল কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবি করেন।

শিবলী আব্দুল্লাহ বলেন, আজ সারা বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে গণতন্ত্র এবং ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার জন্যও আওয়ামী অপশাসনের বিরুদ্ধে। তাই বিএনপির দলীয় কার্যালয় বন্ধ করে ও হামলা করে কোন লাভ হবেনা।

অস্ট্রেলিয়া বিএনপি প্রতিষ্টাতা এম,এ, ইউসুফ শামীম বলেন, দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আন্দোলন আর ও বেগবান করা অতি জরুরি । তাই এই ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে আমাদের প্রতিজ্ঞা করতে হবে- তারেক রহমানের নেতৃত্বে হঠাও মাফিয়া বাচাঁও দেশ টেইক বেক বাংলাদেশ স্লোগান বুকে ধারন করে অবৈধ হাসিনার পতন পর্যন্ত মাঠে থাকার প্রত্যয়। ভারতের দালাল স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের দিন শেষ হয়ে আসছে। তিনি আরো বলেন-আমরা আশাবাদী, এ ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন আগামী ছয় মাসের ভিতর হবে ইনশাল্লাহ।

বাংলাদেশী অধ্যুষিত সিডনির লাকেম্বা এলাকায় বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার বিজয় উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়। সকাল থেকে সিডনির লাকেম্বা বিজয়ের ঊৎসবে মেতে উঠে । রং-বে রংয়ের ব্যানারে ফেস্টুনে প্রধান সড়ক বিজয়ের ঊৎসবে মেতে উঠে। ল্যাকেম্বার রেলওয়ে প্যারেডে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দলের দলীয় পতাকা দিয়ে সজ্জিত করা হয় । বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা প্রধান সড়কে যখন উড়ছিল সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত, শিশু নারী পুরুষ গভীর শ্রদ্বার সাথে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করেন। অনেকের চোখের কোনে দেখা যাচ্ছিল বিজয়ের অশ্রু। যে বিজয়ের জন্য ৩০ লক্ষ শহীদ তাদের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিলেন । ৩ লক্ষ মা-বোন ইজ্জত দিয়েছিলেন একটি লাল সবুজের পতাকার জন্য। হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসা আর অশ্রুসিক্ত চোখে অনেকেই প্রশ্ন করেন: বাংলাদেশ কি আসলেই সে বিজয় পেয়েছে ? যে বিজয়ের জন্য ৩০ লক্ষ শহীদ তাদের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিল ।

দিনটিকে বর্ণাঢ্য ,উজ্জ্বল ,আলোকিত ,সাফল্যমন্ডিত করার জন্য স্থানীয় বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সেজেছিল দলীয় মাফলার গলায় নিয়ে । লাল সবুজের মাফলারে ছিল বহু দলীয় গণতন্ত্রের প্রতীক ,সংবাদপত্রে স্বাধীনতার প্রতীক ,শোসন মুক্ত সমাজের প্রতীক , স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক ধানের শীষ । বিএনপির নেতারা আমন্ত্রিত অতিথিদের ধানের শীষ প্রতিক খোচিত মাফলার দিয়ে বরণ করে নেন ।

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড এবং বিএনপি দলীয় পতাকা এবং জাতীয় পতাকা ছিলো পুরো এলাকা জুড়ে। বিএনপির নেতা কর্মীরা ‘স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া, লও লও লও সালাম’, ‘এক জিয়া লোকান্তরে, লক্ষ জিয়া ঘরে ঘরে’, ‘মুক্তি মুক্তি মুক্তি চাই, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’, ‘মুক্তি মুক্তি চাই মির্জা ফখরুলের মুক্তি চাই বাংলাদেশ যাবে কোন পথে, ফয়সালা হবে রাজপথে’ ইত্যাদি শ্লোগানে সরব-সোচ্চার ছিলো।

সন্ধায় মনোমুগ্ধকর আলোকসজ্জা সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে । এত আনন্দঘন পরিবেশেও সকলের মুখে ছিল একটি প্রশ্ন ? প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ কি ভালো আছে ? এক পর্যায়ে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশের মুক্তিকামী জনতার প্রানের স্পন্দন গণতন্ত্রের মা” দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শ্লোগানমুখর ও প্রতিবাদী হয়ে উঠে । ঊপস্হিত জনতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপি মহাসচিবসহ স্বৈরচারের কারাগারে বন্দি সকল রাজবন্দীর মুক্তির দাবিতে মুহুর মুহর শ্লোগানে পুরো এলাকা প্রকম্পিত করে তুলেন । পাশাপাশি গণতন্ত্রের মডেল বলে খ্যাত অস্ট্রেলিয়ার (সিডনি -ল্যাকেম্বা) অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় পতাকা,বাংলাদেশের জাতীয় ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদীদলের পতাকা দিয়ে ছেয়ে রাখা হয়।

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক জনপ্রিয় দেশের গানগুলি দিয়ে সাজানো হয় সাংস্কৃতিক পর্ব । সাংস্কৃতিক পর্বে অংশ নেন অস্ট্রেলিয়ার প্রখ্যাত সংগীত দল “স্বপ্ন” । সালাম সালাম হাজার সালাম, এক সাগর রক্তের বিনিময়ে, কারার ঐ লৌহ কপাট ইত্যাদি হৃদয় ছোয়ানো গানগুলি যেন আবার এক স্বাধীনতার ডাক দিচ্ছিল ।

ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের দিকে লক্ষ্য রেখে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে মাগরিব এবং এশার নামাজের জন্য বিরতি দেওয়া হয়। ফলে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ভূরসী প্রশংসা কুড়িয়ে নেন বিএনপি অস্ট্রেলিয়া শাখার নেতৃবৃন্দরা।

স্বপ্ন ব্যান্ডের বাংলাদেশ,বাংলাদেশ গান আর শিশু নারী পুরুষের পোশাকে লাল সবুজের পতাকার আদলে সুসজ্জিত পোষাক অনুষ্ঠান স্থল পরিণত হয়েছিল একটি ক্ষুদ্র বাংলাদেশ। উল্লেখ থাকে যে,প্রতিষ্ঠার পর এবারই প্রথম বিএনপি অস্ট্রেলিয়া শাখা বহুল ঘন বসতি বাংলাদেশী অধ্যুষিত এলাকা লাকাম্বার মত স্থানে ওপেন এয়ার কনসার্ট এর মাধ্যমে মহান বিজয় দিবসের তাৎপর্য ও মহিমা তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানটি সফল করার জন্য অথবা যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে অনুষ্ঠানটি পরিপূর্ণভাবে সার্থক হয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম আব্দুর সামাদ শিবলু মোঃ জাকির হোসেন রাজু, খায়রুল কবির পিন্টু ও কামরুল ইসলাম শামীম (ইঞ্জিনিয়ার)। অনুষ্ঠানের সভাপতি সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

Read More

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked with *

সর্বশেষ পোস্ট

Advertising