728 x 90

অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা কেমন আছে

সামসুল ইসলাম টুকু: বাংলাদেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি ,বিষর্জন দিয়ে এবং পারিবারীক বন্ধন ছিন্ন করে দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে অসংখ্য যুবক । অনেক প্রতিষ্ঠিত চাকুরীজীবীও এ কাতারে আছে । তারা এ দেশে আর ফিরে আসতে চায়না । এদের সংখ্যা নেহাত কম নয় । লাখ লাখ । ইন্টারনেট , ফেসবুক , ওয়েবসাইট প্রভৃতির কল্যানে বেশী করে এ সু্যোগ

সামসুল ইসলাম টুকু: বাংলাদেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি ,বিষর্জন দিয়ে এবং পারিবারীক বন্ধন ছিন্ন করে দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে অসংখ্য যুবক । অনেক প্রতিষ্ঠিত চাকুরীজীবীও এ কাতারে আছে । তারা এ দেশে আর ফিরে আসতে চায়না । এদের সংখ্যা নেহাত কম নয় । লাখ লাখ । ইন্টারনেট , ফেসবুক , ওয়েবসাইট প্রভৃতির কল্যানে বেশী করে এ সু্যোগ সৃষ্টি হয়েছে । আর গত ২৫/৩০ বছরে এই দেশ ত্যাগের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রবলভাবে । এদের সকলেরই খুব সাধারন আকাঙ্খা,  বিদেশে  উন্নত জীবন । উন্নততর জীবন যেন তাদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে । কিন্তু সেটাই কি দেশত্যাগের মুল কারন  না আরও বহু কারন আছে যা তাদের দেশত্যাগে উৎসাহিত করেছে ।

বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ হলেও এর পলিযুক্ত উর্বর মাটিতে কৃষকরা যা কিছু চাষ করে তাতেই সোনা ফলে । মাঠ ভরা ধান পুকুর ভরা মাছ নিয়েই বাংলাদেশের মানুষেরা গর্বিত ।সারা বিশ্বে পরিচিতি ছিল মাছে ভাতে বাঙালী । সেইসাথে শষ্য  শ্যামল এদেশে হয় নানা ধরনের শাক সবজী আর বিভিন্ন জাতের সুমিষ্ট ফল । প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে উৎপাদন হয়েছে প্রচুর । কিন্তু জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং আবাদি জমির পরিমাণ  ক্রমশ কমে যাওয়ার ফলে  খাদ্য সংকট ও আয় রোজগারের পথ সংকুচিত হয়েছে । এ কারনে যুব সমাজ কাজের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিচ্ছে বিদেশে । শ্রমিক হিসেবে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে আর ষ্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে উড়াল দিচ্ছে আমেরিকা অষ্ট্রেলিয়া কানাডা সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ।মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে যারা যায় তারা তাদের নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত থাকতে পারে এবং মেয়াদ শেষে ফিরে আসতে হয় । কিন্তু যারা ষ্টুডেন্ট ভিসা বা চাকুরী নিয়ে অথবা স্থায়ী বসবাসের অনুমতি নিয়ে পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে যায় তাদের ৯৫% আর ফেরেনা । প্রবাসী হয়ে যায় । পাশ্চাত্য দেশগুলোর আইন শৃঙ্খলা , নিরাপত্তা , বৈধ আয়ের পথ তাদের ভীষনভাবে আকৃষ্ট করে ।যারা ভিসা সংগ্রহ করতে পারেনা তারা চোরাপথে এ দেশগুলোতে প্রবেশের জন্য মরনপন চেষ্টা করে ।মাইলের পর মাইল পথ হেঁটে , হাজার হাজার মাইল সমুদ্র পথ ইঞ্জিন চালিত নৌকায় পাড়ি দেয় মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও । অনেকের সমুদ্রে সলিল সমাধি হয় ।তারপরেও এই মৃত্যুযাত্রা থেমে নেই । এ দেশগুলো কল্যান রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত ।কেউ সেখানে পৌঁছে গেলে তাকে তাড়িয়ে দেয়না । বরং তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেয় ।এই সুবিধা নিশ্চিত হবার কারনে ২০০০ সালের কিছু আগে থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত স্রোতের মত চলতে থাকে বাংলাদেশীদের বিদেশ যাত্রা । যদিও এ যাত্রা শুরু হয় প্রায় ৬০ বছর আগে থেকে ।অবশ্য এসব উন্নত দেশগুলো নিজেদের স্বার্থে তথা তাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য ,অর্থনীত ও প্রযুক্তির বিকাশের জন্য সহজ অভিবাসী আইন তৈরী করে । আর এই সুযোগকে কাজে লাগায় বাংলাদেশ সহ উন্নয়নশীল দেশগুলোর লাখ লাখ যুব সমাজ । এই স্রোতকে ঠেকানোর জন্য ২০১৯ সালের পর অভিবাসী আইনে বিভিন্ন শর্ত আরোপ সহ কিছু কঠোর করেছে । তারপরেও এসব শর্ত পুরন করে বাংলাদেশীরা বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে ।

আমার ছেলে অষ্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের সিডনী শহরে চাকুরী করে সেই সুবাদে আমি স্ত্রী সহ বেড়াতে এসেছি । এখানকার বিভিন্ন ঐতিহাসিক নিদর্শন, প্রকৃতির নৈস্বর্গিক দৃশ্য্‌ ঘন নীল সমুদ্র  যেমন দেখেছি তেমনি প্রবাসী বাংলাদেশীদের সাথে মেলামেশা ও কথা বলার অবাধ সুযোগ পেয়েছি । সিডনীর জনসংখ্যা প্রায় ৫০ লাখ । এর মধ্যে বাংলাদেশী প্রায় ৫২ হাজার । সেটাও ২০১৬ সালের গননায় । ল্যাকেম্বা শহরটি বাংলাদেশীদের শহর বা ছোট ঢাকা বললে ভুল হবেনা । সেখানকার ব্যাবসা বানিজ্যের একটা অংশ দখল করে রেখেছে । ল্যাকেম্বা রেল ষ্টেশনের লাগা এলাকাটি বাংলাদেশীদের বসবাস । এমনও বলা হয় যে এখানে রোহিঙ্গারাও অবৈধভাবে এখানে এসেছে। হয়তো এমন কারনেই অষ্ট্রেলিয়া সরকার সমুদ্র উপকূল বর্তমানে সুরক্ষিত করেছে ।

এসে পরিচিত অপরিচিত অনেক বাংলাদেশীর সাথে কথা বলে তাদের আগমন এর কারন  তাদের কার্যক্রম , এখানে অবস্থানের ইচ্ছা প্রভৃতি জানতে পেরেছি । বাংলাদেশের অস্থির রাজনীতি , সহিংসতা , দুর্নীতি , আমলাতন্ত্র , বেকারত্ব ,অপশাসন , নৈরাজ্য প্রভৃতি অন্যতম কারন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে । হাবিব ও শিল্পী স্বামী স্ত্রী । দুজনেই ইঞ্জিনিয়ার ।তাদের একজন চাকুরী করতেন ডেসায় অপরজন ওয়াসায় । তারপরেও ২০০৪ সালে অষ্ট্রেলিয়ায় চলে আসেন। এখানে এসে দুজনেই চাকুরী করেছেন ।কিন্তু তাদের দুই ছেলের দেখভালের জন্য শিল্পী চাকুরী ছেড়ে দেন। হাবিব অষ্ট্রেলিয়া সরকারের রেলের বিদ্যুত প্রকৌশলী। বাড়ীঘর কিনে স্থায়ীভাবে সিডনীতে বাস করেন । বাংলাদেশে চাকুরীর সময় বেতন বিল নিয়ে এজি অফিসে গেলে বিল পাশ করার জন্য ঘুষ দিতে হতো কোন অবৈধ কাজ না করেও ।যা তাদের সম্মান ও ব্যক্তিত্বে ভীষন আঘাত করে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন দেশ ত্যাগ করবেন । তাদের বড় ছেলে বর্তমানে একজন প্রকৌশলী। মামুনুর রশীদের ছাত্র জীবন খুব উজ্জ্বল ।তিনি রংপুর ক্যান্ট কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট , ভারতের মাদ্রাজ থেকে আইটি তে ব্যাচেলর । তারপরে সোজা পাড়ী দিলেন অষ্ট্রেলিয়ায় এবং ২০০২ সালে ওয়েষ্টার্ন সিডনী ইউনিভার্সিটি থেকে একই বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রী নিয়ে চাকুরী করেন । তার স্ত্রীও নার্সিং এর  প্রশিক্ষন নিয়ে কিছুদিন চাকুরী করেন।তাদের দুই ছেলেকে মানুষ করার জন্য চাকুরী ছেড়ে দেন । তারা বাড়ীঘর কিনে স্থায়ীভাবে সিডনীতে বসবাস করছেন । দেশে বেশকিছু জমিজমা ছিল । কিন্তু ভুমি বিভাগের জটিলতা ও দুর্নীতির কারনে অনেক জমি বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন । তারা ওই তিক্ত অভিজ্ঞতার কারনে দেশে ফিরে যেতে চাননা । আব্দুল আজিজ ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ প্রশাসনের এডিসি ছিলেন । প্রশাসনের ক্ষমতাধর ব্যক্তি হয়েও ১৯৯৪ সালে চাকুরী ছেড়ে চলে আসেন অষ্ট্রেলিয়ায় । তার স্ত্রী আগেই এখানে এসেছিলেন পিএইচডি করার জন্য ।স্ত্রীর আহবানেই আব্দুল আজিজ এখানে আসেন এবং দশ বছর  বেসরকারী চাকুরী করে  ছেড়ে দেন ও নিজেই একটি একাউন্টিং ফার্ম খুলেছেন । তিনি বলেন বাংলাদেশের আমলাতন্ত্র এবং অষ্ট্রেলিয়ার আমলাতন্ত্রের মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য । এখানে বাংলাদেশের আমলাতন্ত্রের মত  যেমন অপরিসীম ক্ষমতা নেই তেমনি তার অপব্যাবহারও নেই । এখানে কর্মকর্তা বলে কিছু নেই ।যার যা দায়ীত্ব তা সঠিকভাবে পালন করেন,  একই ধরনের চেয়ার টেবিলে বসেন। তোয়ালে দেওয়া রাজকীয় চেয়ার নেই । স্যার বলা বা শোনা এবং তোষামোদির সুযোগ নেই । সবাই সবাইকে নাম ধরে আহবান করেন ।তাকে বললাম এতদিন বাংলাদেশে থাকলে মুক্তিযোদ্ধার কোটাতেই সচিব হতে পারতেন এজন্য কোন দুখবোধ হয়না । এর উত্তরে তিনি বলেছিলেন , ক্ষমতাধর না হয়েও তিনি এখানে চাকুরী করে সৎভাবে ৪/৫ টি বাড়ী কিনেছেন এবং  ক্লেদমুক্ত জীবনযাপন করছেন ।এখানে বহু ইঞ্জিনিয়ার ডাক্তার কৃষিবিদ আছেন । এই অল্প পরিসরে এত নাম বলা সম্ভব নয় । তারা বাংলাদেশেও চাকুরী করেছেন ,ভাল আয় রোজগার করেছেন । কিন্তু সেখানে প্রশাসনের  ক্যাডারদের অনাকাঙ্খিত ক্ষমতার অপব্যাবহার , দুর্ব্যাবহার এবং বিশেষজ্ঞ না হয়েও কর্তৃত্ব করা প্রভৃতি কারনে রাগে ক্ষভে দুঃখে অষ্ট্রেলিয়া পাড়ি দিয়েছেন । এখানে কোন রাজনৌতিক ও আমলাতান্ত্রিক প্রভাবের শিকার হতে হয়না । এখানে সবাই প্রতিষ্ঠিত । কেউ দেশে ফিরে যেতে চায়না ।

এখানে প্রচুর বাংলাদেশী ব্যাবসা করেন । বড় বড় দোকান আছে ।বাংলা বাজার , বাংলাদেশী গ্রোসারী ,টুকিটাকি,  কাউরানবাজার ,হালাল দোকান সহ বিভিন্ন নামে সেইসব ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ।বাংলাদেশী সহ বিভিন্ন দেশের মুসলমানেরা তাদের ক্রেতা । প্রায় ২৫ বছর আগে এখানে এসেছিলেন মুন্সিগঞ্জের ইব্রাহিম খলিল মাসুদ ।পলিটিক্যাল সায়েন্সের ছাত্র । চাকুরী করতে করতে এক সময় ক্যাম্পবেল টাউনের কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করবার ইচ্ছে হলো । নির্বাচিত হয়ে গেলেন ।বর্তমানে তিনি  ডেপুটি মেয়রের পদ মর্যাদা পেয়েছেন ।আর একজন মাসুদ চৌধুরী তিনিও একজন কাউন্সিলর এবং অষ্ট্রেলিয়ার লেবার পার্টীর সদস্য । আব্দুল্লাহ ইউসুফ শামীম  ঢাকার সন্তান। তিনি চাকুরী করেন । পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া থেকে প্রকাশিত একমাত্র বাংলা পত্রিকা“সুপ্রভাত সিডনী”তে সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। নারায়ঙ্গঞ্জের কৃষিবিদ আরমান এখানে চাকুরী করার পাশাপাশি অষ্ট্রেলিয়া সরকারের নিকট থেকে ১৫ বিঘা জমি লীজ নিয়ে কৃষি ফার্ম গড়ে তুলেছেন ।  সবজী চাষ করেন ।যার অভাবিত চাহিদা রয়েছে বিভিন্ন শপিং মলে । দেখলাম তার ফার্মে মাসখানেক আগে ষ্টুডেন্ট ভিসায় আসা ১০জন মাস্টার্স পাশ করা ছাত্র কোদাল দিয়ে মাটি কোপাচ্ছে ।তারা ঘন্টায় ১৮ ডলার পারিশ্রমিক নিয়ে তাদের থাকা খাওয়া ও লেখাপড়ার খরচ যোগায় । আশা করে লেখাপড়া শেষে ভাল চাকুরী পাবে ।অষ্ট্রেলিয়ায় এসে কোদাল কোপানোর কারন জিজ্ঞাসা করলে তারা বলেন , বাংলাদেশে বেকারত্ব ব্যাপক ।চাকুরী পাওয়া খুবই কঠিন । তাছাড়া চাকুরী ক্ষেত্রে লাখ লাখ টাকা ঘুষ এবং ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডার হতে হয় ।ল্যাকেম্বা শহরে এক রেষ্টুরেন্টে এক যুবককের সাথে আলাপকালে বলেন ডিগ্রী পাশ করে চাকুরী করার জন্য মালয়েশিয়ার ভিসা নিয়ে এসেছিলেন। সেখানে চাকুরিও করেছেন কিছুদিন । একসময় সেখান থেকে অবৈধপথে জীবিনের ঝুঁকি নিয়ে ইঞ্জিন চালিত নৌকায় কয়েকহাজার মাইল প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দিয়ে অস্ট্রেলিয়া উপকুলে পৌছালেন । তার সাথে আরও কয়েকটি দেশের সহযাত্রী ছিল । অষ্ট্রেলিয়ার উপকূল রক্ষী তাদের আটক করে । তারা সবাই সরকারের কাছে বিভিন্নভাবে আশ্রয় প্রার্থনা করলে তাদের তিন মাস একটি ক্যাম্পে প্রশিক্ষন দিয়ে কাজ করার জন্য ছেড়ে দেয় । এমন হাজার হাজার কাহিনী ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অষ্ট্রেলিয়ার আনাচে কানাচে । কেউই দেশে  ফিরে যেতে চায়না এ দেশের আইন শৃঙ্খলা নিরাপত্তা ও উন্নত জীবন ছেড়ে।

তবে সকলের মনে বেশকিছু আশংকা ও অনিশ্চয়তা কাজ করছে ।বিশেষত যারা বর্তমানে পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন । সেগুলো হচ্ছে তাদের পরবর্তী প্রজন্মের ধর্মীয় অনুভূতি , জাতীয় সংস্কৃতি , পারিবারীকবন্ধন ,বংশ পরম্পরার অস্তিত্ব।এক শ্রেনীর মানুষ ধর্মীয় অনুভূতি বা মুসলমানত্ব হারানোর আশংকায় ভুগছেন । তাই তারা সন্তানদের  আরবী শিক্ষক রেখে অথবা অনলাইনে কোরান পড়া শেখাচ্ছেন । নৈতিক শিক্ষা , নামাজ রোজা পালনে গুরুত্ব দিচ্ছেন । এখানে বোরকার ব্যাবহার কম থাকলেও হিজাব ব্যাবহার বেশ লক্ষ্যনীয় । আর এক শ্রেনী জাতীয়তা তথা বাঙ্গালীত্ব হারিয়ে যাচ্ছে বলে খুবই উদ্বিগ্ন । তাদের ছেলে মেয়েরা কেউই বাংলা লিখতে ও পড়তে পারেনা । বলতে পারে আধা আধা ।বাংলা স্কুল নেই যেখানে ভর্তি করে বাংলা লেখা পড়া শেখাবে । যে ভাষা ছিল তাদের মায়ের ভাষা , মধুর ভাষা তা পরবর্তী প্রজন্ম ধরে রাখতে পারবেনা ।এ ব্যাথায় তারা ব্যথিত ।বাংলাদেশীদের সাংস্কৃতিক চর্চা এখানে মাঝে মাঝে অনুষ্ঠিত হয় কোন বিশেষ দিবস উপলক্ষে খুব সীমিত পরিসরে।যার প্রভাব পড়েনা পরবর্তী প্রজন্মের উপরে । এসবকিছু তাদের হৃদয়কে দলিত মথিত করলেও পুনরুদ্ধারের কোন পথ নেই ।অষ্ট্রেলিয়ান সংস্কৃতি ক্রমশ তারা আয়ত্ব করতে বাধ্য হচ্ছে । পারিবারীক বন্ধন হয়তো একটা প্রজন্ম ধরে রাখবে । বাবা মার সাথেই থাকবে । তারপরেও অনেকে স্বাধীন হয়ে গেছে । লেখাপড়া শেষ করে চাকুরী পেয়ে বাবামাকে ছেড়ে অন্যত্র বাস করছে । কিন্তু তার পরের প্রজন্ম সে বন্ধনটুকুও রাখবেনা বলে সবাই আশঙ্কিত ।কিন্তু এ শুন্যতা পুরন হবার নয় ।

 

Read More

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked with *

1 Comment

  • নাজমুল কবির
    October 11, 2023, 2:30 pm

    এই আর্টিকেলটা মধ্যে অনেক ভুল । আরেকটু পরিচ্ছন্ন করে লেখা উচিত ছিল।

    REPLY

সর্বশেষ পোস্ট

Advertising