সত্যানন্দ চৌধুরী: বাংলাদেশের অকুতোভয় সেনানায়ক, স্বাধীনতার ঘোষক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সফল রাষ্ট্রনায়ক তদুপরি ব্যক্তিগত লোভ-লালসা, দুর্নীতি, স্বজন-প্রীতি ও নৈতিক স্খলনের বিন্দু-কণা যার রক্তের মধ্যে নিহিত ছিল না অর্থাৎ সমুদ্রের তলদেশ সম গভীর দেশপ্রেম ও অনন্ত আকাশ ছোঁয়া সততা ছিল যার চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট (এমনকি জীবদ্দশায় তাঁর প্রতিপক্ষ মহল থেকেও এই নিয়ে কোন প্রশ্ন তুলার সুযোগ
সত্যানন্দ চৌধুরী: বাংলাদেশের অকুতোভয় সেনানায়ক, স্বাধীনতার ঘোষক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সফল রাষ্ট্রনায়ক তদুপরি ব্যক্তিগত লোভ-লালসা, দুর্নীতি, স্বজন-প্রীতি ও নৈতিক স্খলনের বিন্দু-কণা যার রক্তের মধ্যে নিহিত ছিল না অর্থাৎ সমুদ্রের তলদেশ সম গভীর দেশপ্রেম ও অনন্ত আকাশ ছোঁয়া সততা ছিল যার চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট (এমনকি জীবদ্দশায় তাঁর প্রতিপক্ষ মহল থেকেও এই নিয়ে কোন প্রশ্ন তুলার সুযোগ পায় নাই) তিনি হলেন বাংলাদেশের কালজয়ী নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। প্রসঙ্গত উল্লেখ্ না করলেই নয়, সকল প্রকার স্বজন প্রীতির উর্ধে থাকার অভিপ্রায় পোষণ করতেন বিধায় রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন হয়ে রাষ্ট্রপতি জিয়া তাঁর নিজ বাসায় নিকট আত্বীয়-স্বজনদের প্রবেশাধিকার নি্যিদ্ধ করে দিয়েছিলেন। এমন কি একবার রাষ্ট্রীয় সফরে যুক্তরাষ্ট্র অবস্থান কালে হোটেল কক্ষে তাঁর আপন ছোট ভাই (চির-কুমার) কামাল আহমেদকেও দেখা দেয়ার সুযোগ না দিয়ে যে বিরল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন তাহা জিয়ার নির্মোহ চারিত্রিক বৈশিষ্টের অন্যতম নিদর্শন প্রমান করে বৈকি। শুধু কি তাই? রাষ্ট্র-ক্ষমতায় বসে নিজ পরিবার আর নিকট আত্বীয়-স্বজনদের মন্ত্রী-মিনিস্টার বানানোর নজির কিংবা সরকারী কোন উচ্চ পদে বিশেষ বিবেচনায় নিয়োগ-পদোন্নতি দিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করার কোন প্রকার অপবাদ তাবৎ রাষ্ট্রনায়কদের মধ্যে কেবল মাত্র জিয়াউর রহমানের গায়েই স্পর্শ করতে পারে নাই। তাহাছাড়া রাষ্ট্রপতির হওয়ার পুর্বের কথাও যদি বলি? তিনি ছিলেন সামরিক বাহিনীর কেবল উচ্চ পদস্থ নয় সর্বোচ্চ এক জেনারেল। আর জেনারেল পদমর্যাদার অফিসার অবসর জীবনে পরিবার নিয়ে বসবাসের জন্য ঢাকায় একখন্ড জমি কিংবা ফ্ল্যাট কিনে রাখেন নাই এমন ২য় আরেকজন জেনারেল বাংলাদেশে আজোবধি খুঁজে পাওয়া যাবে না বলেই আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
অথচ এই মহানেতা জিয়ার নির্মম হত্যাকাণ্ডের সহিত পর্দার অন্তরালে কলকাঠি নাড়া ভণ্ড এরশাদ ক্ষমতায় বসে কি না করেছে? বিচারপতি সাত্তারের কাছ থেকে ক্ষমতা কেড়ে নেয়ার পর সর্বস্থরে কৃচ্ছতা সাধনের ডাক দিয়ে স্বৈরাচারী-স্বেচ্ছাচারী-স্বজনপ্রীতি আর মহা-দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত হয়ে রেকর্ড গড়ে ছিলেন। যেমন প্রথমেই ফার্স্ট লেডি হিসাবে নূতন এক পদ সৃষ্টি করে তাঁর স্ত্রী রওশন-কে বসিয়েছিলেন যার প্রটোকল ছিল প্রধান বিচারপতি কিংবা মন্ত্রী এমনকি তৎকালীন উপ-রাষ্ট্রপতিরও (মওদুদ আহমেদ) উপরে। সরকার নিয়ন্ত্রিত বেতার-টেলিভিশন-প্রিন্ট মিডিয়ায় রাষ্ট্রপতি এরশাদের পর পরই ফার্স্ট-লেডি রওশন কোথায় কি উদ্ভোধন করতে গিয়ে কি বলেছেন সেই খরর স্থান পেত। তদুপরি রাষ্ট্রপতি থাকা কালীন তাঁর ছোট ভাই জি এম কাদেরকে রাষ্ট্র মালিকানাধীন যমুনা অয়েল কোম্পানীর শীর্ষ কর্মকর্তা হিসাবে পদায়ন করা ও সরকারী চাকুরী থেকে অবসরে যাবার পর জাতীয় পার্টির এমপি বানানো। রাষ্ট্রপতির আসনে অধিষ্ঠিত থেকে স্ত্রী রওশন এরশাদের নামে রাজধানীর বাণিজ্যিক এলাকা কাউরান বাজারে জনতা টাওয়ার নির্মান এবং নিজ বাসার সিন্ধুকে তিন কোটি টাকার ও বেশী নগদ আবিষ্কার ইত্যাদি লুটপাট আর অনিয়মের কথা ছিল সর্বজন বিদিত। তাহাছাড়া এই ভন্ড এরশাদের অবৈধ নারী লিপ্সু, একাধিক নারীর সহিত প্রণয় লীলা ও নৈতিক স্খলনের চটকদার কেচ্ছা-কাহিনী বর্ননা করে আমার লিখার কলেবর আর বাড়াতে চাই না।
অপরদিকে ভোট ডাকাতি আর বিনা ভোটে জোর করে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে নেয়া শেখ হাসিনার স্বজনপ্রীতি-স্বেচ্ছাচারিচা-লুটপাটের কাহিনী দেশবাসীর অজানা থাকার কথা নয়। যেমন তিনি রাষ্ট্রীয় সফরে বিদেশ ভ্রমণ কালে চার্টার বিমানে দল-বল চেলা-চামণ্ডাদের বিশাল বহর নিয়ে বেডানো এমনকি ভাগিনার সাথে দেখা করার জন্য সুদুর ফিনল্যান্ডে বিশাল বিমান উড়িয়ে নিয়ে রাজকীয় কায়দায় দেশ বিদেশ ঘুরে বেড়ানোর কাহিনী আর বিলাস বহুল বুলেট ফ্রুফ লিমুজিন গাড়ির ব্যবহার পৃথিবীর সেরা ধনকুবের বৃটিশ-সৌদি-ব্রুনাই এর রাজ-রানীদেরকেও হার মানায়।
যাহোক এবার, মূল কথায় ফিরে আসি। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ কালীন সময়ে আমি মাত্র ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়া ছোট্ট এক স্কুল বালক হলেও এর আগে ‘মাদ্রাসা’ শিক্ষায় দুই বছর কাটিয়ে আসার সুবাদে শারীরিক আকার ও বুদ্ধি-বিবেচনায় ছিলাম ৮ম শ্রেনীর বালকদের মতোই, সেই বিবেচনায় আমার নিজ চোখে দেখা মুক্তিযুদ্ধের অনেক স্মৃতি মোটেও ভুলে যাবার কথা নয়।
প্রিয় পাঠক,(আমার ব্যাক্তিগত কৃতিত্বের কিছু না হলেও) বাংলাদেশের অবিসংবাদিত ও সফল রাষ্ট্র নেতা শহীদ জিয়ার যে ২-টি বীরত্ব ও বেদনাময় স্মৃতির আমি অন্যতম সাক্ষী তাহা হল-
১) ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে দেয়া মেজর জিয়ার কন্ঠে স্বাধীনতার ঘোষণা আমার নিজ কানে শুনা-“প্রিয় দেশবাসী, আমি মেজর জিয়া বলছি, আমি দেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপ্রধান হিসাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি…………………”
তবে এর পরের দিন অর্থাৎ ২৭ মার্চ তিনি তাঁর ঘোষণায় সংশোধন এনে বলেন “প্রিয় দেশবাসী, আমি মেজর জিয়া বলছি, আমি মুক্তিবাহিনীর অস্থায়ী সর্বাধিনায়ক হিসাবে …… শেখ মজিবুর রহমানের পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি…।”
[মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও বাংলাদেশের প্রথম সেনাপ্রধান কে এম সফিউল্লাহ তাঁর Bangladesh At War (Dhaka, Academic Publishers, 1989) গ্রন্থের ৪০-৪৫ পৃষ্ঠায় স্পষ্ট করে এ কথাই বলে গেছেন- “মেজর জিয়া ২৫শে মার্চের রাত্রিতে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে সদলবলে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন এবং তাঁর কমান্ডিং অফিসার জানজুয়া ও অন্যদের প্রথমে গ্রেফতার ও পরে হত্যা করে পাকিস্তান বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। পরে ২৬শে মার্চে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর মোকাবিলার জন্য সবাইকে আহবান করেন”
তাহাছাড়া ভারতীয় সেনাবাহিনীর (অবঃ) মেঃ জেঃ সুখান্ত সিং তাঁর The Liberation of Bangladesh, Vol-1 (Delhi: Lancer Publishers, 1980) গ্রন্থের ৯ পৃষ্ঠায় লিখেছেন “ইতিমধ্যে ২৬শে মার্চ চট্টগ্রাম বেতার থেকে একজন বাঙ্গালি অফিসার মেজর জিয়ার কণ্ঠস্বর ভেসে আসে”
অথচ শেখ হাসিনা শহীদ জিয়ার দেয়া ২৬ মার্চের ঘোষণাকে আড়াল করে চট্টগ্রামের আওয়ামী নেতা, তাঁর হান্নান কাকার ভুয়া ঘোষণা তত্ত্ব দ্বারা প্রতিস্থাপন পূর্বক ভারত পোষা আওয়ামী লেখক শ্রেনীর মাধ্যমে মনের মাধুরী মিশানো ইতিহাস রচনা করে বাজারজাত করার প্রাণান্তর চেষ্টার কোন ক্রুটি করে নাই। কেননা হাসিনাই প্রথম আবিষ্কার করেন তাঁর পিতা শেখ মুজিব নাকি ২৫ মার্চ গ্রেফতার হওয়ার পূর্বে স্বাধীনতার ঘোষণা চট্টগ্রাম বেতার থেকে সম্প্রচার করার জন্য স্থানীয় আওয়ামী নেতা ‘হান্নান’ সাহেবকে নির্দেশ দিয়ে গিয়েছিলেন। তাই শেখ হাসিনার ভাষায় ২৬ মার্চ এই হান্নান কাকাই প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন, তবে যদিও তাহা শেখ হাসিনা ছাড়া আর কেঊ শুনতে পায় নাই। যদি তাই হবে অর্থাৎ শেখ মুজিব নির্দেশ দিয়ে গিয়েছিলেন, তবে রেডিও স্টেশন ত চট্টগ্রাম ছাড়াও তখন আমার জানা মতে অপর দুই বিভাগীয় শহর যেমন রাজশাহী, খুলনা এমনকি সিলেট শহরেও ছিল। আর এই শহর গুলিতেও হান্নান কাকার ন্যায় অনুরূপ স্থানীয় আওয়ামী নেতা যেমন ‘মান্নান কাকা’ কিংবা ‘নান্নান কাকার’ কোন অভাব ছিল বলে ধরে নেয়া যায় না। তবে সেই সব শহর থেকেও প্রচার করার জন্য তিনি বলে যান নাই কেন? মুদ্দা কথা ২৬ মার্চ যেহেতু দেশের স্বাধীনতা দিবস আনুষ্ঠানিক ভাবে পালন করা হয় তাই অত্যন্ত সুকৌশলে এই ২৬ মার্চে দেয়া জিয়ার ঘোষনার কথা ইতিহাস থেকে যে করেও হোক মুছে ফেলতে হবে এই হল তাঁদের কথা।
২৫ মার্চ ১৯৭১ রাতে চট্রগাম বন্দরে সোয়াত জাহাজ থেকে অস্র খালাসের দায়িত্ব পালন কালে দূরদর্শী অড়িৎকর্মা ও চৌকশ সেনা অফিসার মেজর জিয়া আঁচ করতে পেরেছিলেন এই অস্র নিরীহ বাঙ্গালীদের হত্যা করার জন্য ব্যবহার করা হবে যাহা কোনভাবেই হতে দেয়া যায় না। তাই এই অস্র খালাসের দায়িত্ব পালনকালে (শেখ মুজিবের নির্দেশের অপেক্ষা না করে) স্বপ্রনোদিত হয়ে তাঁরই কমান্ডিং অফিসার কর্নেল জানজুয়া সহ আরও কয়েকজন পাকিস্তানী সেনাকে ব্রাশ ফায়ারে হত্যা করে মেজর জিয়া we revolt বলে পাকিস্তানী বাহিনীর বিরদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন এবং এরই ধারাবাহিকতায় পরদিন অর্থাৎ ২৬ মার্চ কালুরঘাট বেতার থেকে তিনি (শেখ মুজিবের নির্দেশের অপেক্ষা না করে) স্বপ্রনোদিত হয়েই প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নিয়েছেন।
তাহাছাড়া কর্নেল জানজুয়া সহ একাধীক পাকিস্তানী সেনাকে হত্যা করার মাধ্যমে আমাদের ৯ মাস স্থায়ী মুক্তিযুদ্ধে সর্বপ্রথম কোন শত্রু সেনাকে গুলি করে হত্যা করার বীরত্বময় দৃষ্টান্ত কেবল মেঃ জিয়া ছাড়া অন্য কোন মুক্তিযোদ্ধা কিংবা সেক্টর কমান্ডারগনের কেউই দেখাতে পারেন নাই। অথচ এই মুক্তিযুদ্ধ কালীন সময়ে পাকিস্তানী বাহিনীর হাতে বন্দি অবস্থায় আমোদ-ফুর্তি আর সন্তান প্রসব, সন্তান লালন-পালনে ব্যাস্থ থাকা (কেননা জয়ের জন্ম ২৭ জুলাই ১৯৭১) ভোট ডাকাতি করে প্রধানমন্ত্রীর আসন দখল করা, গুম-খুনের সর্দার শেখ হাসিনা আজ যদি ইতিহাস বিকৃত করে বলে- “জিয়া কি যুদ্ধ ময়দানে গিয়ে কখনো যুদ্ধ করেছে? কেউ কি দেখেছে জিয়া একটা গুলি ছুঁড়েছে?” তাতে বিস্মিত হওয়ার কি আছে?]
২) অতঃপর স্বাধীনতা অর্জনের দশক পার না হতেই র-এর সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা আর মীরজাফরের বংশোদ্ভূত দেশীয় কিছু উচ্চাভিলাষী ও প্রতিহিংসা পরায়ণ সামরিক-বেসামরিক নেতাদের (হাসিনা-এরশাদ-মঞ্জুর গং) যোগসাজশে ৩০ শে মে, ১৯৮১ সালে এক ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে নিহত হওয়ার পর তাঁর মরদেহ শহর থেকে প্রায় ২০ কিঃ মিঃ দূরে চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) ক্যাম্পাস সংলগ্ন এক নির্জন পাহাড়ের পাদদেশে বলা যায় অনেকটা মাটি-চাপা দিয়ে বা দায়সারা গোছের কবর দিয়ে রাখা হয়েছিল।
হত্যাকাণ্ড ঘটনার দুই দিন পর, কবরের সন্ধান পেয়ে সেনাবাহিনীর কয়েকজন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে স্থানীয় লোকদের সহায়তায় তাঁর মরদেহ কবর থেকে উঠানো হয়েছিল। তবে একই কবরে পাশাপাশি তিনটি মরদেহ!!! কবরের চারিপাশে শত-শত মানুষের ভিড় যার মধ্যে অধিকাংশই ছিল ঐ চুয়েটের ছাত্র আর আমিও ছিলাম এরই মাঝে একজন। গর্ত খুরা শেষে এক পর্যায়ে কে নামবে গর্তের ভিতরে মরদেহ তুলার জন্য? কিছুটা ইতস্তত বোধ ও ভয় যেন কাজ করছিল মাটি-খোঁড়া লোকদের মধ্যেও। হটাৎ চোখের পলকেই দেখা গেল অত্যন্ত ডানপিটে স্বভাবের ছাত্র হিসাবে চুয়েট ক্যম্পাসে ব্যাপক ভাবে খ্যাত (কেননা বিষধর সাপ ধরার টেকনিকও তার জানা ছিল) আমাদেরই অনুজ (বরিশালের) সেই সোয়েব বাসুরি (হাবলু) সবার আগে গর্তে নেমে পড়ল!!! অতঃপর আরো কয়েজনের সহায়তায় একে একে তিনটি মরদেহই গর্ত থেকে উপরে উঠানো হল। কিছুটা বিকৃত হয়ে গেলেও তিনটি মরদেহের মধ্যে মাথায় হালকা চুল সমেত প্রশস্ত ললাটের চেহারা দেখে নিয়ে জিয়ার মরদেহ সনাক্ত করতে আমাদের কোনই বেগ পেতে হয় নাই। আমার চোখে এখনো ঝল-ঝল করে ভাসছে বুলেটের আঘাতে ঝাঁঝরা করে দেয়া ক্ষণজন্মা এক মহান নেতার নিথর মরদেহের সেই বীভৎস ও দুর্লভ স্মৃতি!!! আফসোস!! হতভাগা বাংলাদেশ হারালো এমন এক মহান নেতা যার বিকল্প আগামী আরও ১০০ কোটি বছরেও বাংলাদেশের ভাগ্যে জুটবে কিনা তা কে জানে?
মাত্র ৪ (চার) বছর দেশ চালনার সুযোগ পেয়ে জিয়াউর রহমান ভারতের তাবেদারী থেকে মুক্ত করে বাংলাদেশেকে বানিয়েছিলেন সার্বভৌম এক দেশে এবং পৌঁছে দিয়েছিলেন দেশকে তলা বিহীন ঝুড়ির তকমা থেকে আন্তর্জাতিক ভাবে এক মর্যাদাশীল আসনে। সৌদি আরব এবং চীনের স্বীকৃতি আদায় এবং ইরাক-ইরান যুদ্ধ মীমাংসায় ওআইসি হতে মনোনীত অন্যতম মধ্যস্থতাকারী হিসাবে নাম লিখিয়ে তিনি আর্ভিভুত হয়েছিলেন ৫৭-টি দেশ সমন্বিত সমগ্র মুসলিম-বিশ্বের অসাধারণ জনপ্রিয় এক বিশ্ব-নেতা হিসাবেও বটে। তাহাছাড়া দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক সহযোগিতা জোট সার্কের আবির্ভাব ছিল এই মহানেতা জিয়ার রাষ্ট্র-নায়কোচিত চিন্তা চেতনারই ফসল। অতঃপর জিয়ার এই অসাধারণ সাফল্যে ঈর্ষান্বিত দেশের অশুভ চক্র আর আধিপত্যবাদি ভারতের চাণক্য কারসাজিতে ক্ষণজন্মা এই নেতা অকালে নির্মমভাবে নিহত হলেও তাঁর প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল বিএনপি বেশ দাপটের সাথেই রাজনীতির মাঠে টিকে ছিল কোটি-কোটি মানুষের ভালবাসা আর সমর্থন নিয়ে। যেমন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত ১৯৯১ সালের নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবং ২০০১ সালে নির্বাচনে ভূমিধ্বস বিজয় অর্থাৎ দুই-তৃতীয়াংশের বেশী আসনে জিতে সরকার গঠন যার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
অথচ ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস! মহান নেতা জিয়ার সহধর্মিণী খালেদার অদূরদর্শিতা, রাষ্ট্র-নায়কোচিত মেধাহীনতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে আবারো র-এর অশুভ চক্রান্ত আর কূট-কৌশলের কাছে ক্রমাগত মার খেয়ে দেশের বৃহত্তম ও সবচেয়ে জনপ্রিয় দল বিএনপি আজ মাটিতে পড়ে গড়াগড়ি খাচ্ছে!!
-বাংলাদেশের রাজনীতি-(পর্ব-১)
১৯৯১-৯৬ এ ভারতের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত শেখ হাসিনার রাজপথের আন্দোলন, কথায় কথায় লাগাতার হরতাল-জ্বালাও-পুড়াও-ভাংচুরে দেশের অর্থনীতি যখন প্রায় ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম, তখন দেশ ধ্বংসকারী হাসিনার আন্দোলন যেন আরো বেগবান হয় তার লক্ষ্যে ‘র’ এর বিস্টা লেহনকারী পরজীবী, কু-শীল ও মীরজাফরের এদেশীয় কিছু বংশধর যথা ডঃ কামাল, মেনন, ইনু, মুতা মামুন, মখা আলমগীর, শাহরিয়ার কবির, হাসান ইমাম, আবেদ খান গং-দের চিৎকার আর ভারতের মুত্র পায়ী মিডিয়া ডেইলি স্টার-প্রথম আলো, জনকণ্ঠ গং পত্রিকায় নিত্যকার নসিহত করা হতো-
“হরতাল জনসভা – জনগণের সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার – এতে (বিএনপি) সরকার বাঁধা দিলে কষ্টার্জিত গণতন্ত্র ব্যহত হবে -এরশাদীয় স্টাইলে (বিএনপি) সরকারের স্বৈরাচারী আচরন জনতা সমর্থন করবে না …………ইত্যাদি ইত্যাদি।”
তাই ১৯৯১-এ অভূতপূর্ব জন সমর্থন নিয়ে প্রথম বারের মতো রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন হয়ে অদূরদর্শী বিএনপি নেত্রী বেগম জিয়া দেশের ভারত-পোষা রাজনৈতিক দলের নেতা আর মিডিয়ায় এজাতীয় অবিরাম ওয়াজ-নসিহত শুনে শুনে আর পাশাপাশি নিজ ঘরেই লুকিয়ে থাকা র এর ‘গুপ্তচর’ বিভীষণী নেতা-আমলাদের পরামর্শে প্রণব-হাসিনার দুরভিসন্ধি মুলক রাজনৈতিক ‘দাবার চাল’ তিনি বুঝতে পারেন নাই। ফলে অপরিণামদর্শী বিএনপি নেত্রী প্রশাসন চালনায় ‘নবাব সিরাজুদৌল্লা’ স্টাইলে ‘সরল বিশ্বাস’ আর অতি মাত্রায় ‘নমনীয়’ অবস্থান বেছে নেন। এরই ধারাবাহিকতায় বিরোধী দলদের যত্রতত্র সভা-সমাবেশ করার অনুমতি দিয়ে তাঁদের আন্দোলন দানা বাঁধার সুবর্ণ সুযোগ তৈরী করে দেন।
[দেশের বৃহত্তম জনতা বিএনপির পক্ষে থাকার পরও আগ্রাসী ভারতের অশুভ প্রভাবকে প্রতিহত করার জন্য ইঙ্গ-মার্কিন নয় বরং বিএনপির ঐতিহাসিক বন্ধুত্বের কথা যদি বাদও দেয়া হয় তথাপি ‘শত্রুর শত্রু হল মিত্র’ এই শাশ্বত নীতি মেনে নিয়ে ভারতের অশুভ শক্তিকে কাউন্টার করতে কেবলমাত্র চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে মৈত্রী চুক্তি স্থাপন পূর্বক তাঁদেরকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করে বিএনপির অবস্থানকে সুদৃঢ় করার মাধ্যমে ভারতের মদদ পুষ্ট -আওয়ামী আন্দোলন ‘কঠোর হাতে’ দমন করা অত্যাবশ্যক ছিল। অথচ তা করবে তো দুরের কথা উপরন্ত গদিতে বসে অদূরদর্শী মেডাম জিয়া তাঁর দল ও সরকারী প্রশাসনে লুকিয়ে থাকা র-এর গুপ্তচর নেতা-আমলাদের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে দেন। ফলে কূটনৈতিক জ্ঞান শুন্য অপদার্থ (ভারত তোষি) পররাষ্ট্র মন্ত্রী মুর্শেদ খানের অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে তাইওয়ানের সহিত সম্পর্ক স্থাপন করতে গিয়ে চীনের সাথে বন্ধুত্বের আরও চিড় ধরিয়ে দেন। আর পাকিস্তান-কে ত আগে থেকেই রাজাকার-রাজাকার তজবিহ জপে দুরে সরিয়ে অদূরদর্শী প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া তাঁর দল এবং সরকারকে আন্তর্জাতিক ভাবে একটি নড়বড়ে ফ্লাটফর্মে দাঁড় করিয়ে রাখেন]
এইভাবে বিপুল জনসমর্থন নিয়ে গদিতে আসীন হয়ে প্রশাসনের ‘লাগাম’ পুরাপুরি ছেড়ে দিয়ে বাংলাদেশের সকল অপ-রাজনীতির নাটের গুরু প্রণব বাবুর পরিকল্পনা আর ‘র’ এর অফুরন্ত টাকায় পরিচালিত শেখ হাসিনার হরতাল-জ্বালাও-পোড়াও-তাণ্ডব খেলা টিভির পর্দায় দেখে দেখেই ম্যাডাম জিয়া সময় পার করা সমীচীন মনে করলেন।
তাই ‘নবাব সিরাজুদৌল্লার’ ন্যায় প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক অপরিণামদর্শী এক ‘দরদী’ বিএনপি নেত্রীকে পেয়ে দেশী-বিদেশী কুচক্রী মহলের হল পোয়া-বারো। প্রধান বিরোধী দল কেবল আওয়ামী লীগই নয় একেবারে নাম-সর্বস্ব ছোট খাট (এক নেতা এক পার্টি ধাঁচের) দলকেও দেখা গেছে বিনা বাঁধায় হেসে খেলে রাজপথ বন্ধ করে পেন্ডেল বানিয়ে সভা জনসমাবেশ করে সারা দেশে আন্দোলনের জোয়ার বইয়ে দিল।
১৯৯১ এর নির্বাচনে পরাজয় মেনে নিতে না পারার জ্বালায় ‘একদিনের জন্যও এই বিএনপি সরকারকে শান্তিতে থাকতে দিব না’ ঘোষনা দেয়া শেখ হাসিনা কথায় কথায় হরতাল আর ব্যপক ভাংচুরের মাধ্যমে আন্দোলন চাঙা করে মোট ১৭৩ দিন পর্যন্ত হরতাল পালন করতে সক্ষম হল। শেষ পর্যায়ে এসে একেবারে প্রশাসনের নাকের ডগায় সচিবালয়ের সামনে ‘জনতার মঞ্চ’ বানিয়ে বিএনপির পতন ঘন্টা বাজিয়ে তাদের আন্দোলনের ফসল ঘরে তুলে নিল।
বিএনপি যদি শুরু থেকেই বিচক্ষণ ও দূরদর্শী চিন্তা করে বিরোধী দলের আন্দোলনের ‘ডিমে’ তা দেয়ার সুযোগ না দিত তবে হাসিনা কোন ভাবেই ঐ আন্দোলনের ‘ডিম’ ফোটাতে পারতো না। যেমনটা পারে নাই বিএনপি বিরোধী দলে থেকে। যেমন ১৯৯৬-এ শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে তাঁর নিকট অতীত হরতাল আর জ্বালাও-পোড়াও কার্যকলাপ বেমালুম ভুলে গিয়ে, শুরু থেকেই কেমনতর কঠোর নীতি গ্রহন করেছিল?-
*বিরোধী দলের ‘রাজপথ বন্ধ করে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ’ করে আদেশ জারী করলো।
*রাজনৈতিক দলদের সভা সমাবেশ করতে হলে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন হতে অনুমুতি নেয়ার বিধান জারী করে প্রশাসনের লাগাম শক্ত হাতে ধরে রাখার নীতি চালু করলো।
*পল্টন ময়দানে জনসভা নিষিদ্ধ করে কেবল ২০০ লোক সংকুলান হয় ‘মুক্ত মঞ্চ’ নামক সচিবালয়ের সামনের এক খণ্ড জায়গা উন্মুক্ত রাখা হল।
*বিরোধী দল যাতে কোন ‘মহা-সমাবেশ’ এর ডাক না দিতে পারে তা মাথায় রেখে মানিক মিয়া এভিন্যুতে পাকা ডিভাইডার নির্মাণ করে তাতে গাছ লাগিয়ে স্থায়ীভাবে ভাগ করে ইহাকে মহাসমাবেশ করার অনুপযোগী করে গড়ে তোলা হল।
*এমনকি বিএনপির কেন্দীয় কার্যালয়ের সামনেও ‘রাস্তায় সভা করার অনুমতি নাই’ বলে পুলিশ দিয়ে লাঠি পেটা ও টিয়ার গ্যাস চালিয়ে তা ভণ্ডুল করে দিতেও দ্বিধা করে নাই।
১৯৭৫ এর পট পরিবর্তের পর আওয়ামী লীগের শীর্ষতম নেতা ছিলেন ডঃ কামাল হোসেন –
*যিনি ১৯৮২ সনের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী বিচারপতি সাত্তার সাহেবের বিপরীতে তখনকার আওয়ামী লীগে জিল্লুর রহমান, মালেক উকীল, সামাদ আজাদ, আসাদুজ্জামান, আমু, রাজ্জাক, জলিল গং বর্ষীয়ান নেতারা থাকার পরও জাতীয় পর্যায়ে অধিকতর গ্রহণযোগ্য প্রার্থী হিসাবে আওয়ামী লীগ থেকে রাষ্ট্রপতি পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করেছিলেন।
*যিনি ভারতে স্বেচ্ছা নির্বাসিত শেখ হাসিনাকে ১৯৮১-সনে আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব দেয়ার জন্য হাসিমুখে প্রস্তাব করেছিলেন-
সেই ডঃ কামাল হোসেন ১৯৯১-এর নির্বাচন Fair হয়েছে বলে কিছু নেতাদের সাথে নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনী ফলাফল মেনে নেয়ার “খেসারত” হিসাবে দিন না পার হতেই হাসিনা তাঁকে চরম অপমানজনক ভাবে রীতিমত ‘ঘাড়’ ধাক্কা দিয়ে দল থেকে বের করে দেন।
তারপর থেকে বেচারা এক নেতা এর পার্টি ‘গণ-ফোরাম’ দল গঠন করে কেবল দেশের রাজনৈতিক কুয়াশা পূর্ণ সময় এলেই কচ্ছপের ন্যায় মাথা বের করে নড়ে-চড়ে উঠেন। তবে আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় থেকে অন্যায়-অবিচার আর লুটপাট করে তখন তিনি আওয়ামী লীগের ‘সমুদ্র চুরি’ তুল্য অপরাধ দেখেও মুখে কুলুপ এঁটে থাকেন। অথচ আওয়ামী লীগ থেকে ‘গুতা’ মেরে বের করে দেয়ার পরও দেশের জটিল রাজনৈতিক ঘনঘটা সময়ে আমরা দেখেছি ভারতীয় ‘শাসকশ্রেনীর’ হাত বুলানো দোয়ায় সর্বদাই তিনি বিএনপির বিপরীত জোটে অবস্থান নিয়ে প্রকারান্তরে আওয়ামী লীগের পক্ষে অবস্থান নিতে এই ‘বিশিষ্ট’ রাজনৈতিক নেতা কখনো ভুল করেন নাই।
এই প্রসঙ্গে ছোট্ট দুটি উদাহরন না দিলেই নয়। এই ‘বিশিষ্ট’ নেতা ডঃ কামাল সাহেবকে দেখেছি ২০০৬ সালে ব্যারিস্টার রুকুন উদ্দিন মাহমুদ, ব্যারিষ্টার আমির উল ইসলাম, মাহবুবে আলম, বাছেত মজুমদার গং আওয়ামী আইনজীবীদের সহিত কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মোদাসসের সাহেবের এজলাস ভাংচুর করতে। আইনজীবীদের নজিরবিহীন এই সন্ত্রাসী তাণ্ডব দেখে গোটা জাতি যেখানে স্তব্ধ। ভাংচুরকারী এই ডঃ কামাল সহ সকল আওয়ামী আইনজীবীদের আদালত অবমাণনার অপরাধে যেখানে তাঁদের আইনজীবী সনদ চিরতরে বাতিল হওয়ার কথা অথচ তাঁদের কিছুই হল না। এমনকি তাঁদের কেউ কেউ যেমন রুহুল কুদ্দস দুলু, ইনায়েতুর রহিম সহ এমন আরও অনেক আওয়ামী আইনজীবীরা এখন উচ্চ আদালতে বিচারপতির আসনেও স্থান করে নিয়েছেন।
শুধু তাই নয় প্রধান বিচারপতির এজলাসে লাথী মারা ঐ সকল আইনজীবীদের কেউ কেউ বর্তমান আওয়ামী সরকারের আমলে হাইকোর্ট-সুপ্রিমকোর্টে বিচারপতির আসন গ্রহন করে বিএনপি নেতাদের ফাঁসির রায়ও দিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি শীর্ষ সন্ত্রাসী যোসেফ-হারিস-আনিস ছাড়াও লখীপুরের এক বিএনপি নেতাকে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা করা মামলায় বিচারিক আদালতে ফাঁসির দণ্ড প্রাপ্ত আওয়ামী সন্ত্রাসীরা রাষ্ট্রপতির ক্ষমায় দেদারছে ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে।
অথচ পাশাপাশি যদি দেখি, ২০১১ সালে বিতর্কিত আওয়ামী বিচারপতি সামসুদ্দিন মানিকের এজলাসে এক অপ্রীতিকর ঘটনার জের ধরে বিএনপি পন্থী আইনজীবী সাবেক ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এডভোকেট মমতাজ উদ্দিন আহমেদকে তাঁর বাসা থেকে ডিবি পুলিশ ধরে নিয়ে নির্মম ভাবে পিটিয়ে মেরেই ফেলা হল!!
তবে অনুরূপ আওয়ামী তাণ্ডব বাংলাদেশের ইতিহাসে (সাবেক পূর্ব পাকিস্তান সংসদে) একবার সংঘটিত হয়েছিল। সংসদের আধিবেশন চলাকালীন সময়ে উত্তেজিত বিরোধী দলের তাণ্ডবে ও চেয়ার মারার আঘাতে ডেপুটি স্পিকার সাহেদ আলী নিহত হয়েছিলেন যে সংসদে শেখ মুজিব ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক।
Leave a Comment
Your email address will not be published. Required fields are marked with *