অনন্ত শূন্যতা সরিয়ে ফিরে দেখছি,
অন্ধকার ক্রমশ গ্রাস করছে আলোর কিনারা…
অহংকার বেষ্টনীর সংসার
নির্দ্বিধায় ফিরিয়ে নিচ্ছে সমতার আভরণ!
তবুও, কুড়িয়ে নেবো ভেবে জীবন জুড়ে
অক্ষর আর পৃষ্ঠার মেলবন্ধন,
ছিঁড়ছি গিট-জট সুতোর আষ্ঠেপৃষ্ঠে
উপেক্ষা আর অবহেলার নির্জলা সম্পর্ক।
রক্তপাতহীন ব্যথা কিংবা কষ্টের অসারতা।
আকণ্ঠ দুঃখের তৃষ্ণা ভুলবো ভেবে,
আমরণ পুষে রেখেছি মুঠোয়, বীজধানের অঙ্কুর।
অবারিত মাঠ আর চষা মাটি তুলে নিচ্ছি পাঁজরে,
খোসায় মুড়িয়ে এই অজস্র আমি-
আরও একবার জন্ম নেব বলে…
লতাগুল্মের খেদোক্তি মুছে আঙুলে জড়াচ্ছি
আমিত্বের গভীরে প্রথিত শিকড়—
তীব্র-দগ্ধ অপেক্ষার এই পালাবদল শেষে শুধু…
গেঁথে নেবো, পরম্পরায় গ্রন্থিত- প্রকৃত কৃষকের
লাঙলের ফলায় ধুলো শরীরে মাটির ঋণ।