728 x 90

জাতীয়তাবাদী শক্তির জল্লাদপ্রণব মুখার্জির চাণক্য কূটনীতি বনাম রাজনৈতিক অদূরদর্শী নেত্রী ম্যাডাম জিয়ার ‘লাড়েলাপ্পা’ রাজনীতি

সত্যানন্দ চৌধুরী: -এক রাষ্ট্র চালনায় প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কোন অত্যাবশ্যক বিষয় বলে মেনে নেয়া যায় না। ইতিহাসের পাতা ঘাটলে দেখা যাবে অতীতে অনেক রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন যাঁহারা দুর্দান্ড-প্রতাপ, অসীম- সাহস, অতীব-ন্যা্যপরায়নতা এবং আকাশ-ছোঁয়া সাফল্যের সাথে রাজ্য বা দেশ শাসন করে গেছেন অথচ তাঁরা কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত ছিলেন না।। নিজ দেশের সাদা আর কালা মানুষের মধ্যে বিবেধ

সত্যানন্দ চৌধুরী: -এক

রাষ্ট্র চালনায় প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কোন অত্যাবশ্যক বিষয় বলে মেনে নেয়া যায় না। ইতিহাসের পাতা ঘাটলে দেখা যাবে অতীতে অনেক রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন যাঁহারা দুর্দান্ড-প্রতাপ, অসীম- সাহস, অতীব-ন্যা্যপরায়নতা এবং আকাশ-ছোঁয়া সাফল্যের সাথে রাজ্য বা দেশ শাসন করে গেছেন অথচ তাঁরা

কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত ছিলেন না।।

নিজ দেশের সাদা আর কালা মানুষের মধ্যে বিবেধ ও মারামারি-কাটাকাটি (Civil War) বন্ধ করে Divided States of America -এর পরিবর্তে United States of America-এর স্পিরিট এনে দেয়া আধুনিক গণতন্ত্রের অন্যতম প্রবক্তা আমেরিকার কিংবদন্তি প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন এদের মধ্যে অন্যতম। প্রাতিষ্ঠানিক কোন ডিগ্রি অর্জন ছাড়াই তিনি কেবল সফলতার সহিত দেশ চালিয়েছেন তাই নয় তাঁর দেয়া গনতন্ত্রের সংজ্ঞা ও চর্চা (কেবল বাংলাদেশে হাসিনা সরকার ব্যতীত) আজ বিশ্বব্যাপী উত্তম

“সরকার ব্যবস্থা” হিসাবে সমাদৃত হয়ে আছে, তাই নয় না কি?

তাহাছাড়া আরও একটু পিছনে যদি যাই, মোঘল সম্রাজ্যের স্বর্ণযুগ বলা হয়ে থাকে মহামতি আকবর বাদশার রাজত্বকাল। তিনি মাত্র ১৪ বছর বয়সে সিংহাসনে আরোহণ পূর্বক একে একে আঞ্চলিক রাজ্যসমূহ জয় করে তাঁর পিতামহ সম্রাট বাবর প্রতিষ্ঠিত মোঘল সাম্রাজ্যের সীমানা এতই

বিস্তৃত করেছিলেন যা পূর্বে বার্মা থেকে পশ্চিমে আফগানিস্থান পর্যন্ত অর্থাৎ সমগ্র দক্ষিন-পূর্ব এশিয়া ছিল তাঁর করায়াত্ব!! অতপর সুদীর্ঘ প্রায় ৫০ (পঞ্চাশ) বছর দোর্দণ্ড প্রতাপে তিনি রাজ্য শাসন করে ‘মহামতি’ (the great) উপাধি অর্জন করেছিলেন বহু জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে অগণিত প্রজাদের মন জয় করে। অথচ শুনলে অবাক হবেন এই মহামতি আকবর বাদশা লিখতে জানতেন না এমনকি ভাল পড়তেও জানতেন না!!

সম্মানিত পাঠক, যে কোন পেশা বা ব্যাবসা-বানিজ্যে পূর্ব-অভিজ্ঞতা থাকা একটি উত্তম যোগ্যতা হিসাবে আমরা বিবেচনা করে থাকি। কিন্তু একজন মানুষের নিজ-নিজ পেশায় (যেমন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, উকিল, জজব্যারিস্টার, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ ইত্যাদি যে কোন পেশাই হোক না) সর্বাধিক কত বছরের  অভিজ্ঞতা থাকা উত্তম বলে ধরে নেয়া যায়? এই বিবেচনায় ১০ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ বছরের পূর্ব-অভিজ্ঞতা একজন ব্যক্তিকে তাঁর যোগ্যতা প্রমান করার জন্য যথেষ্ট তা বলার আর অপেক্ষা রাখে না। এর থেকে বেশী বছরের কাজের অভিজ্ঞতা একেবারেই অপ্রয়োজনীয়। তা না হলে আমরা এই প্রবাদ পেলাম কোত্থেকে? ‘যার হয় না ৯-বছরে তাঁর হবে না ৯০-বছরে?’ আমাদের বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা

জিয়া, ১৯৮২ সালে রাজনীতিতে পদার্পণের পর একাধারে সুদীর্ঘ ৯ বছর রাজপথে স্বৈরাচারী এরশাদ

বিরোধী আন্দোলন করে, রাজনীতি কত প্রকার ও কি কি তা ভাল করে তিনি দেখেছেন, বুঝেছেন এবং

শিখেছেন। তারপর দেশের কালজয়ী নেতা স্বাধীনতার ঘোষক শহিদ জিয়ার আকাশ-ছোঁয়া জনপ্রিয়তার উপর ভর করে নিরঙ্কুশ সমর্থন নিয়ে ১৯৯১ সালে রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। অতঃপর ৫ (পাঁচ) বছর প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেশ পরিচালনা করে অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক উভয় প্রকার রাজনীতির বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছেন। তারপর আবার ১৯৯৬-২০০০ সালে বিরোধী দলে

থেকে ৫ বছর যুগপৎ হাসিনা-এরশাদ বিরোধী আন্দোলন করে রাজনীতিতে ১৯৮২ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত সুদীর্ঘ ৯+৫+৫= ১৯ (উনিশ) বছরের বিশাল অভিজ্ঞতা নিয়ে আবার ভুমিধ্বস বিজয় নিয়ে ২য় বারের মতো ২০০১-৫ সালে রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন। অথচ রাজনীতিতে এমন বর্ণাঢ্য

জনপ্রিয়তা আর সুদীর্ঘ ১৯ বছরের অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও অদূরদর্শিতা আর রাষ্ট্র-নায়কোচিত মেধা শানিয়ে নিতে ব্যার্থ হওয়ার কারনে ২০০১-৫ মেয়াদে রাষ্ট্র পরিচালনায় র-এর গুপ্তচর নেতা-উপদেষ্টাদের পরামর্শেসরকারের সামরিক-বেসামরিক প্রশাসনের সকল শীর্ষ পদ সমূহে একেবারে কট্টর

আওয়ামী বান্ধব আমলাদের নিয়োগ দিয়ে সরকার চালিয়ে ম্যাডাম জিয়া এবার সবচেয়ে বেশী পরিমানে ভুল করায় কেবল ক্ষমতা হাত ছাড়াই নহে বলা যায় দেশের বৃহত্তম ও জনপ্রিয় দল বিএনপিকে একেবারে দেয়ালের প্রান্তে ঠেকিয়ে দিয়েছেন। তদুপরি ২০০৬ সালে ক্ষমতা হারানোর পরও বিগত ১৫ – ১৬ বছরে দেশে অনেক অনেক রাজনৈতিক মহা-সংকট দেখা দিয়েছে। তবে প্রতিটি রাজনৈতিক মহা-সংকটে

ফায়দা নেয়ার অনেক মোক্ষম সুযোগ

পেয়েও তাঁর নিজের মেধা ও রাষ্ট্রনায়োকচিত প্রজ্ঞার অভাব হেতু এবং র-এর গুপ্তচর নেতাদের (যেমন ইনাম আহমদ চৌধুরী আর শমসের মবিন চৌধুরী গংদের) পরামর্শে চালিত হয়ে তিনি প্রতিটি ক্ষেত্রেই সঠিক সিদ্ধান্ত প্রদানে এতই ন্যাক্কারজনক ভাবে ব্যর্থ হয়েছেন যার ফলে শেখ হাসিনা আজ কেবল সারা দেশের লাখ-লাখ বিএনপির নেতা-কর্মী-সমর্থকদের গুম-হত্যা-জেল-জুলম-অত্যাচারনিপীড়নে ঠেলে দিয়ে অবলীলায় পার পেয়ে যাচ্ছে তা নয় দলের ভবিষ্যৎ কান্ডারী তারেক জিয়াকে দেশান্তর এবং তিনি নিজেও মিথ্যা মামলায় একেবারে বিনা দোষে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে দেশের সবচেয়ে বেশী জনসমর্থিত দল বিএনপিকে আজ আইসিইউ-তে শুয়িয়ে দিয়েছেন।১৯৯১-এ বিএনপি অভূতপূর্ব সাফল্য নিয়ে প্রথম বারের

মতো ক্ষমতায় বসে বিরোধী দলের আন্দোলন মোকাবেলায় ‘চরম নমনীয়’ নীতি বেছে নেয়ায় কেবল আওয়ামী লীগই নহে সাইন-বোর্ডসর্বস্ব ছোট খাট বামপন্থী দলও কথায় কথায় রাজপথে মঞ্ছ বানিয়ে সভা-সমাবেশ করে ভোগান্তি আর অশান্তি সৃষ্টির মাধ্যমে জনজীবনকে অতিষ্ঠ করে বিরোধীদল

১৭৩ দিন পর্যন্ত হরতাল পালন করতে সক্ষম হয়।

এমনকি বিএনপির ঐ মেয়াদে সালমান এফ রহমান যখন এফবিসিসিআই এর সভাপতি তখন অরাজনৈতিক এই সংগঠনও রাজধানীর কেন্দ্রস্থল শাপলা-চত্তর বন্ধ করে মঞ্চ বানিয়ে বিএনপি সরকারের কড়া সমালোচনা করে রাজনৈতিক নেতার ন্যায় বক্তৃতা দিয়ে গেছেন। আমি তখন মতিঝিলেই অফিস করতাম বলে তা সচক্ষেই দেখেছি। বিএনপি সরকারের এই চরম প্রশাসনিক নমনীয়তার সুযোগ

নিয়ে আওয়ামী লীগ সব শেষে সচিবালয়ের সামনে রাজপথ বন্ধ করে জনতার মঞ্চ বানানোর সুযোগ পেয়ে বিদ্রোহী আমলাদের সহায়তায় ১৯৯৬- এ ক্ষমতা কেড়ে নেয়ার পথ মসৃন করে নিতে পেরেছিল।

অতঃপর পরিকল্পিত উপায়ে এই সকল বিদ্রোহী আমলাদের সহায়তায় ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করে ১৯৯৬-এ দীর্ঘ ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ গদিতে বসে বিরোধী দল বিএনপি-র মিটিং-মিছিল-সমাবেশ করা নিয়ে কি নীতি গ্রহন করেছিল? ভারতের প্রত্যক্ষ মদদ, আমলা বিদ্রোহ আর দেশীয় ‘মীরজাফরদের’

সহযোগিতায় মৃতসঞ্জীবনী সূধায় শক্তি সঞ্চয় করে ১৯৯৬-এ গদিতে আসিন হাসিনা সরকার ফুরফুরা মেজাজে দেশ শাসন করে বিরোধী দলকে কোন প্রকার ছাড় না দেয়ার নীতিতে অটল থেকে গেল!!-

জ্বালাও-পোড়াও, কথায়-কথায় অবরোধ আর ১৭৩ দিন হরতাল দিয়ে দেশ অচল করে দেয়া হরতাল নেত্রী

শেখ হাসিনা ১৯৯৬-এ গদিতে আসীন হয়ে রাজপথ বন্ধ করে রাজনৈতিক সমাবেশ করার প্রশাসনিক আইন কঠোর ভাবে প্রয়োগ করল। ফলে বিরোধী দল বিএনপি ঢাকা মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান শাপলা-চত্তর বা প্রেসক্লাবের সামনে করবে তো দুরের কথা খোদ নয়া পল্টনে তাঁদের দলীয় প্রধানকার্যালয়ের সামনের রাস্তায়ই মঞ্চ বানিয়ে জনসমাবেশ করার অনুমতি পায় নাই। একবার নয়া পল্টনে দলীয়

অফিসের সামনে সমাবেশের অনুমতি না পেয়ে অকুস্থলে বিপুল মানুষের সমাগম দেখে পুলিশ বেপরোয়া

লাঠি চার্জ আর প্রচন্ড কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে বিএনপির মিটিং ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছিল। এমনকি প্রধান বক্তা ম্যডাম জিয়ার ভাষণ দেয়ার প্রাক্কালে তাঁর দিকে তাক করে মুহুর্মুহু কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে মারায় প্রচন্ড ধুয়ার ঝাঁজে তিনি মিটিং ছেড়ে দলীয় অফিসে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। দলীয় অফিসে আশ্রয় নেয়া নেতা-কর্মীদের দিকে তাক করে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস এবং রাবার বুলেট ছুড়ে মারতে দ্বিধা করে নাই।

অথচ এই চরম অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা না নিয়ে ২য় বারে ২০০১ সনে বিএনপি ভুমিধ্বস বিজয়ে ক্ষমতায়

বসেও রাষ্ট্র চালনায় অদূরদর্শী ম্যডাম জিয়া আওয়ামী লীগের প্রতি সহনশীল মনোভাব পোষণ করে ‘ক্ষমা মহত্ত্বের লক্ষণ’ এই ‘মহাপুরুষ’ রুপী অমর বানী বুকে ধারন করে রাখেন। আওয়ামী লীগের প্রতি কঠোর হয়ে কোন কাজ করতে যেন ‘উদ্যোগী’ না হন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে সেই ভাবে প্রভাবিত

করে তাঁর সরকারকে পরিচালিত করার কৌশল প্রয়োগে বিএনপির মধ্যে ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকা ভারত পন্থী নেতা আর আমলাদের কাজে লাগিয়ে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র বিশেষভাবে মনোনিবেশ করেন। অতঃপর এই পরিকল্পনায় আমাদের দেশীয় মীরজাফর-দের হাত করে বিএনপি সরকারের লাগাম টেনে ধরার জন্যআওয়ামী লীগের অন্যতম রাজনৈতিক প্রভু, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী শক্তির আজরাইল, দেশপ্রেমী জনতার জল্লাদ তথা বাংলাদেশকে ভারতের করদ রাষ্ট্রে পরিনত করার নাটের গুরু বাবু

প্রণব মুখার্জি মুখ্য ভুমিকা পালন করে সফলকাম হতে কোনই বেগ পেতে হয় নাই।

-দুই উল্লেখ্য, দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থেকে ম্যাডাম জিয়া মাত্র ৩ জন সেনাপ্রধান নিয়োগ দিয়েছিলেন।

১৯৯১-৫ মেয়াদে লেঃ জেঃ নাসিম (সিনিয়র কয়েকজনকে ডিঙ্গিয়ে) ২০০১-৫ মেয়াদের প্রথম দিকে লেঃ জেঃ হাসান মশহুদ চৌধুরী এবং ২০০১-৫ মেয়াদের শেষের দিকে লেঃ জেঃ মইন ইউ আহমেদ (সিনিয়রদের  ডিঙ্গিয়ে) [তবে জেঃ নাসিমের ক্যু ব্যর্থ করে দেয়ার পর তাঁর জায়গায় জেঃ মাহবুর রহমানকে সেনাপ্রধান নিয়োগ দিয়েছিলেন, খালেদা জিয়া নয়, বিচক্ষন রাষ্ট্রপতি (প্রয়াত) আব্দুর রহমান

বিশ্বাস] দুর্ভাগ্যক্রমে র এর সুগভীর চাণক্য কূটচালে বিএনপি সরকারের (উভয় মেয়াদে) নীতি-নির্ধারনী পর্যায়ে দলের উদার পন্থী বলে পরিচিত (প্রকারান্তরে ভারত পন্থী তথা বিএনপি বিধ্বংসী) নেতা-আমলারা এমন ভাবে ঝেঁকে বসতে সক্ষম হয়েছিল যে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নিয়োগ দেয়া উল্লেখিত তিন সেনাপ্রধানের সবাই ছিলেন র এর খাস গুপ্তচর তথা কট্টর আওয়ামী পন্থী। এর মধ্যে দুই জন

(নাসিম এবং মইনুদ্দিন) র-এর মদদে বিএনপির বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান নিয়ে ক্যু করে বসেন যাহা পাঠকদের নূতন করে বলার দরকার আছে বলে মনে করি না। তবে অপরজন অর্থাৎ হাসান মশহুদ চৌধুরী (দলের ঐ সব র-পন্থী নেতা-আমলাদের সুগভীর চক্রান্তে) সৌভাগ্যক্রমে (দুর্ভাগ্যক্রমে?) ইয়াজুদ্দিনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারে খালেদা জিয়া সুপারিশকৃত তালিকা থেকেই উপদেষ্টা হিসাবে অন্তর্ভুক্ত

হতে কামিয়াব হয়ে যান। ফলে যা হবার তাই হল। এই হাসান মশহুদ চৌধুরী উপদেষ্টার পদে বসে প্রণব হাসিনার ইশারা-ইঙ্গিতে সর্বাত্মক ভাবে কাজ করে যেতে চেষ্টার কোন প্রকার ক্রুটি করে নাই। যেমন প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদন ছাড়া-

◆ মিডিয়ায় বেফাঁস কথাবার্তা বলে সরকারকে জনগণের কাছে দুর্বল হিসাবে প্রতিপন্ন করা।

◆ গোপনে অপরাপর আওয়ামী উপদেষ্টাদের সাথে বৈঠক ও সলা-পরামর্শ করা।

◆ কোন প্রটোকলের তোয়াক্কা না করে আচমকা সিইসি আজিজ সাহেবের বাসায় গিয়ে উপস্থিত

হয়ে তাঁকে স্বেচ্ছায় সরে যেতে চাপ দিয়ে আসা। শুধু কি তাই? সবশেষে মইনুদ্দিনের গদি দখলের রাস্থা মসৃন করতে গিয়ে তিনি অন্যান্য আওয়ামী উপদেষ্টা ডঃ আকবর আলী খান, সুলতানা কামাল চক্রবর্তী এবং সি এম শফি সামি-কে সাথে নিয়ে ইয়াজউদ্দিনের তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টার পদ থেকে

একযোগে পদত্যাগ করে বসেন। তাইতো এত সব কাজের পুরষ্কার স্বরূপ তিনি মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিন

সেনা-সরকারে অতীব ক্ষমতাধর আসন দুদকের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পেয়ে যান। তারপর দুদকের

গদি পেয়ে প্রথমেই তারেক জিয়া, স্ত্রী ডঃ জোবায়দা আর তাঁর বৃদ্ধ শাশুড়ির বিরুদ্ধে ‘জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ’ অর্জনের ভুয়া মামলা দিয়ে প্রনবহাসিনার মল-মূত্র ভক্ষক(বাহরাইনে রাষ্ট্রদূত থাকা অবস্থায় ডেকে এনে খালেদা জিয়ার নিয়োগ দেয়া সাবেক সেনাপ্রধান) এই হাসান মশহুদ চৌধুরী সর্বাত্মক ভাবে বিএনপির বিপক্ষেই কাজ করে গেছেন। [অতএব তাঁর এইসব কার্যকলাপ থেকে বুঝতে আর বাকী থাকে কি, তিনি সেনাপ্রধানের পদে থাকা কালীন চাকুরীর এক্সটেনশন চাইছিলেন কেন? আর কেনই বা বিচক্ষণ নেতা তারেক জিয়া ইহা জানতে পেরে ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন? কেননা র-এর প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল এই হাসান মশহুদ চৌধুরীকে দিয়েই, ‘মইনুদ্দিন স্টাইলে’ সামরিক ক্যু করার। প্রিয় পাঠক,এই বিষয়ে বিস্তারিত বইয়ের অন্যত্র আলোচনা করা হয়েছে ] যাহোক, পাশাপাশি যদি দেখি, ক্ষমতায় থেকে শেখ হাসিনা মোট ৭ (সাত) জন সেনাপ্রধান নিয়োগ দিয়েছেন। যেমনঃ-

১। মুস্থাফিজুর রহমান ২। হারুনুর রশিদ ৩ । আবদুল মুবিন ৪। ইকবাল করিম ৫। বেলাল হক ৬।

আজিজ আহমেদ ও সর্বশেষ ৭। এম সফিউদ্দিন।

Read More

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked with *

সর্বশেষ পোস্ট

Advertising