– সুপ্রভাত সিডনি বিশেষ প্রতিবেদন গত ২১ জুলাই ২০২৪ রবিবার সন্ধ্যায় অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশী অধ্যুষিত এলাকা সিডনির লাকেম্বা সাবার্বের রেলওয়ে প্যারেডে বাংলাদেশে চলমান গণহত্যা ও সরকারী দমন-নিপীড়নের প্রতিবাদে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী সমবেত হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এ সময় তারা বিগত এক সপ্তাহ যাবত বাংলাদেশে চলমান গণহত্যায় নিহত হাজারো শহীদ ছাত্র, শ্রমিক ও সাধারণ মানুষের রুহের
– সুপ্রভাত সিডনি বিশেষ প্রতিবেদন
গত ২১ জুলাই ২০২৪ রবিবার সন্ধ্যায় অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশী অধ্যুষিত এলাকা সিডনির লাকেম্বা সাবার্বের রেলওয়ে প্যারেডে বাংলাদেশে চলমান গণহত্যা ও সরকারী দমন-নিপীড়নের প্রতিবাদে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী সমবেত হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এ সময় তারা বিগত এক সপ্তাহ যাবত বাংলাদেশে চলমান গণহত্যায় নিহত হাজারো শহীদ ছাত্র, শ্রমিক ও সাধারণ মানুষের রুহের মাগফেরাত কামনা করে গায়েবানা জানাযার নামাজ আদায় করেন।
বাংলাদেশের গণহত্যা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার মসজিদে মসজিদে দো’য়া হয়। ল্যাকেম্বা মুসল্লার শেইখ রিদওয়ান আখাওয়ি প্রায় প্রতি নামাজের পর মজলুম মুসলমানদের জন্য দোয়া করেন। বিশেষ করে বাংলাদশের বর্তমান অবস্থা বর্ণনা কর তিনি দোয়া করেন। সিডনির পাঞ্চবল মসজিদসহ অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন মসজিদ-মুসল্লায় শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়, আল্লাহ্পাক যাতে শহীদদেরকে জান্নাতের উঁচু মোকাম দান করেন (আমিন)।
বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ এবং পুলিশের সমন্বিত নির্যাতন ও হত্যার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো অস্ট্রেলিয়াতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃস্টি হয়েছে। দলমত নির্বিশেষে সাধারণ বাংলাদেশীরা অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন শহরে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় স্বতঃস্ফুর্তভাবে এর মধ্যেই বেশ কয়েকটি প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেছে। গত শুক্রবার, শনিবার ও রবিবার এ তিনদিনে মেলবোর্ন এবং সিডনিতেই অনুষ্ঠিত হয়েছে এক ডজনেরও বেশি প্রতিবাদ সমাবেশ।
প্রবাসী বাংলাদেশীদের এ প্রতিক্রিয়ার ফলে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং নির্যাতিত ছাত্রদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বার্তা প্রকাশ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিনেটর পেনি উং। এছাড়া সরাসরি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল মিনিস্টার ফর এমপ্লয়মেন্ট এন্ড ওয়ার্কপ্লেস রিলেশনস ও সরকারী দল লেবার পার্টির অন্যতম প্রভাবশালী নেতা Hon Tony Burke MP, Sheikh Shadi Alsuleiman, Senator David Shoebridge, Senator Penny Wong (Twitt), Senator Dave Sharma, Hon Jason Wood MP, Senator Andrew Bragg, Mr. Mark Joseph Coure MP, Nathan Hararty MP, South Asian Policy Initiatives – SAPI সহ বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সংগঠন । বিভিন্ন মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ান রাজনীতিবিদদের বাংলাদেশ বিষয়ক বক্তব্য অনেকের নজর কেড়েছে। কেন্টাবুরি ব্যাংকসটাউন সিটি কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি মেয়র Clr Khodr (Karl) Saleh OAM অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন কিন্ত উপচিয়ে পড়া ভিড় ঠেলে তিনি কোন ভাবেই মঞ্চের সামনে যেতে সক্ষম হননি বলে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
এ ধারাবাহিকতায় রবিবার সন্ধ্যায় লাকেম্বা এলাকায় ১১টি গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশী-অস্ট্রেলিয়ান কমিউনিটি সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত হয় বিক্ষোভ সমাবেশ এবং গায়েবানা জানাযা। চলতি ঘটনায় বাংলাদেশী কমিউনিটির উদ্যোগে অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম গায়েবানা জানাযাও ছিলো এই সমাবেশটি। বাংলাদেশে যারা পুলিশ ও সরকারী দলের দুর্বৃত্তদের হাতে অমানবিকভাবে ও অন্যায়ভাবে নিহত হয়েছেন, তাদের জন্য আয়োজিত এ গায়েবানা জানাযায় ইমামতি করেন সেন্ট মেরিস মসজিদের ইমাম আবু হোরাইরা।
এই বিক্ষোভ সমাবেশ ও গায়েবানা জানাযার যৌথ আয়োজক সামাজিক সংগঠনগুলো কমিউনিটি ইয়থ এন্ড সিটিজেন ডেভেলপমেন্ট (www.cycdo.com.au), গ্লোবাল ভয়েস ফর হিউম্যানিটি, আইরাইটস অস্ট্রেলিয়া, কেয়ার বিডি, অস্ট্রেলিয়ানস ফর বাংলাদেশ,স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন অব অস্ট্রেলিয়া এবং সিটিজেন মুভমেন্ট অফ অস্ট্রেলিয়া ইত্যাদি।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক শিবলী আবদুল্লাহর পরিচালনায় ও বিশিষ্ট সমাজকর্মী ও সাংবাদিক আবদুল্লাহ ইউসুফ শামীমের সভাপতিত্বে আয়োজিত বিক্ষোভে উপচিয়ে পড়া মানুষের উপস্থিতি ছিল দেখার মতো।
এ সমাবেশে শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্যো রাখেন আয়োজক সিটিজেন মুভমেন্ট অস্ট্রেলিয়ার চেয়ারম্যান মোঃমোসলেহ উদ্দিন হাওলাদার আরিফ। অতিথি হিসাবে বক্তব্যে রাখেন ক্যান্টারবুরি-ব্যাংকসটাউন সিটি কাউন্সিলের Mayor Bilal El-Hayek , ক্যাম্পবেলটাউন কাউন্সিলের ডেপুটি মেয়র ইব্রাহিম খলিল মাসুদ,কমিউনিটি ব্যক্তিদের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক ভূইয়া, নাসির উল্লাহ,কেয়ার বাংলার সভাপতি ফারুক হোসেন,বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার মোঃআবুল হাছান, আইরাইটস অস্ট্রেলিয়ার কর্ণধার হাবিব রহমান,লিভারেল পাটির এএনএম মাসুম,অনলাইন একটিভিস্ট মুন্নি চৌধুরী মেধা,জাবি স্টুডেন্ট এসোসিয়েশনের জাকির আলম লেলিন, জাবি,স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন অস্ট্রেলিয়ার ওবায়দুল ইসলাম,জনতার কবিয়াল রাহাত শান্তানু সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশে চলমান গণহত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে গনহত্যায় যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি এবং আন্দোলন চালিয়ে যাবার জন্য সকল বাংলাদেশী ভাই বোনদেরকে জানাই রক্তিম অভিনন্দন। কলকাতায় একইভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাবার জন্য সকল পেশাজীবী ভাই বোনদেরকে জানাই অশেষ শুভেচ্ছা ও প্রাণ ঢালা অভিনন্দন। প্রবাসে শান্তিপূর্ণ মানব বন্ধন করার জন্য কোনো লীগের নেতা কর্মী বা দূতাবাস থেকে হুমকি বা ধমকি দিলে অবশ্যই নিকটস্থ পুলিশে যোগাযো করার অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। এখানকার সরকার এ ব্যাপারে পুরোপুরি সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। আমাদেরকেও ইমেইল করে জানাতে পারেন : suprovat.ceo@gmail.com
অস্ট্রেলিয়ার অলাভজনক ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর প্লাটফর্ম থেকে জোরালো দাবি তোলা হয়, দাবিগুলো নিচে হুবহু তুলে ধরা হলো।
- আমরা দাবী করছি ফ্যাসিবাদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে।
- তরুণ ছাত্র এবং সাধারণ জনগণের উপর নৃশংস গণহত্যার নির্দেশ তিনিই দিয়েছিলেন,তাকে সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিতে হবে।
- আমরা আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতাদের জবাবদিহির দাবী জানাই।
- তারা হলেন সাধারণ সম্পাদক ও যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
- আমরা দাবী করছি সকল দায়িত্বশীল পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, বিজিবি অফিসারদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
- এই সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছাত্রলীগসহ জড়িত সকল গুন্ডাদেরও বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। আমরা অস্ট্রেলিয়া সরকারের কাছে শেখ হাসিনার সরকারের ওপর কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টির দাবী জানাই।
- শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক চাপই তাদের বাংলাদেশে মানুষ হত্যা করা বন্ধ করতে পারে।
- আমরা দাবী করি অস্ট্রেলিয়া সরকার দুর্নীতিবাজ আওয়ামী লীগ নেতা, আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা এবং সরকারি কর্মকর্তাদের থামাতে ম্যাগনিটস্কি আইন ব্যবহার করুক। তারা তাদের অবৈধ সম্পদ অস্ট্রেলিয়ায় স্থানান্তর করছে এবং এই দেশটিকে তাদের নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে ব্যবহার করছে।
অনুষ্ঠানে কমিউনিটির হাজারো মানুষের ঢল নামে , একসময় পুরো রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। বিকেল থেকেই শিশু, কিশোর, যুবক, বৃদ্ধ সকল বয়সের মানুষ সমাবেশস্থলে ভীড় করতে থাকে। সমাবেশে উপস্থিতির মাঝে বাংলাদেশ ছাড়াও অন্যান্য দেশের প্রচুর সংখ্যক মানুষকে উপস্থিত থেকে সহমর্মিতা প্রকাশ করতে দেখা যায়। বিপুল সংখ্যক মানুষ এ সমাবেশে সপরিবারে অংশগ্রহণ করেন। পাশাপশি বাংলাদেশী ছাত্রদের উপস্থিতিও ছিলো লক্ষ্যণীয়। সবার মাঝে বাংলাদেশ নিয়ে তীব্র আশংকা এবং বিক্ষোভের প্রকাশ দেখা যায়। দেশে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া এবং ফোন যোগাযোগ সীমিত করে দেয়ার ফলে স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করতে না পেরে প্রবাসীদের উৎকণ্ঠা তাদের কথোপকথনে অনুভূত হয়। তীব্র স্লোগানে স্লোগানে তারা এ সময় তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং ন্যায়বিচার ও প্রতিবিধানের দাবী উত্থাপন করেন
বাংলাদেশের অবস্থা বর্ণনা করা অসম্ভব। প্রসঙ্গত : দেশের প্রতি ভালবাসা না থাকলে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যেকোন কাজ করা সম্ভব। বাংলাদেশের মেধাবী ছাত্র -ছাত্রীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা বুয়েট থেকে পাশ করেও চাকুরী পায়না অথচ ভারতীয়দের জন্য চাকরির সমস্যা হয়না। ভারতীয়রা আমাদের দেশে পর্যটক হিসেবে প্রবেশ করে, তারপর অবৈধভাবে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে।
কোয়ার্টজ ইন্ডিয়া (Quartz India) এক সমীক্ষায় উল্লেখ করেছে যে ২০১৩ সালে, বাংলাদেশ ভারতে রেমিটেন্সের পঞ্চম-সর্বোচ্চ উৎস ছিল। সে বছর বাংলাদেশে কর্মরত ভারতীয়রা ৫.৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি ভারতে পাঠায়। দ্য ডেইলি স্টারের একটি অপ-এড নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে যে এটি সরকারী পরিসংখ্যান। বেসরকারী পরিসংখ্যান উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি বলে অনুমান করা হয়েছে এবং নিবন্ধে দাবি করা হয়েছে যে তাদের বেশিরভাগই পর্যটক ভিসায় বাংলাদেশে যেয়ে অবৈধভাবে থাকার প্রবণতা করেছিলেন। বাংলাদেশে কয়েক লক্ষ ভারতীয় অবৈধভাবে কাজ করছে।
দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের (The Financial Express) একটি কলাম দাবি করেছে যে ২০০৯ সালে প্রায় ৫00,000 ভারতীয় অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করছিলেন। নিবন্ধে দাবি করা হয়েছে যে তাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেমন এনজিও, গার্মেন্টস, টেক্সটাইল এবং আইটি-তে কাজ করতে দেখা গেছে এবং হুন্ডি ট্রান্সফার সিস্টেমের মাধ্যমে দেশে অর্থ পাঠিয়ে নিজেদের মা বাবাকে ভরণ পোষন করছে।বিভিন্ন ধরনের অবৈধ যেমন মদ, ড্রাগস ও পতিতা ব্যবসা ও চালাচ্ছে। ডেইলি ইন্ডাস্ট্রির (Daily Industry) মতে, ২০২২ সালে বাংলাদেশে অবৈধভাবে ১০ লাখ ভারতীয় থাকতে পারে।
ভারত সরকারের বিশাল অর্থনৈতিক বাজার হচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে তাদের বারান্দার বাজারের মতো ব্যবহার করছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সমস্ত কিছু কৌশলে বাগিয়ে নিচ্ছে। হাসিনা সরকার ভারত যেয়ে এমন কি চুক্তি করে আসলো যার খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। হাসিনাই বা এমন কি করে এসেছে যে ভারতের সামনে মাথা উঁচু করে কথা বলতে সাহস পায়না। ভারতের কাছে কেন তার জবান বন্ধ ? কি সেই ভিডিও , ভারত ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা সমগ্র দেশ তছনছ করে ফেলেছে অতচ ভয়ে হাসিনা মুখ খুলছেনা-জনগণের মনে এ ধরনের অনেক প্রশ্ন।
কোটা বৈষম্মে ছাত্ররা বৈধ ও যুক্তিযুক্ত দাবি তুল্লে সরকার এরকম পাগলা কুকুরের ভূমিকায় কেন রূপ নিলো ? হাসিনা সরকার নেশাখোর ও নিরক্ষর না হলে আরো সুন্দরভাবে বিষয়টি সুরাহা করতে পারতো। তবে হ্যা, বিশ্বের সবচেয়ে নিকৃষ্ট জাতি ভারতের গায়ে বেশি লেগেছে কোটার আন্দোলন । ভারত ভেবেছে , কোটা যদি ঠিক মতো মোডিফাই করা হয় তবে ভারতীয়রা বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত হতে পারে -সেক্ষেত্রে হয়তোবা ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে নামতে হবে ভারতকে। তাই, ভারত সরকার তাদের পেশাদার সন্ত্রাসীদেরকে নিরীহ ছাত্রদের উপর লেলিয়ে দেয়। এমনকি তারা বাসায় বাসায় যেয়ে নিরীহ, নিরস্র ছেলে মেয়েদেরকে অশ্র মাথায় ঠেকিয়ে গুলি করেছে। বাংলাদেশের সর্বত্র লাশ আর লাশ। আজ ভারতের ব্যাপারে কেউ কথা বলেনা। অথচ বাংলাদেশে মূল সন্ত্রাসের সহযোগী হচ্ছে এ দাদারা। দয়া মায়াহীন মনুষত্ববিহীন পশুর মতো একেকজন বিজেপির অনুসারীরা। এদেরকে গোটা বিশ্বের সামনে দাঁড় করতে হবে,এরা কৌশলে বিয়াকুফ হাসিনার ঘাড়ে বন্ধুক রেখে বাংলাদেশের নিরীহ জনগণকে অকাতরে হত্যা করছে। ট্রেন,বাস,কলকারখানা, মসজিদ, শপিং সেন্টার ইত্যাদি বিভিন্ন প্রতিষ্টানে ভারতীয় সন্ত্রাসী ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আগুন দিচ্ছে। আগুন দিয়ে বিরোধী দলের নাম দিয়েছে এতো দিন -এখন ছাত্রদের উপর চাপাচ্ছে। বাংলাদেশ নিরাপত্তা,স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বহীন একটি অচল দেশে পরিণত হয়েছে। সিডনিসহ বিশ্বের সর্বত শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবি আজ সময়ের চাহিদা। নিচের লিংকগুলোতে চোখ বুলালেই কিছুটা ধারণা পাবেন যে, ভারতীয় কুলাঙ্গারদের অবস্থান।
ভারত থেকে আসা অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে বাংলাদেশি মিডিয়া যা বলছে
ঢাকায় প্রশ্ন উঠেছে: বাংলাদেশে অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের কী হবে?
বাংলাদেশের ছাত্র -ছাত্রীরা ক্ষুব্ধ হয়ে সরকারের গণহত্যার জবাব দেয় ভিন্ন ভাবে। বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্টানের বিরুদ্ধে সাইবার যুদ্ধ ঘোষণা করে ছাত্র -ছাত্রীরা। যার ফলশ্রুতিতে,প্রধানমন্ত্রীর অফিস, বাংলাদেশ পুলিশ ডিপার্টমেন্ট,বাংলাদেশ ব্যাঙ্কসহ সরকারের প্রধান প্রধান প্রতিষ্ঠানগুলো হ্যাক করে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। বাংলাদেশের সাইবার শিল্প এতো উন্নতি লাভ করেছে যে, সরকার কোনোভাবেই কুলিয়ে উঠতে না পেরে অবশেষে বাধ্য হয়ে গোটা সিস্টেম বন্ধ করে দেয়। আওয়ামী বঙ্গ-বাবা ভারত এব্যাপারে অপারগতা প্রকাশ করে অর্থাৎ গোমূত্র পান করা ভারতীয় আইটি এবং সাইবার বিশেষজ্ঞরা মিলেও বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্টানগুলো আমাদের দেশের ক্ষুদে সাইবার যোদ্ধাদের থেকে ফিরিয়ে আন্তে ব্যর্থ হয়। তার অর্থ হচ্ছে, ভারত যতই নিজেদেরকে আইটি বিশেষজ্ঞ বলে ভাবুক না কেনো, আসলে ভুয়া। আমাদের দেশের ছোট ছোট ছাত্র -ছাত্রীর কাছে ভারতের আইটি বিশেষজ্ঞরা কিছুইনা। তাই দেখবেন, বাংলাদেশের মানুষের উপর ভারতের আলাদা একটু আক্রোশ সবসময় পরিলক্ষিত হয়। প্রসঙ্গত, আমাদের দেশে যখনই নতুন কোনো উদ্ভাবন হয় তখন মিডিয়ায় হৈ -হুল্লা পরে যায়। কয়েকদিন পর সেই ছেলের কোনো হদিস পাওয়া যায়না। ছেলেটিকে কে বা করা গুম করে ফেলে। অথচ বিশ্বের যে কোন দেশে হয় উল্টোটা। ভারত আমাদের কোনদিনও বন্ধু ছিলনা বা এখনো নয়, এ জিনিসটি বুঝতে রকেট সাইন্স পড়তে হবে না। যারা ভারতকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করেছে তারা দেশের শত্রু, জনগণের শত্রু, জাতির শত্রু। এদের সাথে উঠা বসা, চলা ফেরা একেবারে বন্ধ করে দেয়া উচিত। এদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে না যাওয়া ঈমানী দায়িত্ব। যারা ভারতের তাবেদারী করে বা হাসিনার সমর্থক, এদের সাথে সম্পর্ক না করা, ছেলে মেয়ের বিয়ে না দেয়া,এদেরকে সামাজিকভাবে বয়কট করা অত্যান্ত জরুরি। কোথাও কোনো বিয়ে-সাদি বা নিমন্ত্রণ পেলে আগে খুঁজে দেখবেন, আওয়ামীলীগ,যুবলীগ বা ছাত্রলীগের কাউকে দাওয়াত দেয়া হয়েছে কিনা ? যদি ওই খুনিদেরকে দাওয়াত দেয়া হয় তবে দাওয়াত প্রত্যাখান করুন। ভয় বা লজ্জা পাবার কিছু নেই, আপনার এ প্রত্যাখ্যানে একদিন পরিবর্তন আসবেই।
বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রীয় নির্মম হত্যাকাণ্ডে গোটা দুনিয়া হতবাক। বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই হাসিনা বিরোধী আন্দোলন হয়েছে যা আমরা ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন গণ মাধ্যমে দেখেছি। বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশের মানবাধিকার সঙ্গগঠন, মন্ত্রী, আমলা ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবর্গ তাদের দুঃখ প্রকাশ করে ছাত্রদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন। সুপ্রভাত সিডনির পক্ষ থেকে তাদেরকে জানাই বিপ্লবী অভিনন্দন।
প্রবাসে বসবাসকারী ব্যক্তিদের মধ্যে যারা বিগত ভুয়া নির্বাচনের সময় বাংলাদেশে গিয়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করেছে, তাদের নাম ও ঠিকানা বিস্তারিতভাবে সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ান সরকার এই তথ্য সংগ্রহে বিশেষভাবে আগ্রহী। এছাড়া, আমেরিকা, ইংল্যান্ড, কানাডা, ইউরোপসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর সরকারকে আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্যদের নাম ও ঠিকানা স্থানীয় প্রশাসনকে জানাতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।
এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শান্তি প্রিয় মানুষের কাম্য নয়। যেহেতু এসব সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য হলো জুলুম, অত্যাচার, ধর্ষণ ও নির্যাতন, তাই নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সচেতন থাকার জন্য অভিজ্ঞ মহল পরামর্শ দিচ্ছে।
এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল মিনিস্টার ফর এমপ্লয়মেন্ট এন্ড ওয়ার্কপ্লেস রিলেশনস ও সরকারী দল লেবার পার্টির অন্যতম প্রভাবশালী নেতা Hon Tony Burke MP, ক্ষমতাসীন অস্ট্রেলিয়ান লেবার পার্টির পররাষ্ট্রমন্ত্রী Senator Penny Wong (Twitt), অস্ট্রেলিয়ান ইমাম কাউন্সিলের সভাপতি Sheikh Shadi Alsuleiman, অস্ট্রেলিয়ান গ্রীন পার্টির Senator David Shoebridge, অস্ট্রেলিয়ান লিবারেল পার্টির Senator Dave Sharma, Hon Jason Wood MP, Senator Andrew Bragg, Mr. Mark Joseph Coure MP, মানবাধিকার সংগঠন South Asian Policy Initiatives থেকে তড়িৎ তাদের সমর্থন লাভে কয়েকজন কম্যুনিটি লিডারের ভূমিকা উল্লেখ না করলেই নয়।
অস্ট্রেলিয়ান গ্রীন পার্টির Senator David Shoebridge এবং সাবেক Senator Lee Rhiannon এর সাথে প্রফেসর শিবলী আব্দুল্লাহর সাথে অত্যান্ত সুসম্পর্ক থাকার কথা সকলেরই জানা। কম্যুনিটি লিডার শিবলী আব্দুল্লাহর একান্ত প্রচেষ্টায় Senator David Shoebridge ভিডিও ও লিখিত বার্তা প্রেরণ করেন। সুপ্রভাত সিডনির প্রধান সম্পাদক বর্তমান সরকারীদল লেবার পার্টির অন্যতম প্রভাবশালী নেতা Hon Tony Burke MP কে বিশেষ অনুরোধ করেন ভিডিও বার্তার জন্য। তখন তিনি অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরার উদ্দেশ্যে রওনা দিবেন বলে জানায়। খুব তাড়াহুড়া করে তিনি ল্যাকেম্বায় যেয়ে ভিডিও মেসেজ ধারণ করে এএনএম মাসুমের ব্যবসা প্রতিষ্টানের সামনে।
অস্ট্রেলিয়ান লিবারেল পার্টির Senator Dave Sharma, Hon Jason Wood MP, Senator Andrew Bragg, Mr. Mark Joseph Coure MP এর সাথে ব্যক্তিগত সুস্পর্ক থাকায় সুপ্রভাত সিডনির মাল্টিমিডিয়া রেপ: হিসেবে এএনএম মাসুম Hon Tony Burke MP, Senator Dave Sharma, Mr. Mark Joseph Coure MP এর ভিডিও বার্তা ধারণ করেন। অর্থাৎ তিনটি ভিডিও বিভিন্ন সময়ে একই জায়গায় ধারণ করা হয়। এভাবে তাৎক্ষণিক সকলের অংশ গ্রহণ সত্যি প্রশংসনীয়। ভিডিও ধারণ বা সহযোগিতায় ছিল মোসলেহউদ্দিন আরিফ। সকলে দেশের সার্থে একযোগে আমরা কাজ করবো এটাই স্বাভাবিক। তবে যে যতটুকু কাজ করবে তাকে ততটুকু সাদুবাদ জানাতে কার্পণ্য করা নিশ্চই ঠিক নয়।
তাছাড়া, বাংলাদেশ থেকে প্রায়ই দেখা যায় আওমীলীগের আমলা, মন্ত্রী ডেলিগেট ট্রেনিং বা সেমিনারের নামে প্রমোদবিহারে যায়। মদ,জুয়া, ক্যাসিনো ও পতিতালয়ে ঘুরা ঘুরি ছাড়া দেশে ফিরতে চায়না। এজন্য তাদের স্থানীয় অনুসারীরা ভাউরার দায়িত্ব পালন করে। এ ধরনের লম্পট -অপদার্থ যাতে প্রবাসে সেমিনার বা ট্রেনিংয়ে না এতে পারে , এ নিয়ে সরকারকে অবহিত করতে হবে বলে অনেকে মত প্রকাশ করেন।
সিডনিস্থ মোহাম্মদ শরীফের আপন বোনের ছেলে মোহাম্মদ রোহান খান (১৭) শহীদ হয়েছেন বলে সুপ্রভাত সিডনি জানতে পেরেছে। তারই একটি ভিডিও ক্লিপ আপনাদের জন্য তুলে ধরলাম। সিডনিস্থ আরো অনেকের আত্মীয় -স্বজন ও বন্ধু -বান্ধবের ইন্তেকালের সংবাদ আমাদের অফিসে এসেছে, আগামীতে এক এক করে প্রকাশ করার ইচ্ছে রাখি ইনশাল্লাহ।
অস্ট্রেলিয়ায় থেকে প্রকাশিত একমাত্র বাংলা পত্রিকা সুপ্রভাত সিডনি সমগ্র মানববন্ধনের মিডিয়া পার্টনার ছিল। লাইভ কাভারেজসহ বিভিন্ন সহযোগিতায় এ ধরণের একটি সফল অনুষ্ঠানের জন্য সংগঠনের সভাপতি ও অনুষ্ঠানের সভাপতি সকলকে অভিনন্দন জানান। অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে বাংলদেশ কমিউনিটিতে এতবড় মানববন্ধন এ প্রথম বলে উপস্থিত অনেককে মত প্রকাশ করতে শোনা যায়।
বিক্ষোভের পুরো ভিডিও দেখুন : https://www.youtube.com/watch?v=0iHEnu2BWIw&t=2s
2 Comments
Ali Mohamad liakut
July 27, 2024, 3:17 pmstepped down Hassina immediately
REPLYArif Rahman
July 27, 2024, 4:34 pmThese brutality against citizens of the country must be stop and those who were involved with mass killing of the innocent students must brought to justice.
REPLY