আমরা তখন স্কুলে যেতাম মেঠো পথে হেঁটে
অনেক সময় অল্প খেয়ে থাকত ক্ষুধা পেটে।
লুঙ্গি পরে যেতাম সেথায় ভাবতে অবাক লাগে!
ওস্তাদেরাও এটাই পরে বাহবা নিতেন আগে।
কুপিবাতি-হারিকেনে বাল্যকালে পড়া
চলত তবু গাঁও-গেরামে সাচ্চা মানুষ গড়া।
বৃষ্টি-কাদায় ওস্তাদেরা যেতেন বাড়িবাড়ি
সঙ্গোপনে নিতেন খবর পাতেন কভু আড়ি।
গভীর রাতে পড়ার মাঝে হঠাৎ ঘুমিয়ে পড়ি
ভাঙত সে ঘুম প্রত্যুষে প্রায় লজ্জাতে ঠিক মরি।
আবছা আলোয় শেষ বিকেলে ঝাপসা বইয়ের লেখা
পড়ছি গিয়ে আইলে তখন চাটাই নিয়ে একা।
মধুর শাসন চলত মায়ের অধিক পড়ার লাগি
কষ্টে হাসির ঝলক দিয়ে আরেকটু ক্ষণ মাগি।
পড়ছি রাতে যখন ঘুমে গাঁয়ের নরনারী
মুয়াজ্জিনের আযান শুনে তখন টেবিল ছাড়ি।
জটিল কোনো বিষয় নিয়ে ছুটছি পরের বাসায়
কোথাও যদি পাই সমাধান একটুখানি আশায়।
পরীক্ষাটা আসলে পরে ছাড়ছি ঘোরাঘুরি
থাকছি ঘরে যেমনি কাটায় অচল বুড়া-বুড়ি।
সব আধুনিক সুযোগ পেয়ে কেউ আনাড়ি হালে
উঠুক জেগে নবীন মাঝি লাগুক হাওয়া পালে।