সামসুল ইসলাম টুকু: দক্ষিন গোলার্ধে অবস্থিত দ্বীপ মহাদেশ অষ্ট্রেলিয়ায় নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের মুল্য বেশী হওয়ায় তাদের জীবনযাত্রাও ব্যয়বহুল হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু কঠিন নয়।বাংলাদেশের তুলনায় এখানকার সবকিছুর মুল্য বেশী তাই আর্থিক বিচারে ব্যয় বেশী তাতে সন্দেহ নাই। কিন্তু এখানে মানুষের উপার্জন ক্ষমতা ও সরকার প্রদত্ত কাজের নিয়ম সময় পারিশ্রমিক প্রভৃতি বিচারে দেখা যায় সর্বনিম্ন আয়ের মানুষেরাও
সামসুল ইসলাম টুকু: দক্ষিন গোলার্ধে অবস্থিত দ্বীপ মহাদেশ অষ্ট্রেলিয়ায় নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের মুল্য বেশী হওয়ায় তাদের জীবনযাত্রাও ব্যয়বহুল হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু কঠিন নয়।বাংলাদেশের তুলনায় এখানকার সবকিছুর মুল্য বেশী তাই আর্থিক বিচারে ব্যয় বেশী তাতে সন্দেহ নাই। কিন্তু এখানে মানুষের উপার্জন ক্ষমতা ও সরকার প্রদত্ত কাজের নিয়ম সময় পারিশ্রমিক প্রভৃতি বিচারে দেখা যায় সর্বনিম্ন আয়ের মানুষেরাও স্বছলভাবে তাদের জীবনযাত্রা নির্বাহ করতে পারে।যেটা বাংলাদেশে অনুপস্থিত। বাংলাদেশে সর্বনিম্ন আয়ের মানুষেরা যা কমপক্ষে ২ কোটি তারা কোনো ভাবেই স্বচ্ছল নয়। কারন তাদের প্রতিদিনের মজুরী নিতান্তই কম। তার উপরে প্রতিদিন কাজের নিশ্চয়তা নেই এবং পাশাপাশি রয়েছে সীমাহীন বেতন বৈষম্য। একারনে রাজমিস্ত্রি ,কাঠমিস্ত্রি , রঙ মিস্ত্রি, বিদ্যুৎমিস্ত্রি, কৃষি মজুর ,বেকার যুবকরা ,বিভিন্ন স্তরের শ্রমকরা একটু বেশী মজুরীর আশায় ধার দেনা করে মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমায়। আর যারা মেধাসম্পন্ন , হয়তো চাকুরীও করেন তারা আরো বেশী স্বছল হয়ার আশায় উন্নত দেশগুলোতে পাড়ি জমায়। এদের অধিকাংশই ষ্টুডেন্ট ভিসায় যায়। সেখানে গিয়েই চাকুরী পায়না।সেখানকার বাধ্যতামুলক লেখাপড়া, ডিপ্লোমা কোর্ষ , ভাষা শেখা ,উচ্চতর লেখা পড়া শেষে চাকুরী করার সুযোগ পায়। এটি অবশ্য অনেক বড় আলোচনা ,পরে করা য্বেতে পারে।
এখন অষ্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত মানুষদের জীবনযাত্রা নিয়ে খুব সাধারন আলাপ করি।এখানে খুব স্বল্প আয়ের মানুষেরাও স্বচ্ছল জীবনযাপন করে।এর অর্থ এই নয় যে তার সহজে কোটিপতি হয়ে যাবে। এমনকি.২০/২৫ বছর চাকুরী করেও একটি সাধারন বাড়ী কেনা সম্ভব নয়। তবে তারা যে কর্মই করুকনা কেন তা সম্মানের সাথে করে এবং আর্থিক সংকটে ভুগেনা।কাজ করলেই টাকা মিলবে।। যেমনটা বলা হয় গাড়ীর চাকা ঘুরলেই টাকা। অস্ট্রেলিয়ায় অনেককে জিজ্ঞাসা করেছি তার এখানকার জীবনযাত্রায় সন্তুষ্ট কি না।বিভিন্নভাবে তারা প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেছেন। জনৈক লায়লা পি, এইচ ডি ডিগ্রী সম্পন্ন করেছেন কয়েকদিন আগে। তিনি খোলাখুলি বললেন অষ্ট্রেলিয়া সরকার আমাদের অর্থশালী হতে দেবেনা। যেমন দেয় তেমনি বিভিন্নভাবে আদায় করে নেয়।বাংলাদেশ থেকে আসার সময় ভেবেছিলাম এখানে এসে চাকুরী করবো আর বাবা মাকে ডলার পাঠাবো। কিন্তু গত ৫ বছরে নিজেরাই স্বামী সন্তান সহ ঠিকমত চলতে পারিনা।বস্তিসম একটা বাড়ীতে বাস করি। তাই বাবা মাকে আজও কিছু পাঠাতে পারিনি। তবে ভালো চাকুরি করলে হয়তো পাঠাতে পারবো। তাছাড়া বাংলাদেশে যেতে চাইলেও যেতে পারিনি। কারন যাতায়াতের বিমান ভাড়াই ৩লাখ টাকা এবং অন্যান্য খরচ আরো ২ লাখ টাকা। জনাব মামুনুর রশিদ একজন কম্পিউটরে মাষ্টার্স ,চাকুরি করেন একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে। তিনি বললেন প্রায় ২৫ বছর আগে অষ্ট্রেলিয়ায় এসেছেন। তার স্ত্রীও নার্সের চাকুরী করেন। দুজনের চেষ্টায় একটি দ্বিতল বাড়ী নির্মান করেছেন সম্প্রতি। দুই ছেলে লেখাপড়া করছে।তারা যদি পরে কিছু করে বা করতে পারে। তবে তা নির্ভর করছে তাদের চাকুরীর উপর। একই ধরনের কথা বলেছেন মাহমুদু হাসান ,পারভিন,শিল্পী,হাসান মমতাজ , শামী্ম, রুহুল আরও অনেকে।কেউই বলতে পারেননি কোটি কোটি টাকার কথা। তবে সবাই ভাল আছেন সুখে আছেন। এখানে স্থানীয় এবং প্রবাসীদের মধ্যে কিছু পার্থক্য বিরাজ করে।স্থানীয়রা লেখাপড়ার ক্ষেত্রে আগ্রহ কম। অল্প লেখাপড়া করে এবং বিশেষ কোনো বিষয়ে ডিপ্লোমা নিয়ে একটা চাকুরী পেলেই হলো। এর পেছনে যে কারন রয়েছে সেটা একটা সামাজিক ব্যাপার। এখানে ছেলে মেয়েরা ১৬ থেকে ১৮ বছর হলে সে স্বাধীনতা পেয়ে যায় রাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী। ফলে পরিবারের বা বাবা মায়ের নির্দেশ, উপদেশ ,পরামর্শ গুরুত্ব হারায়।তাই তখন ছোট খাটোএকটা চাকুরী , বিয়ে সাদী আর সংসার গুরুত্বপুর্ন হয়ে ওঠে। আর সেখানে চাকুরী বা কাজের অভাব নেই। অন্যদিকে প্রবাসী বাংলাদেশী ভারতীয়সহ তৃতীয় বিশ্বের মানুষেরা তাদের ঐতিহ্য অনুযায়ী ছেলে মেয়েদের উচ্চশিক্ষা ও উচ্চাকাঙ্খী করতে কার্পন্য করেনা। প্রবাসে গিয়েও সে ধারা অব্যাহত রাখতে চেষ্টা করে। এছাড়া যারা দেশে থাকলে যাকে ছোট কাজ এবং বেতন কম , পরিশ্রম বেশী বলে এবং পরনিন্দার ভয়ে করতোনা ,অথচ তারাই প্রবাসে গিয়ে সে কাজ করে বেতন বেশী পায় বলে এবং সেখানে ভুয়া লোকনিন্দার ভয় থাকেনা।
এখানে যারা স্থায়ী কোনো কাজ করেনা কিন্তু ডিপ্লোমাধারী যেমন কাঠ মিস্ত্রি, রাজ মিস্ত্রি্, রঙ মিস্ত্রি ,স্যানেটারি মিস্ত্রি,নাপিত , মেকার , পানির মিস্ত্রি ক্লিনার এরা কাজে হাত দিলেই ৫০ থেকে ১০০ ডলার দিতে হয়। তাই এদের সাথে চুক্তি করে কাজ করাই ভালো।এরা দিনে ৩/৪ টি কাজ করে মাসে ৪/৫ হাজার ডলার আয় করতে পারে। এদের ইনকাম ট্যাক্স দিতে হয়না। ফলে দিব্যি তাদের সংসার চলে , কিছু সঞ্চয় করতে পারে এবং ১০/১৫ বছরে একটা বাড়ীও কিনতে পারে।যারা সরকারী বেসরকারী ছোট চাকুরী করে তাদের বেতন নির্ধারন হয় ঘন্টা ভিত্তিক মজুরী দিয়ে।সপ্তাহে বা দুসপ্তাহে বেতন পেয়ে যায়।এদের সর্বনিম্ন মজুরী ২২ ডলারের কম নয় এবং ইনকাম ট্যাক্স দিতে হয়।এরা সহজে বাড়ী ঘর কিনতে পারেনা। তবে পরিবারে দুজন কাজ করলে ১৫ বছরে বাড়ী কিনতে পারে।এখানে সরকার দেশের প্রতিটি নাগরিকের জীবনযাত্রা যেন ব্যাহত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখে।বেসরকারী সংস্থাগুলো সরকারের বেতন কাঠামো মেনে চলে কিনা সেটাও খেয়াল রাখে। শুধু তাইনয় , নিরুপায় , প্রতিবিন্ধি, বেকার , বখাটে দের জীবনযাত্রা নির্বাহের জন্য প্রয়োজনীয় ভাঁতা দেয়। ব্যাবসায়ীদের পন্যের দাম ও লাভ নির্ধারিত করে দেয়। তেমনি ব্যাবসায়ীরা জনসেবার নৈতিক দায়িত্ব এর কথা মনে রেখেই ব্যবসা করে অমানবিক ,নির্দয় , কসাই ,মুনাফাখোরে পরিনত হয়না।ফলে এখানে পন্যের মুল্য হঠাৎ করে লাফ দিয়ে ওঠেনা।এটাই হচ্ছে অষ্ট্রেলিয়ার সৌন্দর্য।এখানে যে ব্যাবসায়ী সিন্ডিকেট নেই তা নয় ,তবে নিয়ন্ত্রিত। রাতারাতি কোটিপতি বা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হবার সুযোগ কম। এখানে সরকারের বাজার ব্যাবস্থাপনা যেমন সক্রিয় তেমনি ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেনদেন হয়। কর ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ নেই। তবে ব্যাবসায় যার যেমন বিনিয়োগ তার তেমন লাভ। ইতোমধ্যে যে সকল পেশাজীবীদের উল্লেখ করেছি তার বাইরেও কিছু পেশাজীবী রয়েছে। যারা প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত এবং বৃদ্ধাশ্রম ,শিশুনিবাস , প্রতিবন্ধী কেন্দ্র , হাঁসপাতাল ,কুরিয়র সার্ভিস রিসেপশন,বিদ্যুৎমিস্ত্রি ,ড্রাইভার , সিকিউরিটিগার্ড , সেলসম্যান সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করে তাদের বেতন ঘন্টায় ২৫ ডলার থেকে ৪০ ডলার পর্যন্ত। অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এদের বেতন নির্ধারিত হয়। ধরা যাক এই শ্রেনীর চাকুরীতে কোনো ব্যাক্তি প্রতিদিন ৮ ঘন্টা করে কাজ করে এবং ঘন্টা প্রতি ৩০ ডলার হিসেবে ২০ দিন বা ১৬০ ঘন্টা কাজ করতে পারে তাহলে তা মাসিক আয় হবে ৪ হাজার ৮০০ ডলার। তিনি যদি সাধারন দুই রুম বিশিষ্ট বাসায় বাস করেন তবে তাকে নুন্যপক্ষে ১২০০ ডলার ভাড়া গুনতে হবে অর্থাৎ ৯৬ হাজার টাকা। (এখানে বাড়ী ভাড়াওত্যাধিক বেশী )মাসে খাওয়া খরচ বিদ্যুৎ পানি পরিবহন মোবাইল খরচ আরও ১হাজার ডলার ধরা হয় তাহলেও তিনি মাসে ২ হাজার ৬০০ ডলার বা বছরে ৩১ হাজার ২০০ ডলারবাঁচাতে পারবেন। তিনি যদি ৫লাখ ডলার মুল্যের একটি ইউনিট নগদে কিনতে চান তাহলে তাকে অন্ততপক্ষে ১৬ বছর লাগবে।তবে এটা মনে রাখা দরকার সরকারের নির্দিষ্ট হারে আয়কর দেওয়ার পরে সেটা বৈধ টাকা হতে হবে।এখানে ২০২২-২০২৩ বছরের আয়কর গ্রহনের তালিকা নিচে দেওয়া হলো। কোনো ব্যাক্তির বাৎসরিক আয় ১৮২০০ ডলার পর্যন্ত হলে আয়কর দিতে হয়না।১৮২০০ থেকে ৪৫০০০ ডলার পর্যন্ত ১৬%। ৪৫০০০ থেকে ১লাখ ৩৫ হাজার ডলার পর্যন্ত ৩০%। ১লাখ ৩৫ হাজার থেকে ১ লাখ ৯০ হাজার ডলার পর্যন্ত ৩৭% এবং ২ লাখ ডলারের উপরে হলে ৪৫% পর্যন্ত আয়কর দিতে হয়।শুধু তাই নয় বেতন দেওয়ার সাথে সাথেই তা কেটে নেওয়া হয়। তাই বলে ফাঁকি দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই এমন কথা বলা যায়না।কিছু সুযোগ সন্ধানী ব্যাবসায়ী আছে যারা আয়কর ফাঁকি দিতে নগদে লেনদেন করে।যার কোনো প্রমান থাকেনা।তবে ধরা পড়লে বিপদ অনেক।এখানে উচ্চ হারে আয়কর কাটলেও দেখা হয় আয়করদাতা বছর শেষে যে বেতন পেলো তা স্লাব অনুযায়ী হয়েছে কি না আয়কর অনুযায়ী যদি প্রাপ্য বেতন কম থাকে তাহলে পরিমানমত টাকা ফেরৎ দিয়ে তা সমতায় আনে।এটাও অষ্ট্রেলিয়ার মানুষকে আয়কর দিতে উৎসাহিত করে। অথচ বাংলাদেশে আয়কর বিভাগ এই উৎসাহ সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হচ্ছে।
এখানে মজার বিষয় হচ্ছে বাড়ীঘর বাকীতে কেনা যায় এবং ব্যাংক তাকে সাহায্য করে। ক্রেতা বাড়ীর মুল্যের ২০% দিলে বাকি টাকা ২০ বছরের কিস্তিতে পরিশোধ করা যায়।সে ক্ষেত্রে সুদে আসলে বাড়ীর দাম প্রায় তিনগুন হয়ে যায়।এ পথে না যাওয়াই ভালো।পুর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে
বেতন যত বেশী আয়কর তত বেশী। সুতরাং তাদের ক্রয় ক্ষমতাও তদ্রুপ।ফলে সেখানে ছোট পদ বড় পদের বেতন বৈষম্য খুবই কম। বাংলাদেশের মত আকাশ পাতাল বৈষম্য নয়। এখানে ছোট চাকুরী করুক অথবা বড় চাকুরী করুক তাদের একখানা গাড়ী কিনতেই হয়।হেঁটে কোথাও যায়না। বাড়ী ঘর জমি যায়গা কেনার প্রবনতা বেশী দেখা যায় প্রবাসীদের মধ্যে।কারন এখানে স্থায়ীভাবে থাকতে হলে মাথা গোঁজার ঠাই দরকার। আর বাংলাদেশীরা এটা বেশী চিন্তা করে। অষ্ট্রেলিয়ান বা অজিদের এ প্রবনতা খুবই কম। এখানে প্রচুর বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠিত। তারা দেশে ফিরবেনা।একটি বিষয় উল্লেখ না করলেই নয়। তা হচ্ছে বাড়ী ঘর জমি দোকান কেনা বেচার মধ্যস্থতাকারী বা দালাল অনেকেই বাংলাদেশী।এদের মধ্যে আইনজীবীও আছে। এরা দালালী ব্যাবসা করেই প্রতিষ্ঠিত এবং কোটিপতি। তবে বাংলাদেশীরাই এদের ভালো চোখে দেখেনা।কারন তারা দালালীর টাকা তো নেয় সেইসাথে জমির দাম বাড়ায় ডাকের মত।অভিযোগ আছে গত ৫/৬ বছরে এদের কারনেই বাড়ী জমির দাম বেড়েছে দ্বিগুন। এদের দেখেই অষ্ট্রেলিয়ানরা চালাক হয়েছে।অথচ ১০ বছর আগে অষ্ট্রেলিয়ানদের কাছ থেকে সহজেই বাড়ী জমি কেনা সম্ভব হয়েছে। বাড়ী কেনার জন্য সর্বনিম্ন ৫থেকে ১০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করতে হয়।শুনে খুব কম মনে হলেও তা টাকায় রুপান্তর করলে তা হবে ৪কোটি থেকে ৮কোটি টাকা। এই পরিমান টাকা বাংলাদেশে থাকলে তা সঞ্চয়পত্র সহ এমন স্থায়ী আমানতে রাখলে তার সুদ থেকেই লাটসাহেবি করে চলা যাবে। শুধু তাই নয় উল্লেখিত টাকা দিয়ে ৪টি অথবা ৮টি আলিসান বাড়ী কেনা যাবে। কিন্তু তারপরেও বাংলাদেশীরা দেশে ফিরে আসেনা। কারন সেখানে যেমন কমপক্ষে ৭০ বছর বয়স পর্যন্ত চাকুরী করতে পারবে তেমনি চাকুরী শেষেও অনেক সুবিধা ভোগ করতে পারে। সেখানে নিরাপদ বোধ করে।তাদের সঞ্চিত অর্থ অষ্ট্রেলিয়াতেই বিনিয়োগ করে।বাংলাদেশ বঞ্চিত হয়। এ পরিস্থিতির পরিবর্তন করতে হলে বাংলাদেশ সরকারকে ভাবতে হবে তাদের সকল নিরাপত্তার কথা। নাগরিক সুযোগ সুবিধা নুন্যতম কাঙ্খিত যায়গায় আনতে হবে। আমলাতন্ত্র , ঘুষ , দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে।যে কোনো গনতান্ত্রিক সরকারের শুভ বুদ্ধির উপর তা নির্ভর করে।বাংলাদেশ সরকার ,আমলা , শুসীল ,বুদ্ধিজীবি এমনকি সাধারন মানুষ বোঝে দুর্নীতি বন্ধ করতে পারলে ১৮ কোটির এই জনবহুল দেশ সোনার দেশে পরিনত হবে। কারো কোনো অভাব থাকবেনা।অষ্ট্রেলিয়া কানাডা সহ বহু দেশ তো স্বল্প সংখ্যক মানুষের জন্য বিশাল দেশ , অভাব হবার কথাই নয়।তাই বলে জনসংখ্যার ভারে নুব্জ্য অতি ক্ষুদ্র বাংলাদেশে না খেয়ে মরার ঘটনাতো নেই।কিন্তু এই তৃপ্তি নিয়ে দুর্নীতি বন্ধ করার ব্যাপারে নিশ্চুপ বসে থাকা কনো মানবিক কাজ হতে পারেনা। এটা রীতিমত ঘোরতর অন্যায়। দুর্নীতি বন্ধ করে একটি মানবিক রাষ্ট্র তথা সোনার দেশ পরিনত করা কি খুবই কঠিন কাজ।রাজনীতি যারা করছেন এবং ক্ষমতায় যারা যান তাদের কাজ কি ক্ষমতায় গিয়ে দলের লোকদের ,আমলাদের দুর্নীতিবাজ করে গড়ে তোলা ? নিশ্চয় না। কিন্তু সেটাই হচ্ছে। তাদের দলের গঠনতন্ত্র ,রাষ্ট্রের সংবিধান তা কখনোই বলেনা। বলে দুষ্টের দমন শিষ্টের লালন। এটাই হচ্ছে নৈতিকতার কথা।রাষ্ট্র বিজ্ঞানের ভাষা। সরকার ও আমলারা কি নৈতিকতা সম্পন্ন নয় ?রাষ্ট্র বিজ্ঞানের ভাষা বোঝেনা ?
লেখক—-সাংবাদিক
Leave a Comment
Your email address will not be published. Required fields are marked with *