আঁধারের বুক চিরে
অন্যায়ের প্রতিবাদ-দৃঢ়তা নিয়ে শিরে
বিদ্রোহী বিদেহী আত্মা হয়ে এসেছি ফিরে।
নৃশংস মৃত্যুকে ঘিরে
অগণন জনগণের বিক্ষুব্ধ গঙ্গা তীরে
আমার রক্ত নির্গতা দৃষ্টি ধ্রুব স্থীরে।
আমিই মিশে আছি এই জনতার ভিড়ে।
আমার পিতা, মাতার ব্যথার অশ্রু নিরে
সিক্ত মাতৃভূমি, আজ পরিণত হয়েছে বীরে।
ভূমিষ্ঠ হয়ে আমি ওই নারীর নাড়ি ছিঁড়ে,
এখানেই বড় হয়েছিলাম ধীরে ধীরে ধীরে,
ভুলতে তা পারি কি রে?
সেই মাতৃ জাতির অসম্মান প্রতি নারী নীড়ে
রোদন ধ্বনি হয়ে জাগ্রত করে ঘুমন্তা নিশীরে।
আগুন জ্বালায় কাতর অন্তরের গভীরে।
জঘন্য নারকীয় তান্ডব হয়েছিল তিমিরে।
ঘৃণ্য লোভ দংশন করেছিল জীবন্ত শরীরে।
আজ বিচারে শয়তানদের শাস্তি হচ্ছে জঞ্জিরে।
আমার কষ্ট অতিক্রম করছে কি. মি. র পর কি. মি. রে।
সৃষ্টির ভাষায় কবিতা মুখরিত করেছে কবি রে।
অশেষে অঙ্কিতা করে শিল্পী নিঃশেষিত ছবি রে।
তুইও কি এ মিছিলে সামিল হবি রে?
সবার সঙ্গে স্বর মিলিয়ে একই কথা ক’বি রে?
নাকি নীরবই র’বি রে?
এ আর্তনাদে আছে দীর্ঘশ্বাস, স্তব্ধ হৃদ স্পন্দন, সবই রে!
সে-ই তো আমাদের আজকের সবারই শবই রে!