728 x 90

ঈমান ধ্বংসকারী সুফি বা মাজারপূজারী

এম, এ ইউসুফ শামীম:  পীর বা পির (ফার্সি: অনুবাদ ’বয়োজ্যেষ্ঠ’) সুফি গুরু বা আধ্যাত্মিক শিক্ষকদের একটি উপাধি। তাদের হজরত ( আরবি: প্রতিবর্ণীকৃত: হাদরা থেকে) । একে প্রায়সময় ইংরেজীতে সেইন্ট বা সাধু এবং খ্রিষ্টান পরিভাষা “এল্ডার” হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়। সুফিবাদে কোন পীরের ভূমিকা হল তার শিষ্যদের সুফি পন্থায় নির্দেশনা দেওয়া। যা অনেকসময় সহবত নামক সাধারণ পাঠদান

এম, এ ইউসুফ শামীম:  পীর বা পির (ফার্সি: অনুবাদ ’বয়োজ্যেষ্ঠ’) সুফি গুরু বা আধ্যাত্মিক শিক্ষকদের একটি উপাধি। তাদের হজরত ( আরবি: প্রতিবর্ণীকৃত: হাদরা থেকে) । একে প্রায়সময় ইংরেজীতে সেইন্ট বা সাধু এবং খ্রিষ্টান পরিভাষা “এল্ডার” হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়। সুফিবাদে কোন পীরের ভূমিকা হল তার শিষ্যদের সুফি পন্থায় নির্দেশনা দেওয়া। যা অনেকসময় সহবত নামক সাধারণ পাঠদান ও ব্যক্তিগত দিকনির্দেশনার মাধ্যমে করা হয় ৷ পীর বলতে অপর যে শব্দগুলো ব্যবহৃত হয় সেগুলো হল মুর্শিদ (আরবি: অনুবাদ ’শিক্ষক, নির্দেশক’) ও ফার্সি:  অনুবাদ ’গুরু, প্রভু’। আলেভি মতবাদে, সুফিবাদ বা তাসাউফ, (ব্যক্তিবাচক বিশেষ্য: সুফি, মুতাসাউয়িফ) যাকে বিভিন্নভাবে ইসলামী আধ্যাত্মবাদ অতীন্দ্রিয়বাদ বা রহস্যবাদ, ইসলামের অন্তর্নিহিত রূপ, ইসলামের অন্তর্গত আধ্যাত্মিকতার অদৃশ্য অনুভূতি হিসেবেও সংজ্ঞায়িত করা হয়, তা হল ইসলামে আধ্যাত্মবাদ, যা নির্দিষ্ট মূল্যবোধ, আচার-প্রথা চর্চা, মূলনীতি দ্বারা বিশেষায়িত, যা ইসলামের ইতিহাসের খুব প্রাথমিক দিকে শুরু হয়েছিল, এবং এটি ইসলামের আধ্যাত্মিক চর্চার “প্রধান অভিব্যক্তি ও কেন্দ্রীয় স্বচ্ছতা”কে তুলে ধরে। সুফিবাদের চর্চাকারীদের “সুফি” বলে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে (আরবি বহুবচন: সুফিয়াহ; সুফিয়ুন; মুতাসায়িফাহ;  মুতাসায়িফুন)। ইসলামে তাসাউফের আরেকটি সমার্থক ধারণা হল তাজকিয়া।

তাসাওউফ বা সুফিবাদ বলতে অবিনশ্বর আত্মার পরিশুদ্ধির সাধনাকে বোঝায়। আত্মার পবিত্রতার মাধ্যমে ফানাফিল্লাহর (আল্লাহর সঙ্গে অবস্থান করা) মাধ্যমে বাকাবিল্লাহ (আল্লাহর সঙ্গে স্থায়ীভাবে বিলীন হয়ে যাওয়া) লাভ করা যায়। যেহেতু আল্লাহ নিরাকার, তাই তাঁর মধ্যে ফানা হওয়ার জন্য নিরাকার শক্তির প্রতি প্রেমই একমাত্র মাধ্যম। তাসাউফ দর্শন অনুযায়ী এই সাধনাকে ‘তরিকত’ বা আল্লাহ-প্রাপ্তির পথ বলা হয়। তরিকত সাধনায় মুর্শিদের প্রয়োজন হয়। সেই পথ হলো ফানা ফিশশাইখ, ফানা ফিররাসুল ও ফানাফিল্লাহ। ফানাফিল্লাহ হওয়ার পর বাকাবিল্লাহ লাভ হয়।

সুফীবাদের যেহেতু বিভিন্ন তরীকা রয়েছে তাই তরীকা ও মাশায়েখ অনুযায়ী তাদের রয়েছে বিভিন্ন আকীদা ও কার্যক্রম। নিম্নে আমরা অতি সংক্ষেপে তাদের কতিপয় আকীদা ও বিশ্বাসের কথা উল্লেখ করবো। তবে এখানে মনে রাখতে হবে যে, সুফীবাদের সকল সমর্থকের ভিতরেই যে নিম্নের ভুল-ভ্রান্তিগুলো রয়েছে তা বলা কঠিন।

সুফিদের যে সমস্ত ইসলাম বিরোধী আকীদাহ রয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট আকীদাহ (বিশ্বাস) হচ্ছে, আকীদাতুল হুলুল ওয়াল ইত্তেহাদ। সুফিদের কতিপয় লোক হুলুল তথা সৃষ্টির মধ্যে আল্লাহর অবতরণে বিশ্বাস করে। হুলুল-এর সংজ্ঞায় আলেমগণ বলেনঃ হুলুল এর তাৎপর্য হচ্ছে, আল্লাহ তাআলা তাঁর কতিপয় সৃষ্টির মধ্যে অবতরণ করেন এবং তার সাথে মিশে একাকার হয়ে যান। যেমন খ্রিষ্টানদের ধারণা যে, ঈসা ইবনে মারইয়ামের মাধ্যমে স্বয়ং আল্লাহ অবতরণ করেছিলেন। সুফিদের কতিপয় লোকের বিশ্বাস হচ্ছে প্রখ্যাত সুফী সাধক মানসুর হাল্লাজ এবং অন্যান্য কতিপয় সুফী সাধকের মধ্যে আল্লাহ অবতরণ করেছেন। নাউযুবিল্লাহ। এটি যে একটি কুফরী বিশ্বাস তাতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ তারা আল্লাহ্কে যথার্থরূপে বুঝে নি। কিয়ামতের দিন গোটা পৃথিবী থাকবে তাঁর হাতের মুঠোতে এবং আসমানসমূহ ভাঁজ করা অবস্থায় থাকবে তাঁর ডান হাতে। তিনি পবিত্র। আর এরা যাকে শরীক করে, তা থেকে তিনি অনেক উর্ধ্বে। (সূরা যুমারঃ ৬৭)

 

সুফিদের বিরাট একটি অংশ নবী-রাসূল এবং জীবিত ও মৃত অলী-আওলীয়াদের কাছে দুআ করে থাকে। তারা বলে থাকেঃ ইয়া জিলানী, ইয়া রিফাঈ, ইয়া রাসূলুল্লাহ ইত্যাদি। অথচ আল্লাহ তাআলা তাঁকে ছাড়া অন্যেকে আহবান করতে নিষেধ করেছেন। সুতরাং যে ব্যক্তি আল্লাহ ছাড়া অন্যের কাছে দুআ করবে, সে মুশরিক হিসেবে গণ্য হবে। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ ‘‘তুমি আল্লাহ ব্যতীত এমন বস্তুকে ডাকবে না যে তোমার উপকার কিংবা ক্ষতি কোনটিই করতে পারে না। যদি তুমি তাই কর তবে তুমি নিশ্চিত ভাবেই জালেমদের মধ্যে গন্য হবে। (সূরা ইউনুসঃ ১০৬)।‘‘এবং ঐ ব্যক্তির চেয়ে আর কে বেশী পথভ্রষ্ট যে আল্লাহ ব্যতীত এমন ব্যক্তিদেরকে আহবান করে যারা কিয়ামত পর্যন্ত তার ডাকে সাড়া দিবে না এবং তারা তাদের ঐ আহবান থেকে সম্পূর্ণ বেখবর রয়েছে? (সূরা আহকাফঃ ৫)

সুফীরা বিশ্বাস করেন যে, তাদের মাশায়েখ ও অলীগণ বিপদ হতে উদ্ধার করতে সক্ষম। তাই বিপদে তারা তাদের অলীদেরকে আহবান করে থাকে। তারা বলে থাকে মদদ ইয়া আব্দুল কাদের জিলানী, হে উমুক, হে উমুক ইত্যাদি। এভাবে বিপদাপদে পড়ে আল্লাহ ছাড়া অন্যকে আহবান করা প্রকাশ্য শিরকের অন্তর্ভূক্ত আল্লাহ তাআলা বলেনঃ ‘‘আর যদি আল্লাহ তোমাকে কোন কষ্ট দেন, তবে তিনি ব্যতীত তা অপসারণকারী কেউ নাই। পক্ষান্তরে যদি তোমার মঙ্গল করেন, তবে তিনি সবকিছুর ওপর ক্ষমতাবান’’। (সূরা আনআমঃ ১৭) আল্লাহ্ তাআলা আরও বলেনঃআপনি বলে দিন, আমি আমার নিজের কল্যাণ সাধনের এবং অকল্যাণ সাধনের মালিক নই, কিন্তু যা আল্লাহ্ চান। আর আমি যদি গায়বের কথা জেনে নিতে পারতাম, তাহলে বহু মঙ্গল অর্জন করে নিতে পারতাম। ফলে আমার কোন অমঙ্গল কখনও হতে পারত না। আমি তো শুধু একজন ভীতিপ্রদর্শক ও সুসংবাদাতা ঈমানদারদের জন্য। (সূরা আ’রাফঃ ১৮৮)

হিজরী তৃতীয় শতকে এ সুফীবাদের জন্ম। কুরআন ও সহীহ হাদীসের মানদণ্ডে সুফিবাদ : ইসলামের প্রথম যুগে মুসলমানগণ নিঃশর্তভাবে কুরআন ও সুন্নাহর অনুসরণ করে চলতেন।

তারা নির্দিষ্ট কোন মাজহাব, তরীকা বা মতবাদের দিকে নিজেদেরকে নিসবত (সম্পৃক্ত) করতেন না। সকলেই মুসলিম বা মুমিন হিসেবে পরিচয় দিতেন। তবে বদরের যুদ্ধ যেহেতু ইসলামের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ ছিল এবং তাতে অংশগ্রহণ করা বিশেষ একটি ফজীলতের কাজ ছিল, তাই যারা বদরের যুদ্ধে শরীক হয়েছেন তাদেরকে বদরী সাহাবী, যারা বাইআতে রিযওয়ানে অংশগ্রহণ করেছিলেন তাদেরকে আসহাবে বাইআত এবং দ্বীনি ইলম শিক্ষায় সর্বক্ষণ আত্মনিয়োগকারী সুফফাবাসী কতিপয় গরীব সাহাবীকে আসহাবে সুফফা বলা হত। কিন্তু পরবর্তীর্তে মুসলমানগণ রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও অন্যান্য কারণে বিভিন্ন দলে ও উপদলে বিভক্ত হয়ে যায়।

মুসলমানদের মাঝে আত্মপ্রকাশ করে শিয়া, খারেজী, মুতাজেলা, কদরীয়া, আশায়েরা, জাহমেয়ী এবং আরও অসংখ্য বাতিল ফির্কা ও মতবাদ। এরই ধারাবাহিকতায় সুফীবাদও একটি ধর্মীয় মতবাদ হিসেবে মুসলমানদের মধ্যে অনুপ্রবেশ করে। সুফী মতবাদ কখন থেকে ইসলামের মধ্যে প্রবেশ করে, তার সঠিক সময় নিধারণ করা কঠিন।

তবে সঠিক কথা হচ্ছে এ মতবাদটি হিজরী তৃতীয় শতকে ইসলামী জগতে ছড়িয়ে পড়ে। তখন শুধু কতিপয় লোকের ব্যক্তিগত প্রবণতা, আচরণ ও আগ্রহের মধ্যেই এটি সীমিত ছিল। কতিপয় ব্যক্তি কর্তৃক দুনিয়ার ভোগবিলাস ও আরাম-আয়েশ পরিহার করে ইবাদতে মশগুল হওয়ার আহবান জানানোর মাধ্যমে এ পথের যাত্রা শুরু হয়।

পরবর্তীতে ব্যক্তিগতভাবে গড়ে উঠা আচরণগুলো উন্নতি লাভ করে একটি মতবাদে পরিণত হয় এবং সূফীবাদের নামে বিভিন্ন তরীকার আবির্ভাব ঘটে। এবাদত-বন্দেগীতে মশগুল থাকা, আত্মাকে হিংসা-বিদ্বেষ থেকে পরিশুদ্ধ করা, আল্লাহর ভয় দিয়ে অন্তর পরিপূর্ণ রাখা, তাওবা-ইস্তেগফার ও যিকির-আযকারের মাধ্যমে কলব পরিস্কার রাখার প্রতি সুফিরা আহবান জানায়।

নিঃসন্দেহে এই কাজগুলোর প্রতি ইসলাম বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেছে। এগুলো ইসলামের মৌলিক বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত। তবে পার্থক্য হচ্ছে সুফিরা আত্মশুদ্ধি অর্জন ও আত্মার উন্নতির মাধ্যমে আল্লাহর সান্যিধ্যে পৌঁছার জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রদর্শিত পথ বাদ দিয়ে কাশফ এবং মুশাহাদার আশ্রয় নিয়ে থাকেন।

কুরআন ও সুন্নাহর পথ বাদ দিয়ে ভিন্ন পথ অবলম্বন করার কারণে সুফিবাদের মধ্যে ইউনানী, পারস্য, বৌদ্ধ এবং অন্যান্য দর্শন প্রবেশ করে। পরিণামে যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে সুফিবাদের সূচনা হয় কালের পরিক্রমায় তা কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে একটি অগ্রহণযোগ্য মতবাদে পরিণত হয়।

তাতে প্রবেশ করে ইসলাম ধ্বংসকারী বিভিন্ন শির্ক ও বিদআত। পরিস্থিতি যখন এরূপ ভয়াবহ আকার ধারণ করল, তখন উম্মাতের আলেমগণ লেখনী ও ভাষন-বক্তৃতার মাধ্যমে এই মতবাদের কঠোর প্রতিবাদ করেছেন এবং মুসলমানদেরকে সুফী ও তাদের মতবাদ থেকে দূরে থাকার আহবান জানিয়েছেন।

আল্লামা ইবনে তাইমীয়ার ভূমিকা এক্ষেত্রে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। পরবর্তীতে ভারতীয় উপমহাদেশেও সুফিবাদের অনুপ্রবেশ ঘটে। আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশেও রয়েছে অসংখ্য সুফী তরীকা ও মতবাদ।

আমাদের দেশে রয়েছে ভন্ড পীরের ছড়াছড়ি ও রমরমা ব্যবসা। এসব নাম থেকেই তাদের পরিচয় মিলে যে, তারা আসলেই ভন্ড।এই সকল ভন্ডামীর স্থান  ইসলামী শরিয়তে নেই। সারা দেশে ছড়িয়ে  ছিটিয়ে থাকা কিছু ভন্ড পীর আর মাজাররের নাম বিভিন্ন ফেইজবুক, ম্যাগাজিন,ইউটোব, নিউজ পেপারে প্রকাশিত । সকল তাওহিদবাদী মুসলমানদেরকে সতর্ক করনার্থে,সচেতনতার জন্য এই সকল নাম উপস্থাপন করা হল ।

→মাইজ ভান্ডার দরবার শরীফ ফটিকছডি চট্টগ্রাম

→ঝিনজি শাহ্, বাঁশখালী, চট্টগ্রাম।

→হেইত হইত ও হেঁহু ফকির শাহ্, আনোয়ারা, চট্টগ্রাম।

→গুই বাবা শাহ্, পটিয়া, চট্টগ্রাম।

→লতা শাহ্, বাঁশখালী, চট্টগ্রাম।

→কাতাল শাহ্, পটিয়া, চট্টগ্রাম।

→গুনাগার আলী শাহ্, সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম।

→পেটান শাহ্-১, বাঁশখালী, চট্টগ্রাম।

→পেটান শাহ্,-২, লোহাগাড়া, চট্টগ্রাম।

→জঙ্গি শাহ্, বাদুরতলা, চট্টগ্রাম।

→গাট্টি ফকির, বাঁশখালী, চট্টগ্রাম।

→মা’জুর অলি শাহ্, বাঁশখালী, চট্টগ্রাম।

→বাঘ শাহ্ ফকির, বাঁশখালী, চট্টগ্রাম।

→ডলম পীর, বাঁশখালী, চট্টগ্রাম।

→কল্লা শাহ্, খরমপুর, বি. বাড়িয়া।

→লুদত শাহ্ কুটান্দর, সায়েস্তাগনজ।

→টংটং শাহ্, লাখাই, হবিগনজ।

→উলু শাহ্, কালাপুর, চুনারুঘাট।

→পতুশাহ্, কালাপুর, চুনারুঘাট।

→বেজি শাহ্, পটিয়া,চট্টগ্রাম।

→কালু শাহ্, হাটহাজারি, চট্টগ্রাম।

→মিসকিন শাহ্, চট্টগ্রাম।

→গরিব শাহ্, চট্টগ্রাম।

→পানি শাহ্, চট্টগ্রাম।

→বদনা শাহ্-১, হাটহাজারি, চট্টগ্রাম।

→বদনা শাহ্-২, প্রবর্তক, চট্টগ্রাম।

→বালু শাহ্, চট্টগ্রাম ।

→পাগলা শাহ্, ফেনী।

→ভেনভেনিয়া শাহ্, চট্টগ্রাম।

→ফাইল্লা পাগলা শাহ্, সখিপুর, টাঙ্গাইল।

→পাঙ্খা বাবা,মহনগঞ্জ।

→লেংটা বাবা, ধর্মপাশা, সুনামগঞ্জ।

→মাস্তান শাহ্, দূর্গাপুর, নেত্রকোনা।

→ছাওয়াল (বাচ্চা) পীর, শেরপুর, ঢাকা।

→লেডির কান্দা,পূর্বাধলা, নেত্রকোনা।

→শাখা মাজার, চট্টগ্রাম।

→নিদর্শন দরবার, চট্টগ্রাম।

→গাঁধা শাহ্।

→ননুশাহ, সন্দীপ, চট্টগ্রাম

→জহির শাহ। বাউফল,পটুয়াখালী।

→কোকোনাট বাবার মাজার…

→মোহছেন আউলিয়ার মাজারের পাশে…

→রাজার বাঘ দরবার শরীফ

→কুতুববাগ দরবার শরীফ

→চিল্লা শাহ ,, পটিয়া। নারী খুর শাহ, কল কাতা।

→ডলম পির গুনাগরি বদনা শাহ্ চকবাজার

→বিরি বাবা শাহ

→গোলাপ শাহ. গুলিস্থান, ঢাকা ।

→শাহজী,চান্দগাও,চট্টগ্রাম।

→ডাইল,চাইল,সিলেট।

→হবিগনজে ডাইলা শাহ

→টেক্সি ফকির-চট্টগ্রাম।

→বালতি শাহ, সিলেট।

→লেংলেং শাহ, সুনামগঞ্জ।

→কালু শাহ মিরসরাই চট্টগ্রাম

→গরম বিবি শাহ, দামপাড়া পুলিশ লেইন চট্রগ্রাম

→জ্বিনের বাদশা জ্বীন বাবা পীর সাহেব বালিয়া

→বোতল শাহ্, পটিকছড়ি, চট্রগ্রাম।

→পাতা শাহ, বড়লেখা, মৌলভীবাজার।

→কাবেরি শাহ, বড়লেখা, মৌলভী বাজার।

→কেতলি শাহ, কোলাউড়া, মৌলভী বাজার।

→পাঁচ পীরের মাজার, বিয়ানীবাজার, সিলেট।

→চাচা পাগলা, বগুড়া।

→চরম শাহ্, বরিশাল।

→জিনের বাদশা লিটন দেওয়ানের জিন্দা পীরের দরবার

→পানি বাবা

→বিডি বাবা

→শিকল বাবা

→ভুখা ফকির, বোয়ালখালী, চট্টগ্রাম।

→টাকশাহ্ মিয়া, চকবাজার, চট্টগ্রাম।

→জিনজির পীর মৌলভী বাজার

→ভন্ড পীর আমজাদ বেপারী সিরাজগঞ্জ

→ইমাম মাহদীর সেনাপতি লুৎফর রহমান ফারুক গোপীবাগ

→ল্যাংটা বাবার বাইজিখানা মাজার

→সোলায়মন শাহর মাজার কওরান বাজার

পীর সাহেবী বাংলাদেশে খুব লাভজনক একটা ব্যবসা। শুধু আর্থিক না, শারীরিকভাবেও লাভবান হচ্ছেন এসব দরগা, মাজারের সাথে সম্পৃক্তরা। আমি বলি পীরালয়গুলো হচ্ছে অপরাধের অভয়ারণ্য। বাংলাদেশের যে ক জায়গায় মাকাসক্ত, যৌন নিপীরকরা নিরাপদ বোধ করে তার অন্যতম হচ্ছে মাজার বা দরগাগুলো। কিন্তু এদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিতে ভয় পায়। ভোট-ভাগ দুটোতেই টান পড়ার আশঙ্কা। পীর সাহেবের দরগার যা আয় তার থেকে একটা অংশ প্রশাসন পায়।

সবচেয়ে দু:দুঃখজনক হচ্ছে, এইসব মাজারের যে ভণ্ডামি, মূর্খামি এসব নিয়ে কেউ কথা বলে না। সুফিজমের কথা বলে ওদের পক্ষে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন অনেকে। আমাদের কথিত প্রগতিশীল মিডিয়াকেও দেখা যায় সুফিজম আর পীর ব্যবসাকে একসাথে গুলিয়ে ফেলতে। মিডিয়া এমনটা রাজনৈতিক ইসলামকে মোকাবেলার চিন্তা থেকে করতে পারে। কিন্তু যারা নিজেরাই মার্কা ছাড়া বাটপার তাদের দিয়ে অন্য কাউকে মোকাবেলার চিন্তা করাটাও এক ধরনের বাটপারি, আমার কাছে। একটা ভুল কেবল আরেকটা দুর্যোগেরই জন্ম দেয়। বাংলাদেশের গণমাধ্যম যেমন মানহীন তেমনি অতিমাত্রায় দলবাজির কারণে মূল্যহীনও। ওদের প্রভাব তাই জনমানসে খুব একটা নেই।

সুফিরা ছিলেন এসব দরগা বিরোধী, ব্যবসা বিরোধী। দরগার যে কনসেপ্ট তা সুফিজমের সাথে সাংঘর্ষিক। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ বা মিডিয়াকে এ কথাটা বোঝাবে কে! পাবলিক খুঁজে একটা সহজ পথ। পাপ থেকে মুক্তির আর জান্নাতে যাওয়ার। ফলে যারা খুব শিক্ষিত ঘুষখোর, তারা গিয়ে পীরের মাজারে হাজির হয়, ঘুষের কাফফারা দেয়। আর যারা খুব অশিক্ষিত, মূর্খ, তারাও যায় পরকালে পার পাবার আশায়। আর আমার মতো মধ্যবিত্ত বাঙালি চেয়ে চেয়ে রং দেখে। সুফিরা জীবনের সব স্বাদ-আহ্লাদকে ত্যাগ করে মানবসেবায় ব্রতী হয়েছিলেন। আর প্রধানত বৃহত্তর ভারতে গড়ে ওঠা মাজারগুলি হচ্ছে অন্যরকম গরীব খেকু, রক্তচোষা। দক্ষিণ এশিয়ার বাইরে আর কোথাও এসব মাজার ব্যবসা নেই। এক একটা পীর সম্পদের পাহাড় গড়েছেন সাধারণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে ব্যবহার করে। ওদের শরীর যেন কুরবানির বিশাল গরুকেও হার মানায়।

দেশের জনগণের একটা অংশ ওদের পূজা করে বলে ওদের সবাই মেনে ও মানিয়ে চলে। বাংলাদেশে যতো সহীহ  দরগা, মাজার ইত্যাদি আছে এগুলোকে সরকারের নিয়ন্ত্রণে আনা হোক। মাজারের যাবতীয় আয় দিয়ে ফ্রি স্কুল, হাসপাতাল, এতিমখানা ইত্যাদি পরিচালনা করা হোক। এটা করা গেলে যারা না বোঝে পীরের দরগায় গিয়ে টাকা দিয়ে ভুল করে আসছে তাদের টাকাগুলো অন্তত কিছুটা হলেও সঠিক পথে ব্যবহৃত হবে। এ প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে একটা স্বাধীন কমিশন গঠন করা হোক, যে কমিশনের আওতায় মাজারগুলো পরিচালিত হবে। আলহামদুলিল্লাহ, সম্প্রতি কিছু ইসলামী চিন্তাবিদরা ভন্ডপীরের আস্তানা গুড়িয়ে দিচ্ছে -যা সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ হিসেবে হাদিস শরীফের উপর আমল হচ্ছে।

ভারতবর্ষেও তাই। ভারতের অলিগলিতে ভণ্ড পীরের অভাব নেই। মানুষের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ঐ সমস্ত পীর নামধারী ভণ্ডরা মানুষকে নিঃস্ব করছে। যার ভুরি ভুরি প্রমাণ পত্র পত্রিকায় প্রায়ই ছাপা হচ্ছে বা ইউটিউবেও রয়েছে এর অজস্র প্রমাণ। ভারত সরকার যেহেতু কোন ধর্মে বিশ্বাস করেনা, সেহেতু এ ধরনের ভন্ড বাবাদের ব্যাপারে তার কোন ধরনের মাথা ব্যাথা নেই। বরং এ ধরনের ভণ্ড বাবাদেরকে সরকার অনেকক্ষেত্রেই সাধুবাদ জানায়। দুনিয়ার আদিম জাতিগত সব ধরনের নোংরা প্রথাগুলো ভারতীয় ভণ্ডপির বাবাদের দেখা যায়। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে – লেংটা মেলা বা উলঙ্গ সম্মেলনের কথা। বর্তমান বিংশ শতাব্দীতেও এ ধরনের বর্বর সম্মেলন ভারত বর্ষ কিভাবে সাধুবাদ জানায়, তা আমার জানা নেই।

এবার আসা যাক, বাংলাদেশের ভন্ডপীরদের কথায়। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে, এক শ্রেণীর বিতর্কিত বাংলাদেশী ভারত-প্রেমীরা ভারতকে অন্ধভাবে অনুসরণ করতে পছন্দ করে। ভারতের যতো আবর্জনা, সব এসে জমা হয় ঐ ধরনের বিতর্কিত বাংলাদেশী ভারত-প্রেমীদের মাথায়। ভারতকে শতভাগ অনুকরণের মাধ্যমেই তাদের অন্তর্নিহিত সার্থকতা খুঁজে পায়। আর তাইতো ভারতীয় রকমারি ভাইরাস আজ বাংলাদেশের অলিতেগলিতে। এহেন জঘন্য বর্বর ও পৈশাচিক নোংরা কাজ নেই, যা নাকি ভারতে হয় না। আর তারই বাতাস লেগেছে আমাদের দেশেও। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- ভণ্ডপীর। বিভিন্ন ধরনের বিকৃত রুচির ভণ্ডদের উপদ্রবে জনসাধারণ অতিষ্ঠ। কেউ কেউ বাড়ি বাড়ি যেয়ে পানি পড়ার ব্যবসা করে। সুযোগ বুঝে চুরি, ডাকাতিও করে। পাড়ায় পাড়ায় আরেক ধরনের ভণ্ডপির ব্যবসায়ীদের দেখা যায় লাল কাপড় শরীরে পেঁচিয়ে আছে, যার দ্বারা শরীরের বেশির ভাগ গোপন অঙ্গ নজরে আসে। এরা হুজুরায় বসে সংঘবদ্ধ ভণ্ডামি দ্বারা মানুষ ঘায়েল করে। থানা, পুলিশ ও পাড়ার বখাটে উ?তি মাস্তানদেরকে সপ্তাহান্তে মদ ও নারীর চালানের ব্যবস্থা করে থাকে। শুধু তাই নয়, এ ধরনের ভণ্ড পীর পিপাসুরা বিভিন্ন জায়গায় বিয়ের ছলে নারীর সম্ভ্রমহানী করে থাকে। বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায়, প্রায় প্রতিটি এলাকায় এ ধরনের ভণ্ডদের দৌরাত্ম্য  আজ সরকারের নীরবতা প্রশ্নবিদ্ধ। কোন সরকারের আমলেই এদের বিচার হয় না। এমনকি বেশীরভাগ ক্ষেত্রে এদের খবরও ছাপা হয় না।

এ ধরনের ভণ্ডরা সর্বদিকে মানিয়ে চলে। স্থানীয় ও প্রশাসনের কর্ণধারদের সবার জন্য আলাদা আলাদা নজরানার ব্যবস্থার কথা সবারই জানা। বিশেষ করে, এলাকার উঠতি  বখাটে মাস্তানদেরকে সর্বাবস্থায় খুশী রাখতে এরা সদা-সচেষ্ট। এ ধরনের ভণ্ডপীর নামধারীরা আমাদের সমাজের ভাইরাস। এরা সমাজের ক্যান্সার। ভণ্ড পীরদের বিরুদ্ধে কোন মামলা বা সাজা আজ অবধি কেন হয় না? এ ধরনের প্রশ্নের জবাব দিয়েছে যাত্রাবাড়ীর এক নামকরা ভন্ড পীরের সাবেক দেহরক্ষী, যিনি সিডনিতেই বর্তমানে বসবাস করছেন। অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে সেই দেহরক্ষী থেকে। তার ভাষ্য অনুযায়ীঃ যাত্রাবাড়ীর সেই ভন্ড হুজুর ছিল নারী লোভী। ৬/৭ জন সুন্দরী অল্প বয়স্কা যুবতীরা তার খেদমতে সারাক্ষণ নিয়োজিত ছিল। বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রচুর বিপদগ্রস্ত শিক্ষিত, অশিক্ষিত লোক আসতো সেখানে। জীনে-ধরা রোগী এবং বন্ধ্যা রোগীকে খুব সহজে ধর্ষণ করা যেত। কারণ জ্বীনে ধরা রোগীকে আলাদা কামরায় নিয়ে দোয়া পড়ে তদবীর দিতে হবে বলে রোগীর নিয়ে আসা আত্মীয় স্বজন থেকে আলাদা করে ফেলতো। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হাত পা বেধে ভণ্ড পীর ও তার উচ্চ পর্যায়ের সরকারি রক্ষকরা যৌন  ক্ষুধা মিটাতো। ধর্ষিতা ঐ নর রাক্ষসের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে আত্মীয় স্বজনের কাছে অভিযোগ করলেও কেউ আমলে নেয় না। তাছাড়া, বন্ধ্যা মহিলাদেরকেও পাশের কক্ষে একা ঝার-ফুক করবে বলে নিয়ে একই চিকিৎসা দেয়া হতো। ঐ বিশেষ কক্ষের পিছনেই গোপন এক দরজা আছে, যেটা ভন্ডপীরের ইঙ্গিতে ভিআইপি নষ্ট লোকদের জন্য খুলে দেয়া হয় অভাগী নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণের জন্য। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বন্ধ্যা মহিলা মান-সম্মানের ভয়ে কিছু বলে না। কিছুদিন পর যদি সন্তান সম্ভবা হয়, তবে তাকে ভয় দেখিয়ে ফুসলিয়ে ঐ ভণ্ড পীর প্রতিনিয়ত ধর্ষণ করে লোকজন নিয়ে। বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি ঐ ভন্ডপীরের মুরিদ ছিল। রাত গভীর হওয়ার সাথে সাথে ঐ ভণ্ডের দরবারে ভিআইপি দের আনাগোনা বেড়ে যায়। মানুষ ভিআইপির গাড়ী দেখে অভিভূত হয়ে অন্য দশজনকে প্রমাণ দেখাত, পীর সাহেবের বিরাট ক্ষমতার ব্যাপারে ! ঐ ভণ্ডের বিশাল এক খানকায়ে তৈরি করে সেই ভণ্ড নারী-পিপাসু রাষ্ট্রপতি। এক কক্ষে চলতো সেবার ও বাইজি নাচ, অন্য কক্ষে বিভিন্ন ধরনের নেশা। তবে, ভিআইপি ছাড়া ঐ আসরে সাধারণ মানুষের ঢোকা নিষেধ ছিল। তৎকালিন সময়ের কিছু অসৎ মন্ত্রী, পুলিশের অসাধু অফিসার ছাড়াও সমাজের কিছু  ব্যবসায়ীরা সামান্য দৈহিক চাহিদা মেটানোর জন্য সেখানে যেত। ঐ ভণ্ড পীরের বিশাল বাহিনী ছিল। তারা ২৪ ঘণ্টা পালাক্রমে কাজ করতো। হুজুগে মাতাল বাঙালি সেখানে হুমড়ি খেয়ে পড়তো। কুফরি কালাম বা শয়তানের পূজা করে ২/১ টি যাদু দেখিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে অসহায় মানুষের সর্বস্ব লুটে নিচ্ছে এ ধরনের ভণ্ডরা। প্রতিদিন প্রচুর অর্থ উপার্জন করছেঃ বিনা চালানে ব্যবসা। এতো টাকা তারা আয় করে, যা সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করবে না। অসহায় মানুষ বিপদে পড়ে তাদের সব দুর্বলতা খুলে বলে। ঐ দুর্বলতার সুযোগের পরিপূর্ণ সৎ ব্যবহার করে প্রতিদিন অসহায় মানুষকে সর্ব শান্ত করে দিচ্ছে। পুরাতন ঢাকা, নতুন ঢাকা ছাড়াও গোটা বাংলাদেশের আনাচে কানাচে এদের প্রকাশ্য আস্তানা সবারই জানা। এর মধ্যে পুরাতন ঢাকার ধুপখোলা, গেন্ডরিয়া, ওয়ারি, বাসাবো, লালবাগ, স্বামীবাগ, সুত্রাপুর, ফরাশগঞ্জ, মিল ব্যারাক, জুরাইন, যাত্রাবাড়ী, মিরপুর, মতিঝিল, পুরানা পল্টন অতি পুরাতন ও কুখ্যাত। এরা বিভিন্ন ধরনের উদ্ভট নামে পরিচিত। কেউ দয়াল বাবা, কেউ সুরেস্বর, কেউ বড় ভাই, কেউ আবার বাবা, কেউ মামা, কেউ আট রশি, কেউ হুজুরে কিবলা, কেউ মাটি বাবা, কেউ লেংটা, কেউ ফুক বাবা ইত্যাদি। আরো কতো উদ্ভট নামে যে এরা পরিচিত, তা গবেষণার বিষয় ! এরা আসল নাম গোপন রেখে স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবসা করে যায়। অনেকেরই এদের মধ্যে পিছনের জীবনে কলঙ্ক অধ্যায় রয়েছে, অনেকে জেল খাটা মারাত্মক আসামী। তাই নাম গোপনের পিছনে অনেক রহস্য বিদ্যমান।

হাই কোর্ট ভবনের পিছনে ছোট টংয়ের কথা হয়তো অনেকেই জানেন। সেখানে ২৪ ঘন্টা ঐ ভণ্ডদের মাদক দ্রব্য সেবন কে না জানে? মাজারের নামে ভণ্ডরা প্রতিরাত বসায় রমরমা গাঁজা আফিম সহ নান রকম মাদকের আসর। বছরে একবার শিন্নির নামে বিরাট ওরসের লোক দেখানো আয়োজন করে। বেশিরভাগ মেয়েরাই ঐ রাতে ধর্ষণের শিকার হয়।

এমনও ভণ্ড আছে, যারা একই সময় মা ও মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। রোগী বেশী অসুস্থ হলে “পানি পড়া” দিয়ে বিশেষ এই তদবির দেয় অনেক ভণ্ড পীর ! এ যেন ডাক্তারের হোম ভিজিট!! একই রাতে দু’বোনকে ধর্ষণ করেছে এক  ভণ্ডপীর, যার বিশাল সাম্রাজ্য লালবাগে। পুরানো পল্টনের তিন তলায় ভিআইপি দের তালিকায় বিশিষ্ট ব্যবসায়ীরা ছাড়াও প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ের গুণিজনদের আনাগোনা সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে। পল্টনের  ভণ্ডপীর বিভিন্ন রকম সালসা বিক্রি করে নিরীহ কিছু অফিসারকে জিম্মি করে রেখেছে। পুলিশের কলঙ্কিত জেলখাটা, হাবিলদার, দীর্ঘদিন কারাভোগ করে শর্টকাট অর্থ উপার্জনের রাস্তা বের করে নিয়েছে পীর ব্যবসার মাধ্যমে। কারাগারে থেকেই আরেক দাগী আসামি থেকে কিছু যাদু বিদ্যা শিখে নেয় সে। সেখান থেকে বের হয়ে পুরানা পল্টনের তিন তলায় গেড়েছে দুর্গম আস্তানা। রাতে অস্ত্রধারী কর্মচারীরা পাহারা দেয়। বিভিন্ন ভাবে ফুসলিয়ে বিভিন্ন বয়সের আকর্ষণীয় মেয়েদেরকে দালালের মাধ্যমে উক্ত পীরের কাছে পাঠানো হয়। ভন্ডপীরদের প্রতিটি দালাল মাস শেষে লাখ টাকা উপার্জন করে ! এ সমস্ত দালালেরা সমাজে ছদ্মবেশে মুখোশের অন্তরালে লুকিয়ে আছে। এলাকায় তাদের অবস্থানও ভালো। প্রতিটি মানুষেরই কম বেশী সমস্যা থাকে। সমস্যার সমাধান দ্রুত কে না চায়? সমস্যায় পড়া মাত্র দালালেরা সুকৌশলে ফাঁদ পাতে। বলে, যান – ওমুক পীরের কাছে; গেলেই সব বিপদমুক্তি হয়ে যাবে ইত্যাদি। ব্যাস, রুগী পীরের কাছে গেলেই উক্ত দালালের হাতে নির্ধারিত অর্থ চলে যায়। এ ধরনের দালালদের মধ্যে নারীর সংখ্যাই বেশী।

এ ধরনের  ভণ্ডপীর নাম ধারীরা আন্তর্জাতিক নারী পাচারকারীদের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রকাশিত, আকর্ষণীয় মেয়েদেরকে কৌশলে আটক করে গোপন কক্ষে ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখে। জৈবিক চাহিদা শেষ হবার পর ভারত হয়ে দুবাই চালান হয়ে যায় ওই সমস্ত অসহায় মেয়েরা। বর্তমানে ভারতের সাথে করিডোর বা রেইল চুক্তির ফলে এ ধরনের নারী পাচারকারিদের জন্য স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। মাদক ও অস্ত্রের বিনিময়ে পাচার হচ্ছে নিরীহ মেয়েরা। ভারতে চিকিৎসার জন্য স্বাভাবিক ভাবেই অনেক মানুষ যায় বাংলাদেশ থেকে। এ সুযোগটি ঐ নারী পাচারকারিরা নিয়ে থাকে। দালালেরা মেয়েকে ঔষধ দিয়ে অবচেতন অবস্থায় এক দেশ থেকে আরেক দেশে নিয়ে যায়। কেউ জিজ্ঞেস করলে বলে, ভাই – ও আমার বোন বা মেয়ে বা বউ; মারাত্মক অসুস্থ। সুচিকিৎসার জন্য ভারত নিয়ে যাচ্ছি। ভারত ঢুকে গেলে তাদের কোন চিন্তা নেই। কারণ, হাজারো ধরনের অপকর্মের এলাকা হচ্ছে ভারত। ওখান থেকে চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন রুটে পাচার হয়ে যায় আমাদের মেয়েরা। দুবাই ও ভারতে এ ধরনের অগণিত বাংলাদেশী অসহায় রমণীর আবাসস্থল গড়ে উঠেছে। আমাদের তিন দেশের মানুষই আবেগপ্রবণ, ধর্ম সম্পর্কে উদাস, পারিপার্শ্বিকতার শিকার, মূর্খ ও অল্পতে না জানা বিষয়েও রাজী হয়ে যায়। যার কারণে খুব দ্রুত এ ধরনের  ভণ্ডপীরদের খোরাকের বস্তুতে পরিণত হয়। এ ধরনের ভন্ডপীরেরা ক্যান্সারের ভাইরাস। এরা দেশ ও জাতির এক বিরাট শক্র, এ কথা কখন আমাদের বুঝে আসবে? একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই জানেন।

প্রতিটি এলাকায় যুব সমাজকে এর প্রতিকারে এগিয়ে আসতে হবে। প্রশাসনের এই ধরনের অসৎ জড়িত ব্যক্তিদেরকে চিহ্নিত করতে হবে,  ভণ্ডদেরকে উপযুক্ত বিচারের আওতায় আনতে হবে। ওরা মানুষ নামে জানোয়ার! এদেরকে পাকড়াও করে প্রথমেই মিডিয়ার মাধ্যমে তার পরিচয় ও ঘটনা তুলে ধরে সমাজের সাধারণ জনগণকে সজাগ করে তারপর  বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এ ব্যাপারে বিভিন্ন সংগঠনগুলো বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। নিকটস্থ থানায় নয়, প্রথমেই পুলিশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করে পরিস্থিতির ভয়াবহতা বর্ণনা করে অনুমতি পাশ করে নেয়া জরুরি। তারপর এলাকার যুবকেরা অতর্কিত যেয়ে ভন্ডকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করা জরুরি। স্থানীয় থানার পুলিশ যাতে ভন্ডপীরের সমর্থন না করতে পারে, এ জন্য আগেই পুলিশ হেড কোয়ার্টারে জানিয়ে অনুমতি নিয়ে রাখতে হবে। এদের জামিন যাতে না হয়, এদিকে কঠিন  ভাবে নজর রাখতে হবে। উপযুক্ত সাক্ষী প্রমাণের মাধ্যমে ঐ ধরনের ভণ্ডদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

আমাদের বর্তমান বাংলাদেশের সবচেয়ে জঘন্য ধর্মব্যবসায়ী এইসব ভন্ডপীরদের কুকর্ম সম্পর্কিত সংবাদ ও ভিডিও ক্লিপ পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে। লাখো-কোটি মানুষের সরল ধর্ম বিশ্বাসকে পুঁজি করে এসব ভণ্ডদের ব্যাপারে আমাদের দেশীয় আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো যেন, “চোখ থাকিতেও অন্ধ!” বিশাল পরিমাণ উৎকোচ আর অন্যান্য অসামাজিক কাজের অফুরন্ত সুযোগের বন্দোবস্ত যে এদের চোখে।

তবুও এসব কুকীর্তির চাক্ষুষ প্রমাণ আমাদের প্রতিবাদী হতে সাহায্য করবে নিশ্চিত। আর অদূর ভবিষ্যতে কোন এক ন্যায়পরায়ণ শাসক এর প্রতিকারের জোর পদক্ষেপও গ্রহণ করবেন বলে আমরা দৃঢ় আশাবাদী। আর সেই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই কিছু লিংক পা?কদের জন্য উল্লেখ করছিঃ

১| https://www.youtube.com/watch?v=iELKyRYWCBk

২| https://www.youtube.com/watch?v=Yod7Zfdu4s8

৩| https://www.youtube.com/watch?v=byvBiR3M8kE

৪| https://www.youtube.com/watch?v=YUzCrZH31eQ

হাক্কানীপীর হতে হলে বড় আলেম ও হাফেজ হওয়া জরুরি। ইমাম গাজ্জালী (রহঃ) এর বর্ণনায় এটাই জানা যায়। কারণ, ইসলামী জ্ঞানহীন লোক নিজেই হাজারো ভুলে জর্জরিত; সে মানুষকে সঠিক  রাস্তা কিভাবে দেখাবে? সঠিক ইসলামি জ্ঞান ও তার সাথে চর্চা থাকতে হবে। শুধু জ্ঞান থাকলেও চলবেনা। তাহলে শয়তানের নেক সুরতের ৭০ হাজার ধোকার মধ্যে পড়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে এক ভণ্ডের নাম উল্লেখ না করলেই নয়। সে ব্যক্তি প্রকাশ্যে শিরক করে চলছে। নবী (সাঃ) এর বংশ নিয়ে উল্টা পাল্টা বলে চলছে। যা নাকি আমি লিখতেও ভয় পাচ্ছি। ঐ ভন্ড “— বাগী” আপাদমস্তক একটি মাতাল পশু ! নিত্য নতুন কৌশলে , নানা ঢঙ্গে আল্লাহ্ ও রাসুল (সাঃ) এর বিরুদ্ধে আজেবাজে কথা বলে চলছে। সরকারের বিশাল একটি ভূমিকা থাকা অবশ্য বাঞ্ছনীয়। কারণ, মানুষের দেয়ালে পিঠ ঠেকে  গেলেই মানুষ তখন উগ্র হয়ে যায়। উগ্র হলে হিতাহিত জ্ঞান লোপ পায়। হিতাহিত জ্ঞান লোপ পেলে মানুষ যে কোন কিছু করতে দ্বিধা বোধ করে না।

বিশেষ সূত্রের অনুসন্ধানে জানা যায়,  ভণ্ডপীর সুরেশ্বর পির (দয়াল বাবা) পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে বহুদিন যাবত কাজ করে আসছে। পীর একটি কাভার মাত্র। তার সাগরিদ মনিরুল চোধুরী, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নামে মানুষ এ ছদ্দবেশীকে ডাকে। কেউ তাকে ইলিয়াস ,কেউ বা তাকে মিনার ,কেউ বা তাকে চৌধুরী আবার অনেকে তাকে কায়দা আজম আবার অনেকে নুরুল আলম বা মনিরুল বা মনিার বা এম,এস  চৌধুরী ডাকে । এ ভণ্ড ৪২/১ বি পুরাণ পল্টন, ৩য় তলা দীর্ঘ দিন যাবৎ পাকিস্তান সরকারের অত্যন্ত বিশ্বস্তভাজন হয়ে কাজ করে আসছে। ভুয়া সালসা বিক্রেতা মনিরুল চোধুরী (এম,এস  চৌধুরী ) অবৈধ অস্ত্র বেচা কেনায় বেশ নাম ডাক আছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। তাছাড়া গাজা,ভাং এর গণ্ডি পেরিয়ে ইয়াবা ও আইস এর রমরমা বাণিজ্যে তার এখন পোয়া বারো। অস্ত্র,নারী ও মাদক সম্রাট নামে সুপরিচিত এ কুখ্যাত সন্ত্রাসী গোটা বাংলাদেশে তার এক গোপন সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে। নেচারেল মেডিকেল সেন্টার ৪১/বি পুরানা পল্টন,নবীন টাওয়ারের পিছনে,৩য় তলায় বাসা ও অফিস। এ ধরনের ছোট ছোট বাসা ও অফিস প্রায় ১০০ টি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বাংলাদেশে। কিছু দিন পর পর খবরের কাগজে নিত্য নূতন  কৌশলে আকর্ষণীয় ভাষায় বিজ্ঞাপন ছাপেন। শুধূ মাত্র যুবতী -সুন্দরী মেয়েদেরকে চাকুরিতে নিয়োগ দেন। প্রথম কিছু দিন অগ্রিম বেতন-সময় সময় গাড়ি পাঠিয়ে বাসা থেকে নিয়ে যায় আবার কাজ শেষে বাসায় নামিয়ে দেয়। পরে এক সময় মেয়েকে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে নিয়ে যায় তাদের গোপন আস্তানা কাজলায় (সামাদ নগর,মোল্লা কলেজের পিছনে,মোস্তাক মিয়ার বিল্ডিং,পুকুরের সাথে)। নিচ তলায় অন্য মালিকের কারখানা,উপরের তলায় বছরে ৩৬৫ দিন তালা জুলতে থাকে। বাইরে থেকে সব সময় বন্ধ রাখার করা নির্দেশ। বাহির থেকে মোবাইল ফোনে কল করে পরিচয় না দিলে দরজা খোলা নিষেধ। অতিরিক্ত সাবধানতা ও কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশের সহযোগিতার কারণে এখন পর্যন্ত এ অস্ত্র,নারী ও মাদক সম্রাট মিডিয়া ও প্রশাসনকে ধোকা দিয়ে নাকের ডগায় দিব্বি এ ধরনের অসৎ কর্ম কাণ্ড করে যাচ্ছে। যেখানে কারখানার নামে ভাড়া নিয়ে পাশের রুমে চলে নারী ও মাদকের ভর পুর বাণিজ্য। মেয়েদেরকে জোর করে ভয় দেখিয়ে বাধ্য করে দেহ ব্যবসায়। গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা হয় বিবস্র ও যৌন কর্ম কাণ্ড। গোপনে ধারণ করা ভিডিও দেখিয়ে জিম্মি করা হয়, হাতিয়ে নেয়া হয় লক্ষ লক্ষ টাকা, স্বর্ণালংকার, জায়গা জমি ইত্যাদি।

বাংলাদেশের প্রায় ১০০ টি শো রুম নামে নারী আটকানো গোপন আস্তানা বিদ্যমান। এদেরকে নিজেরা ভোগ করার পর সরকারের এক শ্রেণির দুর্নীতি পরায়ন লম্পটদের দিয়ে ভোগ করায় । অবশেষে তাদের হেড অফিস সুরেশ্বরের গোপন আস্তানায় নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে তাদের বিশাল কেডার বাহিনী ২৪ ঘণ্টা পাহারা দেয়। ওখান থেকে খুব দ্রুত বিভিন্ন বর্ডার দিয়ে ভারত হয়ে দুবাইতে পাচার হয়ে যাচ্ছে অনেক নিরীহ বিভিন্ন শ্রেণির যুবতী মেয়েরা।

সাবাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় সে বিয়ে করেছে। কোনো বউ নেই। সবাইকে পাচার করে দিয়েছে। এককালের অসৎ পুলিশের হাবিলদার থাকা কালীন সময়ে এক গুরুতর ক্রাইম করে ফেসে যায়। অবশেষে হাজত খেটে তার পর বের হয়। যার ফলে পুলিশের কাজটি তার চলে যায়। সালসার ব্যবসা তার কাভার মাত্র। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্পটে জঙ্গি হামলার রসদ যোগান হচ্ছে মনিরুল হক চোধুরীর কাজ। ভণ্ড পীর সুরেশ্বরের আস্তানায় গোলা -বারুদ রাখার গোডাউন আছে। যা শুধু মাত্র সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্যে নিত্য নতুন পলিসি করে নাশকতা মূলক কর্ম কাণ্ড চালাতে ব্যবহার করা হচ্ছে।

সমাজের আনাসৃষ্টিকারি, নরকের কীট এধরনের অসুস্থদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া প্রতিটি দায়িত্বশীল সরকারের নীতিগত দায়িত্ব; যেমনটি দায়িত্ব দেশের জনগণকে নিজ হাতে আইনকে তুলে নেয়া থেকে বিরত রাখা। দেশের ধর্মপ্রাণ সাধারণ মুসলমান হিসেবে তাই আজ আমরা তাকিয়ে আছি সরকারের দিকে। এদের সম্পদের হিসেবে ও আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়ে সমাজকে সুরক্ষা করা ঈমানী দায়িত্ব।

মহান আল্লাহ যেন আমাদেরকে সঠিক কথা জানা  ও মানার তাওফীক দেন। আমীন।

এ ধরেনর পীর বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত ,নিচে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলো।

১ম : কাদেরীয়া তরিকা = আব্দুল কাদের  জিলানী (রহঃ) যিনি 561 হিজরীতে ইনতিকাল করেন, তার দিকে নিসবত করে এই তরিকা পন্থীদের কাদেরীয়া বলা হয় ।

মিথ্যাচার  : আব্দুল কাদের (রহঃ) কে ফাতেমা (রাঃ) এর বংশধর বলে  চালিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে, এমনকি তার ১৭ তম পূর্ব পুরুষকে রাসুল (সাঃ) এর সংগে মিলিয়ে দিয়ে নিজেদের পীর তন্ত্রের ব্যবসাকে মজবুত করার ফন্দি আঁটানো হয়েছে, অথচ এসব গুলো ডাহা মিথ্যা ।

কাদেরিয়া তরিকার অজিফা ও সাধনার পদ্ধতি

কাদেরিয়া তরিকার অনুসারি সুফিদের মতে, কালেমা তাইয়্যেবা বর্ণিত নোক্তা বিহীন বারটি বর্ণের তালিমই হল কাদেরিয়া তরিকার খাস তালিম। এবং দুনিয়ার সকল রহস্য এই বারেটি হবফে লুকায়িত রহিয়াছে। বিশ্ব জগতের মূল কারণ ও উৎস হল এই বারোটি হরফ। তৌহিদের প্রকৃত রূপও এই কালেমা। নোক্তা শূন্য বর্ণ দিয়ে কেন কালেমার সৃষ্টি, তাহা গভীর রহস্যে নিমজ্জিত। এই কালেমাকে জানিলে, চিনিলে ও সঠিক ভাবে গবেষণা করিয়া পড়িলে তাহার নিকট সকল রহস্যের দ্বার উন্মোচিত হইয়া যায়। এই তালিম না পাওয়া পর্যন্ত কেহ কাদেরিয়া তরিকার সূফী-সাধক ও পীর হওয়ার যোগ্য হন না। যিনি এই কালেমার রহস্য জানেন তাকে তারা “আরেফ বিল্লাহ ও অলিয়ে কামেল এর মর্যাদায় ভুসিত করে।

কাদেরিয় তরিকার অনুসারীদের ভাষ্য মতেঃ যদি কেউ এই কালেমার শিক্ষা গ্রহণ করিতে চায়, তবে তাকে একজন সূফী-সাধক ও পীর-মোর্শেদগণ থেকে অর্জন করতে হবে। সাধক ব্যতীত কোন সাধারণ শুষ্ক আলেম হইলে চলিবেনা।

কলেমার তালিমের গোপন উৎস : তারা সনদবিহীনভাবে প্রচার করে যে, হযরত নবী করিম সা. এই কালেমার বিশেষ তালিম হযরত আলী রা. কে প্রদান করিয়াছিলেন। তিনি এই তালিম তাঁহার খলিফা হযরত হাসান বসরী রহ. কে দান করেন। তাঁহার নিকট হইতে গাউসুল আজম হযরত আবদুল কাদির জিলানী রহ.-এর নিকট আসে। এই কালেমার রহস্য তাঁহার নিকট আসিবার পূর্ব পর্যন্ত  ইহার তালিম সিনা-ব-সিনা আসিত। কিন্তু তিনি এই তালিমকে সু-বিন্যস্ত করিয়া লিখিত আকারে গুপ্ত ভাবে বিশেষ মুরিদানকে দান করেন।

“কাদেরিয়া তরিকার সাধনা কোন লতিফার সহিত সম্পৃক্ত নহে। বরং খোদা প্রেমিকের যেই স্থানে আল্লাহ শব্দের প্রভাব পড়িবে, সেখানেই জিকির জারী হয়। সেইখান হইতে তাহা সমস্ত শরীরে শিহরিত হয়। অতঃপর সেখানে বিশেষ অবস্থা ও নূর সমূহ বিচ্ছুরিত হইবার পর তাজাল্লী বা আলোক প্রভার বিকিরণ এবং ঊর্ধ্ব জগতের ভ্রমণ সংঘটিত হয়। ফলে এমন আবেগের উত্থান এবং অবস্থার পর্যায়ক্রমিক উন্নতি সাধিত হয়, যাহা বলা বা লেখা যায় না।

তাদের দাবিঃ মোর্শেদের তাওয়াজ্জুহ্ ব্যতীত সালেকের এই পথে সফল হওয়া খুবই কঠিন। যখনই এই সকল বিশেষ অবস্থার উন্নতি সাধিত হয়, তখনই মোর্শেদ তাহাকে নিজের আধ্যাত্মিক ক্ষমতা বলে উন্নততর মনজিলে পৌঁছার পথ নির্দেশ করেন। প্রকৃত মকসুদে পৌঁছাইবার পথ বাতলাইয়া দেন। সালেক চলার পথে যখনই ধীরে ধীরে নূরানী জগতে অগ্রসর হয় এবং বিশাল বিশাল ভয়ানক সমুদ্র অতিক্রম করিবার পর জাতী তথা মূল নূরের প্রভাবে ফানার মাকামের বহিঃপ্রকাশ ঘটে, তখনই মূল সত্তার দরিয়ায় ডুবিয়া যায়। সমুদ্রের মতো যাহার কিনারায় মূলের মূল, শাখার শাখা বিভিন্ন পর্যায়ে ওয়াহ্দাতুল ওজুদ বা অস্তিত্বের একত্বের অলি-গলিতে ঘুরিতে থাকে। ইহারই মধ্যে শাহে লা-তায়াইউন বা অসীম অমূর্ত বা নির্বস্তুক জগতের আবির্ভাব ঘটে, যাহার কূল-কিনারা নাই।”

মন্তব্য আপনি যদি হিন্দু অথরা বৌদ্ধ ধর্মের নীতি কথা পড়ে। তা হলে দেখবের তারা বিভিন্ন পন্থা আবিষ্কার করছে। যার মাধ্যমে তারা তাদের নফস বা আত্মার পরিশুদ্ধি করার চেষ্টা চালায়। তাদের এই কাজের না আছে কোন ঐশি নির্দেশ না আছে কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি। শুধুই আন্দাজ  আর অনুমানের উপর ভিত্তি করে নিয়ম নীতি তৈরি করা হয়েছে। অনেক সময় বলে এটা পরিক্ষিৎ। যেমন তাবিজ ব্যবহারকারীগণ দাবি করে থাকে। কাদেরিয়া তরিকার অনুসারি সুফিদের আমল তার থেকে ব্যতিক্রম কিছু আছে কি?

মহাসত্য: আব্দুল কাদের (রহঃ) কখনো তার নামে কোন তরিকা তৈরি করেনি তার জীবদ্দশায় কাদেরীয়া নামে কোন তরিকার অস্তিত্ব ছিলোনা, যদিও তার জীবনের একটি স্তর ছিলো সুফীজমের অন্ধকারাচ্ছন্নে আবদ্ধ,  কিন্তু সৃষ্টি কর্তার অপার অনুগ্রহে শেষ জীবনে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের কাতারে শামিল হন এবং সুফী বা পীর তন্ত্রের ভ্রষ্টতা থেকে মুসলিম জাতিকে মুক্ত করার জন্য গূনিয়াতু ততালেবিন নামক বিখ্যাত গ্রন্থ রচনা করেন । ইমাম ইবনে কাসির বলেন: “আব্দুল কাদের একজন সৎ নেককার পরহেজগার ইবাদাত প্রয়োষী ব্যক্তি ছিলেন, কিন্তু তার ব্যাপারে এতই অতিরঞ্জিত কথা বলা হয়েছে যার সব গুলোই মিথ্যা”। (  বিদাআও নিহায়া)

২য় :  চিশতিয়া তরিকা : খাজা মইনুদ্দীন চিশতী যিনি ইরানের চিসত নগরে জন্ম গ্রহণ করেন এবং ৬৬১ হিজরীতে মৃত্যু বরণ করেন, ভারতের আজমিরে তাকে দাফন করা হয় । তার দিকে নিসবত করে চিশতীয়া তরিকার আবির্ভাব, ভারতীয় উপমহাদেশে এই তরিকার ব্যাপক অনুসারী রয়েছে বিশেষ করে দেওবন্দী আকাবিরদের অধিকাংশ চিশতীয়া তরিকার অনুসারী তথা (পীর ও মরিদ) ,যেমন এমদাদুল্লাহ মোহাজের মাক্কী, আশরাফ আলী থানোভী, আব্দুর রশিদ, বাংলাদেশের চরমোনাই, ছারছিনা, ফুলতলী প্রমুখ ।

মিথ্যাচার : চিশতীয়া তরিকার পীর ও মুরীদরা দাবী  করে যে মইনুদদীন চিশতীর ১৫ তম পুর্ব পুরুষ রাসুল (সাঃ) এর সংগে মিলিত হয়েছে, এটা ডাহা মিথ্যা কথা, কোনো ইতিহাস গ্রন্থে এধরনের কোন তথ্য পাওয়া যায় না, বরং ইরানের চিসত নগরী সহ পুরা ইরানই অগ্নি পুজোকদের আভাস ভুমি তা সকল ইতিহাস বেতরা উল্লেখ করেছেন, তবে ওমর (রাঃ) এর শাসনামলে চিশত হেরাত খোরাসানে ইসলাম প্রবেশ করে ।

চিশতীয়া তরিকার আকিদা :

১-তাদের প্রধান আকিদা হলো আল্লাহ তায়ালা সর্বত্র বিরাজমান।

২- আল্লাহর কোনো আকার নেই, নিরাকার ।

৩- মৃত্যু ব্যক্তি বিশেষ করে চিশতীয়া তরিকার পীরদের ওসিলা করে দোআ করা তাদের কাছে দোআ কবুল হওয়ার কারণ ।

৪- মৃত্যু ব্যক্তিরা কবর থেকে জীবিতদের কথা শুনে এবং তাদের সাহায্য সহযোগিতা করে ।

৫- চিশতীয়া তরিকার কুতুবদের এত পাওয়ার যে মরে যাওয়ার পরেও দুনিয়া হেফাজত করে । (নাউজুবিললাহ)

৬- আত্ম শুদ্ধির জন্য পীরদের সংগে মোরাকাবায় বসা এবং ইল্লাল্লাহ যিকির করা ।

৭- তাবিজ ব্যবহার তাদের কাছে মুসতাহাব ।

প্রমুখ কুফরি আকিদা  পোষণ করে, উল্লেখিত আকিদার সবগুলোই প্রায় দেওবন্দী ও তাদের আকাবিরেরা পোষণ করে থাকেন এবং তাদের লিখিত বই পুস্তকে এসব বিষয়ে উৎসাহ প্রদান করত: মুরীদের মানতে বাধ্য করা হয়েছে ।

চিশতিয়া তরিকার অজিফা ও সাধনার পদ্দতিঃ

হযরত খাজা মঈন উদ্দীন চিশতী এর খাস খলিফা চিশতিয়া তরিকার একান্ত অনুসারী খাজা কুতুব উদ্দীন বখতিয়ার কাকী -এর স্ব-রচিত ‘দলিলুল আরেফীন’ গ্রন্থের অষ্টম অধ্যায়ে তাদের তরিকার আমলের বর্ণনা দিয়েছেন। এই তরিকা মতে আব, আতশ, খাক, বাদ ও নূর যথাক্রমে পানি, আগুন, মাটি, বায়ু এবং নূরকে আনাসির-এ-খামসা বা পঞ্চ উপাদান নামে অভিহিত করা হয়। সমুদয় সৃষ্টি জগতের মূল উৎস এই পঞ্চ উপাদান। সমুদয় জড় বস্তু ও প্রাণী দেহে ‘আনাসিরে আরবায়া’ বা চার উপাদান যেমন পানি, আগুন, মাটি ও বায়ুর সংমিশ্রণ ঘটিয়াছে। আর চার উপাদানের মূলে রহিয়াছে নূর বা এক জ্যোতির্ম্ময় সত্তা। প্রত্যেক উপাদানে রহিয়াছে পাঁচটি গুণ বা সিফাত।

উহা আবার তিন শ্রেণীতে বিভক্ত। যথা:

১. আহাদিয়াতঃ এই স্তরে মহিমান্বিত আল্লাহ আপনাতেই বিদ্যমান এবং অতি সূক্ষ্মাতি সূক্ষ্ম দরিয়া রূপে রহিয়াছেন। এই পর্যায়ে তিনি একক ও অদ্বৈত।

২. ওয়াহিদাতঃ এই স্তরে তিনি তাঁহার ইরাদা বা আকাঙ্ক্ষা বা এশক (প্রেম) হইতে নূরে মুহাম্মদী সা. সৃষ্টি করেন।

৩. ওয়াহেদিয়াতঃ এই স্তরে নূরে মুহাম্মদী সা. হইতে তিনি নিজেকে বিশ্ব চরাচর সৃষ্টির সঙ্গে ‘আহমদ’ রূপে প্রকাশ করেন। ভণ্ড সুরেশ্বরী পীর তার রচিত আধ্যাত্মিক উর্দু গ্রন্থ “সিররেহক্ক জামেনূর” বই-এর ভূমিকায় লিখেছেন “আহাদ” এবং “আহমাদ” এর মধ্যে “মীম” এর পার্থক্য কেবল হামদ্ ও নাতের জন্য। (নাউজুবিল্লাহ-কত বড় বেয়াকুফ )

এই তালিমকে ‘মান আরাফা নাফসাহু’ এর তালিমও বলা হয়। এই তালিম রপ্ত না করা পর্যন্ত কেহই প্রকৃত সুফি বা চিশতিয়া তরিকার পীর হইবার যোগ্য নহেন। চিশতিয়া তরিকায় সামা বা গান প্রচলিত রহিয়াছে। মাঝে মাঝে এই তরিকা পন্থীগণ সামার অনুষ্ঠান করেন। ইহাতে তাহারা জজবার হালতে পৌঁছেন। তাদের মতে, সামার দ্বারা আল্লাহর প্রেম বর্ধিত হয়। তাই চিশতিয়া তরিকার মাশায়েখগণ সামাকে ‘রুহানী গেজা বা আত্মার খোরাক’ বলেন। একই ভাবে চিশতিয়া তরিকায়ও কালেমা তাইয়্যেবা “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ” (বারে হরফ) নোক্তা বিহীন এই বারোটি বর্ণের খাস তালিমের বিধান রহিয়াছে।

মন্তব্যঃ এই শয়তানি তরিকায় আহাদিয়াত এর নামে ওহেদাতুল অজুদে বিশ্বাসী। আল্লাহ আর রসূর সাঃ নাকি একজন পার্থক্য শুধু মীমের।  (নাউজুবিল্লাহ)। এই তরিকায় গান গাইলে ইবাদাত হয় বলে প্রচার করে। গান হল ‘রুহানী গেজা বা আত্মার খোরাক। এই সকল কথা থেকে মহান আল্লাহ, তার রসুল ও ইসলাম অনেক পবিত্র। যদি গবেষণা করেন তবে হিন্দুদের সাথে বা শিয়াদের সাথে মিল খুঁজে পেতে পারেন।

৩য় : নকসবন্দীয়া, এই তরিকা পন্থীদের বাহাউদ্দীন নকসবন্দ এর দিকে নিসবত করে নকসবন্দীয়া বলে, বাহাউদ্দীন নকসবন্দ এর প্রকৃত নাম  মোহাম্মদ বিন  মোহাম্মদ মৃত্যু ৭৯১  হিজরীতে, তার পাকা কবর ও কবরের উপর গম্বুজ উজবেকিস্থানের আরাকান নামক গ্রামে অবস্থিত ।

মিথ্যাচার : এই তরিকা পন্থীদের দাবি নকসবন্দীর  ২২ তম পুর্ব পুরুষ রাসুল (সাঃ) এর সংগে মিলিত হয়েছে । অথচ এব্যাপারে সঠিক কোন তথ্যে ইতিহাস থেকে সাব্যস্ত নেই ।

এই তরিকা নকসবন্দীর জীবিত থাকা অবস্থায় তেমন প্রচার প্রসার না হলেও তার মৃত্যুর পর তাঁর শাগরেদরা নকসবন্দ নামে সুফীজমের ভ্রান্ত মতাদর্শ তুরস্ক সিরিয়া এবং এশিয়ায় বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে দিতে চেষ্টা করে ।

নকশবন্দিদের আকিদা :

১- নকসবন্দী তরিকা সরাসরি আবু বকর সিদ্দিক থেকে আসছে । (মানারূল হুদা – 20/16)..

২-  নকসবন্দীদের আকিদা তাদের তরিকার যত মৃত পীর মাশায়েখ আছে তাদের  আর জীবিতদের মাঝে কোন পার্থক্য নাই জীবিতদের মতই কবর থেকে তারা সকল প্রকার সাহায্য সহযোগিতা করেন।

৩-রাসুল (সাঃ) এর কোন ছাঁয়া নেই ।

৪- নকসবন্দী তরিকার পীর মাশায়েখরা চতুষ্পদ জন্তুর রূপ ধারণ করে (কুকুর, বাঘ, সিংহ বিড়াল)  (বাহজাতু সুননিয়া ৬-৩৩)।

৫- নকসবন্দীদের আকিদা মানব জাতির রুহ মুলত আল্লাহর সাদৃশ্য সরূপ (নাউজুবিললাহ) নুরুল হেদায়া ১২১পৃ)

৬- নকসবন্দীরা বিশ্বাস করে তাদের প্রধান পীর বাহাউদ্দীন নকসবন্দ যদি কাউকে বলে “মরে যাও” সংগে সংগে মরে যায় আর যদি বলে “জীবিত হও” সংগে সংগে জীবিত হয় । ( আল মাওয়াহিবু সারমাদি ১৩৩)। আরো হাজার কুফরি আকিদা পোষণ করে এই নকসবন্দীয়া।

নকশবন্দিয়া তরিকার অজিফা ও সাধনার পদ্দতিঃ

নকশবন্দিয়া তরিকার গুরুত্বপূর্ণ তালিম হইল ছয় লতিফা এবং চার উপাদান তথা আব, আতশ, খাক, বাদ অর্থাৎ পানি, আগুন, মাটি ও বাতাস প্রভৃতির উপর মোরাকাবা করা। ছয় লতিফা: ক্বাল্ব, রূহ, ছের, খফী, আখফা, নফস প্রভৃতির উপর সাধনার প্রতিক্রিয়া পরিচালিত হয়। ইহা ব্যতীত পঞ্চ হাযরা তথা সায়ের ইলাল্লাহ, সায়ের ফিল্লাহ, সায়ের আনিল্লাহ, আলম-এ-মিসাল, আলম-এ-শাহাদাত প্রভৃতির উপর মোরাকাবা করিবার নিয়ম-পদ্ধতি এই তরিকায় বিদ্যমান রহিয়াছে।

নক্শবন্দিয়া সাধকগণ আহাদিয়াত, ওয়াহিদাত ও ওয়াহেদিয়াতের স্তরে পরিভ্রমণ করেন। ওয়াহিদাত ও ওয়াহেদিয়াত স্তর দুইটি উপনীত হইতেছে সায়ের ইলাল্লাহ’তে। আলমে আমর ও আলমে খালক একই স্তরে অবস্থিত। আহাদিয়াতের স্তর কেবলই সায়ের ফিল্লায় অবস্থিত।

নকশবন্দিয়া তরিকা মতে ৮টি বিষয়ের উপর অধিক গুরুত্বারোপ করা হয় যথা:

১.    হুঁশদমঃ  শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রতি খেয়াল রাখা।

২.    নেগাহ্ বর কদমঃ  পীরের পদাঙ্কানুসরণ করা।

৩.    সফর দার ওয়াতনঃ  দেহ রাজ্যে পরিভ্রমণ করা।

৪.    খিলওয়াত দার আঞ্জুমানঃ  চুপি চুপি বাক্যালাপ।

৫.    ইয়াদ কার্দানঃ  সার্ব্বক্ষণিক জিকিরে মশগুল থাকা।

৬.    বাজগশতঃ আল্লাহর প্রতি ধাবিত হওয়া।

৭.    নেগাহ দাশ্তঃ  আল্লাহতে অন্তর্দৃষ্টি নিবন্ধ রাখা।

৮.    ইয়াদ দাশ্ত বা খোদগোজাশ্তঃ  নিজকে নিঃশেষ করিয়া আল্লাহতে চির জাগ্রত রাখা। এই তরিকা মতে নিচু স্বরে জিকির স্বীকৃত। এই তরিকার কোন কোন উপ-তরিকায় সামা জাতীয় গজলের প্রচলনও রহিয়াছে।

চতুর্থ : মুজাদ্দেদীয়া তরিকা :

মুজাদ্দেদ আলফে সানি যার প্রকৃত নাম আহমাদ ফারুক সারহিন্দী তার দিকে নিসবত করে এই তরিকা পন্থীদের মুজাদ্দেদীয়া বলে ।

মুজাদ্দেদ আলফে সানি ১০৩৪ হিজরীতে মারাজান, ভারতের সারহিন্দে তার  মাজার রয়েছে ।

মোজাদ্দেদিয়া তরিকার আজিফা ও সাধনার পদ্দতিঃ

মোজাদ্দেদিয়া তরিকা মতে ছয় লতিফা, চতুর্ভুজ এবং পাঁচ হাজার মোরাকাবা বা অনুশীলন অত্যাবশ্যক। হযরত মোজাদ্দেদ আলফেসানী রহ. পঞ্চ হাযরাকে নূতন নিয়মে সাজান। নক্শবন্দিয়া তরিকা মতে সায়ের ইলাল্লাহ, সায়ের ফিল্লাহ এবং আনিল্লাহর স্থলে হযরত মোজাদ্দেদ আলফেসানী রহ. কিছুটা পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করেন। তিনি সায়ের ইলাল্লাহকে বেলায়েতে সোগরা বা ক্ষুদ্রতম বেলায়েত এবং সায়ের ফিল্লাহকে বেলায়েতে কুবরা বা বৃহত্তম বেলায়েত নামকরণ করিয়াছেন। আহাদিয়াতের স্তরকে তিনি পূর্বেকার স্তর হইতে ২০/২২টি ঊর্ধ্বস্থিত স্তর বলিয়া অভিমত ব্যক্ত করিয়াছেন। বেলায়েতে উলিয়া বা ঊর্ধ্বাস্থিত বেলায়েতকে তিনি নবুয়তের পর্যায় ভুক্ত বলিয়া অভিমত ব্যক্ত করিয়াছেন। সালেক এই ২০/২২টি মাকামের মধ্য দিয়া আহাদিয়াতের স্তর অতিক্রম করিয়া বাকাবিল্লাহ বা কাইয়ুমিয়াত লাভ করেন।

মোজাদ্দেদিয়া তরিকা পন্থীদের দাবি তাদের পীর মুজাদ্দেদ আলফে সানির তরিকা  ২৮ তম পুর্ব পুরুষের মাধ্যমে রাসুল (সাঃ) এর সংগে মিলিত হয়েছে, তবে এবিষয়ে সঠিক কোনো তথ্য তরিকা পন্থীরা উপস্থাপন করতে পারে নাই । ভারতীয় উপমহাদেশে এই তরিকার ব্যাপক অনুসারী রয়েছে ।

আকিদা : মুজাদ্দেদীয়া তরিকা পন্থীদের আকিদা মুলত নকসবন্দীদের আকিদার নতুন আপডেট, অর্থাৎ আকিদায় নকশবন্দি ও মুজাদ্দেদীয়া এক,  শুধু মুজাদ্দেদ আলফে সানি ছয় লতিফা যিকিরের যে তরিকা আবিস্কার করেছেন তার ছবক মুরীদের নতুন ভাবে নিতে হয় । বাংলাদেশের আটরশি পীর মোজাদ্দেদিয়া তরিকার পীর ।

উল্লেখ্য যে,  উল্লেখিত চার তরিকাকেই দেওবন্দিরা সঠিক বলে বিশ্বাস করে ও মানে এবং তারা নিজেরাও পীর ও মুরিদ, বাংলাদেশের আবার বিখ্যাত বড় দেওবন্দী হুজুরেরা  উল্লেখিত ভ্রষ্ট চার তরিকার বাইয়াত দেন । আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে এই সকল ভ্রষ্ট তরিকা থেকে হেফাজত করূন । আমিন ।

পর্ব ৪-পর্যালোচনা: এগুলো সবই মানুষের তৈরি ধর্ম। ইসলামের সাথে এগুলোর কোনও সম্পর্ক নেই। তরিকাপন্থীদের কাছে আল্লাহর দেয়া অভ্রান্ত দ্বীনের কোনও মূল্য নেই বলে তারা এসমস্ত নিত্যনতুন তরিকার আবিষ্কার করেছে।

৫ম :মাইজভাণ্ডারী :

বাংলা ১২৩৩ সালে ১ মাঘ চট্টগ্রামের মাইজভাণ্ডার গ্রামে আহমাদুল্লাহ নামে এক ব্যক্তির জন্ম হয়। তিনি কলিকাতা আলিয়া মাদরাসায় কিছু দিন পড়াশুনা করেন। কিছু দিন কাজির পদে চাকরি করার পর শিক্ষকতা পেশাকে বেছে নেন। ১৯০৬ সালে বাংলা ১৩১৩ সালের ১০ মাঘ রাত একটার পর তিনি মারা যান।

মাইজভাণ্ডারীর কতিপয় ভ্রান্তনীতি :

এক- গান-বাজনার আসর বসানো। দুই- কাশফ বা গায়েবি কার্যক্রম পরিচালনা করা এবং অদ্ভুত কারামত দেখানো। তিন- মানুষের আয়ু বাড়ানো ও মৃত্যু দান করা। এ ধরনের আরও অনেক কোরআন বিরোধী কুফরী কার্যক্রম তাদের রচিত বইগুলোতে উল্লেখ করা হয়েছে। মাইজভাণ্ডারীর বাণী হিসেবে প্রচার করা হয় যে, যে কেহ আমার কাছে সাহায্য চাহিবে, আমি উন্মুক্ত সাহায্য করিব। আমার সরকারের এই প্রকৃতি হাশর তক্ জারি থাকিবে।

মাইজ ভান্ডারী তরিকার অজিফা ও সাধনার পদ্দতিঃ

এই তরিকার ভক্তদের ধারনা মতে, বিশ্ব মানবতায় বেলায়তের স্বরূপ সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজ ভান্ডারী এর বেলায়তের পরশ পেয়ে ধন্য হয়েছেন মাটিস্ত বুজুর্গানে দ্বীন এবং তারা জামালী হতে জালালীর মধ্যে রূপ ধারণ করেছেন। কামালিয়তের বা বুজুর্গীর কোন প্রশংসা তাঁর বুজুর্গীতে বাদ পড়েনা। তিনি এমন এক খোদা প্রদত্ত শ্রেষ্ঠত্ব সম্পন্ন অলি, যিনি খোদার ইচ্ছা শক্তিতে তাঁর গাউছে আজমিয়তের প্রভাবে জনগণের না হওয়ার মত কাম্য বস্তুকে হওয়ার রূপ দিয়েছেন এবং দিচ্ছেন। তাদর দাবি, তাঁর সাথে হযরত খাজা খিজির (আঃ) এঁর খুবই ঘনিষ্ঠ আধ্যাত্মিক সম্পর্ক ছিল।

সমসাময়িক ওলামায়ে কেরাম ও বুজুর্গগণ তাঁর প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাপূর্ণ উচ্চ ধারণা পোষণ করতেন যা তাদের লিখিত কসিদা, শের, কবিতা, মন্তব্য ইত্যাদি থেকে উপলব্ধি করা যায়। তাঁর আধ্যাত্মিক পরশ প্রাপ্ত অসংখ্য অলী-দরবেশ বিভিন্ন স্থানে আধ্যাত্মিকতার দাওয়াত পৌঁছে দিয়ে বিশ্ব মানবতার কল্যাণের অপূর্ব দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন।

তাদের ইবাদতের প্রধান মাধ্যম হল গান। গান গেয়ে তারা আত্মার পরিশুদ্ধি অর্জন করে থাকে। তারা শুধু মুসলিমদের আত্মার পরিশুদ্ধি করে তা নয়। এখান হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান যে কোন ধর্মের লোক এসে আত্মার পরিশুদ্ধি অর্জন করতে পারে। তাদের মনের আশা পূরণ করতে পাবে। এই কথা তারা শুধু বলে না প্রচারও  করে।

মাইজভান্ডারি তরিকার উসুলে সাবআ বা সপ্ত পদ্ধতি

নফ্ছে ইনসানীর কুপ্রবৃত্তি বন্ধ করে রূহে ইনসানীর সুপ্রবৃত্তি জাগ্রত করার জন্য হযরত গাউছুল আজম মাইজভান্ডারি (কঃ) নির্বিঘ্ন ও সহজসাধ্য মাধ্যম হিসেবে সপ্ত-পদ্ধতির প্রবর্তন করেন। সপ্ত -পদ্ধতি দুই স্তরে অনুশীলিত হয়।

ফানায়ে ছালাছা বা রিপুর ত্রিবিধ বিনাশ স্তরঃ

১। ফানা আনিল খাল্কঃ পরমুখাপেক্ষী না হয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করা।

২। ফানা আনিল হাওয়াঃ অনর্থক কাজকর্ম ও কথাবার্তা হতে বিরত থাকা।

৩। ফানা আনিল এরাদাঃ নিজ ইচ্ছা বাসনাকে খোদার ইচ্ছায় বিলীন করে তাছলিম ও রজা অর্জন করা।

মাউতে আরবা বা প্রবৃত্তির চতুর্বিধ মৃত্যুঃ

১। মউতে আবয়্যাজ বা সাদা মৃত্যু উপবাস ও সংযমের মাধ্যমে অর্জিত এই মৃত্যুতে মানব মনে উজ্জ্বলতা ও আলো দেখা দেয়।

২। মউতে আছওয়াদ বা কালো মৃত্যু সমালোচনায় বিরক্ত বা রাগান্বিত না হয়ে আত্মসমালোচনার মাধ্যমে নিজকে সংশোধনের মনমানসিকতা অর্জনই কালো মৃত্যু।

৩। মউতে আহমর বা লাল মৃত্যুঃ কামস্পৃহা ও লোভ-লালসা হতে মুক্তিতে হাসিল হয়।

৪। মউতে আখজার বা সবুজ মৃত্যুঃ নির্বিলাস জীবন যাপনে অভ্যস্ত হওয়ার মাধ্যমে সবুজ মৃত্যু লাভ হয়।

এই কোরআনী হেদায়তের সপ্তপদ্ধতি ,মানবজীবনের এক নিখুঁত সহজ, সরল ও স্বাভাবিক পন্থা; যা মানব জীবন পদ্ধতিতে স্বাচ্ছন্দ্য আনয়ন করে। (সূত্রঃ বাংলা উইকিপিডিয়া)

মন্তব্যঃ কুপ্রবৃত্তি বন্ধ করে রূহে মানবীয় প্রবৃত্তি জাগ্রত করার জন্য এই মাইজভান্ডারি তরিকার বিকৃত পথ ও পদ্দতি যে বিদআতে তাতে সন্দেহ করলে ইমান থাকবে কি? অপর পক্ষে সাধারণ মানুষ মাইজভান্ডারী বলেত বুঝে বাদ্যযন্ত্রসহ (ঢাক ঢোল, বাশিঁ, কাশি) গান। তাদের ইবাদতের অনুষ্টানে গেলে বুঝতেই পারবের না যে, আপনি কি হিন্দু না শিয়াদের অনুষ্ঠানে এসেছেন।

৬ : সোহরাওয়ার্দিয়া তরিকার আজিফা ও সাধনার পদ্দতিঃ

তাঁহার জগৎ বিখ্যাত মুরিদ-খলিফা হযরত শিহাব উদ্দীন আবু আমর উমর বিন আবদুল্লাহ আল-সোহরাওয়ার্দী । তিনি ওয়াহদাতুল অজুদ বা সর্ব্বেশ্বরবাদ তত্ত্বজ্ঞানীদের সামনে উপস্থাপন করে। তার মতে ঐশী সত্তার বিকাশ হয় আদমিয়াত বা মানবত্বে। তিনি ইত্তেহাদের ভিত্তি মূলে হযরত আদম আ. কে সর্ব প্রথম আল্লাহর শারীরিক বিকাশ বলিয়া মনে করেন। (নাউজুবিল্লাহ)। তাদের মতে, এই তরিকায় আল্লাহর অলিগণ কখনও জাহির, কখনও বাতেনে থাকেন। হযরত শাহজালাল ইয়ামেনী এই তরিকার জাহেরী ও বাতেনী উভয় অবস্থার ইমাম ও কুতুব ছিলেন।

হযরত শিহাব উদ্দীন সোহরাওয়ার্দী -এর মতে এই তরিকার ভিত্তিই হইলঃ

১. জওক (আধ্যাত্মিক স্বাদ গ্রহণ)

২. ওয়াজদ (উচ্ছ্বাস ও উন্মাদনা)

এই তরিকায় আল্লাহর অলিগণ কখনও জাহির, কখনও বাতেনে থাকেন। হযরত শাহজালাল ইয়ামেনী রহ. এই তরিকার জাহেরী ও বাতেনী উভয় অবস্থার ইমাম ও কুতুব ছিলেন।

এই বিদআতি মতে তাদের ভাবধারার তরিকার জ্ঞান সম্পন্ন অলি-আউলিয়ার কিছু কিছু রীতিনীতি, কাজ-কর্ম্ম শরিয়তের বা সাধারণ মানুষের জ্ঞান-বুদ্ধির গণ্ডিভুক্ত না-ও হইতে পারে। ইহা বেলায়েতের প্রভাব মুক্ত এবং শরিয়তের আদেশ-নিষেধ সাময়িক ভাবে রহিত হওয়ার অবস্থা। ইহাকে খিজিরী বেলায়েত বলে। (নাউজুবিল্লাহ)। তার প্রতিষ্ঠিত এই সকল দর্শন ও তরিকা প্রচারের সময়ে ইমাম হযরত শিহাব উদ্দীন সোহরাওয়ার্দী বিভিন্ন উলামা ও মাশায়েখের বিরোধিতা শিকার হইয়াছিলেন। ইরান, ইরাক সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই তরিকার অনুসারী রহিয়াছেন।

সেজদার একমাত্র মালিক বা হকদার মহান আল্লাহ তাআলা। তিনি ছাড়া আর কাউকে সেজদা করা জায়েয নেই। বর্তমান সময়ে অনেককে বলতে শোনা যায়, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে দেখা যায় একশ্রেণীর লোক ভক্তি-শ্রদ্ধার নামে পীরকে সেজদা করে। অনেকে আবার মাজারে বা দরগাহে সেজদায় লুটিয়ে পড়ে।এ ধরনের পীর বা মাজারে সেজদাকারীরা শ্রদ্ধা-ভক্তির এ সেজদাকে জায়েজও বলে থাকেন। সেজদা প্রসঙ্গে কুরআন এবং হাদিসে রয়েছে সুস্পষ্ট নির্দেশনা।

‘নিশ্চয়ই সেজদার স্থানসমূহের মালিক আল্লাহ তাআলা। অতএব তোমরা তার সাথে কারো ইবাদত করো না।’ (সুরা জিন : আয়াত ১৮)

এ আয়াতের ব্যাখ্যায় মুফাসসিরিনে কেরাম বলেছেন, ‘উল্লেখিত আয়াতে সেজদার স্থান বলতে সেজদার সময় ব্যবহৃত অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে বুঝায়। আর আল্লাহ তাআলাই এগুলোর একমাত্র মালিক। অতএব এ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দ্বারা আল্লাহ ছাড়া আর কাউকে সেজদা করা যাবে না।’ ইবনে কাসীর, কুরতুবী, রুহুল মাআনী)

হাদিসে পাকে হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘আল্লাহ তাআলার অভিশাপ ইয়াহুদি ও নাসারাদের ওপর। তারা তাদের নবীগণের কবরকে সেজদার স্থান বানিয়েছে।’ (বুখারি)

হজরত জুনদুব রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে তাঁর ইন্তেকালের তিনদিন আগে বলতে শুনেছি, সাবধান! তোমরা কবরকে সেজদার স্থান বানিও না। আমি তোমাদেরকে তা থেকে কঠোরভাবে নিষেধ করছি।’ (মুসলিম)

কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে বুঝা যায় যে, পীর বা মাজারে যে কোনো ধরনে সেজদা করা হারাম। কোনোভাবেই তা বৈধ নয়। হাদিসে পাকে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেই নির্দেশনা জারি করেছেন।

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘কারো জন্য (আল্লাহ ছাড়া) অন্য কাউকে সেজদা করা বৈধ নয়। যদি কারো (অন্যকে সেজদা করা বৈধ হতো তবে আমি স্ত্রীদেরকে তাদের স্বামীদের সেজদা করার আদেশ করতাম। কেননা আল্লাহ তাআলা স্ত্রীর উপর স্বামীর অনেক বড় হক ন্যস্ত করেছেন।’ (ইবনে হিব্বান, মুসনাদে আহমাদ)

Read More

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked with *

সর্বশেষ পোস্ট

Advertising