- আবদুল্লাহ ইউসুফ শামীম
আমি অস্ট্রেলিয়ার একমাত্র বাংলা সংবাদপত্র সুপ্রভাত সিডনির প্রধান সম্পাদক আব্দুল্লাহ ইউসুফ শামীম।১৪ বছর পর সিডনি থেকে চায়না এয়ারওয়েজে বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামলে ইমগ্রেশন পুলিশ আটক করে। আটকের ব্যাপারে আমি আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের জানতে চাইলে সিআইডি পুলিশের ২০১৮ সালের মামলায় আমাকে শ্যোন এরেস্ট দেখানো হয়েছে বলে জানায়। কিন্তু অ্যারেস্টের কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। আমি অস্ট্রেলিয়া সাংবাদিকসহ বিশ্বের বিভিন্ন সাংবাদিক ও বিএনপি নেতাদের যোগাযোগ করি। এসময় অস্ট্রেলিয়া ইমিগ্রেশন মন্ত্রী টনি বার্ক, ক্যান্টবরি ব্যাংকটাউন মেয়র বিলাল আল হ্যায়েক (Bilal El Hayke), অস্ট্রেলিয়ার সাংবাদিকসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিএনপি নেতা অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, বিভিন্ন উপদেষ্টা ও সচিবদের যোগাযোগ করেন। অস্ট্রেলিয়া ইমিগ্রেশন মন্ত্রী টনি বার্ক সরাসরি প্রধান উপদেষ্টার সাথে কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টা, বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া, বিভিন্ন উপদেষ্টা, বিভিন্ন সচিবদের হস্তক্ষেপে শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বেলা ১১টায় ১৪ ঘন্টা পর আমাকে ছেড়ে বাধ্য হয়।
এসময় মামলা, চার্জশীট বা আটকের স্বপক্ষে কোন কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়। হয়রানির সময় ইমিগ্রেশন পুলিশ দম্ভোক্তি দেখিয়ে বলেন, মাহামুদুর রহমানের মত সাংবাদিককে আটক করেছি। আপনি কোন তো..। এছাড়া তারা জানিয়েছেন, ঢাকা ত্যাগ করার সময় মামলার কাগজ ছাড়া দেখাতে না পারলে আপনাকে বিমানে উঠতে দেয়া হবে না। যেখানে তারা কোন কাগজপত্র দেখাতে পারছে না। সেখানে একজন সাংবাদিক কিভাবে দেখাবে এমন প্রশ্ন করলে পতিত সরকারের দোষর পুলিশ সদস্যরা কোন উত্তর দিতে পারেনি। এভাবে আটকের কোন আইনগত ভিত্তি নেই বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন। এভাবে হয়রানি করলে তার দায়ভার কে নেবে সেটা আমার প্রশ্ন।
অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশের প্রবাসী সাংবাদিকদের অনুরোধ, আপনারা যারা ফ্যাসিষ্ট, খুনি হাসিনা সরকারের পদত্যাগ বা অপসরণের দাবিতে যারা বিভিন্ন সময় আন্দোলন, মিছিল মিটিংসহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তারা দেশে আসার আগে অবশ্যেই আইনশৃংখলা বাহিনীর সাথে যোগাযোগ করে আপনার বিরুদ্ধে খুনি হাসিনার কোন মামলা দিয়েছে কিনা নিশ্চিত হয়ে আসবেন। নতুবা আমার মত পুলিশী হয়রানি শিকার হতে হবে।