সামসুল ইসলাম টুকু: কোনো দেশের সমাজ ব্যবস্থা সম্পর্কে লেখা একটি বিশাল ব্যাপার । তারপরেও খুব অল্প পরিসরে লেখার চেষ্টা করবো । একটি ধনী ও উদারনৈতিক দেশ অস্ট্রেলিয়া । এখানকার সমাজ বিভিন্ন পর্যায়ে বিভক্ত । দেশটিতে স্থায়ীভাবে বসবাস করে নানা জাতির নানা ধর্মের বর্ণের ও নানা সংস্কৃতির মানুষ । জাতি ধর্ম ও বর্ণের বিভাজনের পাশাপাশি অর্থনৈতিক বিভাজনও এখানে আছে । অভাবী মানুষ নেই তা নয় । তবে তা আমাদের দেশের মত দৃশ্যমান নয়। বস্তি বলে কিছু নেই সেখানে । আশ্রয়হীনদেরর জন্যও এদেশে পাকা ঘরের ব্যবস্থা রয়েছে , এমনকি চোরের জন্যও । চোর ধরা পড়লেও তাকে মারা যাবেনা ।পুলিশের কাছে হস্তান্তর করতে হয় । সরকার তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে ।
বিভাজিত আর্থসামাজিক অবস্থা থাকা সত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়ায় একটি অভিন্ন সামাজিক ব্যবস্থা চলমান রয়েছে। সেটাই হবে আমার লেখার মূল বিষয় । যে সামাজিক ব্যবস্থার মাঝে আড়াই কোটির বেশি মানুষ বাস করে নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে । আর সেখানেই দক্ষিণ গোলার্ধের এই দেশটির শ্রেষ্ঠত্ব । আজকের অষ্ট্রেলিনরা মূলত ইংরেজদের রেস বা এদের আদিনিবাস ছিল ইংল্যান্ড । সেই আঠারশ শতকে আসা ইংরেজরা কয়েক শতকে বেশ কয়েকটি প্রজন্ম পেরিয়ে অস্ট্রেলিয়ান হয়ে উঠলেও তারা আজও ইংরেজদের সংস্কৃতি লালন করে এবং ইংল্যান্ডের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখে । কিছুদিন আগেও
ইংল্যান্ডের রাণী ছিলেন অষ্ট্রেলিয়ারও রাণী । সত্যই যদি বলা হয় তাহলে তারা হচ্ছে ঈঙ্গঅষ্ট্রেলিয়ান । আর প্রকৃত সত্য হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসী ও টরেস দিপপুঞ্জের মানুষেরাই আদি অস্ট্রেলিয়ান । যারা ইংরেজদের হাতে ভীষণভাবে অত্যাচারিত হয়ে লোকালয় ছেড়ে বন বাদাড়ে পালিয়ে বাঁচে ।আজও তারাই প্রকৃত অস্ট্রেলিয়ান । তারা ইঙ্গঅস্ট্রেলিয়ানদের থেকে দূরে থাকে , তাদের অত্যাচারী ভাবে , জবর দখলকারী ভাবে । আজও তারা তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি নিয়ে বেঁচে আছে ।
অষ্ট্রেলিয়া বিমান বন্দরে অবতরণের পূর্বেই জানালা থেকে দেখা যায় লাল রঙের টাইলসের ছাদ যুক্ত বাড়ি ঘর যা ইংল্যান্ডের স্ংস্কৃতি । বাড়ির নির্মাণশৈলী ও গঠন প্রণালি সেখাননকার মতই। তারা যে সামাজিক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে যা তারা লালন করে এবং সেটাই এখানে বসবাসরত বিভিন্ন জাতি ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে সকলেই পালন করে । যাকে গ্রাম্য ভাষায় বলা হয় দ্যাস গুনে ভ্যাস । অর্থাৎ যেমন দেশ তেমন অভ্যাস। তাই বলে তা নেতিবাচক বা গণমানুষের আকাঙ্ক্ষার বিরোধী নয় । এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস রত বিভিন্ন জাতির মানুষ সম্পর্কে যা বলা যায় তাহচ্ছে , এদেশে চাকরিসূত্রে ও লেখাপড়া করতে এসে একসময় নাগরিকত্ব পায় এবং থেকে যায় , এমনকি দেশের কথা আত্মীয় স্বজনের কথাও ভুলে যায় । এর কারণ একটাই , তাহচ্ছে এখানকার নিরাপদ জীবন যাপন ও ভালো রোজগার । অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসীদের দ্বিতীয় প্রজন্ম বা জন্ম থেকেই বাস করছে তারা আজও অস্ট্রেলিয়ান হতে পারেনি যদিও তারা অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব পেয়েছে । এদের মধ্যে বেশী সংখ্যক রয়েছে চীন ,ভারত , পাকিস্তান ,ভিয়েতনাম সিঙ্গাপুর , থাইল্যান্ড ফিলিপাইন বাংলাদেশের মানুষ । এছাড়াও অন্যান্য দেশের মানুষও আছে ।এ জন্য অস্ট্রেলিয়াকে বহু সংস্কৃতির দেশ বলা হয় । এ জন্য অবশ্য অষ্ট্রেলিয়ানদের ভুমিকাই প্রধান । কারণ অষ্ট্রেলিয়া একটি বিশাল দেশ হলেও এর জনসংখ্যা খুবই কম । বলা যায় প্রায় জনশূন্য । তাই এই দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধি সহ প্রযুক্তি ও শিক্ষা বিস্তার করার জন্য অষ্ট্রেলিয়া সরকার উল্লিখিত দেশগুলো থেকে ছাত্র , শ্রমিক , বিশেষজ্ঞদের আসার ও বসবাসের সুযোগ সৃষ্টি করে । তারপরেও অস্ট্রেলিয়ার জনসংখ্যা মাত্র ২ কোটি ৬০ লাখ । যা বাংলাদেশের জনসংখ্যার ৮ ভাগের ১ ভাগ । এরমধ্যে প্রায় অর্ধেকই অভিবাসী । বর্তমানে এ সুযোগ অব্যাহত আছে । তবে আগের চেয়ে কমেছে । এখন কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে ।
যাইহোক যারা বিভিন্ন দেশ থেকে অষ্ট্রেলিয়া এসেছে তারা ভিন্ন ভিন্ন সমাজের প্রতিনিধি সুতরাংভিন্ন ভিন্ন সামাজিক আচরণে অভ্যস্ত । তারা তাদের পুরোনো সামাজিক আচরণ ভুলে গেছে এমনটা হতে পারেনা । তবে অস্ট্রেলিয়ার সামাজিক আচরণ গ্রহণ করতে হয়েছে এবং প্রাত্যাহিক জীবনে প্রয়োগ করতে হয়েছে এবং হচ্ছে । এখানে বিভিন্ন দেশের ভিন্ন ভিন্ন ভাষার মানুষ বাস করে । তাই পারস্পরিক মতবিনিময় করার জন্য নিজের ভাষা ব্যবহার করতে পারেনা । বাধ্য হয়ে ইংরেজীর শরণাপন্ন হতে হয় সবাইকে । তাতে হয়তো মন খুলে প্রাণভরে কথা বলতে পারেনা । এখানকার মানুষ চলাফেরার পথে হাসিমুখে হাই হ্যালো করে এটাই তাদের সৌজন্যবোধ । বিপদে আপদে পড়লে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় । বাঙালিদের মত দেখেও না দেখার ভান করেনা। ছুটির দিনে কোনো উৎসবে ভিন্ন ভিন্ন ভাষাভাষীর মানুষেরা ভিন্ন ভিন্ন ভাবে জমায়েত হয় অথবা বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে বেড়াতে যায় । সপ্তাহে দুদিনের ছুটি তারা বেশ ভালোভাবেই উপভোগ করে । আর সবচেয়ে বড় কথা এদেশে ঐতিহাসিক ভৌগোলিক এবং প্রাকৃতিক দর্শনীয় স্থানের অভাব নেই । যেমন আছে পাহাড় , তেমনি চারিদিকে সমুদ্র ।,আছে মরুভুমিও বানাঞ্চল ।
অষ্ট্রেলিয়া সরকার সকল শ্রেণির নাগরিকদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে । একদিকে ধনী দেশ অন্যদিকে কম জনসংখ্যা হেতু সামাজিক নিরাপত্তা দেওয়া সহজ হয়েছে । দারিদ্র্য , আদিবাসী অধিকার ,লিঙ্গ বৈষম্য , মহিলাদের উপর সহিংসতা , শিশু অধিকার , প্রতিবন্ধী অধিকার , উদবাস্তু সমস্যা , বন্দীদের জন্য স্বাস্থ্য কর্মসূচি , বয়স্কদের পুনর্বাসন , গৃহহীনদের পুনর্বাসন ,মানসিক স্বাস্থ্য , পুরস্কার পরিচ্ছন্নতা , দাবানল প্রতিরোধ সহ সব ধরনের সুযোগ সুবিধা প্রদানে কোনো কার্পণ্য করেনা অষ্ট্রেলিয়া সরকার । শুধু তাই নয় এসব ক্ষেত্রে নিয়মিত আর্থিক জোগান দেয় সরকার । এখানে ৮০ বছর বয়সের বৃদ্ধও আবহাওয়ার কারণে শক্ত সামর্থ্য এবং চাকুরি করে । মহিলারা নিরাপদে পথ চলতে পারে । চুরি হয়না বললেই চলে । কারণ চোরদের জন্য আবাসন ব্যবস্থা আছে এমনকি ভাতার ব্যবস্থাও আছে । ফলে ভুলক্রমে বাড়ির দরজা খোলা থাকলেও চুরি হয়না । প্রত্যেক পরিবারের একাধিক গাড়ি আছে । সেগুলো বাইরে খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকে । কোনো সমস্যা হতে দেখা যায়না ।
এ দেশে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ককে পার্টনার হিসেবে বলতে পছন্দ করে । বিয়ে না করেও তারা স্বামী স্ত্রীর মত বাস করে । এদের পারিবারিক বন্ধন খুব শক্ত নয় । এ দেশে একজন শিশু ভূমিষ্ঠ হবার পর থেকেই জন্মদাতা ও জন্মদাত্রী পিতা মাতার সাথে দূরত্ব সৃষ্টি হয় । এর প্রথম কারণ হচ্ছে যেহেতু এ দেশে স্বামী স্ত্রী দুজনেই চাকুরি করে সেহেতু তাদের ১/১.৫ মাসের শিশুর দায়িত্ব দিতে হয় শিশু নিবাসে । এজন্য এখানে প্রচুর শিশু নিবাস রয়েছে এবং প্রায় ৫ বছর বয়স পর্যন্ত সেখানেই মানুষ হয় । ততদিন পর্যন্ত শিশুটি পিতা মাতার সান্নিধ্য , স্নেহ , ভালবাসা থেকে বঞ্চিত হয় । ফলে বহু শিশুর মানসিক বৈকল্য দেখা যায় । শুধু কি তাই নবজাতককে আলাদা ঘরে আলাদা বিছানায় রাখতে হয় । এর কারণ হিসেবে বলা হয় ঘুমের ঘোরে পিতা মাতার শরীরের চাপে পড়তে পারে বা সম্ভাবনা থাকে । কিন্তু লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে ভারত , পাকিস্তান , বাংলাদেশে তো পিতা মাতা নবজাতককে বুকে ধরে রেখেই ঘুমায় এবং কোনো সমস্যার কথা আমরা শুনিনি । সন্তানের সাথে যে রক্তের সম্পর্ক আর সে কারণেই নিজের হাতে লালন পালন করতে বিশ্বাসী তারা । এসব দেশে কমপক্ষে ১৮/২০ বছর বয়স পর্যন্ত পিতা মাতার সাথে সম্পর্ক থাকে এমনকি জীবনের শেষ পর্যন্ত সম্পর্ক থাকে । অথচ অস্ট্রেলিয়ার আইন অনুযায়ী ১৫ বছর বয়সেই সন্তান স্বাধীন হয়ে যায় । সে তার ইচ্ছেমতো বিয়ে সাদী চাকুরি করতে পারে ।
অস্ট্রেলিয়ার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক লেখা পড়া বিশেষ উন্নত নয় । সাধারণ লেখাপড়ার চাইতে কারিগরি বা ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয় । ফলে ১৫ বছর বয়সে ঐ প্রশিক্ষণের কারণে তারা আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠে এবং পিতা মাতার কাছ থাকে পৃথক হয়ে যায় ।এখানে প্রাথমিক লেখা পড়ার চেয়ে শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারটি বেশী গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে ।ফলে অল্প বয়সেই প্রায় ৭০/৮০ শতাংশ শিশু কিশোর সাধারণ শিক্ষা থেকে ঝরে পড়ে । অবশ্য বলে রাখা ভালো যে অভিবাসিদের সন্তানেরা সহসাই ঝরে পড়েনা এবং শেষ পর্যন্ত লেখাপড়া চালিয়ে যায় ও উন্নতি করে ।
এ দেশের বিশেষ সুবিধা হচ্ছে যারা শ্রম দেয় তাদের নির্দিষ্ট হারে বেতন দেওয়া হয় ।,সরকারি হিসেব অনুযায়ী , ঘণ্টা প্রতি কমপক্ষে ২১ ডলার বা আমাদের দেশের ১৮০ টাকা । ১৫ দিন পর পর বেতন দেওয়া হয় । যা একজন মানুষের জীবন ধারনের জন্য যথেষ্ট । তবে এখানকার জীবনযাত্রা ব্যয়বহুল । ফলে কাজ করতে শিখলেই তারা পিতা মাতার কাছ থেকে স্বাধীন হয়ে যায় এবং স্বাবলম্বীও হয়ে যায় । অল্প বয়সে উপার্জনের পথ খোলা থাকায় তারা কিছুটা উচ্ছৃঙ্খল হয় । ক্যাসিনো খেলে , মদ্যপান করে ,নতুন নতুন কাপড় চোপড় কেনে । যে কারণে সঞ্চয় করার মানসিকতা থাকেনা । এর পেছনে আরও একটি বিষয় কাজ করে তা হলো আগামী কালের কাজের নিশ্চয়তা থাকা ।বয়স্ক মানুষেরাও এখানে স্বাবলম্বী হয় , আবহাওয়ার কারণে তারা শারীরিকভাবে সুস্থ থাকে । ৭০ বছর বয়সেও তারা বিয়ে করে , নাতি পুতিরা সে বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করে আনন্দ করে । অষ্ট্রেলিয়ানদের অধিকাংশই নিজের বাড়ি ঘর করেনা । ভাড়া বাড়িতে থেকে জীবন কাটিয়ে দেয় । বৃদ্ধকালে সরকারি ভাতা পায় । তাছাড়া বৃদ্ধদের জন্য বৃদ্ধাশ্রম বা রিটায়ার্ড ভিলেজ আছে । সেখানে দিব্যি আনন্দে কাটিয়ে দেয় । কোনো বৃদ্ধ একা বাড়িতে থাকে। সাথে পোষা কুকুর থাকে । এখানে কাজের লোক পাওয়া যায়না সেহেতু তারা নিজেরাই রান্না বান্না করে অথবা দোকান থেকে তৈরি শুকনো খাবার কিনে খায় । তবে তাদের প্রত্যেকের অন্তত একটি গাড়ি আছে । নিজেকেই ড্রাইভ করতে হয় ।
এখানে বিশেষ সুবিধা হচ্ছে লোনে বা ঋণে বাড়ি , গাড়ি, জায়গা সহ অনেক কিছু কেনা যায় এবং কিস্তিতে পরিশোধ করা যায় । ফলে সঞ্চয়ী মনোভাবাপন্ন অভিবাসীরা তা কেনে । তাদের একাধিক বাড়ি গাড়ি অছে। এখানে গুরুজন কর্মকর্তা এমনকি প্রধান মন্ত্রীর নাম ধরে ডাকা যায় । এতে কোনো বেয়াদবি হয়না বা অভদ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়না । বাংলাদেশে তো এটা রীতিমত অপরাধ। এখানে কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ইলেক্ট্রিসিয়ান , কাঠ মিস্ত্রি, স্যানেটরি মিস্ত্রি , গাড়ির মেকানিক , রাজমিস্ত্রিদের বেতন খুব বেশী। বিশেষ করে কোনো জিনিষ মেরামত করতে গেলে প্রচুর পারিশ্রমিক দিতে হয় ।শুধু তাই নয় তাদের আগে থেকে কাজের জন্য বুক করতে হয় । এরা কাজে হাত দিলেই টাকা নেয় , এরা রীতিমত সরকারি লাইসেন্স প্রাপ্ত । এখানে মজার বিষয় হচ্ছে যারা চাকুরি করে তারা অন্য জায়গায় বদলী হলে তাদের আসবাবপত্র বাড়ির বাইরে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলে রেখে যায় । কারণ এখানে পরিবহণ খরচ এত বেশী যে আসবাবপত্র স্থানান্তরের জন্য অর্থ ব্যয় করেনা । বরং নতুন জায়গায় গিয়ে নতুন আসবাবপত্র কেনে হয়তো একটু বেশী দাম দিয়ে । আর এসব পড়ে থাকা জিনিস পত্র কিছু অভাবী মানুষ নিয়ে যায় অথবা কিছু মানুষ সেগুলো কুড়িয়ে নিয়ে গিয়ে সংস্কার করে বা মেরামত করে রঙ টং লাগিয়ে বিক্রি করে এবং লাভ করে । এটাও এক ধরনের ব্যবসা । এখানে বাড়িতে বাড়িতে হাঁস মুরগী ছাগল গরু পালন করতে পারেনা বা সরকারি সম্মতি পায়না পরিবেশ দূষণ হতে পারে বলে ।আবহাওয়া ও পরিবেশ দূষণ মুক্ত রাখার জন্য এখানে রান্না করার জন্য আখা বা কাঠ জ্বালাতে পারেনা । অথচ এখানে প্রচুর জঙ্গল ও প্রচুর কাঠ । যা বিনে পয়সায় পাওয়া যায় । এখানে গৃহপালিত প্রাণীগুলো পালন করা হয় বিশাল বিশাল খামারে । এখানে কমপক্ষে ৫০ একর ১০০ একর জমি বিশিষ্ট অনেক খামার আছে । সেটাও শহর থেকে অনেক দূরে । শহরের মধ্যে কোনো কসাইখানা নেই । পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে তারা খুব সতর্ক ।