নীলাবতী! যেদিন তোমাকে প্রথম দেখেছিলাম, সময় যেন থমকে গিয়েছিল কিছু নিঃশ্বাসের জন্য।
তোমার চোখে ছিল এক নিঃশব্দ ঝড়, যাতে আমি হারিয়েছিলাম চিরতরে।
তোমার স্মিত হাসিতে খুঁজে পেয়েছিলাম সেই আলো, যা আমার ভাঙা দিনগুলোয় ছিল অনুপস্থিত।
তুমি ছিলে না তবু ছিলে-
মনের নির্জনে এক চিরচেনা সঙ্গীর মতো।
তুমি কিছুই বলোনি, তবু তোমার নীরবতা আমার হৃদয় মন্দিরে বাজে কবিতার ছন্দ হয়ে।
তোমার ছোঁয়া নেই, অথচ প্রতিটি স্পর্শে আমি অনুভব করি তোমাকেই।
নীলাবতী! তুমি হয়েছো আমার ভালোবাসার প্রতিধ্বনি, নিভৃত এক স্বরলিপি।
তোমার নামের ধ্বনি আমার ভোরের পাখির ডানার শব্দ জেগে উঠে!
আমি কখনো চাইনি তোমাকে খাঁচায় বন্দী পাখির মতো রাখতে,
আমি চেয়েছি তোমায় ভালোবেসে মুক্ত করতে।
তোমার প্রতিটি নিঃশ্বাস আমার বুকে ধারণ করেছি, নীলাবতী।
তুমি হয়তো জানো না, আমার প্রতিটি কবিতা শুধু তোমার নামেই লিখে থাকি।
তুমি মানেই আমার প্রতিদিনের প্রতিক্ষার প্রহর,
অপ্রকাশিত ভালোবাসার গল্প।
ভালোবাসা কি কেবল কাছে পাবার নাম?
তোমার দূরত্বে আমি খুঁজে পাই গভীর অনুভবে কাছে যাওয়া।
তুমি আছো আমার আরাধ্যে, ছায়ার মতো নির্ভরতায়-
আর আমি তোমার প্রেমে রয়ে গেছি
এক জনম ধরে নিঃশব্দে।