728 x 90

সাদাকা বিষয়ে একটি আশ্চর্যজনক ঘটনা

আতিকুর রহমান: ইউটিউবে বাংলাদেশের একজন প্রসিদ্ধ স্কলারের লেকচার শুনছিলাম। উনার যে কথাগুলো মনে খুব নাড়া দিয়েছিল তা হলো ফাতিমা রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহার একটি ঘটনা। ফাতিমা রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহা কখনও হজরত আলী রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহুর নিকট কিছু আবদার করতেন না। এটা ছিল ফাতিমা রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহার স্বভাব। আলী রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহু একবার ফাতিমা রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহাকে

আতিকুর রহমান: ইউটিউবে বাংলাদেশের একজন প্রসিদ্ধ স্কলারের লেকচার শুনছিলাম। উনার যে কথাগুলো মনে খুব নাড়া দিয়েছিল তা হলো ফাতিমা রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহার একটি ঘটনা।

ফাতিমা রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহা কখনও হজরত আলী রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহুর নিকট কিছু আবদার করতেন না। এটা ছিল ফাতিমা রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহার স্বভাব। আলী রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহু একবার ফাতিমা রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহাকে বললেন, হে ফাতিমা, তুমি আমার নিকট কিছু চাও আমি এনে দেব। ফাতিমা রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহা প্রথমে চাইতে রাজী না হলেও আলী রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহার পিড়াপীড়িতে রাজী হয়ে বললেন, ঠিক আছে আমার জন্য আনাড় নিয়ে আসুন। এটি আমি খাব। আলী রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহু বাজারে ছুঁটলেন। বাজারে গিয়ে দেখলেন মাত্র একটি আনাড় আছে বাজারে। বাকি সব বিক্রি হয়ে গেছে। একটি আনাড় কিনে আলী রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহু বাড়ির দিকে ছুটলেন। পথিমধ্যে এক ব্যক্তির সাথে তার দেখা যিনি ক্ষুধার্ত ছিলেন। তিনি আলী রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহুর নিকট খাবার চাইলেন। আলী রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহুর নিকট একটি আনাড় ছাড়া কিছুই ছিল না। তিনি চিন্তায় পরে গেলেন। একদিকে ফাতিমা রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহার আবদার অপরদিকে একজন ক্ষুধার্ত ব্যক্তির প্রয়োজন। একজনের শখ অপরজনের জরুরত। অবশেষে তিনি আনাড়টি ঐ ব্যক্তিকে দিয়ে দিলেন। ভাড়াক্রান্ত মনে বাসায় ফিরলেন।

বাসায় ফিরে ফাতিমা রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহাকে ঘটনা বর্ননা করলেন। ফাতিমা রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহা বললেন, আপনি যা করেছেন তা ঠিকই করেছেন। আল্লাহ তা’আলার ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়েছেন। আপনাকে স্বামী হিসেবে পেয়ে আমি অত্যন্ত গর্বিত।

অল্প কিছু সময়ের মাঝেই ঘরে কড়া নাড়ার শব্দ। আবু যর গিফাড়ি রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহু এসেছেন। সাথে এক ব্যাগ আনাড় এনেছেন হাদিয়া হিসেবে। আবু যর গিফাড়ি রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহু চলে যাবার পর আনাড়গুলো বের করলেন দু’জনে। গুনে দেখলেন নয়টি আনাড়। আলী রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহু বললেন এটা নিঃসন্দেহে আমাদের হতে পারে না। কারণ আল্লাহ তা’আলা তাঁর কোরআনে বলেছেন তিনি নেক আমলের বিনিময় কমপক্ষে দশগুন বাড়িয়ে দেন। আনাড় নয়টি হতে পারে না। ব্যাগ নিয়ে ছুটলেন আবু যর গিফাড়ি রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহুর বাড়িতে। বললেন, এ আনাড়গুলো আপনি কার জন্য রেখেছিলেন? এগুলো ভূলে আমাদেরকে দিয়েছেন। এগুলো আমাদের হতে পারে না। আল্লাহ তা’আলা কখনও হিসাবে ভূল করেন না।

আবুযর গিফাড়ি রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহু বিস্তারিত শুনে আলী রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহুর ঈমানের তারিফ করলেন এবং বললেনঃ আমি দশটি আনাড়ই তোমাদের জন্য নিয়েছিলাম। ব্যাগে নয়টি আনাড় ধরেছিল বাকি একটি কোনভাবেই ব্যাগে ধরছিলনা। তাই একটি আমার পকেটে নিয়েছিলাম। ভূলে সেটি আমার কাছে রয়ে গেছে। এই নাও দশ নম্বর আনাড়।

আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ

যে একটি সৎকর্ম করবে, সে তার দশগুণ পাবে এবং যে, একটি মন্দ কাজ করবে, সে তার সমান শাস্তিই পাবে। বস্তুতঃ তাদের প্রতি জুলুম করা হবে না। (সূরা আল আন-আম: ১৬০)

Read More

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked with *

সর্বশেষ পোস্ট

Advertising