তাসলিমা তাজ : মুজিব কন্যা শেখ হাসিনাকে নিয়ে আওয়ামীলীগারদের গর্বের শেষ নেই | আমরাও বলি শেখ হাসিনা যোগ্য বাবার যোগ্য কন্যা | বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা বাবাকেও ছাড়িয়ে গেছেন | আমরা কম করে হলেও একশো একটি কারন দেখিয়ে বলতে পারবো শেখ হাসিনা তার পিতা শেখ মুজিবের যোগ্য উত্তরসূরী তবে স্বল্প পরিসরে সবগুলো
তাসলিমা তাজ : মুজিব কন্যা শেখ হাসিনাকে নিয়ে আওয়ামীলীগারদের গর্বের শেষ নেই | আমরাও বলি শেখ হাসিনা যোগ্য বাবার যোগ্য কন্যা | বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা বাবাকেও ছাড়িয়ে গেছেন |
আমরা কম করে হলেও একশো একটি কারন দেখিয়ে বলতে পারবো শেখ হাসিনা তার পিতা শেখ মুজিবের যোগ্য উত্তরসূরী তবে স্বল্প পরিসরে সবগুলো কারন বিশ্লেষণ সম্ভব নয় বিধায় আজকে মাত্র দুই চারটি বিষয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবো |
ফ্লাস ভার্সেস অনলাইন ক্যাসিনো :
আমরা জানি বাংলাদেশের রাজনীতিতে শেখ মুজিবুর রহমান একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর জীবনে ৪ হাজার ৬৮২ দিন (১৪ বছর ) কারাভোগ করেছেন। ২২ বছর বয়সে এসে হাইস্কুল পাশ করেছেন | বলাবাহুক্য চির প্রতিবাদী একজন তরুণ মুজীব তার জীবনের সোনালী সময় মানুষের দাবী দাওয়া আদায়েই ব্যস্ত ছিলেন | উনি শান্তিপূর্ণ উপায়ে সংঘাত এড়িয়ে পূর্ব বাংলার প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন, একারনে ২৫শে মার্চ স্বেচ্ছায় আত্বসমর্পণ করেছিলেন — প্রবীণ রাজনীতিবিদগণ এরকমই মনে করেন এবং এর স্বপক্ষে জাতীয় নেতা মরহুম তাজউদ্দীন সহ অনেকের স্মৃতিচারণে এই অভিযোগের সুস্পষ্টতা পরিলক্ষিত হয় | অন্যদিকে, শেখ মুজীব কখনোই অন্তরীণ অবস্থায় পাকিস্তান সরকারের সাথে তাঁর সম্পর্কের বিষয়ে মুখ খুলেন নাই , দেশ কিভাবে স্বাধীন হয়েছে এই বিষয়েও কিছু জানতে চান নাই | ফলে অনেক রহস্যের ধ্রুমজাল তৈরী হয়েছে, অনেক অনেক জটিল প্রশ্নের সঠিক উত্তর এখনো অনেকের কাছে অজানাই রয়ে গেছে। শাসক হিসেবে শেখ মুজীব কেমন ছিলেন? শাসক শেখ মুজীবকে বুঝতে হলে আমাদের অবশ্যই ইতিহাস ঘাটতে হবে , প্রকৃত সত্য সামনে আনতে হবে | প্রশ্ন হচ্ছে এই সত্য মেনে নেওয়ার মত মানসিক শক্তি কি আমাদের আছে ? সমস্ত আবেগকে একপাশে রেখে চরম বাস্তবতার নিরিখে একজন শাসককে বিশ্লেষণ করার মত সাহস কি আমাদের আছে ?আসুন, একটু খানি সাহস নিয়ে আমরা এই বিষয়ে আলোকপাত করি |
শাসক হিসেবে শেখ মুজীব কেমন ছিলেন এটা জানতে আমরা আশ্রয় নিব শেখ মুজীবের ঘনিষ্ঠ সহযোগী বৃটিশ- পাকিস্তানী সাংবাদিক নেভেল এন্থনী মাসকার্ণহাসের বিখ্যাত বই “লিগ্যাসী অব ব্লাড” এর | ঐ সময় অনেক প্রত্যক্ষদর্শী থাকলেও কেউ ই বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে মুখ খুলবেন না |অতএব ইতিহাস নির্ভর এই বইগুলোই আমাদের একমাত্র ভরসা| মুক্তিযুদ্ধে নেভেল এন্থনীর অবদানকে বাংলাদেশ কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করে| মুক্তিযুদ্ধে নেভেল এন্থনী পাকিস্তানী শাসকদের আগ্রাসী শাষণের দূর্বিষহ রুপ সানডে টাইমস (লন্ডন ) এর মাধ্যমে বিশ্বের কাছে পৌঁছে দেন | ইন্দিরা গান্ধী স্বয়ং নেভেল এন্থনীর লিখায় উদ্ধুদ্ধ হয়ে ভারতীয় আর্মীকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণের আদেশ দিয়েছিলেন | আমাদের জাতীয় পত্রিকাগুলোর প্রায় সবকটিই নেভেল এন্থনীর অবদানের কথা স্মরণকরে বিশেষ কলাম ছাপিয়েছে| অতএব নেভেল এন্থনীর এই স্মৃতিচারণকে কোনো ভাবেই ফেলে দেওয়ার সুযোগ নেই |
নেভেল এন্থ্যানী লিখেন ” শেখ মুজীব তখন রাজনীতিতে বেশ নতুন | গ্রীস্মকাল | তিনি নিজের দেশ থেকে অনেক দুরে | আমার মনে পড়ে ,তাকে প্রায়ই এই বলে চটাতাম যে,”আমি তাকে তাঁর স্ত্রীর থেকে বেশী জানি “| ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের অবস্থা বেশ খারাপ হয়ে গেলো ,আমি আমার উদ্বিগ্ন বন্ধুটিকে বলেছিলাম ,”তুমি এসব কিছু ছেড়ে দিয়ে হাত গুটিয়ে বসে পড়না কেনো ? তুমি তো তাস খেলেও এর চেয়ে ভালো জীবিকার ব্যবস্থা করতে পারো |” আসলেই তিনি তা পারতেন |আমি যদি ইন্দোনেশীয় ঐ তিন জন সাংবাদিক কে খুঁজে বের করতে পারতাম ,তাহলে আমার উক্তির প্রমান সহজ হতো |
আমরা গ্রান্ড ক্যানিয়ন থেকে ট্রেনে লসএন্জেলস যাচ্ছিলাম |সঙ্গে আমাদের ঐ তিনজন ইন্দোনেশীয় সাংবাদিক |রাতের ডিনার সেরে আমরা ফ্লাস খেলতে বসে পড়লাম | প্রথম দিকে হারজিতের তেমন একটা বালাই না থাকলেও পরক্ষনেই আমরা সাংঘাতিক ভাবে হারতে শুরু করলাম |এ হারা থেকে নিজেদের বাঁচানোর জন্য খেলা ঐদিনকার মতো ওখানেই বন্ধ করতে মুজীবের নিকট আমি প্রস্তাব করলাম |তিনি আমাকে থামিয়ে দিয়ে এটেনডেন্টকে একটা নতুন প্যাকেট আনতে বললেন |নতুন কার্ড এলে তিনি কার্ডগুলোকে মিলিয়ে নিয়ে বেটে দিলেন |খেলা জমে উঠল |অপ্রত্যাশিত গতীতে ভাগ্য ফিরে গেলো |শত চেষ্টাতেও ইন্দোনেশীয়রা আর কুলাতে পারলো না | পরদিন ভোরে আমরা যখন লসএন্জেলস পৌঁছাই ,অবাক বিস্ময়ে দেখি ,আমি আর মুজীব তিনশো ছিয়াশি ডলার , একটি সোনার ক্যাপযুক্ত পার্কার – ৫১ কলম আর একটি সর্পিল সোনার আংটি জিতে গেছি |আমি মুজীবকে জিগগেস করলাম, তিনি কিভাবে এটা সম্ভব করলেন ? তার জবাব আজো আমার কানে বাজে |তিনি বলেছিলেন, ” যখন তুমি কোনো ভদ্রলোকের সঙ্গে খেলবে ,তখন তোমাকে ভদ্রলোকের মতোই খেলতে হবে ,আর যখন তুমি কোনো বদমাশের সঙ্গে খেলবে,তখন তোমাকেও এর চেয়ে বড় বদমাশ সাজতে হবে | তা না হলে তুমি হেরে যাবে |” তারপর হাসতে হাসতে তিনি আরোও বললেন , ” ভুলে যেয়োনা, আমার বেশ ভালো শিক্ষাগুরু রয়েছেন” | ( লিগেসী অব ব্লাড, যাত্রায় ভুল,অধ্যায় : ২, পৃষ্ঠা ১৯ – ২০ ) :
এখন প্রশ্ন করবেন, জুয়া খেলাতে কেবল কি জিতে, হারে না ? শেখ মুজীব হয়তো হারতেনও কিন্ত উনি জুয়া খেলায় কতোবার হেরেছেন কিংবা হেরে যাওয়ার অর্থ কিভাবে শোধ করতেন সে বিষয়ে আমরা কোনো তথ্য খোঁজার চেষ্টা করি নাই, তবে তিনি যে জোচ্চুরিতে পারদর্শী ছিলেন এতে কোন সন্দেহ রাখার অবকাশ নাই। অতএব আপাতত ঐ হারার বিষয়ে আমরা কথা বলবো না। বরং বলতে চাই, তার যোগ্য উত্তরসূরী অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওনার মরহুম পিতারই অনুসরণকারী। বাংলাদেশে প্রকাশ্যে জুয়া খেলা নিষিদ্ধ হলেও অনলাইনে জুয়া খেলার সুযোগ রয়েছে | প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় এর সুপারিশে ২০১১ সালে নগদ / বিকাশের মাধ্যমে নগদ অর্থ লেনদেনের সুযোগ করে দিয়েছেন। এর ফলে অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে ঘরে বসে বিদেশী অনলাইন ক্যাসিনোতে যে কেউ জুয়া খেলতে পারবে। প্রকাশ্যে বাংলাদেশে জুয়া খেলা নিষিদ্ধ হলেও জুয়ারীদের প্রতি শেখ হাসিনার এই সুবিধা প্রদান অবশ্যই কালজয়ী পদক্ষেপ,
বিশেষ করে সম্রাট, ইসমাইল, এনাম- রুপম কিংবা পাপনের মত বড় মাপের নেতাদের জন্য এই অনলাইন ক্যাসিনো অবশ্যই আনন্দের সংবাদ | ( https://www.casinomcwbangladesh.com/payment/bkash/ )
রাজাকার পূনর্বাসন উপেক্ষিত প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা :
শেখ মুজীব ক্ষমতায় এসে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর দোসরদেরকে পুনর্বাসন করার একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছিলো। মাহবুবুল আলম ( প্রেস সেক্রেটারি), আবুল হাশিম (জনসংযোগ অফিসার) ,ব্রিগেডিয়ার মশরুল (এডিসি) , মতিউল ইসলাম (অর্থসচিব) , পুলিশ অফিসার এ বি এস সফদর কে প্রধানমন্ত্রীর অনুসন্ধান কমিটির প্রধান (গোয়েন্দা প্রধান) সহ একাধিক পাকিস্তানী দোসরদের কে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিলো | (তথ্য সূত্রঃ ‘মুজিবের রক্ত লাল’, এম আর আখতার মুকুল। পৃষ্ঠা : ১২২-২৩)
শেখ মুজীব’ এর কন্যা হিসেবে শেখ হাসিনাও এর ব্যতিক্রম ঘটান নি | গতকাল যাকে রাজাকার বলেছেন,আজকে তার গাড়িতে জাতীয় পতাকা বসিয়ে দিয়েছেন | এইচ টি ইমাম ই তো এর প্রমান | শেখ মুজীব ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীকে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন বলেই শেখ হাসিনার আমলে মুক্তিযোদ্ধারা খালি পায়ে বাংলাদেশের মাটিতে হাঁটতে পেরেছেন, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা অজিউল্লাহ’র সত্তোরোর্ধ বিধবা স্ত্রী রেনু বিবির মাটির ঘরে ছাদের পরিবর্তে পলিথিন টাঙ্গিয়ে রাত্রি যাপন করতেন, আরেকজন বীর মুক্তিযোদ্ধার বিধবা স্ত্রী ( শামসুন্নার) ৬০ বছর বয়সে ক্ষুধার তাড়নায় আত্বহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন , ঠাঁকুরগায়ের মুক্তিযোদ্ধা দবিরুল ইসলাম তার মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করতে নিষেধ করে ডিসি বরাবর চিঠি লিখেছেন |
রক্ষীবাহিনী বনাম র্যাব , পুলিশ, ছাত্রলীগ :
শেখ মুজীব বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে এড়িয়ে চলতেন | এর বিপরীতে তৈরী করেছিলেন ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স বা জাতীয় রক্ষী বাহিনী |জাতীর নিরাপত্তা প্রদানের পরিবর্তে খুন ,গুম, লুন্ঠণ, ত্রাসের রাজত্ব শুরু হয়েছিলো | বঙ্গবন্ধু ক্ষমতায় আরোহনের প্রথম ৮ মাসের মধ্যে ২০০০ নিরীহ লোককে হত্যা করেছিলো এই রক্ষী বাহিনী | জাসদের বিশ হাজার নেতা কর্মী হত্যার বিচার তো আজো অন্ধকারেই রয়ে গেলো | শেখ মুজীবের রক্ষীবাহিনী যেমন ছিলো , শেখ হাসিনারও তেমন নিজস্ব পেটোয়ো বাহিনীও রয়েছে | বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড, গুম ,খুন শেখ হাসিনার কাছে ডালভাত | অতএব এখানেও শেখ হাসিনা তার বাবার যোগ্য উত্তরসূরী |
সেনাবাহিনী : নেভেল এন্থ্যানী লিখেছেন , “বিগ্রেডিয়ার মন্জুরের মতে ,সেনাবাহিনীকে ধ্বংস করে দেয়ার জন্য মুজীব সকল পন্থাই ব্যবহার করেছিলেন | তিনি কাউকে তার জীবনের জন্য হুমকী হয়ে দাঁড়াতে পারে এমন সন্দেহ হলেই সেখানে ভাঙ্গন ধরিয়ে দিতেন | একমাত্র মুজীবই সেনাবাহিনীতে ভাঙ্গন ধরিয়ে একে টুকরো টুকরো করে ফেলেছিলেন | ” ( পৃষ্ঠা ৩৯ )
শেখ মুজীব বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দুরে দুরে রাখলেও তার সুযোগ্য কন্যা সেনা বাহিনীদের বুকে টেনে নিয়েছেন |৭২ এর অভুক্ত সেনাবাহিনীকে ফুলিয়ে ফেপিয়ে টসটসা করে দিয়েছেন , শেখ হাসিনা তার একান্ত অনুগত করে রেখেছেন |
পাকিস্তান ও ভারত প্রেম :
শেখ মুজীব একদিকে ভারতের প্রতি অনুগত ছিলেন অন্যদিকে পাকিস্তানের সাথেও গভীর যোগাযোগ রক্ষা করে গেছেন | |শেখ মুজীব পাকিস্তান কারাগারে দীর্ঘ নয় মাস বন্দী বন্দী ছিলেন| ওখানে কিরকম ব্যবহার করা হয়েছে জানতে চাইলেই শেখ মুজীব বিরক্ত বোধ করতেন | কিন্ত তারপরও গোপনে গোপনে পাকিস্তান সরকারের সাথে গভীর সম্পর্ক রাখার ইচ্ছা ও চেষ্টা দেখে এটা অনুমান করা যায় যে শেখ মুজীব ওখানে বসে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন | এসব কারনে প্রবীণেরা ২৫শে মার্চ পাকিস্তানী আর্মীদের দ্বারা শেখ মুজীবের গ্রেফতারকে সাজানো নাটক বলেই অভিহিত করেন |
এ বিষয়ে নেভেল এন্থনি বলেন : ” তিনি অতি সঙ্গোপনে জুলফিকার আলী ভুট্তোর সঙ্গে একটি পরীক্ষামূলক সমঝোতায় আসার মনোভাব পোষণ করছিলেন , যার বদৌলতে পাকিস্তান ও সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত বাংলাদেশের মধ্যে একটি যোগসূত্র সৃষ্টি করবে |আমি এই দুঃখজনক পরিকল্পনার ইঙ্গিত পেয়ে মর্মাহত হলাম |কারন, তা ছিলো স্বাধীনচেতা বাংলাদেশী মানসিকতার সম্পূর্ণ পরিপন্থী |ঐ ইঙ্গিতটি শেখ মুজীবের ভাষায় , ” তোমার জন্য একটা বিরাট খবর নিয়ে এসেছি| আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে একটা যোগসূত্র রাখতে চাচ্ছি |তবে এর বেশী কিছু তোমাকে এখনই বলতে পারছিনা | অন্যান্যদের সঙ্গে আমার এ ব্যাপারে আলোচনা করে নিতে হবে | আর খোদার দোহাই, এ বিষয়ে তোমাকে বিস্তারিত বলার আগে কিছু লিখো না কিন্ত |”
মুজীবের সরকারকে তখন সবাই ভারতের পুতুল সরকার বলে জানতো | অন্যদিকে ক্ষমতায় টিকে থাকার শর্তে শেখ হাসিনা পুরো দেশ ভারতের হাতে তুলে দিয়েছে | আমাদের প্রতিরক্ষা, শিল্প ,অর্থনীতি, ধর্ম ,শিক্ষা ,কৃষ্টি এমনকি আভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ন্ত্রিত হয় ভারতের ইশারাতে | ক্ষমতালোভী বাবার ক্ষমতা লোভী কন্যা , উনি ই শেখ মুজীবের যথার্থ অনুসারী |
জনগণের অর্থ আত্মসাত : ইতিহাস থেকে আমরা জেনেছি যে শেখ মুজীব তার দ্বিতীয় পুত্র শেখ জামালকে যুগোশ্লাভিয়া আর্মি একাডেমীতে পাঠান কিন্ত ওখানে ভালো করতে না পারায় জামাল দেশে ফিরে আসে | তখন শেখ মুজীব জামালকে বৃটেনের স্যান্ডহার্স্ট মিলিটারী একাডেমীতে ক্যাডেট হিসেবে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন | শেখ জামাল ওতো মেধাবী ছিলো না তাই প্রধানমন্ত্রী হয়ে অনুরোধ জানালে স্যান্ডহার্স্ট একাডেমী ৬০০০ পাউন্ড ফি র বিনিময়ে ট্রেনিং দিতে সম্মত হয় | ঐ টাকা তখন গোপনীয় ভাবে আর্মীর চ্যানেলের মাধ্যমে বৃটেনে পাঠানো হয় | অতএব গত তেরো বছর ধরে শেখ হাসিনা লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে প্রমাণ করেছে উনি শেখ মুজীবের সুযোগ্য কন্যা |
যারা ৭২- ৭৫ দেখেন নি তারা শেখ হাসিনার শাষণামল দেখে ধারনা করতে পারছেন | তবে সেই সময় স্যাংশন ছিলো না, মেজর ডালিমরা ছিলেন | এখন মেজর রশিদরা নেই তবে স্যাংশন আছে | সেই সময উত্তেজিত মুক্তিযোদ্ধারা শেখ মুজীবকে হাতে মেরেছিলো, অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে এই সময়ের জনতা শেখ হাসিনাকে হাতে নয় ,ভাতে মেরেই মুজীবীয় আমলের স্থায়ী কবর রচনা করতে যাচ্ছেন | সবকিছুর পর বলতেই হয়, ” উনি শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা বাংলাদেশের মধ্যে রাতের ভোটে স্বনির্বাচিত অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ” |
Leave a Comment
Your email address will not be published. Required fields are marked with *