728 x 90

হিংসা-বিদ্বেষ নেকীকে ভস্ম করে দেয়

  প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউসুফ আলী : মানবচরিত্রে যেসব খারাপ দিক আছে, তার মধ্যে হিংসা অত্যন্ত মারাত্মক। ব্যাক্তি, পরিবার ও সমাজে পারস্পরিক হিংসা-বিদ্বেষ শান্তিপূর্ণ জীবনকে বিষিয়ে তোলে। এতে মানুষের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও জাতীয় জীবন দূর্বিষহ হয়ে ওঠে। হিংসা-বিদ্বেষ একটি ভয়ানক সংক্রামক ব্যাধি। হিংসা মানুষের নেকীগুলোকে ভস্ম করে দেয়। এব্যাপারে রসুলে কারীম সল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম

 

প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউসুফ আলী : মানবচরিত্রে যেসব খারাপ দিক আছে, তার মধ্যে হিংসা অত্যন্ত মারাত্মক। ব্যাক্তি, পরিবার ও সমাজে পারস্পরিক হিংসা-বিদ্বেষ শান্তিপূর্ণ জীবনকে বিষিয়ে তোলে। এতে মানুষের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও জাতীয় জীবন দূর্বিষহ হয়ে ওঠে। হিংসা-বিদ্বেষ একটি ভয়ানক সংক্রামক ব্যাধি। হিংসা মানুষের নেকীগুলোকে ভস্ম করে দেয়। এব্যাপারে রসুলে কারীম সল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম আমাদেরকে সাবধান করে দিয়ে বলেন, তোমরা হিংসা-বিদ্বেষ থেকে দুরে থাকো। কেননা, হিংসা মানুষের নেকীগুলোকে এমনভাবে খেয়ে ফেলে, যেভাবে আগুন লাকড়িকে জ্বালিয়ে নিঃশেষ করে দেয় (আবু দাউদ)। তিনি আরও এরশাদ করেন, ‘তোমাদের মধ্যে হামাগুড়ি দিয়ে প্রবেশ করবে বিগত উম্মতের রোগ। আর তা হল হিংসা ও বিদ্বেষ। যা মুন্ডনকারী। আমি বলছিনা যে চুল মুন্ডন করবে, বরং তা দ্বীনকে ছাফ করে ফেলবে। অর্থাৎ ক্ষুর যেমন মাথার চুল ছাফ করে দেয়, হিংসা তেমনি দ্বীনকে ছাফ করে দেয় (তিরমিযী)। হিংসাকারীর গোনাহও আল্লাহতায়ালা মাফ করেন না, যতক্ষণ না সে তা থেকে বিরত হয়।  হিংসা-বিদ্বেষের কঠিন পরিণতি সম্বন্ধে মহানবী (স.) এরশাদ করেছেন, ‘প্রতি সপ্তাহে সোম ও বৃহস্পতিবার মানুষের আমলগুলো পেশ করা হয় এবং সব মুমিন বান্দার গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়; কিন্তু যাদের পরস্পরের মধ্যে হিংসা-বিদ্বেষ ও দুশমনি আছে, তাদের ক্ষমা করা হয় না (মুসলিম)। যখনই কোন অন্তরে কারও প্রতি হিংসা স্থান পায়, সাথে সাথে সেখানে তাকে ক্ষতি করার ইচ্ছা জন্ম নেয়। সে তখন সর্বদা ঐ ব্যক্তির মন্দ ও ধ্বংস কামনা করতে থাকে। হিংসা মুনাফিকের একটি লক্ষণও বটে। মহান আল্লাহ তায়ালার এরশাদ, যদি তোমাদের কোন কল্যাণ অর্জিত হয়, তাতে তাঁরা (মুনাফেক) অসন্তুষ্ট হয়ে যায়। আর যদি তোমাদের কোন অকল্যাণ হয়, তাতে তারা আনন্দিত হয় (সূরা আল ইমরান: ১২০)।

হিংসা সমাজে অনেক ক্ষতি সাধন করে। বলা যায়, সমাজের শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্টের মূলই হলো এই হিংসা-বিদ্বেষ। এ জন্য হিংসা-বিদ্বেষ থেকে মুক্ত থাকার জন্য মহান আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনার জন্য পবিত্র কুরআনে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে, ‘আর হিংসুকের অনিষ্ট থেকে পানাহ চাই, যখন সে হিংসা করে’ (সূরা আল ফালাক, আয়াত: ৫)। মহান আল্লাহপাক আমাদের দীলগুলোকে হিংসা-বিদ্বেষ মুক্ত রাখুন। আমীন।

(লেখক: মৎস্য-বিজ্ঞানী ও অধ্যাপক, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়)

 

Read More

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked with *

সর্বশেষ পোস্ট

Advertising