১০ ডিসেম্বর ২০২২ সাবকন্টিনেন্ট ফ্রেইন্ডস অব কেম্ববলটাউনের আয়োজনে সিডনিতে বহু ভাষা ও বহুজাতির অংশগ্রহণে আন্তর্জাতিক ভাষা উৎসব আনন্দমূখর পরিবেশে পালিত হয়েছে। পৃথিবীর কোন ভাষা যাতে হারিয়ে না যায় তার অক্ষুন্নতা ও সংরক্ষণ করার জন্য বিভিন্ন সময় সভা, সেমিনার আয়োজন করে বহুজাতিক কমিউনিটির লোকজনকে নিজ নিজ মাতৃভাষাকে ব্যবহার ও তাদের পরবর্তী প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করে
১০ ডিসেম্বর ২০২২ সাবকন্টিনেন্ট ফ্রেইন্ডস অব কেম্ববলটাউনের আয়োজনে সিডনিতে বহু ভাষা ও বহুজাতির অংশগ্রহণে আন্তর্জাতিক ভাষা উৎসব আনন্দমূখর পরিবেশে পালিত হয়েছে।
পৃথিবীর কোন ভাষা যাতে হারিয়ে না যায় তার অক্ষুন্নতা ও সংরক্ষণ করার জন্য বিভিন্ন সময় সভা, সেমিনার আয়োজন করে বহুজাতিক কমিউনিটির লোকজনকে নিজ নিজ মাতৃভাষাকে ব্যবহার ও তাদের পরবর্তী প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা স্মৃতি সৌধ।
তিন পর্বে ভাগ করা উৎসবের প্রথম পর্বে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুরু হবার পর নিউ সাউথ ওয়েলস কাউন্সিল প্যাসিফিক কমিউনিটির চেয়ারপারসন ম্যাল ফ্রুয়েন এব্রোজিনাল কান্ট্রি ল্যান্ডের স্বীকৃতি পত্র পাঠ করেন। উপস্থাপিকা দিপা মুখার্জীর আহ্বানে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কায়সার আহমেদ স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
বক্তব্য রাখেন ফেডারেশন অব কমিউনিটি লেংগুয়েজ এর প্রতিনিধি মিসেস ওয়াফা সাবোর্ণ, বিশিষ্ট সাংবাদিক অজয় দাশ গুপ্ত এবং এশ গোলকার ও ক্যাম্পবেলটাউন সিটি কাউন্সিলের কাউন্সিলর ইব্রাহিম খলিল মাসুদ।
বক্তব্য রাখেন নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্য সংসদের সদস্য ও শেডো মিনিস্টার এনালক চেন্টাভন। এ ছাড়াও আরো বক্তব্য রাখেন কেম্বেলটাউন সিটির কাউন্সিলর ডাসি লাউন্ড, কাউন্সিলর মাসুদ চৌধুরী, কাউন্সিলর জন চিউ, কাউন্সিলর ক্যারেন হান্ট এবং লিভারপুল সিটির কাউন্সিলরদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলর কারিশমা কালিয়ান্দা ও নেইথেন হ্যাগার্টি এবং ড. রফিকুল ইসলাম অন্যতম। বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দের উপস্থিত ছিলেন তাদের মধ্যে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন সভাপতি গামা আব্দুল কাদির ও ফারুক আহমেদ খান, কেম্বেলটাউন ওয়েলফেয়ার সোসাইটির প্রাক্তন সভাপতি ফাররুখ ইকবাল ও কেম্বলটাউন মাল্টিকালচারাল সোসাইটির সভাপতি শফিকুল আলম অন্যতম।
উৎসবের দ্বিতীয় পর্বে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় ১৩০ জনের অধিক শিশু কিশোর অংশগ্রহণ করেন। আব্দুস সোবহানের নেতৃত্বে উপস্থিত সকল ভাষাভাষীর শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্গন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনকারীদের মাঝে পদক ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
তৃতীয় পর্বে মিস সাকিনা আকতারের সঞ্চালনায় বহুজাতিক ভাষার স্কুলের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ ও আকর্ষনীয় সাংস্কৃতিক পরিবেশন করা হয়। অস্ট্রেলিয়া সরকারের সহযোগিতায় পরিচালিত বিভিন্ন ভাষা শিক্ষাদানের স্কুল সমুহ এতে অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্যে বাংলা ভাষার – বাংলা পাঠশালা, তামিল ভাষার – বালার মালার তামিল এডুকেশনার এসোসিয়েশন, মালালায়েম ভাষার-বালাকাইরালি মালালায়েম স্কুল মিন্টো, পাঠশালা নেপালি ভাষা স্কুল, উর্দু ভাষা – সিডনী উর্দু স্কুল, চাইনিজ মেন্ডারিন ভাষা – শেন এডুকেশন স্কুল, ইন্দোনেশিয়ান ভাষা স্কুল, বহুজাতিক ভাষা – আল ফায়সাল কলেজ এবং ইয়ং ইনোভেটরস অস্ট্রেলিয়া।
এছাড়াও হল কক্ষে প্রবেশ পথে সারি করে ছিলো বিভিন্ন ভাষার বুথ, যেখানে বুথগুলো সাজানো হয়েছিলো ভাষা বর্ণমালার বই, তুলে ধরা হয়েছিলো সেই সব দেশের ভাষা, ইতিহাস ও সংস্কৃতি। দেয়ালে শোভা পাচিছল বর্ণমালা ও ঐতির্হবাহী রঙ্গীন পোস্টার। বহুজাতিক বুথগুলো পরিচালনা ও সাজানোর দায়িত্ব সফল ভাবে সম্পন্ন করেছেন ড. রফিকুল ইসলাম ও মোহাম্মদ ফেরদৌস ওমি ও লিটন মাঝি।
অনুষ্ঠানের সার্বিক দায়িত্বে থাকা সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কায়সার আহমেদ জানান, সমগ্র অনুষ্ঠানটির ডিজাইন ও আইটি সম্পর্কিত দায়িত্ব পালন করেছেন আর্কিটেক্ট মনিরুজ্জামান।
Leave a Comment
Your email address will not be published. Required fields are marked with *