সুপ্রভাত সিডনি রিপোর্ট
সিডনির গ্ল্যানফিল্ড রেলওয়ে প্যারেডের সন্নিকটে প্রচণ্ড গরমে গাড়ির ভিতর বাংলাদেশী বংশভূত তিন বছরের শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ২রা ফেব্রুয়ারি ২০২৩ বৃহস্পতিবার দুপুরে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ওই শিশুর মৃত্যু হয়। পুলিশ শিশুটির বাবাকে হেফাজতে নিয়েছে।
পুলিশ, জরুরি সেবার কর্মীরা এসে গাড়ির জানালা ভেঙ্গে শিশুটির মৃত দেহ উদ্ধার করে। এ সময় গাড়ির কাছে শিশুর বাবা চিৎকার করতে দেখা গেছে। অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ প্রাথমিক ধারণা করেছে। তবে কিভাবে মৃত্যু হয়েছে পুলিশ সঠিক কারণ জানতে তদন্ত অব্যাহত রেখেছে।
অস্ট্রেলিয়ার সড়ক নিরাপত্তা সংস্থা এনআরএমএ এর আগে যেকোনও অবস্থায় গাড়ির ভিতরে শিশু বা পোষা প্রাণি না রাখার ব্যাপারে সতর্ক করে বলেছে, একটি গরম গাড়ির ভিতরের তাপমাত্রা বাইরের তাপমাত্রার প্রায় দ্বিগুণ হতে পারে এবং একটি শিশু বা পোষা প্রাণিকে ভিতরে লক করা থাকলে অল্প সময়ের মধ্যে গুরুতর ভাবে অসুস্থ এবং মৃত্যুর কারণ হতে পারে। গত বছর বদ্ধ গাড়ি থেকে বাচ্চাদের এবং পোষা প্রাণিদের উদ্ধারের জন্য এক দশক সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ৪২৬৫ টি আবেদন পেয়েছে যার বেশিরভাগই দুর্ঘটনাজনিত ছিল।
পুলিশের প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সকালের দিকে শিশুটিকে গাড়িতে রেখে ভুলে চলে যান বাবা। বেলা তিনটা নাগাদ ফিরে এসে তিনি শিশুটিকে অচেতন অবস্থায় দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়াসহ জরুরি সেবায় ফোন করেন। তাৎক্ষণিক প্যারামেডিক এসে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করে।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ২০২৩ ল্যাকেম্বা বড় মসজিদে নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবার পর ক্রেম্স ক্ৰিকে দাফন করা হয় এ জান্নাতি শিশুটিকে।
এ ধরণের একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা বা মৃত্যুতে বাংলাদেশ কমিউনিটিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ কমিউনিটিতে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি হাতে নেওয়া এখন সময়ের দাবি। সুপ্রভাত সিডনি পরিবার এ ধরনের একটি অকাল মৃত্যুর জন্য মর্মাহত।