728 x 90

তুরস্ক ও সিরিয়ার ভয়াবহ ভূমিকম্পের ভিকটিমদের জন্য অস্ট্রেলিয়া থেকে সহায়তা

গত ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে স্থানীয় সময় রাত সোয়া চারটার সময় তুরস্কের উত্তরাঞ্চলীয় ও মধ্য অঞ্চল এবং সিরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে এক ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে প্রায় সাত দশমিক আট মাত্রায় পৌছা এই ভূমিকম্পের পর প্রাথমিকভাবে নিহতের সংখ্যা জানা গিয়েছিলো আড়াই হাজারের মতো। পরবর্তীতে ফেব্রয়ারী মাস জুড়ে সরকারী হিসেবে এই নিহতের সংখ্যা পঞ্চাশ হাজার

  • সুপ্রভাত সিডনি ডেস্ক

গত ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে স্থানীয় সময় রাত সোয়া চারটার সময় তুরস্কের উত্তরাঞ্চলীয় ও মধ্য অঞ্চল এবং সিরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে এক ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে প্রায় সাত দশমিক আট মাত্রায় পৌছা এই ভূমিকম্পের পর প্রাথমিকভাবে নিহতের সংখ্যা জানা গিয়েছিলো আড়াই হাজারের মতো। পরবর্তীতে ফেব্রয়ারী মাস জুড়ে সরকারী হিসেবে এই নিহতের সংখ্যা পঞ্চাশ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে।

মর্মান্তিক এই প্রাকৃতিক ও মানবিক বিপর্যয়ের পর সারা বিশ্ব থেকে অনেক দেশই সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। তাৎক্ষনিকভাবে অস্ট্রেলিয়ান সরকারের উদ্যোগে বাহাত্তর জনের একটি বিশেষজ্ঞ দল উদ্ধারকাজ ও ত্রাণকাজে সহায়তার জন্য তুরস্কে গিয়ে পৌছেছে। এই সহায়তা দলের সদস্যদের মাঝে রয়েছেন ফায়ার এন্ড রেসকিউ স্পেশালিস্ট যারা বিধ্বস্ত ভবন থেকে উদ্ধারকর্মের জন্য অভিজ্ঞ ও নানা উপযোগী সরঞ্জামে সজ্জিত।

মাল্টিকালচারাল দেশ অস্ট্রেলিয়ায় টার্কিশ বংশোদ্ভুত বিপুল সংখ্যক মানুষ বসবাস করেন। তাদের অনেকেরই নিকটজন ও পরিবারের সদস্যরা এই ভূমিকম্পে নিহত ও আহত হয়েছেন। সুপ্রভাত সিডনি পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের সকলের জন্য আমাদের আন্তরিক দোয়া রয়েছে।

তুরস্ক ও সিরিয়ার এই বিপর্যয়ের পর বিভিন্ন করুণ ছবি ও বর্ণনা সারা পৃথিবীর মানুষদেরকে আন্দোলিত করেছে। ছবিতে দেখা গেছে নিহত কন্যার হাত ধরে বসে থাকা পিতা করুণ মুখ, অথবা একই সাথে চাপা পড়া মা ও সন্তানের মর্মান্তিক দৃশ্য। পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি আদম সন্তানের এই করুণ পরিণতি মানবজাতিকে আবারও সচেতন করেছে প্রকৃতির ভয়াবহ শক্তির সামনে তারা কতটা অসহায় এবং এই প্রাকৃতিক পরিবেশকে ধ্বংস না করার জন্য তাদের যে দায় রয়েছে এসব বিষয়ে।

ভূমিকম্পের এই ঘটনার পর সবসময়ের মতোই বিভিন্ন মানবাধিকার ও সাহায্য সংগঠন ত্রাণ ও অর্থ সাহায্য সংগ্রহের কাজ করছে। একই সাথে দুঃখজনকভাবে অনেক নামসর্বস্ব ও প্রতারক মানুষজনও এই সুযোগে মুনাফা লুটে নিতে মাঠে নেমে পড়েছে। বাংলাদেশী কমিউনিটির কেউ যদি ভূমিকম্পের ভিকটিমদেরকে সাহায্য করতে চান তাহলে আমাদের পরামর্শ হলো কেবলমাত্র সুপরিচিত, প্রতিষ্ঠিত ও নির্ভরযোগ্য সংস্থাগুলোর মাধ্যমেই সহায়তা করার চেষ্টা করা। এমএএ (মুসলিম এইড অস্ট্রেলিয়া) ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান এপিল, ইসলামিক রিলিফ অস্ট্রেলিয়া, ইসলামিক প্র্যাকটিস এন্ড দাওয়াহ সার্কেল (আইপিডিসি) বা রেড ক্রসের মতো প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনগুলো মাধ্যমে এই সহায়তা করলে তা প্রকৃতভাবেই এই ভয়াবহ ভূমিকম্পের ভিকটিমদের জন্য উপকারে আসবে এই আশা করা যায়। 

Read More

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked with *

সর্বশেষ পোস্ট

Advertising