728 x 90

সিডনিতে বাংলাদেশী দুর্নীতিবাজ পুলিশদের বিলাসবহুল ভবন

  Corrupt cops from Bangladesh own luxury building in Sydney সিডনিতে বাংলাদেশী দুর্নীতিবাজ পুলিশদের বিলাসবহুল ভবন  এম, এ, ইউসুফ শামীম: ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ বা টিআইবি নামে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা তাদের নতুন একটি রিপোর্টে জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারের পোষা সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত হলো পুলিশ। টিআইবির জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৯০ শতাংশই বাংলাদেশে দুর্নীতি বেড়েছে বলে মনে করেন। বৈশ্বিক দুর্নীতির

 

Corrupt cops from Bangladesh own luxury building in Sydney

সিডনিতে বাংলাদেশী দুর্নীতিবাজ পুলিশদের বিলাসবহুল ভবন 

এম, এ, ইউসুফ শামীম: ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ বা টিআইবি নামে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা তাদের নতুন একটি রিপোর্টে জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারের পোষা সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত হলো পুলিশ। টিআইবির জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৯০ শতাংশই বাংলাদেশে দুর্নীতি বেড়েছে বলে মনে করেন। বৈশ্বিক দুর্নীতির পরিমাপক নামে বার্লিনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের সদ্যপ্রকাশিত রিপোর্টের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের ভেতরকার দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে এ জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ। জরিপে আরো বলা হয়, সামরিক বাহিনী, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন এবং এনজিওগুলোকে সবচেয়ে কম সংখ্যক মানুষ দুর্নীতিগ্রস্ত বলে মনে করেন।

বিভিন্ন উপায়ে নিরীহ মানুষের উপর অত্যাচারের স্টিমরোলার চালিয়ে টাকার পাহাড় বানিয়ে বিদেশে পাচার করেছে। তবে শুধু পুলিশ নয় বাংলাদেশের সব বাহিনী কম-বেশি দুর্নীতিতে জড়িত। এক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনী সবার আগে। প্রথমত রাজনীতিতে প্রশাসনকে এখন ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছ। দ্বিতীয়ত সুষ্ঠু পরিচালনা ও ন্যায় বিচারের নেই। আজকাল আমরা প্রায়ই বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপে পুলিশের জড়িত থাকার খবর পাই। কিন্তু যথাযথ বিচার হয়না। ফলে পুলিশ দ্বারা গঠিত অপকর্ম ও দুর্নীতি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছ। তাই পুলিশ বাহিনীর দুর্নীতি বন্ধের জন্য সর্ব প্রথম রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত করতে হবে, পুলিশ দ্বারা সংগঠিত নানা অপকর্মের যথাযথ বিচার করতে হবে এবং সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার ব্যবস্থা করতে হবে।

বাংলাদেশ পুলিশের অদক্ষতা, অপেশাদারীত্ব, মিথ্যাচার এবং দুর্নীতি সম্পর্কিত ব্যাপারগুলো কি চোখে পড়ে?

বাংলাদেশে পুলিশ বাহিনী টপ টু বটম দুর্নীতিতে ভরপুর। এর থেকে বাচতে হলে কঠোর আইনের প্রয়োজন। যে আইনের আওতায় কেউ বাচতে পারবেনা এবং আইন বাস্তবায়নে যত্নবান হতে হবে। অত্যান্ত অপ্রিয় কিন্ত সত্য এই যে, আমাদের দেশে জবাব দিহিতার কোনো সুব্যবস্থা নেই। কেউ কারো থেকে কম নয়, কেউ কাউকে গোনায় ধরে না। সবাই দুর্নীতিগ্রস্ত, তাই কে কার কাছে অভিযোগ করবে? জবাবদীহিতা কে কার কাছে করবে?

আমাদের পুলিশের উপর বিন্দু মাত্র কোনো বিশ্বাস নেই। তাইতো দেখা গেছে বাংলাদেশে পুলিশকে বাদ দিয়ে বিশেষ বাহিনী র‍্যাবকে অবৈধ ক্যাসিনো বাণিজ্যসহ দুর্নীতি বিরোধী অভিযানের একক দায়িত্ব দেয়ার বিষয় নিয়ে এখন বিভিন্ন মহলে নানা আলোচনা চলছে।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উল্লেখ কর, বিভ্রান্তি এড়াতে অভিযানের পুরো দায়িত্ব র‍্যাবকে দেয়া হয়েছে।

পুলিশের উৎপাতে মনে হয় , এরা সরকারি লাইসেন্সধারী ডাকাত। এহেন হীন কাজ নেই, যা এ পুলিশ বাহিনী করেনা। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আওয়ামী সরকার পুলিশকে দুর্নীতির দিকে ঠেলে দিয়েছে বা উৎসাহিত করে। আর এ বোকা পুলিশ আওমী নেতা -কর্মীদেরকে সকল অপকর্মে সহযোগিতা করে, তাই পুলিশ কাউকে গোনায় ধরেনা। কারন, প্রতিটি পুলিশের দুর্নীতির সাথে আওমী আমলা বা মন্ত্রী জড়িত। এ কারণেই পুলিশকে সবাই আওয়ামীলীগ বলে সম্বোধন করে কারন সরকার বিরোধী অথবা বিরোধী দলের যেকোনো কর্মসূচী লন্ডনভন্ড করে দিতে পুলিশের ভূমিকা অপরিহার্য। সেইসব কর্মসূচীতে পুলিশের নির্বিচারে গুলি চালানো, লাঠিচার্জ, জলকামান ব্যবহার করে পুরো কর্মসূচী পন্ড করে দিতে পুলিশের ভূমিকা অপরিসীম।

মালিহা আহমেদ নামে এক ভুক্তভোগীর কথা হুবহু তুলে দিলাম: “একবার পুলিশের পাল্লায় পড়েছিলাম। পুলিশ সাথের সব টাকা নিয়ে নিল এমনকি ফোন করে পরিচিত কারো থেকে ১০০০ টাকা চাইয়ে নিল। পরে বলল যে সন্ধ্যা বেলা এমন যায়গায় একা বসে আছেন দেখলে চোর ছিনতাইকারীরা মোবাইলটা ও নিবে আর শারীরিক আঘাত ও করবে। আমরা তো শুধু টাকাই নিলাম। তাই সেদিক থেকে ডাকাতের চেয়ে ভালো বইকি?”

আপনারা নিশ্চই পুলিশ নামের আরেক ডাকাতের কথা মনে রেখেছেন? বনানী থানার বরখাস্ত হওয়া পরিদর্শক শেখ সোহেল রানা। উনাকে সবাই চুনোপুটি ভেবে নিতে পারেন। এই চুনোপুটির ব্যাপারে কয়েকটি কথা না বললেই নয়।

এই ভদ্রলোকের নামে–বেনামে ঢাকায় ১১টি ফ্ল্যাট, প্লট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং পর্তুগাল, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন ও নেপালে সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। এই পুলিশ কর্মকর্তা বিভিন্ন দেশে লোক পাঠিয়েছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁর সম্পদের মধ্যে ঢাকার অভিজাত এলাকায় ৫টি ফ্ল্যাট, ৯ কোটি টাকা মূল্যের একটি বাণিজ্যিক ভবনে জায়গা (স্পেস), ২টি প্লট ও ৩টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য পাওয়া গেছে। ই-অরেঞ্জ নামের একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা রয়েছে এই ভদ্রলোকের বিরুদ্ধে।

থাইল্যান্ডের পাতায়ায় (যেখানে দুনিয়ার নিকৃষ্ট পতিতালয়) সুপারশপ, জমি ও ফ্ল্যাট, পর্তুগালের লিসবনে সুপারশপ, বার ও রেস্তোরাঁ, ফিলিপাইনের ম্যানিলায় বার এবং নেপালের কাঠমান্ডুতে বার ও ক্যাসিনো রয়েছে বলে বিভিন্ন বিশ্বস্ত সূত্র থেকে তথ্য পাওয়া গেছে।

টেকনাফের ব্যবসায়ী আব্দুল গফুর চীন এবং মিয়ানমার থেকে কম্বল আমদানি করে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন মার্কেটে বিক্রি করেন। আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার জন্য তিনি কক্সবাজার শহরে গেলে সেখানে গোয়েন্দা পুলিশের সাতজন সদস্য জোর করে ১৭ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেন।

১৭ লাখ টাকা নিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের একটি গাড়ি টেকনাফ থেকে কক্সবাজার ফেরার সময় সেনা চেকপোস্টে টাকার বস্তাসহ ধরা পড়ে গত ২৬ অক্টবর। প্রায়ই পুলিশের বিরুদ্ধে নানা উপায়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠে। কক্সবাজারের একাধিক ব্যবসায়ীরা বলেন: গোয়েন্দা পুলিশের কিছু সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের আটকে টাকা আদায়ে করছে প্রতিনিয়ত।

এদিকে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থানার সাবেক ওসির বিরুদ্ধে ১৮ কোটি টাকার বেশি অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুদক।মামলার আসামিরা হলেন মঠবাড়িয়া থানার সাবেক ওসি ও নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লাহুড়িয়া তালুকপাড়া গ্রামের সৈয়দ আবদুল্লাহ (৫৬), তার স্ত্রী ফারহানা আক্তার (৪৫) এবং শাশুড়ি কারিমা খাতুন (৬২)। সৈয়দ আবদুল্লাহ বর্তমানে ফেনী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত। আসামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪-এর ২৭ (১) ধারা ও দণ্ডবিধির ৪২০/১০৯ ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭-এর ৫ (২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪(২), ৪(৩) ধারায় মামলা করা হয়েছে।

খবরে প্রকাশ, দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে কারাগারে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে সরকারি চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।মিজানুর রহমানের (অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ডিএমপি; সাময়িক বরখাস্ত এবং পুলিশ অধিদপ্তরে সংযুক্ত) বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে ৬ জুন দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলার তদন্ত শেষে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনসহ একাধিক অভিযোগে চার্জশিট দাখিল করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন। সেহেতু, সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ এর ৪২(১) ধারা অনুযায়ী মো. মিজানুর রহমানকে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে চাকরি হতে বরখাস্ত করা হলো।

এদিকে, অবৈধ সম্পদ অর্জন, দুর্নীতি ও সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে অসদাচরণসহ কয়েকটি অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি এম এ জলিলকে দুদকে তলব করেছে। লোক দেখানো ও মিডিয়া কাভারেজ দেবার জন্য একবার ঘটা করে এদেরকে ডাকা হয়, এর পর আর কোনো খবর থাকেনা।

পুলিশের দুর্নীতি ও অপকর্ম নিয়ে লিখতে গেলে থিসিস লেখা যাবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই-বাংলাদেশের পুলিশের অপকর্ম নিয়ে লিখতে শুরু করলে হাজার হাজার পৃষ্ঠার উপন্যাস লেখা যায়।

বাংলাদেশে ৮০% পুলিশ আছে আওয়ামী পন্থী, ১০% বিএনপি পন্থী, আর ১০% জনগন পন্থী। কিন্ত ৯৫% এরা ঘুসখোর ধান্দাবাজ। আর পুলিশ,পুলিশ কেনো সরকারি যেকোনো চাকরিতেই যোগ দিতে  হলে আপনাকে আগে আওয়ামী মতামতের হতে হবে।তাতে বিসিএস দেন আর যাই করেন। এই বিষয়ে সরকার পক্ষ খুবই সতর্ক।

বাংলাদেশে প্রায় ৫৫০ পুলিশ উচ্চ পদস্ত কর্মকর্তা ৫৫ হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন বলে গোপন সূত্রে প্রকাশ পেয়েছে, তাছাড়া ২০০০ পুলিশ কর্মকর্তা দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছেন। এমন কেন? চারিদিকে কী চলছে?

বাংলাদেশের এ রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসী বাহিনী আমেরিকা, কানাডা, ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়ায় আলিশান বাড়ী বা এপার্টমেন্ট ক্যাশ টাকায় খরিদ করে মৌজ মাস্তিতে কাটাচ্ছে। কানাডার বেগম পাড়ার খবর কে না জানে? আমরা শুধু একটি মাত্র দেশের খবর জানতে পড়েছি তাও আংশিক। দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে এ অসৎ পুলিশ কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের অসাধু আমলারা জুলুমের অর্থে বাড়ী বানিয়ে সুইমিং পুলে সাদা চামড়া দিয়ে সাকির কাজ করাচ্ছে।

বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর কিছু গোপন তথ্য সম্প্রতি আমাদের হাতে এসেছে। কিছু এক্সক্লুসিভ ডকুমেন্টস সুপ্রভাত সিডনির অফিসে এসেছে। ওগুলো যাচাই বাছাই করে লিখা শুরু করলাম। অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহরের দ্বিতীয় ব্যস্ত নগরী প্যারামাটার প্রাণকেন্দ্রে একটি বিলাসবহুল বহুতল ভবনের ৮০% ক্রয় করেছে বাংলাদেশ পুলিশলীগ। তারা বিল্ডিং ম্যানেজমেন্টেকে জানিয়ে রেখেছে, বাকি ২০% খালি হলে তারা ক্রয় করতে প্রস্তুত। এতোগুলো বিলাসবহুল এপার্টমেন্ট কিনেও তারা সন্তুষ্ট নয়, কারন টাকার যোগান বন্ধ নেই। এরা  দল বেঁধে সিডনির বিভিন্ন এলাকায় বাড়ী, ব্যবসা প্রতিষ্টান, ফার্ম হাউস, পেট্রল স্টেশন ইত্যাদি বিভিন্ন খাতে অর্থ লাগিয়ে রেখেছে। শুধু সিডনি বললে ভুল হবে, অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন শহরে তারা বিভিন্ন প্রোপার্টি খরিদ করে রেখেছে। বেশিরভাগ অফিসার, আমলা ও সংসদ সদস্যদের অস্ট্রেলিয়া সহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকত্ব খরিদ করা হয়েছে অতি সংগোপনে।

বাংলাদেশ পুলিশের এ ধরনের পুকুর চুরির প্রবাসী সহায়ক কারা? যারা অসহায় মানুষের রক্ত চুষে, গুম ,খুন বা ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে অর্থ আদায় করে বিদেশে অট্টালিকা গড়ে, এরা মানুষ নাম জানোয়ার। এদেরকে আইনের আওত্তায় নিয়ে যাওয়া এখন সময়ের দাবি বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন। বাংলাদেশ পুলিশ বা সরকারি আমল, রাজনীতিবীদরা, এমপিরা বাংলাদেশকে ফোকলা করে বিদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গড়ে তুলেছে বিশাল অট্রালিকা। সিডনির ল্যাকেম্বায় বেশ কয়েকটি নতুন এপার্টমেন্টের মালিক মাত্র একজন মালিক। সিডনির বাইরে রিজিওনাল এরিয়াগুলোতে বাহারী বাড়ি ঘর  কিনেছে অধিকাংশ  মন্ত্রী ও আমলারা। পুলিশের বর্তমান ও সাবেক বেশিরভাগ জুলুমবাজ অফিসাররা দল বেঁধে মাইলের পর মাইল খালি জায়গা বা ফার্ম এরিয়া কিনেছে মেলবোর্নে। এডিলেইডে কয়েক হাজার একর নিয়ে ফার্ম হাউস কিনেছে সরকারের এক আমলা ও আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য। এরা চোর, বংশগতভাবে চোর, দলীয়ভাবে চোর। এদের চুরির কোনো সীমা নেই !

পুলিশ,র‍্যাব, মন্ত্রী, রাজনীতিবিদ, আমলা ও আওয়ামী ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ ব্যাংককে জয় বাংলা করে দিয়েছে অর্থাৎ দেশের ব্যাংকগুলো বৈধতার সাথে লুটে নিয়েছে। স্বর্ণ রাখলে পাথর হয়ে যায় গল্পের রেজাল্ট আজকে দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্তের রাজকীয় অট্রালিকার বহিঃপ্রকাশ। যেমন পুলিশের জয় বাংলা, অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি সংস্থানগুলোর জয়বাংলায় দেশ আজ ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে। কানাডার বেগম পাড়া  ছাড়াও দুনিয়ার বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী সরকারের জারজ প্রসবনে প্রবাসেও আজ শান্তি নেই। গোপন সূত্রে জানা গেছে, র‍্যাবের একটি বিশেষ বাহিনী এশিয়া, ইউরোপ এমনকি অস্ট্রেলিয়াতেও গোপনে তারা কিলিং মিশনে যোগ দেয়। বিভিন্ন দেশে তারা অন্যান্য সন্ত্রাসীদেরকে ভাড়ায় কাজ করিয়ে চলে যায়।

সিডনিতেও এ ধরনের একটি ঘটনার কথা আমাকে জানায় জনৈক ফ্রিডম পার্টির নেতা। দেশ থেকে ৬ জনের একটি চৌকষ জোয়ান আসে  ফ্রিডম পার্টির নেতার সাথে মিলিত হতে। তারা মিলিত হয় অবশেষে  ফ্রিডম পার্টির নেতা কৌশলে তাদের প্ল্যান ভণ্ডুল করে দেয়।  ফ্রিডম পার্টির নেতার কমান্ডো ট্রেনিং থাকায় সে যাত্রা বেঁচে যায় এবং র‍্যাবের অফিসাররা নর্থ সিডনির কোন এক গভীর জঙ্গলে তাকে হত্যার চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর মাথা নত করে ভেগে যায়। থাইল্যান্ডেও একই ব্যক্তিকে নিয়ে চেষ্টা করে আটকাতে অবশেষে ব্যাংককেও তারা পরাজিত হয়েছিলো।

অসৎ উপায়ে বা মানুষ হত্যা করে অঢেল অর্থ কামানো যায় তবে সুখী হওয়া যায়না , পরিবারে শান্তি আসবেনা। এক মুসলমান আরেক মুসলমানকে হত্যা করলে সরাসরি জাহান্নাম, এতে কোনো মাপ নেই। র‍্যাব এবং পুলিশের মাত্রাতিরিক্ত ক্রস ফায়ার (অকারণে মানুষ হত্যা)’য়  সাধারণ মানুষ অতিষ্ট হয়ে গিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খুব বুঝে শুনেই কয়েকটি সরকারি “কিলার বাহিনীকে” স্যাংশন দিয়েছে তবে আরো দেয়া জরুরি। যদিও পশ্চিমা সরকারগুলো খুব বুঝে শুনে একশনে যায়, একবার একশনে গেলে আর রক্ষা নেই। রাজনীতির চালে  মনে হয় অনেক সময় তারা খুব সহজ চাল দিয়েছে  যা দেখে আমাদের টোকাই নেতারা মনে করে সব সাদারা আমাদের বন্ধু হয়ে গিয়েছে, আসলে কি তাই? এরা হেসে হেসে স্যাংশন দেয়, রাগের মাথায় নয়। অর্থাৎ হাসলেই বন্ধু নয় বরং এরা হেসে হেসে দেশ ধ্বংসের প্ল্যান করে।

দেশের কিছু অকর্মন্য পুলিশ, র‍্যাব এবং অন্নান্য বিভিন্ন সংস্থার অফিসাররা অস্ট্রেলিয়া সহ বিভিন্ন উন্নত দেশে যায় অফিশিয়াল ট্রেনিং এ। জনগণের প্রশ্ন হচ্ছে, এরা কিসের ট্রেনিং নেয়? দেশের জনগণের অর্থে প্রবাসে ট্রেনিংয়ের নাম এসে মদ, বেশ্যা ও ক্যাসিনোতে সময় কাটিয়ে দেশে ফিরে। দুনিয়ার বিভিন্ন উন্নত দেশ থেকে ট্রেনিং করেও এদের কোনো লাভ বা পরিবর্তন হয়না। দেশে ফিরেই আবার আগের মতো তারা জুলুম, গুম, হত্যা , চাঁদাবাজি শুরু করে দেয়।

একজন বলেছে, জারজ সন্তান না হলে মনে হয় পুলিশে যেতে পারেনা, আমি এর প্রতিবাদ করেছি – এদের ভেতরেও হাতেগোণা কিছু অফিসার আছেন যারা সৎ এবং পরেজগার। যদিও এদের সংখ্যা খুব কম এবং এদেরকে নগন্য চোখে দেখেন বাকিরা। মূলত ওই স্বল্প সংখ্যক নীতিবান অফিসারদের জন্যই গোটা ডিপার্টমেন্ট টিকে আছে। তারা জুলুম করেনা, ঘুষ খায়না অর্থাৎ প্রবাসে প্রতিপত্তি করার জন্য অতিরিক্ত আয়ের জন্য মানুষ হত্যায় লিপ্ত নয়। এদের কোনো চিন্তা নেই।

বাংলাদেশ হাইকমিশন অস্ট্রেলিয়া (ক্যানবেরা) রাষ্ট্রদূতের কাছে ইমেইলর মাধ্যমে সুপ্রভাত সিডনির পক্ষ থেকে এ দুর্নীতিমূলক কর্মকান্ডের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি কোন উত্তর দেননি। মৌনতা সম্মতির লক্ষণ, এ কথা এ ক্ষেত্রে আমরা শুরুতেই ধরে নিতে চাইনা। বাংলাদেশের সমস্ত ক্ষেত্রে যেখানে দুর্নীতিবাজ ও চোররা জেঁকে বসেছে, সেই সরকারের দলীয়করণকৃত একটি দূতাবাস থেকে এর চেয়ে আর কি ই বা আশা করা যায়? রাজনৈতিক ক্যাডার এবং অযোগ্য-অথর্বগুলোকে নিজেদের লোক হিসেবে পছন্দ করে এ ধরনের গোয়ালঘর সদৃশ অফিসগুলোতে নিয়োগ দেয়া হয় বলে অনেক প্রবাসীরা মনে করেন। এরা “সেবা” কিংবা “জবাবদীহিতা” এই ধরণের শব্দগুলোর সাথে কখনো পরিচিত হয় হয়নি, বরং এরা সাধারণ মানুষের সাথে দুর্ব্যবহার করেন। এদের বিরুদ্ধে  অভিযোগের শেষ নেই – এদের সম্পর্কে আরেকদিন লেখা যাবে।

দূতাবাসের যোগসাজসে এ কুকর্মগুলো করা হয়েছে – এ কথার যেমন কোনো প্রমান এখনো নেই, তেমনি দূতাবাসের কেউ এহেন দুর্নীতির সাথে জড়িত নেই – এ কথার সাথেও সচেতন মহল একমত নয়।

যতদিন জামাতে ইসলামী বা বিএনপির একটি সদস্য জীবিত থাকবে, ততদিন সম্ভবত বাংলাদেশ পুলিশের এই দুর্বৃত্তপনার ব্যবসা কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবেনা। আবার আওয়ামীলীগ ক্ষমতা হারালে হয়ত বা তাদেরকেও একই পদ্ধতিতে ঘায়েল করা হবে। প্রশ্ন হচ্ছে এর শেষ কোথায়?

 

Read More

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked with *

1 Comment

  • Ali Mohamad
    July 24, 2023, 12:27 pm

    দেশ বাঁচাও হাসিনা হাঁঠাও দূরনীতি বাজ মুক্ত বাংলাদেশ চাই সামিম সুপ্রভাত সিডনি ও আপনাকে লাল গোলাপ শুভেচ্ছা। দেশ প্রেম ঈমানের অংশ দোয়া রইল ভাল.সুস্ত থাকবেন।

    REPLY

সর্বশেষ পোস্ট

Advertising