সবার কত অসুখ থাকে,
এক প্রহরে একলা একার কষ্ট থাকে!
শূন্য জীবন নিয়ে কত বাঁচতে হয় কার-
নিখুঁত করে!
চৌ-ধারে রোজ দুঃখের নেশা, বুঁদ হয়ে রয়
জমাট শোকে;
আমার মত কে আর থাকে সংগোপনে কষ্ট পুষে!
মুছে শত করুণ ছায়া, অট্টহাসে রোজ দুঃখ গিলে?
এক জীবনে আঘাত নিয়ে আগলে থাকে কে নিশিদিন?
কার পুড়েছে স্বপ্ন বুকের, ভেঙেছে কার ইচ্ছে ডানা!
রোজ কতটা ভুলের মাশুল গুনতে হয় কার
আছে কি জানা?
হৃদয়টা যে পাহাড়সম, আঘাত সয়ে সামলে ওঠে
ক্ষতগুলো সারে শুধু, দাগ মুছে কি কোন লোকের!
আমিও রোজ কষ্ট খেলি, মেয়েবেলার মতন করে
হাঁড়িপাতিল খেলার ছলে পুতুল বিয়ের উদযাপনে।
কে দেখে এই কষ্টগুলো, ব্যথার কথা কে বা শোনে?
বুলিয়ে দেয় কে যাদুরকাঠি মনের শত জ্বালার মাঝে।
আমিও এখন দিন যাপনে একলা কাটাই সময়গুলো;
প্রজাপতি মনটা শুধু ঘাসের বুকে ডানা ঝাপটায়!
কোন বিরহে, কি অসুখে, নষ্ট ভীষণ সাধের জীবন
এক প্রহরে নিজের করে ভাবছি বসে একার মতন।
আর কে আছে আমার মত, আঘাত বুকে জড়িয়ে ঘুমায়?
রোজ নিশিতে চাঁদের সাথে চুপটি করে গল্প বলে!
অমাবস্যায় ভীষণ পোড়ে ইটপাথরের দালান-কোঠায়?
আমি ভীষণ চাপা ব্যথায় কাতরে বেড়াই ফড়িং হয়ে
উড়ছি কেবল আপন ভুলে, আত্মভোলা মনের ক্ষতে।
এই শহরে কেউ রাখে না, কার হৃদয়ে রক্ত ঝরে;
কোন সে খবর হাওয়ায় উড়ে, সে কথারই বৃষ্টি পড়ে।
নিয়ম করে নেয় না খবর, কেউ কখনো স্বার্থবীনে।