সুপ্রভাত সিডনি রিপোর্ট : সিডনির লেপিংটনের দেলোয়ার হোসেন (৫৯) নামে এক বাংলাদেশীর লাশ সনাক্ত করে সুপ্রভাত সিডনির অফিসে যোগাযোগ করেন কনস্টেবল জর্দান।নেরেলেন পুলিশ লাশের নেক্সট অফ কিন্ বা ওয়ারিশ খোঁজার জন্যই মূলত যোগাযোগ করেন। ২১ ডিসেম্বর ২০২৩ বৃহস্পতিবার লিভারপুল হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন)। দুবাইতে কর্মরত তার ছেলে ও বাংলাদেশে মরহুমের
সুপ্রভাত সিডনি রিপোর্ট : সিডনির লেপিংটনের দেলোয়ার হোসেন (৫৯) নামে এক বাংলাদেশীর লাশ সনাক্ত করে সুপ্রভাত সিডনির অফিসে যোগাযোগ করেন কনস্টেবল জর্দান।নেরেলেন পুলিশ লাশের নেক্সট অফ কিন্ বা ওয়ারিশ খোঁজার জন্যই মূলত যোগাযোগ করেন। ২১ ডিসেম্বর ২০২৩ বৃহস্পতিবার লিভারপুল হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন)।
দুবাইতে কর্মরত তার ছেলে ও বাংলাদেশে মরহুমের আত্মীয় -স্বজনদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, মরহুম দেলোয়ার হোসেন তাদের সাথে একই সপ্তাহে যোগাযোগ করেন। একই দিনে তাকে অনেকে ল্যাকেম্বায় ঘুরাঘুরি করতে দেখেছে। সিডনিতে তার বেশ কয়েকজন শুভাকাঙ্খী-বন্ধুর সাথে সুপ্রভাত সিডনির অনুসন্ধানে জানা যায়, এক ছেলে ও এক মেয়ের পরিবার,দেশের বাড়ি চাঁদপুর, হাইমচর।
মৃত্যুর পূর্বে ল্যাকেম্বার কোন এক রেস্তরায় রাতের খাবার শেষ করে বাড়ি ফিরেন। অনেক রাতে ডায়রিয়া হয় এবং মারাত্মক ব্যথা অনুভব করে এক প্রিয় বন্ধুকে ফোন করেন। বন্ধু তাকে এম্বুলেন্স ডাকতে সহায়তা করেন। অবশেষে ভোর প্রায় ৪:৫০ মিঃ লিভারপুল হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন।ডাক্তার বলেন, হার্ট এটাক মৃত্যুর কারন।
পুলিশ তার বাসায় যেয়ে কাউকে পায়নি, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু -বান্ধব কারো নাম বা ঠিকানাও জানেনা। এজন্য, অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত প্রতিটি মানুষ যেকোন ফর্ম পূরণ করার সময় নেক্সট অফ কিন্ বা ওয়ারিশের নাম ও মোবাইল নাম্বার দেয়াটা খুব জরুরি।
অনেক খোঁজাখুঁজির পর সুপ্রভাত সিডনি অফিসে যোগাযোগ করলে পুরো বিষয়টি সামনে নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেন সুপ্রভাত সিডনি সম্পাদক। আল্লাহ পাক ও রাসূল (সা:) এর নির্দেশ বা ইসলামীও নিয়ম অনুযায়ী যে মুসলমান যেখানে মারা যাবে, সেখানে কবরস্থ করাটাই ইসলামী ও ঈমানী দায়িত্ত্ব। এর ব্যতিক্রম করে কেউ বাক্স বন্ধী করে দেশে লাশ পাঠালে ইসলাম বিরোধী কাজের জন্য গুনাহগার হতে পারে যারা বেবস্থাপনায় থাকবে।
মরহুম দেলোয়ার হোসেনের দাফন কাজে অস্ট্রেলিয়ান মুসলিম ওয়েল ফেয়ার সেন্টারের “ডেস্টিটিউট বারিয়াল ফান্ড” থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়,কাজী আলী OAM যিনি বাংলাদেশীদের ভিতর একমাত্র ব্যক্তি বিগত প্রায় ৪০ বছর যাবৎ কবর সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যাপারে মুসলমানদেরকে জানাজার ব্যবস্থা করে দেন। ল্যাকেম্বা বড় মসজিদ বা আলী আবী তালেব মসজিদে গোসল ও জানাজা সম্পন্ন হবার পর সিডনির কেমস ক্রিক কবরস্থানে মরহুম দেলোয়ার হোসেনকে সমাহিত করা হয়।
জানাজা শেষে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রাশেদ খান মরহুমের পক্ষে সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
Leave a Comment
Your email address will not be published. Required fields are marked with *