728 x 90

মজলুম ফিলিস্তিন ও মুসলমানদের পরাজিত মানসিকতা

মুজাম্মেল হোসেন : ফিলিস্তিনে সন্ত্রাসী ইসরাইলের ধারাবহিক ও বর্বর আক্রমন আসলে বন্ধ হয়নি।  হায়েনারা থেমে নেই। তবে রক্তাক্তগাজার মুসলমানদের শানিত সাহস, নির্মোহ আত্মত্যাগ আর তেজদীপ্ত বীরত্বে ওরা হকচকিয়ে উঠেছে।  ড্রাকুলা ইসরাইলের এ আগ্রাসন নতুন কিছু নয়! বিগত সত্তুর বছরেরও বেশী সময় ধরে দখলদার ও অপবিত্র জায়নবাদী গোষ্ঠী সেখানে বিরতিহীন আগ্রাসন চালিয়ে আসছে। তখন মুসলমানরা ছিল

মুজাম্মেল হোসেন : ফিলিস্তিনে সন্ত্রাসী ইসরাইলের ধারাবহিক ও বর্বর আক্রমন আসলে বন্ধ হয়নি।  হায়েনারা থেমে নেই। তবে রক্তাক্তগাজার মুসলমানদের শানিত সাহস, নির্মোহ আত্মত্যাগ আর তেজদীপ্ত বীরত্বে ওরা হকচকিয়ে উঠেছে।  ড্রাকুলা ইসরাইলের এ আগ্রাসন নতুন কিছু নয়! বিগত সত্তুর বছরেরও বেশী সময় ধরে দখলদার ও অপবিত্র জায়নবাদী গোষ্ঠী সেখানে বিরতিহীন আগ্রাসন চালিয়ে আসছে। তখন মুসলমানরা ছিল নিরব নিথর নিশ্চুপ। মুখে তালা লাগিয়ে তারা ফিলিস্তিনীদের প্রতি তাদের অভিনীত ভালবাসার নাটক মঞ্চস্থ করছে যুগের পর যুগ ধরে। বর্তমানেও এর কোন পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছেনা। মাত্র দুই মাসে ফিলিস্তিনের প্রায় বিশ হাজার মুসলমানকে হত্যা করা হয়েছে, লক্ষাধিক নিরাপরাধ নারী শিশু বৃদ্ধকে ক্ষত-বিক্ষত করে ঠেলে দেয়া হয়েছে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে, তবুও এই পরহেজগার মুসলমানদের  ঘুমন্ত (আসলে মৃত) বিবেক জাগ্রত হয়নি।  হ্যাঁ, মুসলিম নামধারী সাধু শাসকদের কথা বলছি যারা তাগুতকে খুশী রাখার প্রতিযোগিতায় নিরন্তর ও ক্লান্তিহীন।  জায়নবাদ কিছুটা পিছু হটেছে বটে কিন্তু এ পিছু হটায় মুসলিম শাসকদের আদৌ কোন অবদান নেই।

গাজায় ইসলাইলের বর্বর আক্রমনে অন্তত এমন দুটো লাভের কথা বলতে পারি যা খুঁজে পেতে বিশ্ববাসীকে কয়েক দশক অপেক্ষা করতে হয়েছে। তা হলো এরকমঃ

এক. পাশ্চাত্যের চোখ ঝলসানো মানবাধিকারের মুখোশটিই শুধু খসে পড়েনি বরং আজ ওরা প্রকাশ্যেই দিগম্বর হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি ওদের বাকস্বাধীনতার বানর নাচও খেলখতম হয়ে গেল বলে।  একটি শিশুও বুঝতে পারছে এদের democracy আসলে  demo of hypocrisy !

দুই. প্রাচ্যের মুসলিম নামধারী শাসকদের মুসলমানিত্বের ছদ্মাবরনটি সরে গেছে।  পরিস্কার হয়েছে মুসলমানদের মধ্যে কারা পাশ্চাত্যের সেবাদাস। আল্লাহর নামে মৌখিক মন্ত্রপাঠ করা যে সব রথি-মহারথি বিশ্বের দুইশত কোটি মুসলমানকে শাসন ও শোষণ করেছে তাদের বর্ণচোরা, কাপুরুষোচিত, কুৎসিতএবংমোনাফিকী চেহারাও বিশ্বমুসলিমের সামনে লজ্জাস্করভাবে উন্মোচিত হয়েছে।

আমাদের আলোচনা এই দ্বিতীয় পর্যায়ের ভদ্রলোকদের নিয়ে সীমাবদ্ধ থাকবে।  আসলে এই পৃথিবীতে ইসরাইল কেবল একটি মাত্র নয় বরং বিশ্বের কোনায় কোনায় এমন রক্তচোষা বহু ইসরাইল কেবল সুযোগের অপেক্ষায়।  ওরা নিজেদেরকে আড়াল করে রেখেছে গণতন্ত্র, মানবাধিকার আর আন্তর্জাতিক অর্থ সহযোগিতার ছদ্মবেশে।  এমন শাঠ্য ও ধোঁকাবাজীওদের  বহু শতাব্দীবাহিত এক ধারাবাহিক উপদংশ।

প্রথম কিবলা পবিত্র বায়তুল মোকা্দ্দেস জায়নবাদী ইসরাইলের দখলে – এ কথা সবাই জানি। কিন্তু যদি প্রশ্ন করা হয় বায়তুল্লাহ বা ক্বাবাঘর কাদের দখলে? মসজিদে নববী কাদের গদিকে পাকাপোক্ত করার কাজে ব্যস্ত? শুধু কি তাই -ঢাকার বায়তুল মোকাররম কাদের স্বার্থ সংরক্ষণ করে? দিল্লীর শাহী মসজিদ? করাচীর গ্র্যান্ড মসজিদ? ষাটটি মুসলিম রাষ্ট্রকে কারা শাসন করছে? এসব পবিত্র স্থান থেকে কি আল কোরআন আর বিশ্বনবীর (সা) সূন্নাহ প্রতিষ্ঠার কথা উচ্চকিত হয়? নাকি জালিম ও ফাসিক শাসকদের মনোরঞ্জনের তাবত আয়োজনের বৈধতা দেয়া হয়? ফলে সহজেই বুঝতে পারা যায়  যে পৃথিবীর সব মুদিতনেত্র  ফাসিকদের কুটমঞ্চস্থ মুসলিমপ্রেম একটি তামাশা মাত্র।  ইতিহাস একদিন সাক্ষী দিবে আজ গাজার উপরে যে ভয়াবহ কিয়ামত নেমে এসেছে তাও বিপুল অর্থের বিনিময়ে ইসরাইলের সাথে কোন কোন মুসলিম রাষ্ট্রের গোপন সম্মতির মাধ্যমেই সংঘটিত হয়েছে কি না!। যেমনটি ঘটেছিল ইরাক ও আফগানিস্তানে মার্কিন হামলার সময়ে।

ইসরাইল আজ ফিলিস্তিনের মুসলমানদের সাথে যে নৃশংস ও ফেরাউনি আচরণে লিপ্ত, বর্তমান নামসর্বস্ব মুসলিম সেক্যুলার শাসকবর্গ কি নিজ নিজ দেশের ইসলাম প্রিয় মুসলমানদের সাথে এর চেয়ে ভিন্ন কোন আচরনের প্রমান দিচ্ছে? কেবল জেরুজালিমের বায়তুল মোকাদ্দাসেই কি মুসলমানদেরকে নামাজে বাধা দেয়া হচ্ছে? শুধুমাত্র ফ্রান্সেই কি বোরকা পড়া নিষিদ্ধ? আজ সুইডেনে মহানবীর (সা) বিকৃত কার্টুন আঁকা হয়। ডেনমার্কে কোরআন পোড়ানো হয়।  ইতালীতে মসজিদে তালা দেয়া হয়।  কিন্তু এ ধরনের ঘৃণ্য ও খোদাদ্রোহী কাজগুলো কি আজ মুসলিম দেশগুলোতে সংঘটিত হচ্ছে না? সেক্যুলার,  ইসলাম বিরোধী, দুশ্চরিত্রবান ও মদ্যপায়ী পাপিষ্ঠ শাসকদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সমর্থনে একই কাজ মুসলিম ভূখন্ডে ক্রমাগতভাবে চলছে নিরবে ও সরবে।  এর সাথে যুক্ত হয়েছে আলিম নামধারী কতিপয় কচুরীপানা সদৃশ লেবাসধারীর ফতোয়াবমন; গাজার নিরাপরাধ অসহায় নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও মজলুম নাগরিকদের সমর্থনে কোনরুপ মিছিল-প্রতিবাদ করা নাকি ‘বিদআত’! বুঝতে বাকী নেই এই বশংবদ ও আপদমস্তক মুত্তাকীরা আসলে কাদের উদ্দেশ্য সফল করার জন্য বিদআতের ফেরিওয়ালা সেজেছে।

বিশ্বব্যাপী কোটি জনতা রাজপথে নেমেছে, প্রতিবাদ করছে।  এতেও মুসলিম শাসক বলে পরিচিত রাজা-বাদশাহ ও তাদের মোসাহেবদের আরামের ঘুম ভাঙ্গেনি।  ঘুম ভাঙ্গবেই বা কিভাবে? যারা নিজ দেশ ও জাতির সমস্যা সমাধানেই সক্ষম নয় তারা ভিনদেশের সমস্যা মোকবিলা করবে কি রুপে? আমরা যেন ক্রিকেট নিয়েই ব্যস্ত, মহাব্যস্ত।  ভোগ বিলাস আর জনতার সম্পদ চুরি করেই তো এদের দিন চলে যায়! আসলে অদৃশ্য ইবলিসের চেয়ে এই দৃশ্যমান ইবলিস শত সহস্রগুণ বেশী বিপদজ্জনক।

এ সময়ে  নখদন্তহীন ওআইসি নামক একটি জড়পদার্থের কথা মনে পড়ছে,  যাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে দেশে দেশে ইসলামের পূণর্জাগরন প্রতিহত করা এবং এর বিপরীতে কুফরী মতবাদ সেক্যুলারীজম ও সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদী চেতনাকে প্রতিষ্ঠা করা।   ইসলামের নাম শুনে যারা ভূত দেখার মত আঁতকে ওঠে তারাই ওআইসির মাননীয় এবং মহামান্য হর্তা-কর্তার আরাম গদিতে সমাসীন।  বিশ্বজুড়ে মুসলিম নির্যাতনের খবরাখবর যতটুকুই প্রকাশ পায়, তাও মূলত কাফির মুশরিকদের মিডিয়া থেকে।  UNA (Union of OIC News Agencies),যার পূর্ব নাম IINA (International Islamic News Agency)নামে ওআইসির একটি সংবাদ সংস্থা রয়েছে, যারা কখনোই মুসলমানদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোন সংবাদ পরিবেশন করে না। ১৯৭২ সালে এটির জন্ম হলেও কেবল রাজ-রাজাদের গুণকীর্তন করা ছাড়া সংস্থাটির আর কোন কাজ নেই।

বলাই বাহুল্য যে, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য আমাদের কুম্ভীরাশ্রু বর্ষণের প্রয়োজন নেই- বরং গাজাই আজ আমাদেরকে স্বাধীনতার পথ দেখাচ্ছে। চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছে কিভাবে শত ইবলিসের ষড়যন্ত্রের জিঞ্জির ভাঙ্গতে হয়।  আমরাতো নিজেরাই পরাধীন, কিভাবে ফিলিস্তিনের জন্য মুক্তির শ্লোগান দেব? ফিলিস্তিন আমাদের অপেক্ষায় বসে থাকবে না, বরং জুলুমের জাল ছিন্ন করে পবিত্র বায়তুল আকসার মহিমান্বিত দীপশিখা  ক্রমাগত এক অনিশেষ শুল্কপক্ষের চাঁদের মত উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হয়ে উঠবেই।   একদিন এ বর্বর জুলুমের অবসান হবে, ফিলিস্তিন স্বাধীনও হবে ইনশাআল্লাহ।  যার কেউ নেই তার সাহায্যে আল্লাহ রয়েছেন-কেবল সময়ের অপেক্ষা। যেসব মুসলিম শাসক ইসলাম ও কোরআনের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, মুসলমানদের উপর নির্বিচার জুলুম ও আগ্রাসনের মোকবিলায় উটপাখি নীতি অবলম্বন করেছে- তাদের ক্ষমা হবে না।  সেই সাথে যেসব  মুসলমান নামধারী প্রাণীগুলো জেনে বুঝে এসব জালিম ও ইসলাম বিদ্বেষী শাসকদেরকে ভোট ও সমর্থন নিয়ে বিজয়ী করছে তারাও একই পরিনতি ভোগ করবে।  অন্তত ইতিহাস সে কথাই বলে।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে উসমানীয় খেলাফত ও ইসলামী শাসন ব্যবস্থাকে উৎখাত করার জন্য ১০ লক্ষ কথিত মুসলমান শপথ নিয়েছিল। এরা সকলেই মুসলিম বংশোদ্বূত পাক্কা ঈমানদার!  বাস্তবে বর্তমান সময়ে ইসলাম ও মুসলমানদের সর্বপ্রধান প্রতিপক্ষ হচ্ছে মুসলিম নামধারনকারী ধর্মনিরপেক্ষ শাসকবর্গ ও তাদের অন্ধ অনুগত সারমেয় শ্রেণী।  এ কারনেই বিশ্বব্যাপী দুইশত কোটি মুসলমান জীবিত থেকেও মাত্র দুই মিলিয়ন অসহায় নারী পুরুষকে নূন্যতম সহযোগিতা করতে আমরা চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছি।

আসলে গোলামী দুই প্রকারেরঃ মানসিক গোলামী এবং রাজনৈতিক গোলামী।  আমরা এই উভয় গোলামীর খুঁটার নিচেই নিজেদের মুক্তি খুঁজছি।  আজ আক্রান্ত কি কেবল গাজা? চোখ মেলে তাকালেই দৃষ্টিতে ভেসে ওঠে চীন সাগরের উত্তাল তরঙ্গমালায় প্রতিনিয়ত ভেসে চলা কম্পুয়িার মুসলমানদের লাশ, আরাকানের রোহিঙ্গা মুসলমানদের নিজ ভুমি থেকে নির্মমভাবে উৎখাত, ফিলিপাইনের মিন্দানও, চীনের উইঘুর, ভারতের কাশ্মীর, আফগান, ইরাক, সেন্ট্রাল আফ্রিকা।  বাংলাদেশ ও পাকিস্তান কি এই অবস্থার বাইরে? বিশ্ব মুসলমানদের ভুমিকা কোথায়? হালাল ও হারাম একত্রে গুলিয়ে, জালিম ও মজলুমের চিরাচরিত সঙ্গাকে পাশ কাটিয়ে, বন্ধু ও শত্রুর পার্থক্যকে ভাগাড়ে ছুড়ে ফেলে মুসলিম দেশগুলো দখলদার জায়নবাদীদের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরন বা normalizationএর দিকে হাটছে।

প্রমান রয়েছে, মুসলিম বিশ্বের কোথাও যাতে কোরআন এবং সূন্নাহর আলোকে কোন ইসলামী রাষ্ট প্রতিষ্ঠিত হতে না পারে এ জন্য মুসলিম শাসকদের রয়েছে সম্মিলিত ও গোপন এজেন্ডা।  আসলে এরাই একেকটি জীবন্ত ফেরাউন আর নমরুদ।  আমাদের বুঝতে হবে OICমুসলিম উম্মাহর প্রতিনিধিত্ব করে না।  সেক্যুলারিজমের ঘৃণ্য ও বিষাক্ত ভাইরাসে আক্রান্ত ওআইসি এক প্যাডসর্বস্ব সংগঠন বৈ কিছুই নয়।  ফাইভস্টার হোটেল কিংবা বিলাসবহুল মিটিংরুমে বসে মুখরোচক বিবৃতি উগড়ে দেয়া ছাড়া এই মহামানবদের আর কোন তৎপরতার ইতিহাস শক্তিশালী মাইক্রোসকোপ দিয়েও কেউ খুঁজে পাবে না।  মুসলমানদের ক্রান্তিকালে এই ইসলামী সম্মেলন সংস্থার (OIC)বড় অর্জন হচ্ছে সেই বিলাসবহুল হোটেলে বসে কড়াভাষায় (!) শতশত বিবৃতি প্লাবনের মহোৎসব।

বিশ্বমুসলিমের জন্য A+ পাওয়া এই  বিবৃতির তলাহীন ঝুড়িতে রয়েছে:  বোসনিয়ার জন্য  ৮৬১টি, আরাকানের ৩৫০টি, মিন্দানও এর জন্য ১৯৮ টি, কাশ্মীরের জন্য ৩০১টি, উইঘুরের  জন্য ১৫৯ টি, চেচনিয়ার  ৪২৭ টি, সেন্ট্রাল আফ্রিকার  জন্য  ১০২টি এবং  ফিলিস্তিনের মুসলমানদের জন্য ১২৬৩টি বিবৃতি।  বিশাল অর্জন! মাশাআল্লাহ না বলে কি উপায় আছে?

বিশ্বের দুইশত কোটি মুসলমানের প্রতিনিধিত্বকারী ওআইসি কি আদৌ তাদের দায়িত্ব পালন করছে? না কি অন্য কারো এজন্ডা বাস্তবায়নে তৎপর রয়েছে? এ প্রশ্নটি বিশ্ববিবেকের। চেচনিয়া ও বসনিয়ায় স্বাধীনতাকামী মুসলমানদের পাখির ন্যায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। নারী–শিশু কাউকে রেহাই দেয়নি নরপিশাচ রুশ ও সার্ববাহিনী। বর্তমান বিশ্বের অন্যতম প্রধান সমস্যা ফিলিস্তিন ইস্যু। লাখ লাখ ফিলিস্তিনি যুগযুগ ধরে নিজগৃহে বন্দী রয়েছে, বাধ্য হচ্ছে মানবেতর জীবন যাপন করতে। মিয়ানমারে লক্ষাধিক রোহিঙ্গা মুসলমানকে নিজ মাতৃভুমি থেকে বিতাড়িত করেছে মিয়ানমারের হিংস্র হায়েনারা।  ‘জীব হত্যা মহাপাপ’ শ্লোগান দিয়ে  উগ্র বৌদ্ধরা হাজার হাজার নিরীহ নিরপরাধ রোহিঙ্গা মুসলমানকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। এমতাবস্থায় আমাদের করনীয় কি? এ প্রশ্নের জবাব মহান আল্লাহপাক আমাদেরকে দিয়েছেন এভাবেঃ তোমাদের কি হয়েছে যে, তোমরা আল্লাহর পথে এবং অসহায় নরনারী শিশুদের উদ্ধারের জন্য সংগ্রাম করবে না? যারা বলছে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! অত্যাচারী অধিবাসীদের এই নগর হতে আমাদেরকে বের করে নিরাপদে অন্যত্র নিয়ে যাও এবং তোমার পক্ষ থেকে কাউকে আমাদের জন্য অভিভাবক হিসেবে পাঠাও এবং তোমার নিকট হতে কাউকে আমাদের সাহায্যকারী নিযুক্ত কর।(সূরা আন নিসা:৭৫)

আর কত? এখনো কি সময় হয়নি মুসলমানদের সিদ্ধান্ত নেয়ার? সময় কি হয়নি আগাছা পরগাছা উপড়ে ফেলার?  রাত পোহাবার কত দেরী পাঞ্জেরী?

 

মুজাম্মেল হোসেন,অটোয়া, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩

Read More

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked with *

সর্বশেষ পোস্ট

Advertising