সুপ্রভাত সিডনি রিপোর্ট: বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য বাংলার নিপীড়িত-নির্যাতিত ১৮ কোটি জনগণের পক্ষে প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে ড. কর্নেল মো: শহীদ উদ্দীন খান, ‘বাংলাদেশ প্রবাসী সরকারের ঘোষণা দিয়েছেন। গত ৯ আনুয়ারি এ ঘোষণা দেন সুদূর ইংল্যান্ড থেকে । বাংলাদেশ প্রবাসী সরকারের গঠনের উদ্দেশ্যে, লক্ষ এবং গঠনের কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করে বলেন, গত ২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে কোন নির্বাচন হয়নি, বরং ভারতীয় RODSরা দিল্লীর সাউথ ব্লক থেকে নির্বাচনের ফলাফল তৈরি করে তাদেরই তল্পিবাহক তথাকথিত নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে শুধু তাদের পছন্দনীয় বাংলাদেশের এমপি বা সংসদ সদস্যদের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে মাত্র। যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বা আপিল করারও কোন উপায় নেই, কেননা অফিস-আদালত সবকিছুর প্রধান হলো ঐ মাফিয়া হাসিনা ও ভারতীয় RODS !

ঘোষণা পত্রে তিনি বলেন, বাংলাদেশে রাজনীতি আজ মৃত, কেননা মাফিয়া হাসিনা ও ভারতীয় RODS রা বাংলাদেশের রাজনীতিকে গলা টিপে হত্যা করেছে; তাই, মুখোমুখি দ্বন্দ্বে লিপ্ত বাংলাদেশে আজ মাত্র দুইটি দল বিদ্যমান; প্রথম দলটি হলো শেখ হাসিনার ক্ষুত্র মাফিয়া গোষ্ঠী এবং দ্বিতীয় দলটি হলো বাংলার প্রায় শতভাগ ১৬ কোটি জনগণ যেখানে বিএনপি, জামাত, বামদল ইত্যাদি সকল রাজনৈতিক দলসহ সামরিক, বিজিবি, পুলিশ, আনসার ইত্যাদি।

সকল বাহিনীসহ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, মুসলমান, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে  অবরোধ বা অসহযোগ আন্দোলন বা গণযুদ্ধের মাধ্যমে মাফিয়া হাসিনাকে উৎখাত করে এই ‘বাংলাদেশ প্রবাসী সরকার’ এর অধীনে গণভোটের মাধ্যমে আমরা একটা ‘নতুন সংবিধান’ পাস করবো এবং সেই নতুন সংবিধানের অধীনে গণতান্ত্রিক দলীয় রাজনীতি আবার শুরু হবে এবং নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ প্রবাসী সরকারের ‘প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে ড. কর্নেল মো: শহীদ উদ্দীন খান নিজের নাম উল্লেখ করে বলেন, আজ থেকে দেশে-বিদেশে সকল সরকারি অফিস-আদালত, কূটনৈতিক মিশন সহ সকল প্রতিষ্ঠান সমূহ এই বাংলাদেশ প্রবাসী সরকার’ এর অধীনে পরিচালিত হবে। বাংলাদেশ প্রবাসী সরকারের একজন নির্বাহী সদস্য মো. অহিদুজ্জামান। অন্যান্য নির্বাহী সদস্যদের নাম নিরাপত্তার স্বার্থে পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে প্রকাশ করা হবে।

তিনি উল্লেখ করেন, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর ঘোষিত চলমান গণঅভ্যুত্থানের পাশাপাশি মাফিয়া সরকার, বর্তমান তথাকথিত সংবিধান, অবৈধ সংসদ, সকল রাজনৈতিক মামলা ইত্যাদি সম্বলিত সকল বাতিলকৃত আদেশ বহাল থাকবে। তাছাড়া, সকল রাজবন্দীর মুক্তি, কোন আয়কর, কর, ভ্যাট ইত্যাদি প্রদান না করা, প্রবাসীদের কর্তৃক কোন অর্থ (রেমিট্যান্স) প্রেরণ না করা ইত্যাদি সম্বলিত সকল প্রদত্ত আদেশও বহাল থাকবে। গণঅভ্যুথান করে হাসিনার পতন করে নতুন সংবিধান রচনা করতে হবে।

রাশিয়া ও ভারতীয় RODS ঝ ব্যতিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাবিশ্বসহ বিশ্বের প্রায় সকল রাষ্ট্রসমূহ অবৈধ প্রধানমন্ত্রী Mother of Mafias শেখ হাসিনা ও ভারতীয় RODS দের প্রত্যাখ্যান করেছে; ধর্মীয় উগ্রতা, মানবাধিকার চরম লংঘন , গণতন্ত্রবিহীন কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থা ইত্যাদি যেসকল দেশে বিদ্যমান, আমাদের পররাষ্ট্রনীতিতে সেসকল দেশের স্থান খুবই সীমিত ও শর্তসাপেক্ষ। এই দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধে আমাদেরকে সফল হতেই হবে এবং এছাড়া বাংলাদেশকে শেষরক্ষা করার আর কোন বিকল্প নেই। বিদেশী সমর্থনের দিকে চেয়ে থাকলে হবে না, আমাদেরকেই মূল কাজটা করতে হবে এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করে একটা চিরস্থায়ী ও শক্তিশালী গণতান্ত্রিক ভিত্তির উপর বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করবো, ইনশাআল্লাহ, আমীন। ঘোষণাপত্রটি লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের অফিসার গ্রহণ করে সীলমোহর করে প্রাপ্তি স্বীকার প্রদান করেন।