প্রকৌশলী আতিকুর রহমান : ভদ্রলোকের স্কিন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিল বেশ কয়েক বছর আগে। মোবাইল ফোন থেকে আক্রান্ত স্থানের বেশ কিছু ছবি আমাকে দেখালেন, সত্যি ভয়াবহ অবস্থা হয়েছিল। ছবিগুলোর দিকে বেশীক্ষণ তাকিয়ে থাকতে পারলাম না। আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ তা’আলা তাঁকে সুস্থ করেছেন। ডাক্তার তাকে বলেছিলেন তিনি লাস্ট স্ট্যাজে আছেন, খুব বেশী দিন টিকবেন না। তবে দ্রুত ক্যামো
প্রকৌশলী আতিকুর রহমান : ভদ্রলোকের স্কিন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিল বেশ কয়েক বছর আগে। মোবাইল ফোন থেকে আক্রান্ত স্থানের বেশ কিছু ছবি আমাকে দেখালেন, সত্যি ভয়াবহ অবস্থা হয়েছিল। ছবিগুলোর দিকে বেশীক্ষণ তাকিয়ে থাকতে পারলাম না। আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ তা’আলা তাঁকে সুস্থ করেছেন।
ডাক্তার তাকে বলেছিলেন তিনি লাস্ট স্ট্যাজে আছেন, খুব বেশী দিন টিকবেন না। তবে দ্রুত ক্যামো নেয়ার পরামর্শ দেন। যদি এতে লাইফ স্প্যান কিছুটা বাড়ে। তিনি ক্যামো নিতে রাজি হননি। বাসায় ফিরে বিশেষ কিছু খাবার খেতে শুরু করেন। কি খাবার খেতেন, কথা বলতে বলতে তার নোট নিলাম।
১. প্রতিদিন সকালে খালি পেটে হাতের তালুতে কালিজিরার গুড়া ও মধু নিয়ে তা পান করা (মধু পানের অব্যবহিত পরে পানি না খাওয়া, কেননা এতে মধুর কার্যকারীতা হ্রাস পায়)
২. কালিজিড়ার গুড়া সাথে অলিভ অয়েল পান। গুড়া খেলে ভালো ফল পাওয়া যাবে
৩. মেথির দানা পানি দিয়ে গিলে খাওয়া (দুই দিন অন্তর অন্তর)
৪. আজুয়া খেজুর প্রতিদিন ৭টা অথবা ৩টা
৫. খাবারের সাথে লাউ, তরকারি হিসেবে নিয়মিত খাওয়া
৬. পাঁচটা সবজি মিশিয়ে তরকারি খাওয়া (গাজর, বিট রূট, লাউ, বেগুন) সাথে অলিভ অয়েল
৭. কড়লা সিদ্ধ করে সাথে অলিভ অয়েল দিয়ে খাওয়া
৮. জমজম পানি সাধারণ পানির সাথে মিশিয়ে সারাক্ষণ পান করা।
এভাবে চললেন বেশ কিছুদিন। যখন সুস্থ বোধ করলেন তখন ডাক্তারের সাথে দেখা করতে গেলেন। ভদ্রলোকের ভাষায়, ডাক্তার ভেবেছিলেন আমি এর মধ্যে মরে গেছি। ডাক্তার ক্যান্সারের অবস্থা কেমন তা দেখতে বেশ কিছু টেস্ট করালেন। ফলাফল হাতে এলে ডাক্তার সাহেব অবাক। চক্ষু ছানাবড়া। ক্যান্সারের নাম নিশানা নেই (আলহামদুলিল্লাহ)।
উনি আরও বলেন, তার সাথেই একজন স্কিন ক্যান্সারের আক্রান্ত হয়েছিল। উনার খুব পরিচিত। সে ক্যামো থেরাপি নিয়েছিল। অল্প দিনের মধ্যে সে ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করেন। উনার মতে ক্যামো থেরাপি কোন ভালো চিকিৎসা নয়। আমি তার সাথে একমত পোষন করলাম। কেননা আমার আব্বা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেন। ক্যামো দেয়ার পর তিনি দূর্বল থেকে দূর্বলতর হতে থাকেন। দ্রুত তাঁর অবস্থা খারাপ হতে থাকে। অথচ ক্যামো দেয়ার পূর্বে তিনি পরিপূর্ণ সুস্থ ছিলেন। ক্যামোর উদাহরণ হলো: শত্রু-মিত্র উভয়ের উপর ব্রাশ ফায়ারে করার মতো। এতে রোগ জীবাণু (শত্রু) যেমন মারা যায়, সাথে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা যাকে ইমিউনিটি সিস্টেম (মিত্র) বলে তাও ধ্বংস করে দেয়া হয়। আর এ কারণে দেখা যায় ক্যামো থেরাপি নেয়ার পর রুগী নানা নতুন নতুন রোগে আক্রান্ত হতে হতে অবশেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
কেউ কেউ বলেন, পৃথিবীতে এতো রোগ ব্যধির টীকা আবিষ্কৃত হয়েছে, অথচ ক্যান্সারের কোন টীকা আবিষ্কার হয়নি কেন? এর কারণ ঔষধের ব্যবসা। ক্যামো থেরাপি, রেডিয়েশন থেরাপি ইত্যাদির ব্যবসায়ীরা ক্যান্সারের চিকিৎসা আবিষ্কার হবার প্রধান বাঁধা। এই চক্রই হয়তো আজ সমকামীতার প্রমোটার। কেননা সমকামীদের নিয়মিত ভ্যাক্সিন নিতে হয়। যারা এধরণের অপরাধের সাথে জড়িত তাদের মারাত্মক রোগ প্রতিনিয়ত আক্রমণ করে। যার মাঝে এক বিশেষ ধরনের ক্যান্সার অন্যতম। এছাড়া হেপাটাইটিস বি, এইস আই ভি, গনোরিয়া, অন্যতম। প্রতিনিয়ত এদের টিকা নিতে হয়। প্রতিবছর আনুমানিক ৬টা করে ভ্যাক্সিন নিতে হয়। প্রতি তিনমাস অন্তর অন্তর এদের শরীরে নানাবিধ পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে হয়। এগুলো সব ওষুধের ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত। আল্লাহু আলম।
যাহোক ভদ্রলোকের কথায় ফিরে আসি। তিনি আরও বলছিলেন, তার গত ১০-১৫ বছরে তেমন কোনো রোগ ব্যধি নেই। ডাক্তার প্রতিবছর চেক আপ করার পরামর্শ দেন। উনি এড়িয়ে যান। তিনি অনেককে রোগ ব্যধির চিকিৎসা বিষয়ে নানা পরামর্শও দেন। তার পরামর্শে অনেকে ভালো আছেন, আলহামদুলিল্লাহ। তবে তার চিকিৎসা মূলত কোরআন হাদীসের আলোকে চিকিৎসা।
কালিজিরা, মধু, অলিভ/জয়তুন সম্পর্কে কোরআন হাদীস আলোচনা হয়েছে যা আমাদের অনেকের জানা আছে। কোরআন হাদিসে যাদের বিশ্বাস রয়েছে, তাদের উল্লেখিত ভদ্রলোকের কথাকে অসত্য মনা করার কোন সুযোগ নেই।
আল্লাহ তা’আলা আমাকে, আমার পরিবার ও আপনাদের সকলকে সুস্থ রাখুক, আ-মীন।
Leave a Comment
Your email address will not be published. Required fields are marked with *