সুপ্রভাত সিডনি রিপোর্ট : সিডনির ল্যাকেম্বা একটি ব্যস্ত নগরী। মানুষ দূর দূরান্ত থেকে বাজার করা ছাড়াও হালাল রেস্তোরাঁ,মসজিদ বা একনজর ঘুরে দেখার জন্য আসেন। সপ্তাহান্তে বা সপ্তাহের শুরুতে বলে কোনো কথা নেই, সপ্তাহের যে কোন দিনই একই রকম প্রায় ব্যস্ত। বিভিন্ন দেশের, বিভিন্ন ভাষাভাষী, বিভিন্ন বর্ণের, বিভিন্ন জাতের লোকের সমারোহ এ এলাকায়। তবে মুসলমানের আধিক্য
সুপ্রভাত সিডনি রিপোর্ট : সিডনির ল্যাকেম্বা একটি ব্যস্ত নগরী। মানুষ দূর দূরান্ত থেকে বাজার করা ছাড়াও হালাল রেস্তোরাঁ,মসজিদ বা একনজর ঘুরে দেখার জন্য আসেন। সপ্তাহান্তে বা সপ্তাহের শুরুতে বলে কোনো কথা নেই, সপ্তাহের যে কোন দিনই একই রকম প্রায় ব্যস্ত। বিভিন্ন দেশের, বিভিন্ন ভাষাভাষী, বিভিন্ন বর্ণের, বিভিন্ন জাতের লোকের সমারোহ এ এলাকায়। তবে মুসলমানের আধিক্য থাকায় ল্যাকেম্বায় মসজিদ ও মুসল্লার সংখ্যাও অস্ট্রেলিয়ার যেকোন জায়গা থেকে একটু বেশি।
সুপ্রভাত সিডনি ল্যাকেম্বার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বিগত প্রায় ১৫ বছর নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। সরাসরি কাউন্সিলের মেয়র, স্টেট বা ফেডারেল এমপিদেরকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন উন্নয়নের জন্য প্রস্তাব করে সফল হয়েছে।
এরই ফলশ্রুতিতে তিনটি বিশেষ প্রস্তাব রাখা হয় কাউন্সিল বরাবর। প্রথম প্রস্তাব রাখা হয়, ল্যাকেম্বা উলওয়ার্থ থেকে ল্যাকেম্বা মুসল্লা পর্যন্ত স্পিড হাম্প প্রয়োজন। মুসল্লার সামনের জেব্রা ক্রসিংয়ে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় অনেকে এ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন, এমনকি ছোট ছোট ছেলে মেয়ে ও এ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত -অবশেষে কাউন্সিল সরজমিনে তদন্ত করে একটি স্পিড হাম্প তৈরি করছে ।
দ্বিতীয় প্রস্তাব ছিল, সমগ্র হেলডন স্ট্র্রিট অর্থাৎ উলওয়ার্থ থেকে শুরু করে ক্যান্টারবুরি রোড পর্যন্ত শুক্রবার দুপুর ১২ টা থেকে শুরু করে দুপুর ২টা পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ করতে হবে। সম্মিলিতভাবে জুম্মার নামাজ আদায় করতে এ রাস্তা বন্ধের আবেদন।
তৃতীয় প্রস্তাব, ল্যাকেম্বার মসজিদ ও এবং মুসাল্লাগুলোতে মাইকে ৫ বেলা আজান দেবার অনুমতি। ২৪ ঘণ্টায় মাত্র ১০ মিনিট যাবে ৫ ওয়াক্ত নামাজের আজানের জন্য। আমেরিকা, কানাডা, ইংল্যান্ডের মতো দেশে লাউড স্পিকারে আজান হচ্ছে ৫ ওয়াক্ত। অস্ট্রেলিয়ায় হতে আপত্তি কেন ? আমরা আইন মেনে, সরকারের টেক্স দিয়ে অস্ট্রেলিয়াতে দীর্ঘদিন অস্ট্রেলিয়ার সিটিজেন হিসেবে সকল ধর্মের মানুষের সাথে সহবস্থান করছি। বিভিন্ন বর্ণবাদী দেশের মতো অস্ট্রিয়াতে সে ধরনের তেমন কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু যে সমস্ত দেশে প্রকাশ্যে বর্ণবাদী কর্মকাণ্ড বিদ্যমান, সে সমস্ত দেশেই আজান হচ্ছে লাউড স্পিকারে। অস্ট্রেলিয়াতে নয় কেন? কে নেবে এ উদ্যোগ ? আমরা কি কখনো ভেবেছি এ ধরনের প্রস্তাব ? কে কবে কখন প্রস্তাব করেছেন ? না করে থাকলে এ রিপোর্ট আপনার জন্য রিমাইন্ডার হিসেবে কাজ করবে।
নির্বাচনের সময় লোক দেখানো কিছু কর্মকাণ্ড হাতে নিলেই দায়িত্ব শেষ নয়, কমিউনিটির কাজ করতে চাইলে গোটা বছরই করা যায় নীরবে বা প্রকাশ্যে। বিভিন্ন এলাকায় আপনাদের জনহিতকর কর্মকাণ্ড আমাদেরকে ইমেইল করুন, আমরা তা যত্ন সহকারে ছাপার চেষ্টা করবো।
Leave a Comment
Your email address will not be published. Required fields are marked with *