728 x 90

বাংলাদেশের রাজনীতি, ভারতের কূটনীতি 

পূর্ব প্রকাশের পর (পর্ব ৬) সত্যানন্দ চৌধুরী: প্রণব মুখার্জির চাণক্য কূটনীতি বনাম রাজনৈতিক অদূরদর্শী নেত্রী ম্যাডাম জিয়ার ‘লাড়েলাপ্পা’ রাজনীতি অথচ তাঁদের থেকে একজনও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ক্যু করবে তো দূরের কথা বরং দেশের  ৪ (চার) শীর্ষসন্ত্রাসী (আনিস-হারিস- যোসেফ-টিপুর) সহোদর জেঃআজিজ তো শেখহাসিনারপ্রতি কেবলগৃহ- ভৃত্যের ন্যায় অনুগত থেকে কাজ করে গেছে তা নয়।বিএনপি-জামায়াত নেতাদের গুম-খুন এবংশাপলাচত্তর

পূর্ব প্রকাশের পর (পর্ব ৬)

সত্যানন্দ চৌধুরী: প্রণব মুখার্জির চাণক্য কূটনীতি বনাম রাজনৈতিক অদূরদর্শী নেত্রী ম্যাডাম জিয়ার ‘লাড়েলাপ্পা’ রাজনীতি অথচ তাঁদের থেকে একজনও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ক্যু করবে তো দূরের কথা বরং দেশের  ৪ (চার) শীর্ষসন্ত্রাসী (আনিস-হারিস- যোসেফ-টিপুর) সহোদর জেঃআজিজ তো শেখহাসিনারপ্রতি কেবলগৃহ- ভৃত্যের ন্যায় অনুগত থেকে কাজ করে গেছে তা নয়।বিএনপি-জামায়াত নেতাদের গুম-খুন এবংশাপলাচত্তর মেসাকারে তৎকালীন পুলিশ কমিশনার বেনজিরএর অন্যতম সহযোগী ছিল তৎকালীন বিজেবি প্রধানএই আজিজআহমেদ। তবে একজন বিশ্বস্ত সেনাপ্রধান নিয়োগ দিতেই যে অদূরদর্শী খালেদাজিয়া ভুল করেছেন কেবল তা নয় তিনি বিএনপি সরকারের সামরিক-বেসামরিক প্রশাসনের সকল প্রকার স্পর্শকাতর পদে নিয়োগ দেবার বেলাও একই রকম ভুল করে র- এর গুপ্তচর আমলাদের দিয়ে দেশ পরিচালনা করতে গিয়ে দেশের বৃহত্তম ও সবচেয়ে জনপ্রিয় দল বিএনপিরএই অভাবনীয় করুণ পরিণতিও দুঃখজনকপতন ডেকে আনেন। অথচ বিএনপিনেত্রী ছিলেন একজন সাবেক সেনাপ্রধানেরস্ত্রী, অধিকন্ত তিনি সারা জিন্দেগিই বসবাস করে আসছিলেন সেনানিবাসের অভ্যন্তরে। সেই বিবেচনায় সেনাবাহিনীর উচ্চ পদস্থ অফিসারদের রাজনৈতিক পরিচিতি এবং বিশেষ করের-এর গুপ্তচর কিনা এই সব গোয়েন্দাবিষয়াদি যাচাই-বাচাই করা উনার জন্য যতটুকু সহজসাধ্য ছিল বেসামরিক পরিবেশে বসবাস করে আসা তাঁর প্রতিপক্ষ শেখহাসিনার কাছে মোটেও তত সহজ ছিল না। অথচ একজন যোগ্য ও বিশ্বস্ত সেনাপ্রধান বেছে নিতে খালেদাজিয়া বরবরই হয়েছেন ব্যর্থ। (অর্থাৎ৩জনের মধ্যে ৩ জনই বিগড়িয়ে যান)। পক্ষান্তরে শেখহাসিনা সফল হয়েছেন সদা-সর্বদা। (অর্থাৎ ৭ জনের মধ্যে৭জনইথেকেছেন একান্ত অনুগত)। কেন?এর উত্তর সম্মানিত পাঠকদের হাতেই সমর্পন করা হল।

 

-তিন-

১৯৯১-৯৫ মেয়াদে বিএনপি সরকার চালানোর নমুনা পর্যালোচনা করে বুভুক্ষু শকুনের দৃষ্টিতে তাকিয়ে

থাকা ভারতের আধিপত্যবাদী শাসক শ্রেনীর কর্তা ব্যক্তিরা বুঝে গেছেন নেত্রী খালেদা জিয়ার রাষ্ট্র পরিচালনার স্টাইল। তাঁরা এও বুঝে গেছেন, যে রকম জাতীয়তাবাদী স্পিরিট ও ভারতের প্রভাবকে মোকাবেলা করতে চীনের সহিত স্ট্রাটেজিক সম্পর্ক বজায় রেখে দূরদর্শী ও কালজয়ী নেতা প্রয়াত শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দল ও দেশ চালিয়েছিলেন এর সাথে খাপ খাইয়ে বেগম জিয়া তাঁর নিজ মেধায় রাষ্ট্র পরিচালনার দিক-নির্দেশনা ঠিক করতে মোটেও সক্ষম নন। তাঁরা দেখে গেছেন, খালেদা জিয়া তাঁর নিজ মেধা প্রসূত নয় বরং পুরোপুরি ভাবে তাঁর পরামর্শদাতা কিছু শীর্ষ আমলা আর নেতা-উপদেষ্টাদের উপর নির্ভর করেই দল-সরকার দুইই পরিচালনা করে থাকেন। বিএনপি নেত্রীর এই অদূরদর্শিতার সুযোগ নিতে ভারতীয় চাণক্য নীতির চতুর নেতা প্রণব বাবুরা ভুল করবে তা কল্পনাও করা যায় না। তাই বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া সকল অপরাজনীতির নাটের গুরু প্রণব মুখার্জির পরিকল্পনায় কিভাবে ষড়যন্ত্রের জাল বুনা হয়েছিল, শুনুন!! ১৯৯৬-২০০০ মেয়াদে আওয়ামী শাসন আর বাংলাদেশের তখনকার রাজনৈতিক গতি-প্রকৃতির উপর একাধিক সংস্থার জরিপ ও র-এর গোয়েন্দা প্রতিবেদন বিশ্লেষণ পূর্বক ভারতীয় শাসক শ্রেণীর দলপতি প্রণব মুখার্জি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল যে ২০০১ এর কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয়লাভের বিন্দুমাত্রও সম্ভাবনা নাই অর্থাৎ বিএনপিই ক্ষমতায় বসবে। [বাস্তবে তাঁদের পূর্বাভাষ সত্যতায় প্রমানিত হয়ে যায় নির্বাচনে বিএনপির দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যা গরিষ্ঠতায় বিজয়ে]  এই অবস্থায় প্রণব বাবুসিদ্ধান্ত নিলেন-তাঁদের বিশ্বস্ত কিছু আমলা-নেতাদের যদি বিএনপিতে আগে-ভাগেই কায়দা করে ঢুকিয়ে দেয়া যায় তবে ২০০১-এ বিএনপি সরকার গঠন করলেও রাষ্ট্র-চালনায় বেগম জিয়ার লাগাম টেনে ধরে সরকার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। অর্থাৎ টক তেঁতুল গাছ থেকেও যদি মিষ্টি-মধুর আঙুর খাওয়া যায় তাহলেই তো হল। যে রকম চিন্তা সেরকম কাজ। ২০০১ নির্বাচনের আগে-ভাগে বিএনপির নীতি নির্ধারনী পর্যায়ে র-এর বাছাই করা কিছুনেতার অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে দেয়ার প্লান করা হল যেন তাঁদের প্রভাব কাজে লাগিয়ে গদিতে আসীন হওয়ার পর পর বিএনপি সরকারের শীর্ষ পদ সমূহে র-এর বাছাই করা আমলাদের বসিয়ে বিএনপি সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। সাধারণত বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন আসন্ন হলেই দেখা যায় বিএনপি আর আওয়ামী লীগ উভয় দলই দেশের বিশিষ্ট ব্যাক্তি স্বনামধন্য ব্যবসায়ী বা জাঁদরেল সামরিক-বেসামরিক আমলাদের নিজ-নিজ দলে ভিড়ান কোন এক প্রতিযোগিতায় মেতে উঠে। ক্ষমতা লিপ্সু ঐ সকল তাঁদের নিজ নিজ পছন্দের রাজনৈতিক তাঁদের ২০০১-এর নির্বাচনের আগ মূহূর্তেঢু উল্লেখযোগ্য যাঁদের নাম না বললেই নয়ঃ-আগা গোঁড়া আওয়ামী ঘরানার ব্যবসায়ী আবদুল আওয়াল মিন্টু। আগা গোঁড়া আওয়ামী ঘরানার আমলা ডঃ ইনাম আহমেদ চৌধুরী।এই পরিকল্পনার অংশ হিসাবে র-এর অতি আস্থাভাজন ব্যক্তি ডঃ গওহর রিজভীর বেয়াই আপদমস্তক আওয়ামী পন্থী ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবদুল আওয়াল মিন্টু সাহেবকে ২০০০ সালের দিকে ঢাকার মেয়র প্রার্থী হিসাবে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পাওয়ার কষ্টকে অজুহাত দেখিয়ে (যা ছিল বিএনপির চোখে ধুলা দেয়ার এক কৌশল) দলে ঢুকিয়ে দেয়া হয়। দলীয় তহবিলে মোটা অংকের চাঁদার নিশ্চয়তা আর স্বনামধন্য ব্যবসায়ী তদুপরি নিজ জেলা নোয়াখালীর লোক হিসাবে নেত্রীও তাঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে কেবল বরণ করেই ক্ষান্ত হন নাই, রাতারাতি দলের ভাইস চেয়ারম্যানের পদ ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হিসাবে স্থান করে দেন। যে ব্যক্তি আওয়ামী পন্থী হিসাবে পূর্বে এফবিসিসিআই এর সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং ভারত ও হাসিনা সরকারের অতি আস্থাভাজন ছিলেন বিধায় ১৯৯৬-এ ক্ষমতায় এসে হাসিনা সরকার ভারত থেকে বিমানবাহিনীর জন্য ৫০ বছরের পুরাতন প্রায় পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা মিগ ২১ যুদ্ধ বিমান (কেননা মিগ বিমান ভারত প্রস্তুত করে না তাই ভারত থেকে রাশিয়ার তৈরি মিগ কেনা মানে ভারতের ব্যবহার করা পুরাতন বিমান রং করিয়ে তাও আবার নতুন মিগের সমতুল্য দামে কেনা) আর দক্ষিণ কোরিয়া থেকে নৌবাহিনীর ফ্রিগেট কেনার তিন হাজার কোটি টাকার এলসি খোলার দায়িত্ব এই মিন্টু সাহেবকে দিয়েছিলেন।

সামরিক বাহীনির এই কন্ট্রাক্ট থেকে কমিশন বাবদই জনাব মিন্টু সাহেব শতাধিক কোটি টাকা নিজের পকেটে হাতিয়ে নিয়েছেন। এত বড় ব্যাবসায়িক সুবিধা আর ভারত সরকারের অতি  আস্থাভাজন শেখ হাসিনার পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ডঃ গওহর রিজভী সাহেবের বিয়াই আজন্ম আওয়ামী ঘরনার এই মিন্টু সাহেব কিনা হাসিনার সাথে রাগ করে বিএনপিতে এসে যাবে? এর কোন যুক্তি থাকতে পারে? অথচ তিনিই এখন দলের এই চরম দুর্দিনে বিএনপির ত্রাণ-কর্তা হিসাবে এখনো বহাল তবিয়তে বর্তমান আছেন!! কেননা দলের ব্যাংক-ফান্ড পরিচালনায় সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকায় তিনি চলে গেলে বিএনপি ভাত নয়, চা খাওয়ারই পয়সা পাবে না? এই মিন্টু সাহেবকে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে বসিয়ে র কেবল বিএনপির লাগামই ধরে রাখতে সক্ষম হন নাই। মিন্টু সাহেবের  কোম্পানির মাধ্যমে এলসি খুলে ভারতের ব্যবহৃত পুররো মিগ রং করিয়ে নতুন মিগের চেয়েও বেশী দামে কেনা এবং ফ্রিগেট কেনায় লুটপাটের ঘটনার মুল হোতা প্রণব-হাসিনা চক্রকে আড়াল করে রাখতেও সক্ষম হয়েছিলেন। ২০০১ সালে গদিতে বসে এই গলার-কাটা মিগ নিয়ে একবার মেডামের নিজের মুখেই বলতে শুনেছি পুরাতন এই মিগ আকাশে উড়তে পারে না বিধায় স্ক্যাপ হিসাবে বিক্রি করে দিবেন। কিন্তু পরবর্তীতে মেডামের কুচক্রী উপদেষ্টারা রাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে এইভাবে ঢালাও কথা বলা ঠিক না বলে ‘অবুঝ’ মেডামকে বুঝিয়েছেন। দ্বিতীয়ত এর অন্যতম এক সুবিধাভোগী মিন্টু সাহেব এখন বিএনপির কেবল নেতাই নন, দলের তহবিলের অন্যতম যোগানদাতা বলে মেডামকে সবক দেয়ায় তা আর বেশীদুর আগায় নাই। দেশের প্রতিরক্ষার কোন দুর্বলতা নিয়ে প্রাকাশ্যে কথা বলা মোটেও ঠিক নয় আমরা জানি। কিন্ত সামরিক দিক বিবেচনায় তিন দিকে ঘেরা ভারতই হল একমাত্র দেশ যেখান থেকে আমাদের আক্রমণ আসার সম্ভাবনা বিদ্যমান। কাজেই এই ভারতই যখন জানে আমাদের মিগ আকাশে উড়তেই পারে না তবে আর অন্য কেউ জানলে অসুবিধা কি? মায়ের কাছে মাসীর গল্প বলতে দোষের কি আছে? এইভাবে প্রণব বাবুরা সাপও মারল আর লাঠিও ভাঙল না। কূটনৈতিক মারপ্যাঁচে চৌকশ র-এর খেলা যদি ম্যাডাম জিয়া বুঝতে পারতেন তাহলে কি বিএনপির এই লেজে-গোবরে অবস্থা হয়? একই ভাবে ২০০১ ‘নির্বাচনী ঢামাঢোলের’ মধ্যে পেশাজীবী থেকে আগত পারিবারিক ভাবেই আপাদমস্তক আওয়ামী পন্থী অবসর প্রাপ্ত আমলা র-এর অন্যতম গুপ্তচর ডঃ ইনাম আহমেদ চৌধুরীকেও দলে ঢুকিয়ে  একেবারে নেত্রী ম্যাডাম জিয়ার উপদেষ্টা হিসাবে বসিয়ে দেয়া হয়। অথচ এই ডঃ ইনাম আহমেদ চৌধুরীর অগ্রজ, অনুজ সকল ভাই, বোন, ভগ্নিপতি, কাজিনরা সহ সমস্ত গোষ্ঠী  এমনকি তাঁদের বাড়ীর পোষা কুকুর- বেড়ালগুলোও পর্যন্ত কট্টর আওয়ামী পন্থী।[আওয়ামী লীগের তৎকালীন পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ও সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ফারুক আহমেদ চৌধুরী ছিলেন তাঁর আপন বড় ভাই] অথচ বিএনপির চোখে ধুলা দিয়ে মুখোশ পরা এই গাদ্দার আমলা দীর্ঘ দিন নেত্রীর উপদেষ্টা হিসাবে ‘কুউপদেশ’ দিয়েই যে গেছেন তা ভেঙ্গে বলার কি দরকার আছে? মইনুদ্দিনের সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের-প্রধান-উপদেষ্টা ডঃ ফখরুদ্দীন ছিলেন তাঁর আপন ভগ্নিপতি।

পররাষ্ট্র-উপদেষ্টা ডাঃ ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী ছিলেন তাঁর আপন ছোট ভাই। তাছাড়াও দুদকের চেয়ারম্যান জেঃহাসান মশহুদ চৌধুরী ছিলেন উনার বংশবদ কাজিন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এত বড় বড়

মহা-ক্ষমতাধর ব্যক্তিরা একেবারে নিজের পরিবারের লোক হওয়ার পরও বিএনপির উপর বয়ে যাওয়া সুনামী ঠেকাবে ত দুরের কথা মানবিক বিচারে সম্পূর্ণ নিরাপরাধ-নির্দোষ বন্দি বিএনপির কান্ডারি ধরার সম্ভাবনাময় নেতা তারেক জিয়াকে বর্বরোচিত ভাবে নির্যাতন করে কোমরের হাড় ভাঙ্গার কাজ রুখতেও কোন ভূমিকা রাখেন নাই। ২০০১-এর নির্বাচনের আগ মুহূর্তে দলে আসিন হয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার পর এই চতুর বর্নচোরা আওয়ামী আমলা বিএনপি থেকে কেবল সুবিধাই নিয়েছেন। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল-প্রথমেই নিজের ছোট ভাই ডঃ ইফতেখার আহমেদ চৌধুরীকে পূর্ববর্তী হাসিনা সরকার কর্তৃক নিয়োগ পাওয়া জাতিসংঘে স্থায়ী প্রতিনিধির পদ পাকাপোক্ত ভাবে ধরে রাখতে ভূমিকা রাখেন। তিনি নিজে প্রতিমন্ত্রীর পদ-মর্যাদায় প্রাইভেটাইজেশন বোর্ডের চেয়ারম্যন পদ বাগিয়েছেন। তাঁর ভগ্নিপতি ডঃ ফখরুদ্দিনের জন্য কেন্দীয় ব্যাংকের গভর্নর পদ বাগিয়েছেন। কূটচালে ম্যাডামকে বুঝিয়ে তাঁর ঘনিষ্ঠ এবং র এর আস্থাভাজন গুপ্তচর জেঃ হাসান মশহুদ চৌধুরী কে ২০০২ সালে সেনাপ্রধানের পদে বসাতেও ভুমিকা রাখেন। নেত্রীর চরম অদূরদর্শিতার সুযোগ নিয়ে এই গুপ্তচর আমলা ইনাম আহমেদ চৌধুরী বিএনপির স্পর্শকাতর গুরুত্বপূর্ণতথ্যাদি সময়ে সময়ে হাসিনা তথা প্রণব বাবুদেরকে পাচার করেই ক্ষান্ত থাকেন নাই, দলের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচী প্রনয়ন এবং সিদ্ধান্ত গ্রহনে নেত্রীকে ভুল পরামর্শ দিয়ে বিএনপিকে চরম ভাবে ব্যর্থ হতেও সর্বদা সচেষ্ট ছিলেন। র-এর নীল নকশায় এভাবে ধীরে ধীরে বিএনপির মাজা ভাঙ্গার কাজ সম্পূর্ণ ভাবে শেষ করার পর দেশের সবচেয়ে বেশী জনপ্রিয় এই দলটিকে একেবারে বিছানায় শুইয়ে দিয়েই কেবল সম্প্রতি ২০১৮ এর নির্বাচনের আগে (সিলেট- ১ আসন থেকে মনোনয়ন না পাওয়ার ক্ষোবকে অজুহাত দেখিয়ে) ‘ঘরের ছেলে ঘরে’ অর্থাৎ এই মোনাফেক- ডঃ ইনাম আহমেদ চৌধুরী তাঁর প্রাণের দল আওয়ামী লীগে ফিরে গেছেন। পরদিন পত্রিকার পাতায় হাসিনার সাথে হাসোজ্জল সাক্ষাত আর সিলেটের আওয়ামী নেতা প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী মুহিত সাহেবের সহিত তার হাসোজ্জল করমর্দন আর উষ্ণ আলিঙ্গনের ছবিতেই ‘ঘরের ছেলে ঘরে’ ফিরে যাওয়ার আনন্দ ফুটে উঠতে দেখা গেছে!

Read More

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked with *

সর্বশেষ পোস্ট

Advertising