সুপ্রভাত সিডনি রিপোর্ট: সিডনি থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরের কোলেডেলের শার্কি সমুদ্র সৈকতে সেলফি তুলতে গিয়ে সমুদ্রে ডুবে বাংলাদেশের মার্কেন্টাইল ব্যাংক প্রধান শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট নেওয়াজ মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ (৪১) মৃত্যু হয়েছে। তিনি ঢাকায় বসবাস করতেন। তার আদি নিবাস নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার সেতুভাঙা এলাকায়। মরুমের ভাই নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ নেওয়াজ মোহাম্মদ
সুপ্রভাত সিডনি রিপোর্ট: সিডনি থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরের কোলেডেলের শার্কি সমুদ্র সৈকতে সেলফি তুলতে গিয়ে সমুদ্রে ডুবে বাংলাদেশের মার্কেন্টাইল ব্যাংক প্রধান শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট নেওয়াজ মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ (৪১) মৃত্যু হয়েছে। তিনি ঢাকায় বসবাস করতেন। তার আদি নিবাস নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার সেতুভাঙা এলাকায়।
মরুমের ভাই নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর সাইফুল্লাহ দুর্ঘটনার সংবাদটি নিশ্চিত করে বলেন, ১১ এপ্রিল তিনি সিডনিতে স্বপরিবারে বেড়াতে আসেন। ‘আমার ভাইয়ের কয়েকজন বন্ধু থাকে সিডনিতে। ঈদের দিন সিডনির উদ্দেশে তাঁর স্ত্রী ও তিন ছেলে নিয়ে রওনা দেয় সে। নেওয়াজ মোহাম্মদ সাইফুল্লাহর অপর দুই বন্ধুসহ মসৃন পাথরের ভয়ানক সৌন্দর্যের জায়গায় সেলফি তুলতে গেলে তিনজন পিছলে সমুদ্রে পড়ে যায়। বাকি দুইজন কোনরকম কূলে উঠে কিন্তু নেওয়াজ মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ উঠতে সক্ষম হয়নি। এ নিয়ে পর পর বিভিন্ন স্পটে সমুদ্রে ডুবে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশী ইন্তেকাল করেছেন।
গত বছরের জুলাই থেকে একই স্পটে ৪৩ জন মারা গিয়েছে।
সার্ফ লাইফ সেভিং সাউথ কোস্ট ব্রাঞ্চের প্রেসিডেন্ট স্টিফেন জোনস বলেন, তিনজনের দলটি জনপ্রিয় রক লেজে ছবি তুলছিল, একটি বড় ঢেউ তাদের সমুদ্রে টেনে নিলে দুইজন কিনারায় উঠে, একজন ডুবে যায় । সার্ফ লাইফ সেভিং স্বেচ্ছাসেবকরা বোম্বো বিচ থেকে প্রায় ৫০ মিটার দূরে পানি থেকে নেওয়াজ মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
ওই অঞ্চলের মেয়র নিল রিলি বলেছেন যে তিনি বুঝতে পেরেছেন কেন লোকেরা দুর্দান্ত ফটো তুলতে এই অঞ্চলে ভিড় করেছে।”এটি বন্য এবং সুন্দর তবে এটি বিপজ্জনক এবং প্রাণঘাতীও হতে পারে”। মেয়র এলাকার দর্শনার্থীদের পাথর থেকে নিরাপদ দূরত্ব এবং অপ্রত্যাশিত সার্ফ থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানান। কিয়ামা কাউন্সিল বলেছে যে বোম্বো হেডল্যান্ড কোয়ারিতে অবস্থিত বিপদ সম্পর্কে সতর্কতা সংকেত রয়েছে। মানুষ কেন ওগুলো না মেনে “রক ফটো” তুলতে যায়, তা বোধগম্য নয়।
সার্ফ লাইফ সেভিং এনএসডব্লিউ-এর প্রধান নির্বাহী স্টিভেন পিয়ার্স বলেন, গত কয়েক বছরে আমরা অনেক ঘটনা দেখেছি যেখানে মানুষ পাথরের প্ল্যাটফর্ম থেকে সেলফি তুলতে এবং দুর্ভাগ্যবশত, পাহাড় থেকে পড়ে গিয়ে সমস্যায় পড়েছেন। তিনি আরো বলেন, ভ্রমণকারীদের জন্য একটি “অন্তর্নিহিত বিপদ” কিন্ত জায়গাটি সুন্দর দুর্গম অবস্থানে, তবে সমস্যায় পড়লে প্রায়শই আশেপাশে কোন সাহায্য করার মতো কেউ নেই। তিনি আরো বলে, যেখানে ফ্ল্যাগ দেয়া আছে এবং লাইফ গার্ড আছে ,শুধুমাত্র সেসমস্ত জায়গায় যাওয়া উচিত , অন্যথায় বিপদের সম্মুখীন হতে হয়। এতে দেখা গেছে পর্যটকরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে , মৃত্যুর সবচেয়ে সাধারণ কারণ হল পাহাড় বা জলপ্রপাত থেকে পিছলে পড়ে যাওয়া।
বাংলাদেশী পর্যটক এবং আমারা যারা এদেশে বসবাস করি, আমাদের সবাইকে আরো বেশি সতর্ক হতে হবে। বিশেষ করে দেশ থেকে কেউ বেড়াতে এলে আমাদেরকে আরো বেশি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
Leave a Comment
Your email address will not be published. Required fields are marked with *