দরজার পিছনে একটা টিকটিকি সময়ের ঘন্টা বাজায় হয়তোবা আমার একাকিত্বের- টিক, টিক, টিক। ভীষণ অনীহায় আত্মাটা মরে গেছে তার থেকে জম্ম নেয় এক প্রেতাত্মা। মানুষের অবয়ব ক্রমশ হারিয়ে যায় ধীরেই যেন এই সমগ্র পৃথিবীটা একটা ধ্বংসস্তুপ! আমার কল্পনারা সেই মৃত্যু শরীরে মিশে যেতে থাকে। চারপাশে নেমে আসে ঘুটঘুটে আঁধার, দগ্ধ ক্ষতের অসহ্য পীড়ায় চোখে
দরজার পিছনে একটা টিকটিকি
সময়ের ঘন্টা বাজায় হয়তোবা আমার
একাকিত্বের- টিক, টিক, টিক।
ভীষণ অনীহায় আত্মাটা মরে গেছে
তার থেকে জম্ম নেয় এক প্রেতাত্মা।
মানুষের অবয়ব ক্রমশ হারিয়ে যায় ধীরেই
যেন এই সমগ্র পৃথিবীটা একটা ধ্বংসস্তুপ!
আমার কল্পনারা সেই মৃত্যু শরীরে মিশে যেতে থাকে।
চারপাশে নেমে আসে ঘুটঘুটে আঁধার,
দগ্ধ ক্ষতের অসহ্য পীড়ায় চোখে জ্বালা করে।
তবু স্বচক্ষে দেখতে হয় মনুষ্যত্বকে হারিয়ে
যেতে লিপ্সা আর জিঘাংসার যাঁতাকলে,
সভ্যতাকে ঢুকে যেতে জরায়ুর গোপন প্রকোষ্ঠে।
হীনমন্যতা গ্রাস করে অস্থি-মজ্জাসহ বিবেক।
মানুষের দৃশ্যমান অবয়বে তোমরা মিশে যেও না
এমন অন্ধকারাচ্ছন্ন সংকটময় সন্ধিক্ষণে।
যদি কভু ঘোর কাটে, ফুটে বিবেকের রশ্মি
হে মানুষ তোমরা আবার ফিরে এসো-
কানে কানে শুনিও তোমাদের সেই গত জীবনের
জিঘাংসু আত্মার ইতিবৃত্ত।
টিকটিকিও শুনবে তোমাদের অতীত বৃত্তান্ত,
মাঝপথে কথার ছেদ কেটে বলবে
টিক, টিক, টিক।
Leave a Comment
Your email address will not be published. Required fields are marked with *