এম,এ,ইউসুফ শামীম: আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের লীলাভূমি বা সূতিকাগার বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা নির্মূল করছে , জাতিকে দায় মুক্ত করেছে। সম্প্রতি বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা আওয়ামীলীগের প্রাণ কেন্দ্র ৩২ নাম্বার ধানমন্ডি গুড়িয়ে দিয়েছে যা বিশ্বের প্রথম সারির প্রায় সকল মিডিয়ায় স্থান করে নিয়েছে।
আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের লীলাভূমি কিংবা সূতিকাগার হিসেবে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ি দীর্ঘকাল ধরে পরিচিত ছিল। এই স্থানটি ছিল এক সময়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, বিরোধী দলের নেতা-কর্মী, সাধারণ মানুষ এবং নিরীহ জনগণের ওপর অমানবিক নির্যাতন, গুম, ও হত্যাকাণ্ডের কেন্দ্র। তবে, বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলন ও দৃঢ় প্রতিরোধের মাধ্যমে এই অন্ধকার অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটানো হয়েছে। তাদের সংগ্রাম, সাহসিকতা এবং সাহসী পদক্ষেপে, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও তাদের দ্বারা পরিচালিত অবিচারের দালানকে নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে। এই পরিবর্তন জাতিকে এক অপূর্ণ দায়মুক্তি দিয়েছে, যেন জাতি এক নতুন সূর্যোদয়ের দিকে এগিয়ে চলেছে।
বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার এই সংগ্রাম শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট সময়ে সীমাবদ্ধ ছিল না, এটি দেশের সাধারণ জনগণের মুক্তির একটি প্রতীক হয়ে উঠেছে, যা স্মরণ করিয়ে দেয় যে, ন্যায়ের জন্য সংগ্রাম কখনোই শেষ হয় না এবং জনগণের একত্রিত প্রয়াস সব কিছুই বদলে দিতে পারে।
নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ফেসবুক পেইজে ৫ আগস্ট আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা ভারত থেকে অনলাইন ভাষণের প্রতিবাদে বুধবার ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ রাতে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ৩২ নম্বর ধানমন্ডি অভিমুখে রওনা দেন। আর এই ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে ধানমন্ডি ৩২ অভিমুখে ”বুলডোজার মিছিলের” কর্মসূচির ডাক দেয় “২৪-এর বিপ্লবী ছাত্র–জনতা”।
রাত প্রায় সাড়ে ১১টায় ক্রেন ও এক্সক্যাভেটর দিয়ে এই ভাঙার কাজ শুরু করেন বিপ্লবী ছাত্র -জনতা। সেদিন গণ-আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার দেশত্যাগের ছয় মাস পূর্ণ হলো। আগুন দেওয়া হয়েছে ধানমণ্ডি ৫/এ সড়কে শেখ হাসিনার বাসভবন সুধা সদনেও। খুলনায় এক্সকাভেটর-ক্রেন দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাইয়ের বাড়ি, যা ‘শেখবাড়ি’ নামে পরিচিত।
হাজার হাজার ছাত্র-জনতা স্লোগান এবং বিপুল করতালির মাধ্যমে উল্লাস প্রকাশ করতে থাকেন। স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে ওই এলাকা। ‘আজাদি না গোলামি, আজাদি আজাদ, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা’, ‘ফ্যাসিবাদের আঁতুড়ঘর ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’—এরকম নানা স্লোগানের প্রকম্পিত হয়ে ওঠে ৩২ নম্বরের সড়কটি। স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে ওই এলাকা। একেকটি দেওয়াল ভাঙার সঙ্গে সঙ্গে উল্লাসে ফেটে পড়ছিলেন তারা। রাত যত বাড়তে থাকে, দলে দলে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে হাজার হাজার মানুষ ধানমন্ডি ৩২ নম্বর অভিশপ্ত বাড়ির সামনে এসে জড়ো হতে থাকে। যুবক, কিশোর, নারী-পুরুষসহ বয়স ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে রীতিমতো মানুষের ঢল নামে এ সড়কটিতে। ৩২ নম্বর সড়ক ছাপিয়ে মানুষের ঢল মিরপুর সড়ক পর্যন্ত পৌঁছায়।
জনশ্রুতি রয়েছে যে, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িটি ছিল এক সময় আওয়ামী লীগের অপকর্মের কেন্দ্রস্থল। এমনকি গুম ও নির্যাতনের অভিযোগও উঠেছে এই অভিশপ্ত বাড়িটিকে ঘিরে। বাড়িটির নিচতলায় এমন কিছু গোপন কুঠরি পাওয়া গেছে, যা সাধারণত আমাদের দেশে দেখা যায় না। বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছেন, ৩২ নম্বরের নিচের কুঠরীটি সম্ভবত আরেকটি গোপন আয়না ঘর , যা অত্যন্ত সুকৌশলে ব্যবহার করা হত। বিরোধীদল দমন, নির্যাতন, গুম, এমনকি হত্যাযজ্ঞের অভিযোগও রয়েছে এই বাড়িটি নিয়ে। ইতিমধ্যে পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থা ওই কুঠরিগুলো থেকে প্রমাণ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত রয়েছে, যদিও ৫ আগস্টের পর আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বাড়িটি থেকে সমস্ত আলামত গোপনে সরিয়ে ফেলেছে।
১৯৭১–১৯৭৫ এ তাদের কুকর্ম একবার দেখুন : (১৯৭২-৭৫) শেখ মুজিবুর রহমান এর শাসনামলে সিরাজ শিকদারসহ ২৭ হাজার ভিন্ন মতালম্বী রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও মুক্তিযোদ্ধাদের রহ্মীবাহিনী কর্তৃক হত্যা করা হয়। এবং গুম করা হয় প্রায় হাজার বিরোধী নেতাকর্মীকে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মাত্র ৪টি পত্রিকা রেখে সব পত্র পত্রিকা বন্ধ করে দেয়া হয়। গণতন্ত্র পথ হয় রুদ্ধ, সৃষ্টি হয় বাকশাল।
সে সময় প্রয়াত স্বনামধন্য সাংবাদিক নির্মল সেন দৈনিক ইত্তেফাকের এক উপসম্পাদকীয়তে লেখেন, স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই।
সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা, ছড়াকার আবু ছালেহ লিখলেন, ধরা যাবে না ছোঁয়া যাবে না, বলা যাবে না কথা, রক্ত দিয়ে পেলাম শালার আজাব স্বাধীনতা।
১৯৭২ সালে জানুয়ারি মাসে খুন করা হয় বীর মুক্তিযোদ্ধা টুয়াড কামালকে এর কিছুদিন পর হত্যা করা হয় বীর মুক্তিযোদ্ধা নেভাল সিরাজকে। আর এই ভাবেই শুরু হয় আমাদের দেশে হত্যার রাজনীতি।
১৯৭২ সালে বিরোধী মতের রাজনৈতিক দল পিকিং পন্থি নকশালদের দেখা মাত্র গুলি করে হত্যার নির্দেশ দেন শেখ মুজিব (বাংলার বানী ১ এপ্রিল ১৯৭২)।
১৯৭২ সালে মুজিব সরকারের আমলে দেশে ব্যাংক ডাকাতি হয় ৩১টি, গুপ্তহত্যা ১৪৬৭টি, ডাকাতি ২০০০, নগদ অর্থ লুট প্রায় ৮কোটি। (দৈনিক গনকন্ঠ ২৬ জানুয়ারি ১৯৭৩)।
১৯৭২ সালের ১৯ মার্চ আওয়ামী শ্রমিকলীগ ১০০০০ সদস্য নিয়ে গঠন করে লাল বাহিনী। যাদের কাজ ছিল গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে বিরোধী দলীয় নেতা কর্মীর উপর অত্যাচার করা। (দৈনিক সংবাদ ২১ জুলাই ১৯৭২) ।
১৯৭৩ সালের জুন থেকে ১৯৭৪ এর জুন পর্যন্ত ১ বছরে আনজুমান মুফিজুল ইসলাম ১৪০০ বেওয়ারিস লাশ দাফন করেছে। আর ১৯৭৪ এর জুলাই হতে ১৯৭৫ এর জুলাই পর্যন্ত দাফন করেছে ৬২৮১টা বেওয়ারিস লাশ। (ইত্তেফাক ২১ অক্টোবর ১৯৭৫)।
১৯৭৪ এর দুর্ভিহ্মের কথা সবারই জানা। সেসময় বিদেশ থেক পর্যাপ্ত সাহায্য আসার পরও অনেক মানুষ না খেয়ে মারা গেছে। এবং তারই পরিপ্রেহ্মিতে কবি রফিক আজাদ লিখলেন ভাত দে হারামজাদা নইলে মানচিত্র খাবো।
শেখ মুজিবের একদলীয় দুঃশাসনের চিত্র তুলে ধরে ১৯৭৫ এর মে মাসের সংখ্যায় মার্কিন মাসিক রিডোস ডাইজেস্টে বলা হয়েছে,
“শেখ মুজিব ২টি বেসামরিক সংগঠনের ওপর নির্ভরশীল। একটি হচ্ছে তার ভাগ্নে শেখ মনির এক লাখ সশস্ত্র এক গুঁয়ে যুবকের সংগঠন যুবলীগ, আর একটি হলো নিষ্ঠুর রহ্মীবাহিনী”।
তাদের কাজ হলো যখন তখন কল কারখানায় ঢুকে পড়ে শ্রমিকদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন করা হত্যা করে সন্ত্রাসের রাজত্ব চালানো।
এখানে আরো উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কর্নেল ফারুক, কর্নেল রশীদের নির্দেশে শেখ মুজিবুর রহমানকে তার পরিবারসহ হত্যা করা হয়।
১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের অভ্যুত্থান হলো সশস্ত্র অফিসারদের দ্বারা সংগঠিত একটি সামরিক অভ্যুত্থান। শেখ মুজিবুর রহমানের শাসন ব্যবস্থাপনা এবং সরকারকে অপসারণের পরিকল্পনা করেছিলেন কর্মকর্তারা। শেখ মুজিব এবং তার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্য এ অভ্যুত্থানে নিহত হন। ২১ বছর ক্ষমতার বাহিরে থাকতে হয় আওয়ামী লীগকে।
(১) ১৯৮১ সালের ১৭ মে দীর্ঘ নির্বাসন শেখ হাসিনা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সহযোগিতায় বাংলার মাটিতে ফিরে আসেন। বিনিময় জিয়াউর রহমানকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে হত্যা করা হয়।
(২) ১৯৯৬ সালে জামায়াতে ইসলামীর সাথে রাজনৈতিক জোট করে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগের যার বিনিময়ে প্রথম সারির নির অপরাধ নেতৃবৃন্দের জুডিশিয়াল ক্লিন এর মাধ্যমে হত্যা করা হয়।
(৩) ২০০৮ সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় এসে ভারতীয় “র” এর ষড়যন্ত্র করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় চৌকস ৫৭ জন সেনা অফিসার কে।
(৪) আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা সাথে মহাজোট করে এরশাদ হয়েছে গৃহপালিত বিরোধীদল,
যার ফলে জাতীয় পার্টি আজ বিলুপ্তির পথে।
৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা ছাত্রদের উদ্দেশ্যে ভাষণের ঘোষণা দেন ৫ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) ২০২৫ রাত ৯টায় ৷
বুধবার দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘‘আজ রাতে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদের তীর্থভূমি মুক্ত হবে৷” রাত ৯টার পরই মিছিল করে গিয়ে ৩২ নম্বরে আগুন দেয়া হয় ৷ ৩২ নম্বর ভাঙা শুরু হওয়ার পর দেশের অন্যান্য জেলায়ও আওয়ামী লীগ নেতা, দলটির সাবেক মন্ত্রী, এমপি ও শেখ পরিবারের সদস্যদের বাড়ি ভাঙা শুরু হয়।
শেখ পরিবারের সদস্যরা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মতো বাংলাদেশকে শাসন ও শোষণ করেছে। তারা সবাই বিদেশি শক্তির স্বার্থে কাজ করেছে । তাই তারা নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যই বাংলাদেশকে লুণ্ঠন করে বিদেশে পালিয়ে গেছে । বাংলাদেশ তাদের নিজেদের দেশে নয় বিধায় তারা দেশের স্বার্থে কাজ করেনি বরং দেশের জনগণের সম্পদ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছে । বাংলাদেশের জনগণ তাদেরকে বিশ্বাস করে ঠকেছে । আর যাতে শেখ পরিবারতন্ত্র ফিরে না আসে, এটাই এখন সাধারণ জনগণের প্রত্যাশা।
ফ্যাসিবাদের আইকনিক স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর উৎসব পালনের অংশ হিসেবে ধানমন্ডি ৩২–এ মুজিবের বাড়ির সামনেই গরু জবাই করা হয়েছে। সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ আজ এক অনাবিল আনন্দের স্রোতে ভাসছে, যেন দেশে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে দেখার পর, বাংলাদেশে কোনো মানুষ মর্মাহত হয়নি, কিংবা আহাজারি করেনি। হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পরেও দেশে কোনো শোক বা বিক্ষোভের ঝড় ওঠেনি। ঠিক তেমনি, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িটি গুড়িয়ে দেওয়া হলে, জনগণের মাঝে কোনো শোক বা আহাজারির শব্দ শোনা যায়নি। বরং, যেন এক নতুন আশার আলোর দিকে এগিয়ে যাওয়ার এক সঙ্গত ও প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল।
কথা হচ্ছে, আওয়ামী লীগ কি ধরনের রাজনীতি করেছে এতগুলো বছর? তারা দাবি করে যে তারা একটি বিশাল দল, কিন্তু এই “বিশাল দলের” অবস্থা কী? ইতিহাস খুব কঠিন, কাউকেই সে ক্ষমা করে না। যারা একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে, অত্যাচার করে, তারা কখনোই স্থায়ী হতে পারে না—এটাই ইতিহাসের শিক্ষা। যারা দেশ ও জাতির সর্বস্ব লুণ্ঠন করে, তাদের মধ্যে এমন একজন নেত্রী, যিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান, আবার তার দলীয় নেতাদের সামনে কীভাবে কথা বলতে পারেন? এটা শুধুমাত্র লজ্জাহীন, অপদস্থ মানুষ ছাড়া অন্য কারো থেকে আশা করা যায় না।
এখানে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, আওয়ামী লীগের কিছু উচ্ছিষ্টভোগী, যারা বিএনপি নামধারী কুলাঙ্গার, ইনিয়ে-বিনিয়ে স্বৈরাচারী হাসিনার সমর্থনে কথা বলছে। ফ্যাসিস্ট হাসিনা বিগত সময়ে এককালীন ২০ কোটি টাকা এবং পরবর্তীতে আরো ১০ কোটি টাকা দিয়ে সমগ্র মিডিয়া জগতকে কিনে নিয়েছিল। আমার দেশ, দৈনিক সংগ্রাম, দৈনিক দিনকাল এই সংবাদপত্রগুলো আওয়ামী লীগের টাকার খেলার কাছে নত হয়নি, তাই তাদের অপদস্থ করে এবং প্রকাশনী বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বহু গুণী ও প্রবীণ সাংবাদিককে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে, অনেককেই কারাগারে যেতে হয়েছে। উপরে উল্লেখিত তিনটি জনপ্রিয় সংবাদপত্র তাদের স্বকীয়তা অটুট রেখেছে, আর তাই জাতি তাদেরকে শ্রদ্ধাভরে স্যালুট জানায়।
তৎকালীন সময়ে ইত্তেফাকসহ অন্যান্য সংবাদপত্রগুলি ক্রমাগত খুনি হাসিনার পক্ষে কথা বলতে বলতে মুখে ফেনা তুলে ফেলেছিল। সেই ইত্তেফাকসহ অনেক ভারতীয় দালালদের তথাকথিত সাংবাদিকরা এখন আবার নিজেদের ভোল পাল্টিয়ে বর্তমান ইউনূস সরকারের পক্ষে দু-একটি ক্ষীণ আওয়াজ তুলছে, যা আসলে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো। এরা এখন সিডনি সহ বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে অভিজাত জীবনযাপন করছে।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত। পলাতক অবস্থায় ভারতে বসে জুলাই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণে জনমনে গভীর ক্রোধের সৃষ্টি হয়েছে যার বহির্প্রকাশ ঘটেছে।
ভারতীয় সন্ত্রাসীরা বলিউডের নাটকীয় কায়দায় শেখ হাসিনাকে এমন এক আকাশ কুসুম স্বপ্ন দেখাচ্ছে, যা বাস্তবে কখনোই পূর্ণতা পাবে না। তারা তাকে বাংলাদেশের মসনদে পুনরায় ফিরিয়ে আনার জন্য একটি গভীর ষড়যন্ত্রের বলি হিসেবে ব্যবহার করছে। এই প্রক্রিয়ায়, শেখ হাসিনাকে হাতিয়ার বানিয়ে তাদের নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির চেষ্টা চলছে। তবে, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ দাবি করছে যে, শেখ হাসিনার সেই অনলাইন ঘোষণার সাথে ভারতের সরকারের কোনো সম্পর্ক বা যোগসাজশ নেই, এবং তারা পুরো বিষয়টি অস্বীকার করছে।