তোমাকে দেখার আগে প্রকৃতি আমার সঙ্গ দেয় নি মনে হয় তার খুব অভিমান ছিল, ছিল অনুরাগ! নির্জন রাখিত সেথা তাকায় নি আঁখি তুলে হেথা, তখন আমারো ভীষণ হিংসে হতো, তার বাহার দেখে- তার তো কিছুর অভাব ছিল না, রংধনু নিতো মেখে। কিন্তু আমি রস, গুণ, ছন্দ ছাড়া এঁকে যেতাম, আর তোমার বন্দনা লিখে যেতাম। ভরপুর হয়নি
তোমাকে দেখার আগে প্রকৃতি আমার সঙ্গ দেয় নি
মনে হয় তার খুব অভিমান ছিল, ছিল অনুরাগ!
নির্জন রাখিত সেথা তাকায় নি আঁখি তুলে হেথা,
তখন আমারো ভীষণ হিংসে হতো, তার বাহার দেখে-
তার তো কিছুর অভাব ছিল না, রংধনু নিতো মেখে।
কিন্তু আমি রস, গুণ, ছন্দ ছাড়া এঁকে যেতাম,
আর তোমার বন্দনা লিখে যেতাম।
ভরপুর হয়নি মনে, শুধু ছিঁড়ে ভাসিয়ে দিতাম জলে।
গ্রীষ্ম গেল, গেল বর্ষা,
শরৎ, হেমন্ত আর শীতও গেল চলে!
নতুন কুঁড়ি ধরলো আর ফুটলো ফুল,
তবু তোমার আসা হয়নি, সকল প্রার্থনা ছিল ভুল।
তোমার স্রোতে তুমি এলে
কিবা আমার বেলা পোহালে
সে কি! এসেছো কি নিতে আমায়? নাকি
বসন্ত এনেছে তোমায়?
তব যাহোক তুমি এসেছো
হয়তো আমার হৃদয় জয় করতে।
এবার ডাকে প্রকৃতি আমায়, দিতে তার সর্বস্ব
তোমায় দেখিয়ে বলি, “আমি সর্বস্ব আবার তুমি হলে নিঃস্ব”
বদন করে ভার, উঁচু করে সমুদ্রের পাড়;
অনবরত ডাকে গ্রীষ্মের নিশিরে, জুড়াতে গাঁ পাঠাবে ভোরের শিশিরে।
শরৎ আর হেমন্তকেও দেয় পাঠিয়ে,
ফের তোমার পানে ধায় সকলি দিলাম ঘুটিয়ে।
কালো মেঘ জমে গেল, বর্ষাকে পাঠিয়ে দিল-
থৈথৈ বারি বর্ষণের পানি নৌওয়ে তোমারে নিল টানি
ভেসে গেলে তুমি, তোমার ইচ্ছের স্রোত
এই বুঝি সে নিলো তার প্রতিশোধ!
Leave a Comment
Your email address will not be published. Required fields are marked with *