728 x 90

মুক্তির স্বপ্ন: ফারজানা ইয়াসমিন

  মা মারা গেছে চার মাস হয়। বাবা আবারও বিয়ে করেছেন। আমার বড় ভাই মোটরসাইকেল এক্সিডেন্ট করে দুই বছর আগে মারা যায়। এরপর থেকে মা কেমন যেন পাগলের মতো হয়ে যায়। বাবা তখন থেকে মায়ের সাথে আগের মতো ভালো ব্যবহার করতেন না। মায়ের উপর কথায় কথায় রাগ দেখাতেন। মা এইসব সহ্য করতে না পেরে আরও

 

মা মারা গেছে চার মাস হয়। বাবা আবারও বিয়ে করেছেন। আমার বড় ভাই মোটরসাইকেল এক্সিডেন্ট করে দুই বছর আগে মারা যায়। এরপর থেকে মা কেমন যেন পাগলের মতো হয়ে যায়। বাবা তখন থেকে মায়ের সাথে আগের মতো ভালো ব্যবহার করতেন না। মায়ের উপর কথায় কথায় রাগ দেখাতেন। মা এইসব সহ্য করতে না পেরে আরও অসুস্থ হয়ে যায়। মামা কয়েকবার ডাক্তার দেখায়। কিন্তু কোনো লাভ হয় না। কীভাবে হবে? ডাক্তার মা’কে চিন্তা মুক্ত থাকতে বলেছে। কিন্তু মায়ের তো চিন্তার শেষ নাই। আগে ভাইকে নিয়ে চিন্তা ছিল। এখন আমাকে নিয়ে।

আমার বয়স মাত্র পনেরো বছর। কিন্তু বাবা আমার বিয়ের জন্য পাত্র দেখাদেখি করছেন। তার পছন্দ আমার বা মায়ের পছন্দ হয় না। কারণ সে নিজে যেমন। তার পছন্দও তেমন। মা শুধু বলতো ভালো করে পড়ালেখা কর। এসএসসি পাশ করলে ঢাকায় মামার বাসায় রেখে কলেজে পড়াবে। মায়ের সবকিছু বিক্রি করে হলেও পড়াবে। আমি আর মা মুক্তির স্বপ্ন দেখতাম। মা ছিল আমার সাহস। আমার শক্তি যা ছিল তা ছিল আমার মা। ভাই বেঁচে থাকলে সত্যি আমাকে আর মা’কে নিয়ে চলে যেত দূরে। প্রতি রাতে আমি মা’কে বুকে জড়িয়ে ধরে রাখি। মা যেন আমার মাঝে ভাইকে পায়। আমি যেন মায়ের বুকে নিরাপদ আশ্রয় পাই।

হঠাৎ বাবা মায়ের সাথে খুব ভালো ব্যবহার শুরু করলেন। একদম আগের মতো। আমার সামনে মায়ের কাছে ক্ষমা চাইলেন। মা আর আমার জন্য অনেক কিছু আনেন বাজার থেকে। আমার আড়ালে মায়ের সাথে বেশ রসিকতাও করেন দেখেছি। মা-ও অনেক ভালো থাকে এখন। আগের মতো বাবার আর আমার পছন্দের খাবার রান্না করে। তবে মা আড়ালে ভাইয়ের কথা মনে করে কাঁদে। ভাইয়ের পছন্দের খাবার রান্না করে মসজিদে আর এতিমখানায় দেয় প্রায়ই। এতে ভাই ও মা দুইজনের মনেই মনে হয় শান্তি আসে।

এখন রাতে মা আমার সাথে ঘুমায় না। মাসখানেক হয় বাবা- মা একসাথে থাকে। হঠাৎ একরাতে মায়ের মৃত্যু হলো। বাবা বলল, মায়ের নাকি বুকে ব্যাথা শুরু হয়। বাবা পানি আনতে যায় মায়ের জন্য। এসে দেখে আর নেই মা। আমি তখন কিছুই বুঝতে পারি নাই। মা’কে হারানোর শোকে পাথর হয়ে যাই। অন্য কিছু ভাবতে পারি নাই। সবাই বলল, ছেলের শোকে হার্ট অ্যাটাক করেছে। আমারও অন্য কিছু মনে হয়নি। সব আপনজন হারানোর কষ্টে আমার তখন জ্ঞান নাই। মামা এসে কিছু দিনের জন্য তার বাসায় নিয়ে গেলেন।

বাড়িতে ফিরে এসে দেখি বাবা আবার বিয়ে করেছেন। মায়ের মৃত্যুর পর কে আমাকে আর বাবাকে দেখবে? আমাকে কেউ কিছু জানালো না। আমার বাবার বউয়ের বসয় আমার মতো। এত ছোট মেয়েকে বিয়ে দিল বাবার মতো বয়স্ক লোকের সাথে! আমি রাগে ঘৃণায় বাবার কাছে কিছু জানতে চাইনি। বাবা আমার কাছে মেয়েটিকে এনে বলল, এটা তোমার নতুন মা। তোমার ভালোর কথা চিন্তা করে বিয়ে করতে হলো। একা এত বড় মেয়ে বাড়িতে রাখা তো ঠিক না। তোমার সাথে কাউকে না কাউকে তো লাগবে। দুইজন দুইজনকে দেখে রাখবা।

মেয়েটার মুখে কোনো হাসি নাই। মলিন একটা মুখ। হাজারো কষ্ট যেন জমা ঐ চোখে। অনেক কথা বলা জমা মনে। আমি সেদিন মেয়েটাকে চোখের পানি গোপন করতে দেখি। কিন্তু রাগে অন্য দিকে তাকিয়ে থাকি। আমার মায়ের সাজানো গোছানো সংসারে কেন এসেছে এই মেয়ে? আমার মায়ের জায়গা কেউ পাবে না। মেয়েটা শুধু বলল, আপনার কিছু লাগলে আমাকে বলবেন। বাবা বলল, আপনি করে কেন বলো? তুমি করে বলো। তোমার মেয়ে হয় সে। আমি রাগে ঘৃণায় ঘর থেকে বের হয়ে যাই। এই লোকটা আমার বাবা! এই লোক আমার বাবা না হয়ে আজ এতিম হলেই ভালো হতো।

রাতে কার যেন কান্নার আওয়াজ পাই। ভয় হয় তাই একা রাতে বের হই না। একদিন সাহস করে বের হলাম। দেখি মেয়েটা বারান্দায় বসে কাঁদছে। তার কপালে হাত দিয়ে বসে আছে। আমার ঘরে নিয়ে আসলাম। কারণ বাবার ঘরে দরজা বন্ধ দেখলাম। আলো জ্বালিয়ে দেখি কপালের একপাশে ফোলা। বুঝতে পারলাম বাবা হয়তো আঘাত করেছে। মেয়েটার গলায় লাল লাল দাগ। কামড়ের দাগ মনে হলো। আমার গা শিউরে উঠলো। একটা মানুষ এতটা পশু হয় কী করে? আমি মেয়েটাকে আমার ঘরে থাকতে বলি। এতরাতে বাহিরে থাকা ঠিক হবে না। তার সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নাই। কিন্তু একটা মেয়ে তো সে। তাই হয়তো মায়া হলো। মেয়েটা জড়োসড়ো হয়ে শুয়ে থাকলো।

সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি মেয়েটা ঘরে নেই। বাহিরে গিয়ে দেখি রান্না করছে। অবাক হলাম কতটা কষ্ট জমা মনে। অথচ বোঝার উপায় নেই। ঠিক করলাম নিজেরও একা একা ভালো লাগে না। মেয়েটার সাথে কথা বলবো। সেদিন বাবা তো নামটাও বলেননি মেয়েটার। আমি কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম নাম কী আপনার? মেয়েটা বলল, হাবিবা। আমি বললাম, বাবার এত বয়স। তবুও তার মতো মানুষকে কেন বিয়ে করলেন? সে বলল, বাপ নাই আমার। মা আবার বিয়ে করেছে। সৎ বাবা আমাকে দেখতে পারে না। কুনজর দেয় সবসময়। মায়ের কোনো পথ ছিল না এ ছাড়া। আপনার বাবা বলেছিলেন, অনেক ভালো রাখবে আমাকে। কোনো কষ্ট হবে না এখানে। ওনার একটা মেয়ে আছে বলেছিলেন। বিয়ে হলে সব ঝামেলা শেষ বলেছিলেন। কিন্তু আপনাকে আমার খুব ভালো লাগে। আপনি আমার উপর রাগ করবেন না। আমি আপনার মায়ের জায়গা নিতে আসিনি। আমার কিছু করার ছিল না। বাপ নাই তো তাই এমন হতভাগা।

আমি এবার হাসলাম। বললাম, আপনার বাবা নাই তাই হতভাগা। আমার বাপ থেকেও আমি হতভাগা। আমার মা নাই যে। ভাই টাও চলে গেল একা করে। বাবা মায়ের কাছে এই বয়সে সন্তান চেয়েছিলেন। মা পারেনি। কিন্তু আপনার কাছে এটাই চায় হয়তো। হাবিবার চোখে পানি। সে চোখ মুছে বলল, আপনার বাবা খুব খারাপ মানুষ। জঘন্য মানুষ সে। স্বামী হওয়ার মতো মানুষ সে না। প্রতি রাতে অত্যাচার করে। শুধু বলে একটা ছেলে দিলে আমাকে রাখবে। না হলে তাড়িয়ে দিবে আমাকে। ছেলে না মেয়ে হবে তা তো আল্লাহর উপর নির্ভর করে। আমার কী ক্ষমতা আছে ছেলে হওয়ানোর? আমি এটা বললেই, ধরে মারে। জীবন এই কয়দিনে বিষের মতো লাগে। আমি বুঝতে পারছি হাবিবা এত ছোট বয়সে কতটা মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার। কিন্তু আমিই বা কী করতে পারি? আজ মা থাকলে হাবিবা খালাকে এখানে আসতে হতো না। আমারও এমন কষ্ট হতো না। হাবিবাকে খালা বলি এখন আমি। কিছু তো বলতে হবে। তাকে সত্যি ভালো লাগে আমার।

প্রায় রাতেই হাবিবা খালা কাঁদতে কাঁদতে ঘর থেকে বেড়িয়ে আসে। আমি আমার ঘরে রাতে থাকতে দেই। এটা যেন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে গেছে। সারারাত হাবিবা খালা আর আমি গল্প করি। আমার সাথে হাবিবা খালার বন্ধুর মতো সম্পর্ক। তবে বাবার সামনে আমরা কেউ কারো সাথে কথা বলি না। হাবিবা খালা আমাকে তার সুখ দুঃখের কথা বলে মন হালকা করে। আমিও তাই করি। একে অন্যকে তুমি করে বলি এখন।

একদিন হাবিবা সকালে বলল, তোমার বাবা আজ কয়েকজনকে আসতে বলেছেন। তোমাকে দেখতে আসবে আজ। তুমি একদম রাজি হবে না। তোমার পড়ালেখা নষ্ট করবে না। আজ আমার বাবা বেঁচে থাকলে আমার পড়ালেখা ঠিকই হতো। তুমি কিছুতেই রাজি হবে না। বেশি চাপ দিলে পুলিশের ভয় দেখাবে। তখন বুঝবে মজা। একদম শক্ত হতে হবে। আমিও বুঝতে পারছি বাবাকে এবার শক্ত ভাবে কথা বলতে হবে।

বিকালে কয়েকজন মিলে আমাকে দেখতে আসলো। বাবা হাবিবাকে খালাকে ডেকে বললেন, মিতুকে নিয়ে এসো। সেজেগুজে যেন আসে। আমি হাবিবাকে খালাকে বললাম, তুমি বাবাকে গিয়ে বলো আমি আসবো না। আর তাকে আসতে বলো। হাবিবা খালা ভয় পেলেও বাবাকে গিয়ে বলল। আর বাবা সবার সামনে থেকে হাবিবা খালাকে টেনে এনে বাহিরে এসেই চড় মারলেন।

আমি সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে বললাম, আপনি আমাকে জিজ্ঞেস করে এই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন? কাকে জিজ্ঞেস করে এই সব মানুষকে ডেকেছেন? আমি এখন বিয়ে করবো না। ওনাদের চলে যেতে বলেন। আর বেশি বাড়াবাড়ি করলে আমি মামাকে বলে রেখেছি। আপনার কথা পুলিশকে বলবো। বাবা রাগে ফেটে পড়লেন। চিৎকার করে বললেন এত বড় সাহস তোমার। এটা আমার বাড়ি। এ বাড়ির সব সিদ্ধান্ত আমিই নিব। বেশি বাড়াবাড়ি করলে এ বাড়িতে থাকতে পারবে না।

আমি বাবার দিকে তাকিয়ে বললাম, এটা শুধু আপনার একার বাড়ি না। এটা আমার মায়েরও বাড়ি। এই বাড়ির সবকিছু আমার মা করেছে। বাড়ির অনেক কাজ মা মামার কাছে থেকে টাকা এনে করেছে। আমাকে চাইলেই বের করতে পারবেন না। বাবা গজগজ করতে করতে চলে গেলেন। আমি হাবিবার হাত ধরে বললাম, আমাকে ক্ষমা করে দিও। আমার জন্য তুমি মার খেলে। হাবিবা খালা বলল, এটা কিছু না। তোমার ভালো হোক এটাই চাই আমি। হাবিবা খালাকে বুকে জড়িয়ে ধরলাম। আজ সত্যি সে খুব আপন আমার।

হঠাৎ করে হাবিবা খালা অসুস্থ হয়ে যায়। বাবা ডাক্তার দেখায়। হাবিবা খালা মা হতে চলেছে। বাবা অনেক খুশি। বারবার হাবিবাকে বলেন, ছেলেই হতে হবে। আমার বংশ রক্ষার জন্য ছেলেই হতে হবে। হাবিবা ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে থাকে সবসময়। মনে আনন্দ নেই। বাবা বলেছেন, ছেলে না হলে এই সন্তান সহ তাকে বের করে দিবে। আমি যতটা পারি স্বান্তনা দিতে থাকি হাবিবা খালাকে। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয় না। হাবিবা খালা আমার হাত ধরে কাঁদে। তার ছেলে না হলে এই সন্তান নিয়ে কোথায় যাবে সে? আমি হাবিবা খালাকে বহুবার বলেছি, তুমি কোথাও যাবে না। ছেলে মেয়ে যেটাই হোক। সে বাবার সন্তান। তার অধিকার আছে এখানে থাকার। কিন্তু হাবিবা খালা এতোদিনে বাবাকে চিনে গেছে।

ছয় মাস হলে বাবা হাবিবা খালাকে নিয়ে আলট্রাসাউন্ড করায়। ডাক্তার বলেছে, মেয়ে হবে। এটা শুনে বাবা সাংঘাতিক রেগে যান। বাড়িতে এনে হাবিবা খালাকে বাজে ভাষায় গালি দিতে থাকেন। হাবিবা খালাকে চলে যেতে বলেন বাড়ি থেকে। আমি সামনে গিয়ে বলি, সে কোথাও যাবে না। আর গেলে সে চাইলেই আপনার নামে কেস করতে পারে। আপনি জেলে যাবেন। আর হাবিবা ঝালার এই সন্তান আপনার। হাবিবা খালা চাইলে এই সন্তান আপনার কাছে দিয়ে চলে যেতে পারে। তখন একা পালবেন এই বাচ্চা। বাবার রাগ আরও বেড়ে যায়।

আমাকে হাত ধরে বের করে দিয়ে হাবিবা খালাকে মারতে থাকেন। আমি বাহির থেকে চিৎকার করে বাবাকে থামতে বলি। কিন্তু সে থামে না। মারামারি এক পর্যায়ে হাবিবা খালা বাবাকে ধাক্কা দিয়ে সরাতে চায়। কিন্তু বাবা গিয়ে দেওয়ালে ধাক্কা খেল। মাথা দিয়ে রক্ত পড়তে লাগল। বাবার কোনো হুশ নাই। হাবিবা খালা ভয়ে থরথর করে কাঁপছে। আমি ভিতরে গিয়ে বাবার কাছে গিয়ে দেখি। বাবা আর নেই। যা বোঝার বুঝতে পারছি। বাবা তো চলে গেছেন। হাবিবা খালাকে এসে বললাম, এটা কী করলে?

সে পাথরের মতো দাঁড়িয়ে আছে। বলল, এই হিংস্র মানুষটাই আপনার মা’কে মেরে ফেলেছে। আজ আমাকেও মেরে আপনার মায়ের কাছে পাঠাতে চেয়েছিলেন। আমি একা না এখন। আমার সন্তান আছে আমার সাথে। আমি তাকে জন্ম দিতে চাই।

আমিও এবার পাথরের মতো হয়ে গেলাম। এই মানুষটা আমার বাবা হয়েও আমার মা’কে খুন করেছে। তার মৃত্যু হয়েছে এতে আমার কোনো কষ্ট হচ্ছে না। আমি হাবিবা৷ খালাকে বললাম, আমি চাচাদের জানাচ্ছি। কেউ জানতে চাইলে বলবে, হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যায় বাবা। পড়ে গিয়ে ব্যথা পেয়েছে। আমরা এসে দেখি বাবা পড়ে আছে। হাবিবা খালা আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি সবাইকে আসতে বললাম। সবাই এটাকে স্বাভাবিক মৃত্যু বলেই মনে করলো। বাবা চলে গেছে। কিন্তু কোনো কষ্ট হয় না তার জন্য।

একটা খুনির জন্য কষ্ট হয় না আমার। হাবিবা খালা নিরুপায় ছিল। বাবাকে তো সে মারতে চায়নি।

হাবিবা খালার সুন্দর একটা মেয়ে হয়েছে। আমি নাম রেখেছি নিতু। আমরা তিনজন এখন এই বাড়িতে থাকি। আমার পড়ালেখার জন্য হাবিবা খালা সবসময়ই পাশে থাকে। ঠিক যেভাবে আমার মা আর ভাই থাকতো। বাজারে আমাদের দোকান ভাড়া থেকে যে টাকা আসে। তা দিয়ে খুব ভালো করে চলে যায়।

হাবিবা খালা চায় আমি লেখাপড়া করে অনেক বড় হই। আর নিতুর সব দায়িত্ব আমার। ওকে আমি যেন মানুষ করি। আমাদের তিনজনের অনেক সুন্দর গোছানো জীবন এখন। হাবিবা খালা কখনো আমার মা হতে চায়নি। আমার বন্ধু হয়ে থেকেছে। আজও তাই আছে সে। নিতু ধীরে ধীরে আমাদের আদরে বড় হচ্ছে। নিতু সর্বপ্রথম মা না ডেকে, ডেকেছে বুবু। আমার চোখে সেদিন আনন্দের অশ্রু। আমরা আজ মুক্ত। আমাদের মুক্তির স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।

Read More

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked with *

সর্বশেষ পোস্ট

Advertising